নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পূজক।

আমি মনে হয় মুরুব্বী হয়ে গেছি। :(

ভুল উচ্ছাস

আমি না আমার দর্শন বদলে গেছে।

ভুল উচ্ছাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ খুনিরাও ভালোবাসে, ভালোবাসায় বাচে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৬

খুব শীত লাগতেছে হাতে, তাই হাত দুটো পকেটে ঢুকিয়ে রাখলাম। আজকে আমাদের প্লান ছিলো নতুনবাজারে দুপুরের দিকে একটা ধাক্কা দেয়ার কিন্তু টিম লিডার হিসেবে বরাবরের মতো অযোগ্য হিসেবে ঘুম থেকে উঠেছি ঠিক ৩.২৫ মিনিটে। ঘড়ি ধরে চলার অভ্যাস ছিলো একসময় কিন্তু এখন ঘড়ি ধরে চলি না তবে দেখি কখন কি করছি। পকেটে দুটো সেলফোন এক সাথে রিং হচ্ছে, একটাও ধরতে ইচ্ছে করছে না, প্যান্টের পিছনে গুজে রাখা ঘোড়াটা দিয়ে ইচ্ছে করছে সামনের ঐ চারটা পুলিশকে শেষ করে দেই।


এইতো মাত্র দুইদিন আগেই আমার টিমের দুইটা ছোটভাইকে গুম করে ফেলেছে ওরা, রাগটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেছে ভীষণ। কিন্তু পকেটে থাকা দুটো হাতে বানানো গ্রেনেড দিয়েই আমাকে এই কাজটা করতে হবে, রাস্তার অন্যান্য জায়গায় আরো ২৫টা পুলিশ আছে এই মুহুর্তে, আর আমার টিমে এই মুহুর্তে মাত্র ৬ জন। ছয়ভাগে তাই ভাগ করে দিয়েছি সব কিছু, কিন্তু তারপরেও এটা খুব টাফ হয়ে যাবে, বদমাশ গুলো সব মাথায় হেলমেট, বুকের বুলেটপ্রুফ ভেস্ট আর পায়ে প্যাড লাগিয়ে রেখেছে।


বেশ বুঝতে পারছি সব কজন ধরা পড়ে যাবো যদি চার্জ করতে যাই এখন। সবাইকে মানা করে দিতে হবে, আমাদের আজকের অপারেশন ক্যান্সেল। আজ এরা অতিরিক্ত সচেতন হয়ে আছে, আশেপাশে সাদা পোষাকে আরো কিছু ডিবিও থাকতে পারে। ফোন বের করে পকেট দ্রুত হাতে এসএমএস লিখে পাঠিয়ে দিলাম বাকি পাচ জনকে।


আমার টিমের মেম্বারগুলো সব চকলেট বয়, ওরা প্রত্যেকেই বুদ্ধিমান, টেলেন্টেড এবং সাহসী। উপস্থিত বুদ্ধি প্রচন্ড, এবং সবথেকে বড় কথা ওদের আমি নিজের হাতে শিখিয়েছি কিভাবে নিজেকে হাইড করতে হয় এমনকি যখন আশেপাশে কেউ থাকে না তখনো। এমনকি পিছনে দুটো ঘোড়া সমেত সামনে ওয়েল ট্রেইন্ড পুলিশ সামনে পড়ে গেলেও এরা এখন নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে। বর্ন চোরা। ওদের আমি নিজের হাতে রিক্রুট করেছিলাম।


আমার টিমের মেম্বারদের কোনো নাম নেই, নাম্বার আছে শুধু, নিরাপত্তার খাতিরেই এই নাম্বারিং করেছি ওদের, MF1 থেকে শুরু করে MF8। এতো সতর্কতার পরেও অবশ্য MF3 এবং MF7 ধরা পড়ে গিয়েছে। কিভাবে ওদের খুজে পেয়েছে কে জানে এখনো ফাইন্ড আউট করতে পারি নাই। কিন্তু আমাদের বসে থাকলে চলবে না, দেশটা বাচাতে হবে, আমাদের আগেও নকশালীরা একবার চেস্টা করেছিলো কিন্তু কাজ হয় নাই। ওদের মেরে ফেলা হয়েছে, অরাও শেষে বিপথে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু ওদের মতো আমরাও জানি কিছু কিছু জিনিস ফোর্স শাট ডাউন করতে হয়। নিজেদের বিসর্জন দিতে হয়। তবে নকশালীরা যে চেষ্টা করেছিলো কলকাতা পশ্চিম বঙ্গে আমরা সেটা এই স্বাধীন বাংলাদেশে।


এই যে আমিও তো দিয়েছি, বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে আমি, গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি, ভালো জব, সুন্দরি প্রেমিকা, অবশ্য প্রেমিকা এখনো আছে, ও জানে না, আর আমিও বলার সাহস পাই নাই কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যেতে। কিভাবে যে বলবো জানিনা তবে আজ না হোক কাল তো বলতেই হবে, এভাবে সুতোর উপরে যে জীবন, সে জীবনের সাথে জড়িয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকা একটা মেয়েকে শুধু শুধু শেষ করে দিয়ে লাভ নেই।


