নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে মানুষ

যে ঘুড়ি উড়তে জানে না........

নীল কথন

হারিয়ে যাওয়া চশমার খোঁজে হাঁটছি........

নীল কথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদে গল্পপাত-২

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫২

১ম গল্পঃ

এই এই ধর ধর, কথা বল কবির। তোকে চাচ্ছে! মাহমুদের মুখে কপট হাসি দেখে বুঝলাম কাহিনী কী! মাহমুদের হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে বললাম, জ্বী, আমি কবির বলছি। পাশে মাহমুদ মুখ চেপে হেসেই চলছে। এই ভাবে হলে বন্ধু মহলের কারো মোবাইলে অপরিচিত কল আসলেই দৌড়ে আমার কাছে নিয়ে আসে। সেই সুবাদে আমি কখনও কবির, কখনও করিম, কখনও বা শিউলির ভাই। আমিও খুব সহজেই চরিত্রের নামের সাথে মিশে যেয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা চলিয়ে যেতে পারি।



একদিন সন্ধ্যার পর ঝুপড়ি চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় মারুফের মোবাইল বেজে উঠল। মারুফ হাতের ইশারায় সবাইকে চুপ থাকতে বলে মোবাইল কানে তুলল। সবাই এক মুহূর্তের জন্য চুপচাপ হয়ে গেল। মারুফ বলল, হা, নজরুল আছে। আমাকে মোবাইল দিয়ে মারুফ বলল, নজরুল ধর! তোর ফুফাতো ভাই। মুখে বদ হাসি। আমি সায়েম থেকে নজরুল বনে গিয়ে মোবাইল কানে ধরলাম। মোবাইলের অপর পাশের কথা শুনে আমি কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলাম। নীচু স্বরে অপর পাশের লোকটাকে বললাম, সরি ভাই। আমি নজরুল না। আপনি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছেন।



মোবাইলটা রেখে আমি কিছুক্ষণ জিম ধরে বসে রইলাম। তারপর বললাম, নজরুলের মা মারা গেছেন!!



২য় গল্পঃ

ট্রেন লাইনটা আমাদের বাড়ীর কোল ঘেঁষে এঁকে-বেঁকে উপজেলার ছোট্ট শহরটার বুকে চিড়ে গেছে। শহরটায় আমাদের রেল স্টেশন। হেঁটে যেতে মিনিট দশেক লাগে। আমি সহ বাড়ীর সব দুষ্টের দল হৈ-হল্লার অন্যতম জায়গা রেল লাইন। রেল লাইনে পাথর নিয়ে খেলার পাশাপাশি স্লিপারের উপরে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা ছিল আমাদের প্রিয় কাজ। ঐদিন আমরা কয়েকজন মাত্রই রেল লাইনের স্লিপারের উপর পিঠ দিলাম। মুহূর্তেই দূর থেকে ট্রেনের হুইসাল আমাদের শোয়াতে ব্যাঘাত ঘটায়। বিরক্ত হয়ে উঠে পাশে দাঁড়ালাম। পাশের ডোবা থেকে কলমি লতা গাছ তুলে নেই। ট্রেন পাশ দিয়ে যেতেই ছুঁড়ে মারলাম ট্রেনের জানালা বরাবর। তারপর স্লিপারের উপর দিয়ে কে কত দূর হেঁটে যেতে পারে, তার প্রতিযোগীতা করে স্টেশনে চলে যাই। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামাতেই বাড়ি ফিরি।



ঘরে ফেরার পর দেখলাম মামা এসেছে। কিন্তু তাঁর চোখে অনবরত পানি ঢালা হচ্ছে। আম্মা বলল, কারা যেন ট্রেনের জানালা দিয়ে কাদা সহ কলমি লতা ছুঁড়ে মেরেছে। তা এসে তোর মামার চোখে লেগেছে। আমি কিছু না বলে দুরুদুরু বুকে চুপটি করে আমার রুমে চলে যাই। এরপর আর কখনও ট্রেনের জানালা দিয়ে কিছু ছুঁড়ে মারিনি।



১১০২১৪

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন! ছোট্ট অথচ গভীর মেসেজ!

++++++++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভেবে দেখার মত ৷ দারুন ৷

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নীল কথন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। খুব ভাল লাগল।

মেসেজগুলো শিক্ষণীয়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ। সতত ভালো থাকুন।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
২টাই ভাল লেগেছে।
++++++++++++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

নীল কথন বলেছেন: ২য়টা লিখে আমার মন ভরেনি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সচেতনতামূলক গল্প। ভালো লাগেনি বেশি। আসলে গল্পের মাধ্যমে "আমি আর কখনও এরকম করিবো না" জাতীয় শিক্ষা প্রকট হয়ে উঠলে সেটাকে ঠিক ফিকশন মনে না হয়ে টেক্সটবুক মনে হয়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নীল কথন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। আসলে ব্লগে এই ব্যপারটা দারুণ। গল্পের ভুলগুলো শেখা যায়। আমি প্রতিনিয়ত শিখি। শেখার জন্য ব্লগ উত্তম স্থান। আবার ধন্যবাদ ভ্রাতঃ।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: দুইটা গল্পই ভালো লেগেছে । বর্ণনার পাশাপাশি গল্পের ম্যাসেজ অনুধাবন করার মত ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। :)

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

আরজু পনি বলেছেন:

খুব ভালো লাগলো, দুটোই ।

এভাবেই সচেতনতা বাড়ে...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

নীল কথন বলেছেন: অনেকদিন পর লেখায় নতুন মন্তব্য দেখলে ভালোই লাগে। কৃতজ্ঞতা।
সতত ভালো থাকুন আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.