নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পূজক।

আমি মনে হয় মুরুব্বী হয়ে গেছি। :(

ভুল উচ্ছাস

আমি না আমার দর্শন বদলে গেছে।

ভুল উচ্ছাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিকটিনের স্বপ্ন গুলো

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

আমি প্রতিদিন অনেক স্বপ্ন দেখি ইদানিং, হয়তো একটু আলস্য লাগছে দেখা গেলো ঠাস করে ঘুমিয়ে পড়েছি, আর তারপরেই স্বপ্ন। কিছু স্বপ্ন মনে থাকে না, কিছু স্বপ্ন থাকে, কিছু স্বপ্ন ভয়ের কিছু আনন্দের, কিছু স্বপ্ন সব কিছুর মিশেল। আজ আমার দেখা কিছু অদ্ভুত স্বপ্ন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।



১.এই স্বপ্ন আমি সব থেকে বেশি দেখেছি, আমি অনেক ছোট বেলায় ফিরে গিয়েছি, নানুর গ্রামের বাড়িতে শীতে সকাল। উঠানে মাদুর পাতা সেখানে আমি উপুড় হয়ে ক্লাস থ্রির বাংলা বইয়ের গল্প গুলো পড়ছি। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি আর আমার নানু এসে আমার পিঠে কুসুম গরম সর্ষে তেল লাগিয়ে দিচ্ছেন যাতে ঠাণ্ডা না লেগে যায়। হয়তো কিছুক্ষন পড় নিজের হাতে বানানো চিতই পিঠা নিয়ে আসছেন, আমি খাচ্ছি আর পড়ছি কিন্তু একটিবারের জন্যেও নানুর দিকে তাকাতে পারছি না।

আসলে আমার নানু মারা গিয়েছে তাই অবচেতন মন আমাকে বারবার এই প্রিয় মানুষটির কাছেই নিয়ে যায়। অনেক অনেক চেষ্টা করেছি স্বপ্নের মধ্যে আমার প্রিয় এই মানুষটির মুখ দেখার জন্যে কিন্তু এখনো পারি নাই আমি।



২. এই স্বপ্নটা খুব মজার ছিলো আমার জন্যে আবার উদ্বেগের বটে। স্বপ্নে আমি চলে যেতাম নিজের বাচ্চাবেলায়। একটা পেন্সিল দিয়ে খুব সুন্দর একটা মেয়ের ছবি এঁকেছি, যারা ছবি আকেন তারা জানেন যে শুধু রেখা একেও ছবি আকা যায় আর আমিও ওরকম একটা ছবি এঁকেছি শুধু রেখা এঁকে। ছবির মেয়েটা চুপ করে বসে আছে, হটাৎ একটা ইরেজার কোথা হতে এলো কে জানে, এসেই সে পুরো পেইজের উপর মুছতে শুরু করলো, ভয়ে পেন্সিলে আকা পরীটা উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো, ইরেজারটা চেয়ারকে মুছে ফেলল আর তখন পরী কাঁদতে শুরু করলো। ইরেজার পরীর অশ্রু দেখে খুব বিব্রত হলো, সে বলল পরী তুমি আমাকে নেচে দেখাও যদি তোমার নাচ আমার ভালো লাগে তাহলে তোমাকে মুছে ফেলবো না আমি, পরীটা এই কথা শুনে প্রাণপণ নাচতে লাগলো, অদ্ভুত সুন্দর সেই নাচ দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বেচারী একসময় হাপিয়ে গিয়ে নাচ থামিয়ে দিলো, নাচ আমার খুব পছন্দ হলেও ইরেজারের একদম পছন্দ হয় নাই। সে বলল দেখো পরী তুমি আসলে একটা অকর্মা তোমাকে রেখে কিছুই হবে না, তুমি বিদেয় হও, তোমাকে আমি মুছে ফেলবো। পরীটা খুব ভয় পেলো আর তার চোখ থেকে ফোঁটা ফোঁটা লাল রঙের অশ্রু পড়তে লাগলো । আমার স্বপ্ন এখানেই শেষ।