শিট ওরা আগেই জেনে গিয়েছে এখানে আমরা আসবো, MF5 মেসেজ দিয়েছে, ওকে তাড়া করছে চার জন, দেয়াল টপকে পালাচ্ছে ও। বাকিদের মধ্যে MF4 মেসেজ দিয়েছে ও একটা বাসার ছাদে উঠে বসে আছে, কিন্তু দূর থেকে এয়ার পেট্রোলের সাইরেন শুনতে পাচ্ছি। বাকিরাও এক এক করে মেসেজ দিচ্ছে, সবাই নিজেকে হাইড করতে পেরেছে, কিন্তু MF5 ওকে এখনো ধাওয়া করতেছে, আমি আরেকজন মেম্বারের জীবন এভাবে বৃথা যেতে দিবো না ও জানে, তাই বারবার আমাকে মেসেজ দিচ্ছে পালিয়ে যেতে। বোকা ছেলে, তুই কি জানিস? তোরাই আমার সবকিছু দরকারে আজ সবগুলো একসাথে মরবো তাও তোকে রেখে পালাবো না।


দ্রুতই সবাইকে মেসেজ দিলাম মেশিন এবং গ্রেনেড সহ পর্যাপ্ত এমুনিশন রেডি করতে, ওহ হ্যা ইয়েস আসার সময় আমাদের নিজেদের হাতে বানানো দুই মাইল রেঞ্জের একটা রকেট লঞ্চার নিয়ে এসেছি। MF4 কে নির্দেশ দিলাম। MF5 কে ঘুরে ব্যাক করতে বললাম। ছেলেটা শুধু একটা কান্নার ইমু দিলো মেসেজে।
আর আমিও প্রস্তুতি নিলাম, দুই নাম্বার ফোনের সিম দ্রুত চেঞ্জ করে একই মেসেজ রিপিট করে পাঠালাম চারজন কে। একটা বাবা, একটা মা, একটা প্রিয় মুখ এবং আমার সব থেকে কাছের জোনে থাকা আমারি মতো আরেকজন টিম লিডারকে। ওহ হ্যা, ও আর আমি বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম সেই জন্মেরো হয়তো আগে থেকে। I AM SORRY।


আজ আমরা এটাকে যাবো, আহত করার জন্যে নয়, নিজেদের সারভাইভ করার জন্যে। খুন করার জন্যে। আমরা তো আজ খুনিই সবার চোখে।

বিঃদ্রঃ সামুর পুরোনো ভার্সনটাই ভাল্লাগে আমার, কি নতুন নতুন আমদানী কর্ছে বিরক্ত লাগছে একবার গিয়েই।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৫

ইবনে জাহিদ বলেছেন: MF5 দেয়াল টপকে পালাচ্ছে তাহলে মেসেজ টাইপ করছে কখন?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: দেয়াল টপকে পালানোর সময় সে কি দেয়াল টপকায় তারপর আবার দেয়াল টপকায় তারপর আবার দেয়াল টপকায় তারপর আবার দেয়াল টপকায়?

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ ভালো লিখসো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: থেংকু হামা ভাই। :)

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

নিলু বলেছেন: লিখে যান

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: :)

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার । লিখে যান আরও.....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: হু লিখবো। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নকশালপন্থীরা ভুল পথে দেশের ভালো চেয়েছিল, সেটা কিন্তু প্রমাণিত। আপনার গল্পেও সেই ভুল ধারণাই আশ্রয় পেয়েছে। বিচ্ছিন কিছু খুনাখুনি করে দেশে ভালো করা যায় না। দেশের ভালো করতে হলে তাতে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা থাকা উচিৎ। আর সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা যেখানে আছে, সেখানে আন্দোলন বেগবান হয় এবং বৃহৎ হয়।
তবে খুনিরাও ভালোবাসা চাইতে পারে, ভালোবাসায় বাঁচতে পারে। এটা সত্য। ভালোবাসায় আঁচলে ঢেকে খুনিদের ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: হাউ সুইট। মেসেজটা পছন্দ হয়নি তবে। :)

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হাউ সুইট কোনটা? :P
নকশালপন্থী মেসেজটা পছন্দ হয়নি। কারণটা আগের মন্তব্যেই বলেছি। তবে খুনিরাও যে ভালোবাসা চায়, ভালোবাসায় বাঁচতে পারে এটা পছন্দ হয়েছে। সঠিক পথ দেখাতে পারলে এবং তাদের ভালোবাসতে পারলে এক সময় খুনিও ভালো হয়ে যেতে পারে। তাই একটা কথা আছে, 'পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়'। কথাটা আপনারও জানা। তারপরও প্রাসঙ্গিক বলে তুলে ধরলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: এমএফ দিয়ে কি বুঝিয়েছি জানেন? মুক্তি ফৌজ। :-/

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :) সব সময়ই ভাল হয় লেখা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আপি তোমার প্রশংসা সবসময়ের মতোই অনুপ্রেরনা দেয় আমাকে। :)

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৯

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: কিছুই হয়নি ব্রো তবে যদি কন্টিনিউ করতে পারি কোনো একদিন হয়তো লিখতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৩

সকাল রয় বলেছেন:
বাচে লেখায় চন্দবিন্দু হবে।

লেখার মাঝখানে ইংরেজী শব্দগুলোর বাঙলারুপ দিলে আরো সুন্দর দেখাবে।

লেখাটা এমনিত খুব ভালো হয়েছে তাই দুবার পড়লাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আমি চন্দ্রবিন্দু দিতে পারি না সকাল ভাই। আর বাংলা রূপে ইচ্ছে করেই দেই নাই। ওগুলো হাইলাইট করতে চেয়েছি এভাবে। আপনার কবিতা গুলো আসলেই অসাধারন।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.