নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

অণুগল্প
দশ মিনিটের বাউলিয়ানা
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

দুই নগর বাউলের নাম ঠিক জানি না। জিজ্ঞাসা করলে হয়তো জানা যেত। তবে দুইজনের বাড়ি যে কুষ্টিয়া অঞ্চলে তা বোঝা যায় তাদের মুখের বুলি শুনে। নাম দিলাম স্বপন ও রতন বাউলা। পুরো বাউল বলছি না এই কারণে যে তারা দুজনকে আমরা যে বাউলের পোশাকে দেখি সচরাচর সেরকম নয়, ওরা সাধারণত জিন্স ও ফতুয়া পরে। আর হাতে ব্রেসলেট। দুজনের একজনের হাতে থাকে একতারা আর একজনের ঢোলক। অন্য দশরকমের আজিব পেশার মতো স্বপন ও রতন দুই বন্ধু ঢাকার ব্যস্ত জীবনে পেশা হিসেবে নিয়েছে চলন্ত সিটিং সার্ভিস বাসে ১০ মিনিট গান শোনানোর পেশা। আমি আসতে যেতে তিন থেকে চারবার তাদের গান শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারা সাধারণত এভাবেই গান শুরু করেন বাসে। ‘‘চলন্ত বাসে আপনাদের গান শোনার আমন্ত্রণ জানাই। আমরা লালন সাঁইজির গান পরিবেশন করবো। আপনাদের পছন্দের গান শোনার থাকলে আমাদের অনুরোধ করতে পারেন। আর গান শেষে এই বাউলদের যে যা পারেন সম্মানিত করবেন। সব সময় দেখি প্রথম গান ধরে ওরা ‘জাত গেল জাত গেল বলে, একি আজব কারখানা’। আর ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।’’ এই দুটা গানই ওরা গায় সাধারণত বাসে। গানের সময় বেশীর ভাগ ব্যস্ত বাস যাত্রীরা গান শোনো আনন্দিত হয়। আবার কিছু কিছু লোক বিরক্তও প্রকাশ করে যা তাদের চেহারা দেখে অনুমান করা যায়। তবে তাদের সম্মানী তোলার কায়দাটা আমার বেশ পছন্দের। তারা গান শেষে একতারার খোলে সম্মানী নেন। বাউলারা বাসে গাইতে থাকে একতারা আর ঢোলক বাজিয়ে তালে তালে জাত গেল জাত গেল বলে। আমি চিন্তা করি এই দশমিনিটের পরিবেশনায় চলন্ত বাসে যে একটা মরমী লালনীয় আবেশ ছড়িয়ে পরে তা কোন টিভি অনুষ্ঠানের শো এর সঙ্গে তুলনা চলে না। স্বপন ও রতন বাউলা কেন যে এ পেশা বেছে নিয়েছে তারাই হয়তো জানে, হয়তো গান ছাড়া তারা আর কিছুই শেখেনি, কিছুই পারে না। এভাবেই জীবন যদি চলে তবে চলুক না.....।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু


মানুষের জীবন অদ্ভুতুড়ে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: স্রাঞ্জি সে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কম সময়ের মধ্যে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আমি একদিন একজনকে দিয়েছিলাম ৫ টাকা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিজন রয় : ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
শুনেছি! ভালই লাগে।

কিন্তু আমাদের উন্নাসিক কিছু লোকের আচরণে কষ্ট লাগে।
না বোঝে লালন! না বোঝে জীবন! শুধুই ঘানি টেনে চলে যারা ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গান শোনার জন্য। আর গল্পটি পড়ার জন্য। জীবন না বোঝা এই ঘানি টানা লোকগুলোর জন্যই বাংলাদেশে এত বিশৃংখলা। আমি তো বলি বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষের জীবন অজানায় শুরু না জানায় শেষ।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: এখানে অনুগল্পের ব্যপারটা ঠিক বুঝলাম না। বুঝাইয়া দিলে ভালো হত।

অনুগল্প সম্পর্কে তেমন একটা জানিনা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: ইব্ রাহীন আই কে । আপনাকে ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। আর অণুগল্প সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই গল্পটি অণুগল্প কারণ এই গল্প ছোট গল্পও না। একটি ছোটগল্পের ব্যাপ্তি সাধারণত দু্‌ তিন পাতা থেকে ৫ পাতাও হতে পারে। আর গল্পের অনেক বিস্তার থাকে। আর অণুগল্প এত ছোট যে গল্পের রেশ না ফুরাতেই গল্প ফুরিয়ে যায়। এটা টিজার টাইপের গল্প। ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

