নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবন প্রতিদিন তার বেঁচে থাকার লাইসেন্স নবায়ন করে ।প্রকৃতি এটা নিয়ন্ত্রন করে,যেদিন নবায়ন হবেনা,সেদিন মৃত্যু অনিবার্য ।

স্বপ্নের শঙ্খচিল

আমার মনের মাঝে শঙ্খচিল ডানা মেলে প্রতিদিন,ভুলতে পারিনি সেই অভিমান আবার ফিরে আসা তোমার কাছে !

স্বপ্নের শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে সবার আগে আমাদের বেশি করে গাছপালা লাগাতে হবে৷
আমরা বিশ্বাস করি যদি বেশি করে গাছপালা লাগাই তাহলে হয়ত এই তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসবে৷
তবে আমরা মুখে বল্লেও মনে প্রানে যে বিশ্বাস করিনা তা সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সহ বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠান
সমানে গাছ কেটে চলছে । ‘যেভাবেই হোক আমরা গাছ কেটে ফেলছি’।
বেশ কয়েক দিন পূর্বে আমি বসুন্ধরায় ঢুকে আমি অবাক হয়ে গে লাম, নুতন পুরাতন প্রায় ৩০০শত গাছ এই গরমের
সময় কেটে ফেলা হয়েছে অথচ কোন প্রতিবাদ নেই এবং সাংবাদিকদের মুখও বন্ধ।
কোন পত্রি কায় এধরনের রিপোর্ট দেখি নাই ।
এই তাপদাহর সময় আমাদের মানবতা / বিবেক কি জাগ্রত হবেনা ?

দুই দিন পূর্বে আমি গুলশান থেকে আইসিসিবি যাচ্ছিলাম, পথে মনে হলো আমার হাত পুড়ে যাচ্ছে, বাতাসে গরমের
মাত্রা এতটাই বেশী , অথচ সিটি কর্পোরেশনের কোন উদ্দোগ দেখলামনা, প্রতিদিনই মানুষ তাপদাহে মারা যাচ্ছে
কিন্ত সিটি কর্পোরেশনের মানবতা জাগ্রত হয় নাই । দেখলাম কুরিল বাস স্টপেজে যাত্রী সাধারন এই তীব্র গরমে লাইনধরে
দাঁড়ায়ে আছে, অথচ মাথার উপর কোন ছাউনি নাই ।ওই লাইন থেকে হিট স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা ১০০% ।

সমীক্ষা বলছে গত তিন-চার বছরে ঢাকার গাছপালা যা ছিল তার আরো ১৫ ভাগ কমে গেছে৷
এতে ৩% গরম আগের থেকে বেড়ে গেছে । এমন কেন হচ্ছে? কারন হলো আর্থি ক লাভে র জন্য হোক আমরা গাছ কেটে ফেলছি৷ সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছিল৷ সেগুলোও আমরা ধরে রাখতে পারি নাই ৷

নানাহ বক্তৃতা বিবৃতি শুনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে- পরিবেশ রক্ষা করেই উন্নয়ন করতে হবে৷ পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়ন নয়৷ পরিবেশ বাঁচাতে হবে, উন্নয়নও করতে হবে ৷ পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সেভাবেই কাজ করতে হবে৷
অথচ কোথাও একটা ইটের ভাটা কমেনি যারা পরিবেশ দুষন করে চলছে আর কাটা গাছ তাদের মূল জ্বালানী ।
মাঝে মাঝে আমরা দেখি অভিযান চলছে এটা বন্ধ করার জন্য, আসলে এর আড়ালে বিনিময় বানিজ্যটাই মুখ্য ।