৩. এই স্বপ্নটা আমি আর দেখতে চাইনা, কিন্তু তাও অনেকবার দেখেছি। আপনার চক্ষু বন্ধ করুন পাঠক, চিন্তা করুন একটি পাহাড়ি ঢাল, সেই সরু ঢালের উপরে একটি মেঠো পথ, যার একপাশে গ্রানাইটের পাথুরে দেয়াল পাহাড়ের যে খাড়া দেয়াল কোন পাহাড়ি ছাগলের পক্ষেও অতিক্রম করা দুঃসাধ্য কিংবা অসম্ভব বলা যেতে পারে, আর অন্যপাশে অনেক নিচে সমুদ্রের পানি ভেঙ্গে পড়ছে, নিচ থেকে তাকালে দেখতে পাবেন নীল জলরাশি কিভাবে ভেঙ্গে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে আর সেগুলোর সফেদ সাদা ভেঙ্গে পড়া। পৃথিবীর সব থেকে বেরসিক মানুশটিও হয়তো রোম্যান্টিক হয়ে যাবে। আমি সেই পাথুরে পথ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি অনন্ত পথের শেষে, জানি না পথের শেষে কি আছে তবে আমার পিছনেই আছে একটা লরি যার উদ্দেশ্য আমাকে চাপা দিয়ে চলে যাওয়া তবে সেটা আস্তে আস্তে চলছে, আমি যখন হাপিয়ে যাবো, যখন আমার আর পালাবার শক্তি থাকবে না তখন সে আমাকে চাপা দিয়ে চলে যাবে অর্থাৎ একটা কিছুটা স্যাডিস্টিক মৃত্যু, আর পথ যেন শেষ হচ্ছে না, আমি বারবার আপ্রান চেষ্টা করছি লরির নাগালের বাহিরে চলে গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে আবার দৌড়াতে কিন্তু কিছুতেই ওটার নাগালের বাহিরে যেতে পারছি না এদিকে আমি সাতারো

জানিনা। যখন আমার দম ফুরিয়ে যায় ঠিক তখন আমার স্বপ্নটা শেষ হয়ে যায়, আর রিয়েল আমি হাপ ছেড়ে বাচি।





৪. এই স্বপ্নটা খুব সুন্দর, আমি হাত পা ভেঙ্গে হাঁসপাতালে পড়ে আছি, আমার সমস্ত স্মৃতি শক্তি হারিয়ে গেছে , এটা কিন্তু একধরনের অসুখ যদিও এই মুহূর্তে নাম মনে আসছে না। তো আমি তো কাউকেই মনে করতে পারছি না, কিভাবে হাত পায়ের এই অবস্থা তাও জানিনা, এর মাঝে দুইজন গ্রাম্য নারী পুরুষ আমার কেবিনে প্রবেশ করে, তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার পরিচয় কি, আমি কই থাকি কি করি ইত্যাদি ইত্যাদি। খুব বিরক্ত হই তাদের কথায় আমি, এদিকে নিজের নাম নিজে মনে করতে পারছি না দেখে আরো বিরক্ত লাগে, সব কিছুর উপর বিরক্ত হয়ে পড়ি আমি, শেষে সেই কৃষক দম্পতি আমাকে তাদের ছেলে হিসেবে নিয়ে আসে। তারা আমার অনেক যত্ন নিচ্ছে, আর আমি পেলাম তিনটা ভাই দুইটা বোন। একটা ভাই আমার বয়েসী। বেশ কিছুদিন পর আমার হাত পা ভালো হয়ে যায়। আর আমি ওদের সাথে মিশতে শুরু করি, যদিও আমার শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা ওদের জন্যে একটু সমস্যা হয়ে দাড়ায়, ওরা সঙ্কোচবোধ করতে থাকে তাও এক সময় সঙ্কোচ শেষ হয়ে যায়। আমি আমার বয়েসী ছেলেটিকে নিয়ে প্রতিদিন নানান রকম দুস্টামীতে মেতে উঠতাম, কোনদিন যেতাম ঝাকি জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে কিংবা নৌকা নিয়ে চাঁদ রাতে ঘুরতে, আবার কোনদিন অন্যদের বাড়ির ফল চুরি, শীতে করতাম খেজুরের রস চুরি। এইসব করে বেড়াতাম। তো একদিন নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হলাম দুইজন আর হটাৎ করেই আমি নদীতে পড়ে গেলাম, যেহেতু সাতার জানিনা তাই আমার ভাই আমাকে বাচাবার জন্যে নদীতে লাফ দিলো, আমি শুনতে পাচ্ছি আমার ভাই আমাকে বাচাতে আসছে সাতার কেটে। আর আমার স্বপ্ন এখানেই শেষ হয়ে যায়।



