নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া\nআমি ভালোবাসি মানুষকে। তুমি ভালোবাসো আমাকে।

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

আমি ভালোবাসি মানুষকে, তুমি ভালোবাস আমাকে

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩০

অণুগল্প
সাহিত্যিক গালগপ্পো
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া

শরতের এক জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে একটি নিঝুম বনের একটি গেস্টহাউসের খোলা ছাদে আড্ডা দিচ্ছেন এক সময়ের কিংবদন্তী লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা। সেই আড্ডায় ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন এবং প্রকৃতি ও প্রেমের কবি জীবনানন্দ দাশ। দারুণ দারুণ সব খাবারের আইটেম ছিল সেই আয়োজনে, ছিল স্বর্গীয় পানীয় এবং ভাজাভুজি। আকাশে জ্যোস্নার বন্যা আহা কি স্বর্গীয় পরিবেশ। প্রথমেই গুরুজন হিসেবে রবীন্দ্রনাথ সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন, মানে বলতে পারেন আড্ডার সূত্রধর ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনি কাজী নজরুলকে উদ্দেশ্য করে বললেন : নজরুল তোমার বিদ্রোহী আমি পড়েছি মনোযোগ দিয়ে, তোমার বিদ্রোহীতে যে আগুন সেই আগুনই তো এখনকার বাংলাদেশের বিদ্রোহীরা প্রয়োগ করছে। তুমি কি বলো?। নজরুল : আমার বিদ্রোহী কবিতাটি আমার জ্বলন্ত হৃদয়ের বহিঃপ্রকাশ। আমি যে কী রকমভাবে বিদ্রোহের আগুনে টগবগ টগবগ করে ফুটছিলাম সেই চিত্রটাই কবিতাটিতে প্রয়োগ করেছিলাম। রবীন্দ্রনাথ : আর জীবনানন্দ দাশ, তোমাকে সবাই বলে প্রকৃতির কবি, প্রেমের কবি। কই তোমার জীবনে তো কোন প্রেমই আমি লক্ষ্য করলাম না। এত প্রেম ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তুমি কোথায় পেয়েছিলে?। জীবনানন্দ দাশ : গুরুদেব, আসলে যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই, করুণার আলোড়ন নেই তারাই প্রকৃতি ও প্রেমের কাঙাল। আমিও সেই দলের কি না, তাই আমার কবিতায় আমি প্রকৃতি ও প্রেমকে এত নিবিড়ভাবে বর্ণনা করেছি। রবীন্দ্রনাথ : ও আচ্ছা তাই। তো তুমি যে লিখেছ : আবার আসিব ফিরে এই বাংলার তীরে হয়তো মানুষ নয়, শঙ্খচিল শালিকের বেশে। এই যে তুমি মানুষ হয়ে বাংলায় আর আসতে চাও না। কিন্তু পাখি হয়ে আসতে চাও। পাখির জীবন কি বাংলায় খুব নিশ্চিন্ত, তুমি কি বলো?। জীবনানন্দ দাশ : গুরুদেব, তখন বাংলায় পাখিরা নিরাপদেই জীবনযাপন করতো যাকে বলতে পারেন একরকম নিশ্চিন্ত জীবন। কিন্তু এখনকার বাংলার যে অবস্থা, পাখি কি মানুষ প্রকৃতি কিছুই তো নিরাপদ না। আমি এমন হবে জানলে বাংলায় আর আসতে চাইতাম না। রবীন্দ্রনাথ : ঠিক বলেছ। এবার পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর দিকে রবীন্দ্রনাথ তাকালেন। তার উদ্দেশ্যে বললেন। জসীম, তুমি তো আমরা তিনজন থেকে গ্রামবাংলা এবং পল্লীকে নিয়ে বেশী চিন্তাভাবনা করেছ, এবং পল্লীবাংলার একটি অপরূপ রূপ তোমার কবিতায়, পদ্যে, গল্পে পাওয়া যায়। একেবারে সাধারণ পল্লীমানুষের জীবন তোমাকে এত টেনেছে কেন বলতো ?। জসীম উদ্দীন, গুরুদেব এই যে আপনার মুখ থেকে আমি যে প্রশংসা বাক্য শুনলাম, তাতেই আমার মনপ্রাণ ভরেগেল। আমি আসলে খুব সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আর গ্রামবাংলার মানুষের হাসি কান্না সুখ দুঃখ এগুলো আমাকে বেশী টানে, আকর্ষণ করে আমাকে ভাবায়, এইজন্যই মনে হয় পল্লীর সুখদুঃখ আমার লেখায় বেশী উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ : বাহ্ তোমার চিন্তাভাবনা আমাকেও বেশ টেনেছে। আমার সোনারতরী পড়নি। দেখেছ কি সুন্দর করে বাংলার রূপ আমি তুলে ধরেছি। অন্যসবাই বললো : অসাধারণ, অসাধারণ। রবীন্দ্রনাথ : তো অন্য আরেক আসরে আবার আড্ডা করা যাবে, তোমরা ভালো থেকো, আর আমার জন্য মঙ্গলকামনা করো। তোমরাও ভালো থেকো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শুধু জীবনানন্দ দাশের ভাবনা এবং কথাগুলোই একটু অন্যরকম হল, আর কেউ নতুন কিছুই বললো না।
এই বাংলায় এখন কি মানুষ কি প্রকৃতি এমনকি পাখিরাও আর নিরাপদ নেই :(

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: চঞ্চল হরিণী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রথমে গল্পটি পড়ার জন্য। আর গল্প পড়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আর শেষের লাইনের যে বক্তব্য আপনার, সেটা আপনিও ভালো জানেন, আমি আর কি বলবো?

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

পড়ে খুব ভালো লাগলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: রাজীব নুর। যাক এবারের বিষয়টি আপনার যেহেতু ভালো লেগেছে। আমি আশা করছি অন্যদেরও ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া বলেছেন: সেলিম আনোয়ার : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। গল্পটি পড়ার জন্য। আর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.