নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্তার কথা শুনো, মনের কথা নয় মন করে প্রবঞ্চনা, সত্তা কখনও নয়।

স্বতু সাঁই

প্রকৃত সত্যকে জানা

স্বতু সাঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কত ভাগ মুসলিম

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

প্রয়শই লোক মুখে শুনে থাকি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। এই বিরোধ আমি মন থেকে মিটাতে পারি না। এই দেশে বিরানব্বইভাগ মুসলিম আছে এই তথ্য কোন পরিসংখ্যানের সূত্র ধরে প্রাপ্ত তথ্য! কোথায় হতে পেলো এই সংখ্যা তত্ত্ব?

মুসলিম শব্দের অর্থ হলো, আল্লাহর প্রতি অনুগত। আল্লাহর প্রতি সেই অনুগত হতে পারে যে আল্লাহর প্রদত্ত আদেশ মেনে চলে এবং নিষেধসমূহ পরিহার করে চলে। অর্থাৎ যে আল্লাহর প্রতি নিজেকে সমর্পন করে চলে সেই একমাত্র আল্লাহর অনুগত হতে পারে। কেবল আল্লাহর অনুগত বান্দাই মুসলিম। কিন্তু যারা জন্মগত সূত্র ধরে নিজেকে মুসলিম বলে, অথচ আল্লাহর নির্দেশিত আদেশ সমূহ পরিহার করে চলে এবং নিষেধসমূহ দ্বিধাহীনভাবে পালন করে চলেছে, তারা কখনও মুসলিম হতে পারে না। তাদেরকে কোরানে মুনাফেক বলে সম্বোধন করেছে। মুনাফেক ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু, এরাও কাফের। কারণ এরা আল্লাহর অবাধ্যকারী। আল্লাহর অবাধ্যকারীকে কাফের বলা হয়ে থাকে। জন্মগত সূত্রে যে মুসলমান হওয়া যায় না তা কোরানেই উল্লেখ আছে। নূহ নবীর সন্তান কেনান। নূহ নবী মুসলিম হওয়া সত্তেও তার সন্তান মুসলিম ছিলো না বিধায় সে উদ্ধারের নিমিত্তে ব্যবহৃত নৌকায় উঠতে পারে নাই। পরিশেষে যখন সে ডোবার উপক্রম তখন নূহ নবী আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, হে আল্লাহ আমার সন্তানকে সহায়তা করুন সে নৌকায় উঠতে পারছে না। আল্লাহ উত্তরে বলেন, সে আমার অনুগত নয়, সে অবাধ্যকারী। আরও উপাখ্যান কোরানে আছে যেমন জন্মগত সূত্রে মুসলিম না হয়েও ইব্রাহীম নবী মুসলিম হয়েছিলেন, তাঁর পিতা একজন মূরতি পূজক ছিলেন। আবার সম্পর্কের সূত্র ধরেও মুসলিম হওয়া যায় না যেমন লুত ও নূহ নবীর স্ত্রীগণ মুসলিম ছিলো না, তারাও আল্লাহর অবাধ্যকারী বা কাফের ছিলো। অতএব জন্মগত সূত্রে বা সম্পর্ক সূত্রে মুসলিম হওয়া যায় না তা কোরানে স্পষ্ট করেই উল্লেখ আছে। সামান্য সিজদা দেওয়ার আদেশ অমান্য করাতে আল্লাহ তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন সহচর বলে উল্লেখিত ইবলিসকেও অবাঞ্ছিত করেন এবং তাকেও অবাধ্যকারী বলে ঘোষণা করেন।

তাহলে যারা আল্লাহর আদেশ অহরহ অমান্য করছে তাদেরকে কি করে মুসলিম জনসংখ্যায় অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে? যেমন ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ, নির্যাতক, লুন্ঠনকারী, ধর্ষক, আল্লাহ প্রদত্ত কোরানের আয়াতসমূহ অবলম্বনে জীবিকা অবলম্বনকারী ইত্যাদি অর্থাৎ যেকোন ধরনের অন্যায়কারী যারা প্রতি পদক্ষেপে আল্লাহর আদেশ অমান্য করছেন, তাদেরকে কি করে মুসলিম জন সংখ্যায় অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে? যদি কোরানের আলোকে সংজ্ঞায়িত মুসলিম ধরা যায় তাহলে এই দেশের মোট জনসংখ্যার কতভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীভূক্ত হতে পারে, তা পাঠকগণের উপরেই দায়িত্বভারটা ছেড়ে দিলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.