৫. এই স্বপ্নটা অনেক রোম্যান্টিক। এই স্বপ্নে আমি বাস করি একটা গ্রামে। একদিন কি মনে করে একটা খুব সুন্দর ফড়িং ধরলাম। ফড়িঙের লেজে সুতো বেধে দিলাম, হটাৎ করে ফড়িং কথা বলতে শুরু করলো। আমি কিছুটা ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম তুমি ভূত নও তো? সে বলল সে ভূত নয়, সে হচ্ছে ফড়িং রাজপুত্র, আগামী বসন্তে সেই হবে সামনের খোলা মাঠের রাজা। সে আমাকে অনুনয় করে বলল যদি তুমি আমাকে ছেড়ে দাও আমি তোমাকে একটা বর দিবো। আমি বললাম দেখো আমার এনাফ সব কিছুই আছে, আর আমি ঘুষ নেইই না। তোমাকে আমি ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু আমাকে ঘুষ সেধো না। কিন্তু ফড়িঙটা সত্যি চলে গেলো। কয়েকদিন পর আরেক বিকেলে সেই ফড়িং এসে আবার হাজির। সে এসে আমাকে বলল তোমাকে আমি একটা জিনিস দিবো তোমাকে সেটি নিতেই হবে। আমি বললাম আমি নিবো না। সে বলল ঠিক আছে নিতে হবে তুমি শুধু আমার সাথে আসো। আমি অনেক কিউরিয়াস হয়ে ফড়িঙ্গের সাথে হাটতে লাগলাম। একসময় ফড়িং আমাকে একটি আধা পাকা বাড়ির উঠানে নিয়ে এলো। উঠানে ছোট ছোট বাচ্চা খেলা করছে। সে আমাকে সেই বাসার মধ্যেই নিয়ে গেলো একেবারে, বাড়ির মানুষগুলো একেবারে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কেউ কিছু বলার আগেই আমি ঐ ঘরে প্রবেশ করলাম। হটাৎ করেই ফড়িং বলল এই রুমেই তোমার জন্যে একজন পরী আছে। আর তখনি বাসার চারপাশ থেকে ডাকাত ডাকাত শব্দে রব উঠলো, আমি বুঝলাম কথা গুলো আমাকেই বলা হচ্ছে। স্বপ্ন ওখানেই শেষ।





পাঠক আজকে মাত্র ৫টা স্বপ্ন শেয়ার করলাম। আপনাদের ভালো লাগলে আমি নাহয় আরো স্বপ্ন শেয়ার করবো।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬

ঘুমকাতুর বলেছেন: আপাততো প্লাস দিয়া গেলাম
রাইতে আইস্যা পড়মু

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: একই স্বপ্ন বার বার দেখা, এটা খুব কমন একটা ব্যাপার। এমন অনেক স্বপ্ন আমার নিজেরও আছে। এর একটার শেষে আমি ছাদ থেকে পড়ে যাচ্ছি, পড়তে পড়তে ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে। আবার আরেকটায় আমাদের এলাকায় পাকিস্তানীরা এসেছে, আমাদের ধরতে আসছে, আমরা দৌড়াচ্ছি, কিন্তু একটা সময়ে এতোটাই হাপিয়ে যাচ্ছি যে আর হাটতেও পারছিনা। আর ধরা খেতে খেতে স্বপ্ন শেষ হয়ে যেত। ৫-১০ বার নয়। অন্তত ১০০ বার দেখেছি এই স্বপ্ন দু'টা। প্রায় সব মানুষই হয়তো দেখে। আমার কাছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক মনে হয়। এখন নিজের মত করে এর একটা ব্যখ্যাও আমি দিয়েছি। এতো কিছু লিখতে ইচ্ছা করছেনা, তাই বাদ দিলাম।

জীবনের আগামী দিনগুলোর স্বপ্ন অনেক সুন্দর হোক। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: খুক খুক।

এইসব স্বপ্ন তাও এতবার দেখেছেন ক্যান? কেউ কি ভয় দেখিয়েছিলো আপনাকে?

