নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে
ছোটগল্প
মাটির ব্যাংক
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া
ব্যাংক অনেক আছে, কিন্তু নিভুর আছে মাটির ব্যাংক। সে ব্যাংকটিকে দেখে বিশ্বব্যাংক এর চাইতেও বেশী গুরুত্ব দিয়ে। অনেক ব্যাংক আছে ধরা যায়না ছোঁয়া যায়না, আদর করা যায় না। বইয়ের মতো হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায় না। কিন্তু নিভু তার ব্যাংককে যেখানে সেখানে নিয়ে যেতে পারে। আদর করতে পারে, পোষা পাখির মতো ব্যাংকের সাথে খেলতে পারে। ব্যাংক যেন তার বন্ধু। মাঝে মাঝে বাসায় আপনজন আসলে বিদায়ের সময় কিছু উপহার হিসেবে টাকা পয়সা দেয় মুরব্বীরা। নিভু সেই টাকা পয়সাগুলো তার মাটির ব্যাংকে জমিয়ে রাখে। এভাবে তার জন্মদিন, কর্ণছেদন উৎসব, পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়া উপলক্ষে দাদু, নানু, মামা, কাকাদের কাছ থেকে অনেক উপহার হিসেবে টাকা গিফট পেয়েছে। নিভু করলো কি সবগুলো টাকাই খরচ না করে তার মাটির ব্যাংকে জমিয়ে রেখেছে। মাটির ব্যাংক তার আপনের চেয়েও আপন। কাউকে সে ব্যাংক ধরতে দেয় না, ছুঁতে দেয় না। এভাবে বছর প্রায় শেষের দিকে। নতুন ক্লাসে ভর্তির তারিখ প্রায় ঘনিয়ে আসলো। সেই মাসে নিভুদের সংসারে খুবই অভাব অনটন দেখা দেয়, বিশেষ করে মায়ের অসুখ, ছোটবোনের লাগাতার অসুখ। বাবার চাকরির সামান্য মাইনে তা দিয়ে চলে নিভুদের সংসার পড়ালেখা। ভর্তি মাসে নিভুর বাবার পকটে প্রায় শূন্যের কোটায়। আরও বাড়তি ঋণের চাপ। নিভু পরীক্ষায় ভালো করেছে। এবারও তার রোল ৫ এর মধ্যে। নতুন ক্লাসে তাকে ভর্তি হতেই হবে। মা বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কি করে মেয়েকে ভর্তি করাবে নতুন ক্লাসে। নিভুর ব্যাংকের কথা তাদের মাথাতেই নেই। মা বাবা এবার ডিসিশান নিয়েই ফেললো যে এবছর আর মেয়েকে নতুন ক্লাসে ভর্তি করাবে না, আগামীবার দেখা যাবে। এই খবর নিভুর কানে যাওয়ামাত্র সে মা বাবাকে বললো, বাবা, মা তোমরা এত চিন্তু করছো কেন? আমার ভর্তির বাড়তি টাকাটা তোমাদের দিতে হবে না। ও টাকা আমিই দেব। আমাকে নতুন ক্লাসে ভর্তি করে দাও। মা বাবা তো অবাক, মেয়ে বলে কি? তুই টাকা পেলি কোত্থেকে?। নিভু বললো আমার একজন বন্ধু আছে, আমার খুব প্রিয় মাটির ব্যাংক। সেই ব্যাংকই আমাকে টাকা দেবে। মা বাবার তখনই মনে হলো, তাইতো ওর একটা মাটির ব্যাংক আছে, এটাতো মাথাতেই ছিল না। তাহলে যা তোর সেই বন্ধু মাটির ব্যাংক নিয়ে আয়। নিভু তার গোপন জায়গা থেকে ব্যাংকটি নিয়ে আসলো। পরম যত্নে ব্যাংকটি ভাঙলো। তার পেট থেকে বের হলো কচকচে টাকা, আর রূপালী পয়সা। সবমিলিয়ে প্রায় পনের হাজার টাকার মতো বের হলো ব্যাংক থেকে। এ দেখে মা বাবার চোখে পানি। নিভুরও মন খারাপ। তারপর দিনই মার সঙ্গে গিয়ে ভর্তি হলো নতুন ক্লাসে। আহা মাটির ব্যাংক তুমি কতো ভালো।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গল্পটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য। এমন অনুপ্রেরণা সবসময় চাইবো। ভালো থাকবেন।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছোট বালুকার কণা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল.।
+++
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫২
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: মন ছুয়েছে যে গল্প, আরো লেখবেন, ভালো থাকবেন আপনি নিজে এবং স্বপরিবারে ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: মিঃ সালাউদ্দীন। আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। গল্প করে মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল গল্প।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: প্রামাণিক, ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলে গল্পটা ব্লগের জন্য উপযুক্ত নয়। ছোটদের পাতায় হলে ঠিক হত। দুঃখিত...
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৪
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার। ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্লগ আমার সুতরাং আমার মতোই তো আমি লিখবো নাকি?
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০০
বদিউজ্জামা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৪
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বদিউজ্জামান ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গল্পটি পড়ে মন্তব্য লেখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশার কথা, সাহসের কথা, সম্ভাবনার কথা, তাই গল্প ভাল লেগেছে। + +