নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অামি অামাকে চিনি... অামি অামাকে খুজি...

তাহিন

তাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধানমন্ডি মাঠ সকল নাগরিকের, টোকাইদেরও অনুচ্ছেদ ২৮(৩)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

ধানমন্ডি মাঠ সকল নাগরিকের, টোকাইদেরও অনুচ্ছেদ ২৮(৩)



নদী, জলাধার ও মাঠ দখলকারীরা মানুষ ভালবাসা, শ্রদ্ধা, ধর্মীয় অনুভুতি আছে এমন সব বিষয়গুলোকে সামনে রেখে দখল করে। সম্পদগুলো মানুষের শ্রদ্ধা ও অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে দখল করলেও, কিছুদিনের মধ্যেই তা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করে বা করতে চায়। ধানমন্ডি মাঠ তার ব্যতিক্রম নয় বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।



ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি বলেছেন, টোকাইরা এখানে খেলতে পারে না। এটা এলিট শ্রেণীর আবাসিক এলাকা। এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করছেন। আদালতের নির্দেশ ও আইন লঙ্গন করে আসলে তিনি জনগনের এ সম্পদ দখল করেছেন ব্যক্তিগত স্বার্থে।



বাংলাদেশে সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২৮ বলা হয়েছে, ‘‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।’’ সুতরাং এ মাঠে টোকাইদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা অসংবিধানিক।



সকল নাগরিকধানমন্ডি মাঠে প্রবেশ করতে পারবে এ দাবি নিয়ে পরিবেশবাদী, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, স্থানীয় জনগণ স্বোচ্চার। অপরদিকে মাঠ দখলকারীরা মাঠ প্রবেশ করার ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের ‍বিরুদ্ধে মামলা করে প্রামণ করেছে তারা মাঠ দখল করে রেখেছে।



শুধু সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ইচ্ছে মাফিক কাজ করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের আইন ও সংবিধান জানতে হবে, মানতে হবে। বাংলাদেশ সংবিধান অনুচ্ছেদ ৭৷ (১) অনুসারে ধানমন্ডি মাঠের মালিক এ দেশের জনগন। সংবিধন বৈষম্য, শোষণ, মানবাধিকার লঙঘনকে স্বীকৃতি দেয় না।



সংবিধান, আইন জানুন- আইন মানুন

সংবিধানের প্রাধান্য ৭৷ (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে৷



সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি ১১[ ১০।মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।]



গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ১১৷ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে



কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি ১৪৷ রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে-কৃষক ও শ্রমিককে-এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা৷



মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা ১৫৷



(গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং



(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার৷



সুযোগের সমতা ১৯৷ (১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন৷



ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য ২৮। (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।



(২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারীপুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।



(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।



(৪) নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধানমন্ডি মাঠ দখলদারদের বিরুদ্ধে একমাস আগেই আমি লিখেছিলাম
Click This Link

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শৈখ জামালের সভাপতির বক্তব্যটা নরম করে দিলেন মনে হয়?

ধানমণ্ডি মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের

মধ্যে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের বলেছেন, ধানমণ্ডি এলাকাটি আইয়ুব খান তৈরি করেছিলেন ‘এলিটদের’ জন্য , সুতরাং ‘এলিটরাই’ এই মাঠে খেলার অধিকার রাখেন। তার সঙ্গে আপনি কি একমত?

লক্ষ্য করুন- শেখ জামালের সভাপতি যেন বলছে পাকি আইয়ুব খানের সুরে!!!! কি বিস্ময়কর!!! এলিটিজমের কি ভয়ংকর রেসিষ্ট ভাইরাস!!!!

আর জনমত জরিপের ফলাফল টা দেখূন


হ্যাঁ - 7%


না - 93%

তার পক্ষে ৭%!! মাত্র। যদিও এটাও চিন্তার বিষয় ৪২ বছরে ৭% কথিত নব্য এলিট নামের বর্ণবাদি পয়দা হয়ে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.