সে যাই হোক পাকিস্তানীরা আর কোনও দিন এই দেশে আসতে পারবে না, নু চাঞ্চ। আর ঐ ছাদ থেকে পড়ে যাওয়াটা, আপনি মে বি ডিপ্রেসনে ছিলেন, অনেক সময় হয় এরকম। হয়তো দেখা গেলো এক্সামের প্রেসার বা এরকম কিছু হলে হয়।
সে যাই হোক আশা করি বাস্তবে এরকম কিছুই হবে না, জীবন অনেক সুন্দর ঠিক রংধনুর মতো।

ইয়ে আপনি লিখা শুরু করবেনই না তাহলে? আমার এই পিক্টিন লেখার একটা সিক্রেট কারন ছিলো। মে বি সেইটা আর হইলো না।

শুভ কামনার জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও, আর .........

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: না, ভয় নয়, আমি ছাদে উঠে বসে থাকতাম, আর ছাদে রেলিং ছিলোনা। এজন্য বেশ ভয়ও লাগতো। মনে হত যে কখন পড়ে যাই। সেটাই হয়তো অবচেতন মনে ঢুকে গিয়েছিলো। আর ছোটবেলায় বাংলা সিনেমায় পাকিস্তানীদের যে মার মার কাট কাট দৃশ্যগুলো থাকতো, সেগুলো দেখে আব্বুর পিঠের পেছনে মুখ লুকাতাম। বালিশে মুখ চেপে থাকতাম ভয়ে, কানে আঙুল দিয়ে রাখতাম কোন ভয়ের দৃশ্য এলেই। এসবের প্রভাবই হয়তো পরের স্বপ্নটা।

আর একটু আগেই তো অনেককিছু লিখে গেলাম। /:) /:)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: মন্তব্য নয়। সত্যি বলতে কি কাউকে লিখতে দেখলে আমার লিখতে ইচ্ছে করে তাই ভাবলাম সবাইই বুঝি আমার মতো। কিন্তু আসলে আমার মতো সফট মাইন্ডের মানুষ সবাই না, কেউ কেউ থাকেই ভয়াবহ এইরোখা, যেন মরন পণ করে বসে থাকে।

ইহারা হচ্ছে হুমায়ুন স্যারের ভাষায় না মানুষ।

সে যাই হোক রেলিং ছাড়া ছাদের কিনারায় বসা খুব ভালো একটা কাজ, এতে সাহস বৃদ্ধি পায়, ওখানে বসলে বিশেষ এক প্রকার বাতাস লাগে গায়ে যাহা স্বাস্থ্যের জন্যে খুব উপকারী। এখন থেকে বেশি বেশি বসবেন। আর যদি পারেন তো মনে মনে কল্পনা করবেন যে আপনার দুটো পাখা গজিয়েছে, বুঝেনই তো তারপর কি করতে হবে।

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অনুরোধ করলে ঐ কাজটা আর করেই না, আর নিষেধ করলে বেশি বেশি করে। এইটা করে নিজেদের স্বাধীনচেতা বা নিজেদের স্বাধীনতায় যাতে কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে তাই কিন্তু এতে যা হয় মাঝে মাঝে যারা শুভ কামনা করে তাদেরকেই কষ্ট দিয়ে ফেলে এবং নিজেরাই সেটা বুঝতে পারে না।

ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: আমাদের বাড়ীর ছাদে এখন রেলিং আছে, তবু আমি ছাদে যাইনা সেটা প্রায় ৫-৬ বছর হবে। এখন বৃদ্ধ হচ্ছি, সারাদিন অফিসে কাটিয়ে বাসায় এসে একটু ঘুম দেয়াটাকেই জীবনের সবচেয়ে বড় শান্তি মনে হয়। :)

আর আমি না মানুষ না অবশ্যই। আমাকে যে যা বলে আমি তা শুনি, ইচ্ছে হলে করি, ইচ্ছে হলে করিনা। তবে যেটা বলি, সেটা সামর্থ্যের শেষটুকু দিয়ে সত্যি প্রমানের চেষ্টা করি। এটা অবশ্যই জেদ না, সততা।