মাত্রারিক্ত তাপপ্রবাহ একটা দুর্যোগ হিসাবে ঘোষনা করা উচিৎ৷
এই পরিস্হিতি সাধারন মানুষের দৈনিক কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা কমায়ে আনে৷
মাত্রারিক্ত তাপপ্রবাহ নাকি জলবায়ুর প্রভাবের ফল ,গত কিছু বৎসর বড় ধরনের বজ্রপাত না হওয়ার কারনে
এবার বৃষ্টিপাত কমে গেছে, ফলে কৃষিখাতে চরম বিপর্যয় দেখা দিবে ।
আমার জানা মতে এবার মৎস্য চাষীরা পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছ চাষ সময় মতো শুরু করতে পারে নাই ।
ফলে এর প্রভাব আগামীতে দেখা দিবে, অথচ সরকারী কৃষি দপ্তর ব্যাপক উদ্দোগ নিয়ে বিষয়টির সমাধান দিতে পারত ।
গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিনও এই জেলাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। এখন পর্যন্ত এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এমন অবস্হায় মাঠের বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা৷ লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামে বিদ্যুৎচালিত সেচ করতে পারছে না । ধানের জমিতে পানি দেয়া যাচ্ছে না আম, লিচু, কাঁঠাল, জাম, জামরুলসহ মৌসুমি ফল মুকুলেই ঝরে পড়ছে৷
রোদের তাপে পুড়ে মরে যাচ্ছে ভুট্টা, কলাসহ নানা ধরনের ফসল৷ ফল-ফসলের ক্ষতি কোথায় গিয়ে দাডাঁবে অনুমান করা যাচ্ছেনা৷
আজ রবিবারও তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে শুধু সিলেটে ভারি বৃষ্টি,২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে এটি ভারি বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২ মে তারিখের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি সেচ প্রকল্প হলো গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প বা জিকে প্রকল্প।সম্প্রতি সবকটি পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভরা মৌসুমেও পানি পাননি কৃষকেরা৷ প্রকল্পের তিনটি প্রধান পাম্পের মধ্যে দুটিই নষ্ট। অতিসম্প্রতি তৃতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের সবকটি পাম্প নষ্ট থাকায় কৃষিখাতের কৃষকেরা চরম বিপদে আছে৷সরকারের এ বিষয়ে কোন ব্যবস্হাপনা আছে কি না জানা যায় নাই ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) হিসাব অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী থেকে ২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জলাধার হাঁরায়ে গেছে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার সবুজের সমারোহ রাস্তাঘাট ও অপরিকল্পিত দালান কোঠা খেঁয়ে ফেলেছে৷
জেলা-উপজেলা পর্যায়েও পুকুর বা জলাধার ভরাট করে পরিকল্পনাহীন ভবন উঠেই চলেছে৷
তীব্র তাপপ্রবাহে গত পাঁচ দিনে দেশজুড়ে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন প্রায় ৪০ জন৷
এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যুর হার আরও বাড়বে ।
এতদিন শুনে এসেছি সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কাজ করে আসছে আবার বন্যা, ঘুর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ফান্ড আছে ।তাহলে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে কৃষিখাত ও কৃষকের জন্য সেই উদ্যোগ নেই কেন?
আমাদের স্বাভাবিক বুদ্ধি জ্ঞান ও মানবিকতা হারাতে বসেছি কেউ হয়তো বলবেন এই গরমে সরকারের ও বোধশক্তি কমে গেছে ।


আমরা কি পারিনা মানুষের মাঝে বিবেকবোধ আর মানবতা জাগ্রত করতে ???

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ বছর এত ভয়াবহ তাপমাত্রার কারণ কী?

শুধু ঢাকায় গাছ লাগালে তো হবে না, তাপ প্রবাহ সারাদেশ জুড়েই বইছে।

আরেকটা কথা, এই তাপ প্রবাহ কি শুধু গাছ কাটার কারণেই ঘটছে? মিল-ফ্যাক্টরি, যানবাহনের ধুঁয়াও এর জন্য কম দায়ী না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ধন্যবাদ !
আমার মনের কথাটা আপনি বলেছেন ।

............................................................
আমি ও বিশ্বাস করি শুধুমাত্র গাছ লাগায়ে তাপমাত্রা
রোধ করা যাবে না । তবে কিছু সহনীয় মাত্রায় আসতে পারে ।
কিন্ত কে কার কথা শুনে ???
সরকার এই তীব্র দাহর মধ্যে জনসাধারনের জন্য বাস্তবে কি করছে ?
শুধুমাত্র মিডিয়ায় বক্তব্য দিলেই হবে ???
আবার বসুন্ধরায় এই সময়ে প্রায় ৩০০ গাছ কেটে ফেলা হলো
কোথায় আমাদের বিবেক ???

