নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত বাতাসে বই মেলায় হাওয়া খাওয়া

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

বই বসন্তে ক্রেতা সংকট
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলছে অমর একুশে বইমেলা। এইমেলা প্রকাশক, পাঠক ও ক্রেতাদের মিলনমেলা। এ কথাগুলো সবাই জানে। কিন্তু এই বছর প্রকাশকদের মুখ একটু গোমড়া। কারণ পয়লা ফাল্গুন এবং ভালোবাসা দিবসে সাধারণত পাঠকরা জোড়ায় জোড়ায় দলে দলে ভিড় করেন বইমেলায়। কেউ কিনতে, কেউবা বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতে কিংবা কেউ রোম্যান্টিক সময় কাটাতে। কিন্তু এবছর কিছু বন্ধু প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বই বিক্রি তেমন হচ্ছে না। বইমেলার ব্যাপারটি হয়ে গেছে কনে দেখার মতো। বিয়ে করার জন্য যেমন কনে দেখে সবাই। একটি বিয়ের জন্য অনেকগুলো কনে দেখা চাই। তেমনি বইমেলায় গিয়ে ক্রেতা পাঠকরা শুধু বইটা নেড়েচেড়ে দেখছেন, স্পর্শ করছেন, দূর থেকে দেখছেন কিন্তু কিনে নিচ্ছেন না। বাণিজ্যমেলায় গেলে কিছু না কিছু আমরা সবাই কিনি, কিন্তু বইমেলার ক্ষেত্রে এরকম আচরণ পাঠক কেন করছেন আমি কেন জাতির বিবেকও বুঝতে পারছেন না। স্মার্টফোন কিনতে মানুষের পকেটে পয়সার অভাব হয়না, কিন্তু বই নৈব নৈব চ। মানুষ এখন কিনে জ্ঞান নিতে চায় না। কারণ জ্ঞান বোধহয় অহরহ রাস্তা ঘাটে মাগনা পাওয়া যাচ্ছে। আর এই সময়ইটা বা কেমন, পকেটের পয়সা দিয়ে ফুচকা খাবে, স্মার্ট ফোন কিনবে, হোটেলে যাবে, সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখবে কিন্তু বই পড়া যাবে না। সম্ভবত সবাই লেখক ও চিন্তক হয়ে গেছে। সবাই লিখছে তাই পাঠক ও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের এখন এমন অবস্থা পাঠকের চাইতে লেখক বেশি, দর্শকের চাইতে নির্মাতা বেশী, শ্রোতার চাইতে বক্তা বেশি। সুতরাং আমার মনে হয় এখন কয়েক বছর বইমেলা বন্ধ করে দেয়া দরকার। আবার যখন একটা বইয়ের প্রতি, পড়ার প্রতি ক্ষুধা তৈরী হবে তখন বইমেলা চালু করা দরকার। কারণ পকেটের কড়ি খরচ করে বস্তা বস্তা বই ছাপানোর দরকারটা কি? যদি জাতির কেউ না পড়ে????????????

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.