হুমায়ুন আহমেদ নিজেই একজন অসাধারন পর্যায়ের না অথবা ভুল মানুষ। এজন্যই নিজের ইচ্ছেমত সব কিছু করে গেছেন, যা ইচ্ছে লিখেছেন। এভাবেই উনি শান্তি পেয়েছেন। স্ভাবাবিক মানুষেরা অনেক কিছু চিন্তা করে কাজ করে। অস্থির চিন্তা তারা মাথায় ঢুকতে দিতে ভয় পায়। আর এসব দূরে সরিয়েই তারা ভালো থাকে। আর জীবনে নিজে নিজের মত করে ভালো থাকতে পারাটাই সব।

আপনিও সফট থেকে পাথরের মত হার্ড মাইন্ডেড হয়ে যাবেন। আপনার জীবন তো কেবল শুরু হচ্ছে। আপনার বয়সের আমি আর এখনকার আমির মধ্যে অনেক পার্থক্য। সময় মানুষকে ভীষনভাবে বদলে দেয়।

বদলে যাওয়া আপনার জীবনে পজিটিভ হোক। :P

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: প্রথমেই বলছি আপনার মতো এভাবে গুছিয়ে সাজিয়ে এন্টি লজিক হুমায়ুন স্যার দিতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু আমি নিজেই এন্টি লজিককে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি, উদ্ভট আর অদ্ভুত সব যুক্তিতে মাঝে মাঝে নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই তবে আপনি আজ সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। বলছি

বৃদ্ধ হওয়া এটা মানুষের মাইন্ডের উপর নির্ভর করে, আপনি চিন্তা করছেন আপনি বুড়ো হচ্ছেন, ব্যাস আপনি বুড়ো হবেন। সন্দেহ নাই। তবে অভিজ্ঞতার ফসল হিসেবেও অনেকে বলে বুড়ো হচ্ছি। কিন্তু আপনি এটা অভিজ্ঞতা নয় আক্ষরিক হিসেবেই ব্যবহার করেছেন। যেখানে এই পৃথিবীর বয়স ৫০০ কোটি সেখানে মানুষ কিভাবে বুড়ো হয় আমি জানিনা। আর সারাদিন টায়ার্ড থাকার জন্যে ঘুম তো অবশ্যই দরকার, যদি সে কারনে ব্লগে পোস্ট দেয়ার মতো হালকা কন কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখেন সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু আপনি তো আসলে সে কারনে পোস্ট দেয়া অফ করেন নাই। মডুদের উপর ক্ষেপে গিয়ে।

মনে করেন আপনি একটা কথা বললেন যে এটা আপনি করবেন কিন্তু সেটি করতে গিয়ে আপনি নিজেকে এবং সেই সাথে আপনার বন্ধুদের কষ্ট দিলেন অথচ সেই কাজটি করলেও কারো কোনও উপকার বা ক্ষতি হবে না। সো এই ক্ষেত্রে প্রশ্নটা সততা নয় এই ক্ষেত্রে হবে একরোখা কিছু, সামর্থ্যের শেষটুকু দিয়ে নিজের একরোখা বৈশিষ্ট্য বজায় রাখলেন তাতে কার কি হলো কিছুই আসে যায় না। লিথাল গ্যাস না যেন কি একটা আছে অনেকটা ওইটার মতো আপনার আচরন।

আর হুমায়ুন স্যার তো অবশ্যই একজন না মানুষ আর সেটা প্রমান করার জন্যে বেচারা কম চেষ্টা করেন নাই, আপনিও ঐ পথের অনুসারী বৈ অন্য কিছু নন।

মানুষের জীবন খুব ছোট, তাই আমি নো রিস্ক নো গেইন টাইপ ফর্মুলা একদম এভোয়েড করি। আরি বাবা হয় বাচবো না হয় মরবো। আজ হোক কাল হোক তাহলে আর এতো লুকিয়ে থাকা কেন। একবার সামনের রাস্তা ধরে হেটে আসবো না ক্যানো?

