নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে মানুষ

যে ঘুড়ি উড়তে জানে না........

নীল কথন

হারিয়ে যাওয়া চশমার খোঁজে হাঁটছি........

নীল কথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদে গল্পপাত-৩

১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

প্রথম গল্পঃ ক্ষুধা



আমাদের উঠোন কোণে একটা মাটির ঢিবি। পাশেই খোলা ছাতার মত মেলানো আম গাছ। ইদানিং রাত গাঢ় হলে ঢিবিকে আড়াল রেখে আম গাছতলায় পিদিম জ্বলে। কাছে গিয়ে দেখি, পুরনো ছেঁড়া জামা গায়ে আলগোছে এক ছেলে। ছেলেটা আঙুল ছড়িয়ে ভাত খাচ্ছে। পাতে ছোট মাছের চচ্চড়ি আর মসুরের ডাল। আর আম্মা মমতার চোখে তাকিয়ে আছেন। ছেলেটা পাড়াতে নতুন এসেছে। পাগল গোছের ছেলে। আম্মা বলছেন, চুপিচুপি আসবি। সন্ধ্যায় আসবি না। মিলুর বাবা এইসব পছন্দ করেন না। উনি খুব মেজাজী মানুষ। পরে কী হতে না কী হয়ে যায়! ছেলেটা ঘাড় নেড়ে সায় দেয়।



কয়েকদিন পর একরাতে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাত্রে হৈ-চৈ শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বাড়িতে নাকি চোর পড়েছে। চুপসে ভিজে যাওয়া চোরটাকে ধরে আনল। নাকে মুখে আঘাতের চিহ্ন। আম্মার মুখে উৎকন্ঠার ছাপ, আব্বার কোপদৃষ্টি। ছেলেটা মৃদু সুরে আম্মার দিকে তাকিয়ে বলল, ভাত খাব!



০৯১১১৪



দ্বিতীয় গল্পঃ খাদক



‘‘সূর্যতোরণ পাঠাগার’’-এর সামনে প্রতিদিন বিকেলে কয়েকটা সাইকেল এসে ভিড়ত। আমিও বাবার সাইকেলের পিছনে চড়ে যেতাম ওখানে। দীপ, সুপ্তি, কমলসহ আরো অনেকে আসতো। পাঠাগার যেন বইয়ের দুনিয়া। ঐ পাঠাগারে বসেই প্রথম ভেবেছি আমি হব এক প্রজাপতি। সব বাবারা বই পড়ত আর সন্ধ্যা অবধি চলত আড্ডাবাজি।

বেশ কয়েক বছর পর এক বিকেলে বাবাকে মোটরযানে চড়িয়ে নিয়ে গেলাম সেই “সূর্যতোরণ পাঠাগার”-এ। পাঠাগারটা এখন মলিন, জীর্ণশীর্ণ আর ধুলোয় আচ্ছাদিত। এরপর বাবাকে নিয়ে গেলাম মাস্টার পাড়ায়। ওখানে প্রায় বাসার সামনে সাইকেলের সারি। একটা বাসার সামনের সাইনবোর্ড দেখে বাবা বললেন, তোদের সময়ের সোনালি বিকেলটা এখন খেয়ে ফেলছে “সূর্যতরুণ কোচিং সেন্টার”।



১২১১১৪



মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ক্ষুদে গল্প দুটিই ভালো লেগেছে। পোস্টে প্লাস।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

সকাল হাসান বলেছেন: দুটো গল্পই ভাল লেগেছে!

তবে ক্ষুদা গল্পটা পড়ে একটু খামচি দিল মনে হল বুকে কেউ!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

নীল কথন বলেছেন: ভালো লাগায় ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:





অনুগল্পে +
সুন্দর বক্তব্য ছিলো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

নীল কথন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা। :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

মুহিব জিহাদ বলেছেন: তোদের সময়ের সোনালি বিকেলটা এখন খেয়ে ফেলছে “সূর্যতরুণ কোচিং সেন্টার”। আসলেই হারি যাচ্চে এইভাবে পোস্টে +++

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

নীল কথন বলেছেন: :) ধন্যবাদ। সতত ভালো থাকুন।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

সুমন কর বলেছেন: দু'টোই চমৎকার। শেষে এসে অবাক বাক্য।।

৪র্থ লাইক।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

নীল কথন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার গল্প দুটো । +++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২০

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্বিতীয় গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩

নীল কথন বলেছেন: গল্পটা লিখেও আমার মন খারাপ হয়েছিল। ছোটবেলায় আমার চাচার উৎসাহে একটা পাঠাগার করেছিলাম। বছর খানিক চলল। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা অফ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ঘরের সব বই নিয়ে দিয়েছিলাম। বেশিরভাগ আর পাইনি। :(
-এখনকার ছেলেমেয়েরা বিকেল হলেই কোচিংয়ে যায়। ক্রিকেট বা ফুটবল খেলবে তারও সময় নেই। এতে করে আসলেই কী তারা মেধাবী হচ্ছে!

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৭

এমএম মিন্টু বলেছেন: ++++

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: চমৎকার।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১০

নীল কথন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা আপু।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ দুটি গল্প। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.