নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্তার কথা শুনো, মনের কথা নয় মন করে প্রবঞ্চনা, সত্তা কখনও নয়।

স্বতু সাঁই

প্রকৃত সত্যকে জানা

স্বতু সাঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালন সঙ্গীত

০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

নির্বোধ শিক্ষিত ও প্রচলিত ধর্মের ধর্মগুরু বা ধর্মব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে লালনের এই রচনা।

গুণে পড়ে সারলি দফা
করলি রফা গোলেমালে।
খুঁজলি নে মন কোথা সে ধন
ভাজলি বেগুন পরের তেলে।।

করলি বহু পড়াশুনা
কাজের বেলায় ঝলসে কানা
কথায় তো চিড়ে ভেজে না
জল কিংবা দুধ না দিলে।।

আর কি হবে এমন জনম
লুটবি মজা মনের মতন
বাবার হোটেল ভাঙ্গবে যখন
খাবি তখন কার বা শালে।।

হায় রে মজার তিলেখাজা
খেয়ে দেখলি নে মন কেমন মজা
লালন কয় বিজাতের রাজা
হয়ে রইলি চিরকালে।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

ওমেরা বলেছেন: আপনি নিজে নিজে লিখার চেষ্টা করেন ।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লালন উনার সমসাময়িক মানুষদের দু:খ কস্টকে লাঘব করার জন্য গানের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: না, উনি শুধু উনার নিজেই নিজের সমালোচনা করে মানুষের কু-প্রবৃত্তিগুলোর সমালোচনা বা কটাক্ষ করেছিলেন।মানবসত্তার কথন কোন এক নির্দিষ্ট কালের নির্দিষ্ট এলাকার মানববের জন্য নয়। এ গাণথা রচিত হয় সর্বকালের বা সার্বজনীন হিসাবে। সত্তার কথন চিরন্তনী।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: ওঁদের লিখার পরে আর নিজের লিখার কিছুই থাকে না।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাদের লেখা? লালন শাহের লেখা? উনি মানব সভ্যতার এই নতুন দিককে কোনদিন কল্পনাও করতে পারেননি।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

মিঃ আতিক বলেছেন: একজন লালন ভক্ত কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম লালন অতি ভক্তরা গাজা খায় কেন এবং নামাজ পড়েনা কেন? সে আমাকে যুক্তি হিসেবে বলেছিল আল কোরআনের একটি আয়াতের অর্থ "তোমরা মাতাল বা অচেতন অবস্থায় নামাজের কাছেও যেও না"।

লালনের ভক্তদের জ্ঞানের পরিমানটা বুঝার জন্য উত্তরটা যথাযথ হয়েছিল।

৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: @চাঁদগাজী,

এখনকার আধুনিক সভ্যতার মধ্যে আছেইবা কি? লেবানন আছে, সোমালিয়া আছে, ইথিওপিয়া আছে। এরূপ শত শত রাষ্ট্র আছে, আছে কোটি কোটি মানুষ। কেউ লুন্ঠন করছে, কেউ লুন্ঠিত হচ্ছে। কেউ বলে এসব মানুষের গড়া, কেউ বলে এটা ঈশ্বরের লীলা। সুখের লাগি ঘর বাঁধে, অদৃশ্য আগুনে সে ঘর যায় পুড়ে। আবার এখন শুনি ঘর টর কিছুই লাগবে না, সেই আগুনের ডরে পুরুষ বলে পুরুষের একটা গুহ্যদ্বার হলেই জীবনটা কেটে যাবে। আধুনিক সভ্যতায় এসবের কোথাও কোন সমাধান নাই। বরং দিনে দিনে সমস্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। বায়ু দূষণে তাপ বাড়ছে, নদীর বুকে চর বাড়ছে, বায়ুতে ওজন বাড়ছে, মানুষের রোগ বাড়ছে, কপটতা বাড়ছে, খাদ্যে ভেজাল বাড়ছে, মিথ্যার কৌশল বাড়ছে, সবকিছুতেই শুধু বাড়ছেই তো বাড়ছে। শুধু কমছে নিজের জন্য মানুষের সুখ ও সময়। যতই দিন যায়, কেড়ে নেয় সময়, অধুনিক সভ্যতায়। শেষে জীবনের হিসেবের খাতা থেকে গণনা করে সুখের মুহূর্তগুলি আধুনিক সভ্যতার সভ্য হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে শুয়ে। এছাড়া আধুনিক সভ্যতায় আর আছেইবা কি?

তাই লালন বলেছেন,
কে তোমার আর যাবে সাথে।
কোথায় রবে ভাইবন্ধু সব
পড়বি যখন কালের হাতে।।

আর এক গানে বলছেন,
মনের কথা বলবো কারে
কে আছে সংসারে।
আমি ভাবি তাই
আর না দেখি উপায়
কার মায়ায় বেড়াই ঘুরে।।

লালনের সহজ সরল কথাগুলো বোদ্ধারা না বুঝে যখন সমালোচনা করতো তাদের উদ্দেশ্য তিনি গেয়েছিলেন,
মনচোরা চোর সেহি নাগর
তলে তলে আসে তলে যায়;
অমনি গিয়ে পড়ে সে
ফাঁকের মাঝখানায়।।

রসের রসিক না হলে
কে গো তা জানতে পায়।

আসলে লালনের সব গান না শুনে, গবেষণা না করে, লালন নিয়ে চট করে কিছু বলা এটা অজ্ঞতারই পরিচয়। ফকির আনোয়ার হোসেন(মন্টু শাহ)-র সম্পাদনায় প্রায় নয়শত গান তিন খণ্ডে প্রকাশ করেছে। পারলে সংগ্রহ করে নিয়েন। এ কদিনে আপনার সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে মনে হয় আপনি একজন পড়ুয়া। আগে লালনকে নিয়ে পড়াশুনা করুন, তাকে নিয়ে গবেষণায় মনোনিবেশ করুন তারপর তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করলে ভালো হবে। কারণ আমরা কেউই তাঁ সমান নই।

৮| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: @মিঃ আতিক

নামাজে দাঁড়িয়ে সারাদিনের হিসাব নিকাষ না কষে, গাঁজা খেয়ে বুঁদ হয়ে পড়ে থাকা অতি উত্তম। কারণ তাতে ভণ্ডামী প্রকাশ পায় না। এর পরেও যদি বোঝার বাকি থাকে জানাবেন, পরে বলবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.