আমি কখনই বদলাবো না। নয়টা পাচটার লাইফ আসতে এখনো কিছু দেরী আছে, বরং তখন নিজেকে আরো বেশি রিলাক্স করে ফেলবো, নিজের মতো করে এঞ্জয় করবো, নিজের ইচ্ছে মতো দুটো বই কিনবো আর বসে বসে পড়ে ফেলবো। সিম্পল একটা লাইফ লীড করার ইচ্ছা নিয়েই বেচে আছি তবে ভিতরে আরো কিছু আছে যেগুলো ঠিক স্বাভাবিক চাওয়া নয়। ভয়াবহ রকমের অসম্ভব বলা যেতে পারে।

পাহাড় চুড়োর দেবদারু না হতে পারলে সমতলের গোলাপ হবার ইচ্ছে অনেকের থাকে, আমার নাই।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: dreams & reality r two layers,
sometimes they overlap unknowingly.
Sometimes rit & wrong gets confused,
some rits r painfully wrong...

এর মানে হচ্ছে, স্বপ্ন আর বাস্তব এক নয়। আমি আজকে বলতে পারিনা পরের বছর আমি কতটুকু বদলাবো, পরিস্থিতি আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আপনি যতই বলেন আপনি এমন হবেননা, ওমন হবেননা, কিন্তু আপনি থিক সেভাবেই নিজেকে বদলে নিতে বাধ্য হবেন, যেটা সময় নির্ধারন করে দেবে। নিজেকে সেভাবে বদলে নিতে না পারলে দেখবেন যে সত্যিকার অর্থেই মানসিক রোগে ভুগবেন।

আর আমি ব্লগকে সেভাবে বড় করে দেখিনা, ইছে হলে আসি, ইচ্ছে হলে কমেন্ট করি, ব্যাস এটুকুই। লেখালেখি করে বিখ্যাত হবার শখ আমার কখনোই ছিলোনা। আর না মানুষ আমি অবশ্যই না। ভার্চুয়াল মানুষ আর সত্যিকার জীবনের মানুষকে এক করতে নেই। আমার সত্যিকার জীবন ১০ টা ৫ টা খেটে খাওয়া মানুষের মতই খুব সাধারন, যারা হ্যা অথবা না মানুষ কি সেটা নিয়ে কখনোই চিন্তিত না। আমি জীবন যেভাবে আসছে সেভাবেই জীবনকে নিচ্ছি। আর সহজভাবে বেঁচে থাকতে এরচেয়ে বেশি কিছুর দরকার নেই।

কিছু কিছু মানুষ নাকি অসম্ভবকে সম্ভব করতে জানে, আশা করছি আপনিও পারবেন। পাহাড়ের চূড়ার দেবদারু হবার ইচ্ছা থাকলে সেটাই হবেন আশা করছি। শুভকামনা আবারো। :)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: প্রথমত আপনি আমাকে তুমি করেই বলতে পারেন। আর শুভ কামনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। যে যেভাবে ভালো থাকে তাকে সেভাবেই থাকতে দেয়া উচিত। /:)

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া, তুমি তোমার মত করেই জোস ওয়েতে ভালো থেকো। :P :P

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আমি ভালো আছি আপুনি। আশা করি ভালো থাকবো আপনিও আশা করি ভালো থাকবেন আপনার ওয়েতে। ;)

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

ইনকগনিটো বলেছেন: অদ্ভুত লাগলো পোস্টটা। এক কথায় চমৎকার।

শুভেচ্ছা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ডাক্তার সাহেব আপনাকে দেখে ভালোই লাগছে। আমাদের বয়সের ছেলেদের চিন্তাভাবনাই তো অদ্ভুত, স্বপ্ন অদ্ভুত এক কথায় আমরাও অদ্ভুত।


ভালো থাকুন। সব সময়। :)