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:১২

কামাল১৮ বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশ গুলিই বেশি দায়ী।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অবশ্যই !
এছাড়াও আমাদের মানসিক অবস্হার পরিবর্তন দরকার ।
এখনও আমরা পরস্পরের প্রতি ভালবাসার হাত বাড়াতে শিখিনি
এই তীব্র তাপদাহর সময় ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আগে মানুষ ছিল ৭ কোটি। সেইটা এখন হইছে ২১ কোটি। আগে হাজারে হাজার জলাশয় ছিল। এখন ১টাও নাই।
আগে সারা দেশে প্রচুর গাছগাছালী ছিল। এখন কোন গাছ নাই বললেই চলে ।
আগে সারা দেশে হাতে গোনা কয়েক জনের এসি ছিল। এখন সারা দেশে লাখে লাখে এসি।
আগে কেবলমাত্র ঢাকা শহরেই কিছু লোকের ফিরিজ ছিল। এখন দেশে লাখে লাখে ফিরিজি।


ভাইবা দেখেন কি করবেন!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনি বলতে পারেন ?
কেন আমাদের বৃষ্টি দুবাইতে
আর দুবাইর মরুভূমির গরম আমাদের দেশে ???

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: এল নিনো হল এক ধরণের উষ্ণ সমুদ্রস্রোত, যা কিনা পৃথিবীর স্বাভাবিক ঘূর্ণনগতির নিয়ম মেনে চলেনা। পাঁচ থেকে দশ বছরে এরকম এক ব্যতিক্রমী জলবায়ু আমাদেরকে প্রত্যক্ষ করতে হয়। মূলত নিয়ম না মানা এই সমুদ্রস্রোতের কারণেই এ বছর কোন কালবৈশাখী ঝড় হবার সম্ভাবনা খুবই কম। একেকটা এরকম ঝড় বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের ঠান্ডা বাতাসকে খুব দ্রুত ভূপৃষ্ঠে নামিয়ে নিয়ে আসে। ফলে বাতাস আরামদায়ক হয়। এই বছর যেহেতু কোন কালবৈশাখী ঝড় হবেনা, তাই ভূপৃষ্ঠের গরম বাতাস ভূপৃষ্ঠেই আটকা পড়েছে - বের হবার রাস্তা পাচ্ছেনা। এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে মৈসুমী বায়ুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে - যেটা কিনা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ পূর্ব থেকে বইতে শুরু করবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আজ সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রী তাপমাত্রা
বিগত ২৮ বৎসর পর রের্কড ভঙ্গ করল ।
১৯৯৫ সালে এই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৫ ডিগ্রী ছিল ।
.....................................................................................
আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন ২ মে থেকে দেশের অনেক জায়গায় কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে তাপমাত্রাও কমতে পারে।’

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: গাছের কোন বিকল্পই আসলে নাই। অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম। দেশের মাঝেই সিলেট সবচেয়ে বড় উদাহরন। মাঝে মাঝেই বষ্টি হচ্ছে সেখানে এবং তাপমাত্রাও সহনীয় পর্যায়ের ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যশোর ,রাজশাহীতে ও কোন অংশে গাছ কম নেই ।
গাছের পাশাপাশি , গাড়ীর ধোঁয়া,নির্মাণ সামগ্রীর ধুলোবালি, বিভিন্ন বিষাক্ত শীশার
প্রভাব এসবও দায়ী ।
.....................................................................................................
এছাড়াও গ্লোবাল ওয়ার্মিং কেন তাও আমাদের জানা দরকার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.