বাউল গান আমার খুব পছদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: রাজীব নুর। ভাই আপনি পড়ে বলেছেন চমৎকার। ভালো লাগলো। বাউল গান আপনার পছন্দের। আমারও খুব ভালো লাগে মাটির গান, শিকড়ের গান। ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: বড়ুয়া দা, আপনার লেখা পড়ি, দৈনন্দিন চলমান ঘটনাগুলো সুন্দর গুছিয়ে লেখেন। আপনার লেখার হাত ভাল। তবে আমার সবসময় একটা বিষয় খটকা লাগে সেটা হল অণুগল্প বিষয়টা। উপরের কমেন্টেও একজন জানতে চাইল অণুগল্প কাকে বলে? অণু গল্প ছোট গল্প নয়, আকার ছোট হলেই অণু গল্প নয়। বর্তমানে অনুগল্প নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে, দুই বাংলা মিলিয়ে প্রচুর অণুগল্প গ্রুপ আছে, আমি মাঝে মাঝে চোখ আওড়ায়। আপনার লেখার মান ভাল তাতে সন্দেহ নেই, তবে এগুলো অণুগল্প নয়। অযাচিত মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: বাকপ্রবাস। আপনাকে ধন্যবাদ। আমার লেখা পড়ার জন্য। আপনাদের একটা জিনিস আমি বোঝাতে পারবো না। খটকা করে গল্প না লিখলে বাঙালিরা তাদের গল্পলেখক বলেন না। পৃথিবীর সব গল্পই লেখকের বা তার নিজস্ব দেখা অদেখা পৃথিবীর ছোট ছোট ঘটনার চিত্র। কোন লেখকই পৃথিবীর কোন একজন মানুষের জীবনের গল্প বলে যেতে পারবেন না। পারেন নি এমন কি আত্মজীবনীতেও না । জীবনের সামান্য ঘটনার চিত্র তুলে ধরতে পারেন। বহুমাত্রিক জীবনের থেকে একটি বা নানা দিক হয়তো তুলে ধরতে পারেন। আমি ভারত বাংলাদেশের বহু লেখকের শত শত অণুগল্প পাঠ করেছি। এমনকি ভারতের প্রখ্যাত অণুগল্প লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর প্রায় সব গল্পই আমি পড়েছি। উনি ও তো তার চারপাশের জীবন থেকে নেয়া গল্প গুলোই তুলে ধরেন। আপনার কাছে কি মনে হলো, সেটা দেখে তো আর আমার লেখা উচিত নয়। আমি যেভাবে বুঝি সেভাবেই লিখব। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। উপদেশ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার অনুগল্প সিরিজের এ লেখাগুলো আমি প্রায়ই পড়ি , ভালো লাগে , এগুলোকে ঠিক গল্প মনে না করে অনেকটা দৈনন্দিন জীবনে দেখা দৃশ্যের সুন্দর বর্ণনা বলা যায় . বিখ্যাত "পথের পাঁচালি", "পথে প্রবাসে" বা "হাটে বাজারে" ধরণের কিছু একটা নাম দেয়া যায় কি ?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: ঢাকার লোক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ উপদেশের জন্য। আচ্ছা একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না, আমার এভাবেই অণুগল্প লিখতে ভালোলাগে, তো আপনার কথামতো আমি এগুলোকে ওই সমস্ত নামে ডাকবো কেন? পৃথিবীর সব গল্পের প্লটের সঙ্গে কারো না কারো জীবন মিলে যায়। অথবা কল্পনাতে মিলে যায়। একটি কথা আমি বিশ্বাস করি। পৃথিবীতে যদি ছয়শো কোটি লোক থাকে তাহলে গল্প কত কোটি হতে পারে বলে মনে হয়?। সুতরাং আমি কি নাম দেবো না দেবো এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার। আমি তো কোন স্বনামধন্য পত্রিকায় লিখি না এসব কারণে। সম্পাদক বলবে এই নাম দিন। এডিট করবো গল্পটা। এ সব কারণে ব্লগে লিখি। এখানেও এসে দেখি ফরমেট নিয়ে নানা মুনির নানা মত। আরে ভাই, আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। লিখুন না আপনিও।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

ঢাকার লোক বলেছেন: দাদা, মনে হচ্ছে আপনি ক্ষেপে গেছেন ! ব্লগে আপনি আপনার খুশিমত যেমন লিখতে পারেন তেমনি তার নামকরণও করতে পারেন, আমাদের আপত্তি থাকবে কেন ? আর আমি যদি আপনার মতো ভালো গল্প লিখতে পারতাম তো আর কথাই ছিল না ! যাই হোক রাগ করবেন না, আপনি ভালো লিখেন, ভালো থাকুন, আরো ভালো করুন, এই কামনা করি।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: ঢাকার লোক। ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গল্প পড়ার জন্য। আর আমার জন্য যা গল্প, আপনার হয়তো তা মনে নাও হতে পারে। এজন্য দুঃখিত। আমি রাগ করিনি ভাই। রাগ করে লাভ কি? আমরা তো ব্লগে লিখে লিখে হাত পাকাই। এখান থেকে তো কোন ইনকাম হয় না। হয় না বলেই এই মাধ্যমটা এখনো স্বতস্ফুর্ত আছে। টাকা পয়সা যেখানে ফালতু কাজও সেখানে। সুতরাং আমি সাহিত্য চর্চা করি আনন্দের জন্য। কারো মন ভোলোনোর জন্য বা লেখক ফলানোর জন্য সাহিত্য চর্চা করি না। করলে বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক আমার পরিচিত কিন্তু অনেকে বলার পরও আমি লেখা দিই না। আমি আনন্দের জন্য লিখি, আপনিও আনন্দ গ্রহণ করুন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.