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ঘুম কিন্তু চোখ বুঁজে থাকা বায়োস্কোপওয়ালা। নিদ্রা-ভিডিও মত কখন যে আসে, কখন যে যায় আমি টের পাই না। এজন্য আমার স্বপ্ন নেই। থাকলেও মেমোরিটা নিউজপ্রিন্ট কাগজ; গাঢ় ঘুমের কলমে লেখাগুলো এফোড় ওফোড় হয়ে ছিঁড়ে যায়। তবুও নিদ্রাদেবীর প্রশান্তিময় অন্ধঘুম উপহার দেয় বলে আমি কৃতজ্ঞ। আমি কি স্বপ্নান্ধ বলেই ড্রিম-হাউজটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। অদ্ভুত ভাবেই আমি আমার নানুকে মনে করি। স্বপ্ন না হলেও দিবা স্বপ্ন হবে। জননীর মা বালিহাসের মত সাদা শাড়ী পড়ে রুগ্নশরীরে উঠোনে হেঁটে বেড়াচ্ছেন আর তারপরই রান্নাঘরে পিঠার তেলের শব্দ বুদবুদ ওঠায়, গরম পিঠার আয়োজন করে তিনি পরিতৃপ্তি লাভ করেন। আর যেদিন ফিরে আসছি তার কাছ থেকে, তার অশ্রুগ্রন্থির সব জলে পিরান ভিজে যায়। দ্বিতীয় অঙ্কে শৈশবের রঙপেন্সিল মনে পড়ে, আমি তার কাঠ কামড়ে খেয়েছি উডপেকারের মত। আর তার দুটো প্রান্তে লাল আর নীল উজ্জ্বল ছবি আঁকতে পারতো। আমাদের শৈশবের ড্রইংগুলো আদিমগুহার মত অমূল্য। তবে এখানে মানুষের স্মৃতি মনে নেই, শুধু মনে থাকে হাতের পাঁচটা আঙুল তালপাখার মত বিচ্ছুরিত। আমি এখনো বসে থেকে মহেশখালির ভাঙা পাহাড়টা দেখি। রূপকথা নয় বাস্তবেই মন্দিরে উঠে যাচ্ছি। উঠতে উঠতে পূর্ণিমার গ্রহণের মত অন্যপ্রান্তে নেমে যাই, নৌকো বাঁধা থাকে তাতে ফিরতে গিয়ে পথ পাই না। কিছুক্ষণ পর প্যান করে যায় সব এনিমেশন। পানিতে পা ডুবিয়ে চীনা রূপকথার কিশোর মনে হয় নিজেকে। আমি মত গোড়ালির চারদিকে ঘুরন্ত মাছের খেলা দেখি। সাঁতরে সাঁতরে চলে যাবার দৃশ্যটা ঘুড়ির লেজের মত আঠায় আঠায় দীর্ঘ হতে থাকে। আমার ইচ্ছে আমি একটা রাজপ্রাসাদ দেখি, যার ভেতরে আমি থাকি, যার চূড়ায় অনেকগুলো স্বপ্নময় প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: স্বদেশ দা আপনার এই শৈল্পিক মন্তব্য আমার এই সাধারন লেখায় আমাকে কতটা আনন্দিত করেছে আমি আপনাকে সেটা বুঝাতে পারবো না, আমি আপনার লেখা নিয়মিত না হলেও অনিয়মিতভাবে পড়ি, আপনার লেখার একজন গুণমুগ্ধ ছিলাম যখন আমার কোন আইডি ছিলো না এই ব্লগে। আর আপনি যেভাবে আমার প্রথম দুটি স্বপ্নকে প্রকাশ করলেন তাতে আমার লজ্জাটা আর প্রকাশ না করি, আমার দৈন্যটা সম্পর্কে আমি সচেতন, আমি জানি আমাকে দিয়ে আর যাই হোক স্বদেশদার কাছাকাছি যাওয়া কোনদিন সম্ভব নয়।

আসলে বুঝতেই পারছি না এতো চমৎকার মন্তব্যের রিপ্লাই কিভাবে দিতে হয় শুধু মনে হচ্ছে হাজার বছর আগের কোনও বাঙ্গালী অনার্য কিশোর ডিঙ্গি নিয়ে বিলের মাঝে বসে আছে আর তাকিয়ে আছে চাঁদের পানে, সুষমা চাঁদ আর তার আলোকিত জোস্ন্যা যেভাবে কিশোরের মন ভরিয়ে রাখে আপনার এই মন্তব্য আমাকে সেভাবেই আবেশিত করে রাখবে অনেক অনেক দিন।

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ। অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো আপনার জন্যে।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন: সপ্ন কি শুধুই স্বপ্ন :| :| :|

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: শুধুই স্বপ্ন। সত্যি না হলেই ভালো এই রকম স্বপ্ন। B-)

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন: আমার বেশ কিছু সপ্ন কিন্তু সপ্ন ছিলোনা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: তারাই তো সুখী হয় যারা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.