নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অলস মানুষ; ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে, চিন্তা করতে, আর কবিতা লিখতে।পেশায় চিকিৎসক, তবে স্বপ্ন দেখি সাহিত্যের সাথে নিবিড় সখ্য গড়বার।ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে, ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই কন্যাশিশু নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।

তাহমিদ রহমান

প্রবাসী চিকিৎসক ও স্বপ্নচারী। শখের বশে কবিতা লেখার প্রয়াস হয়। হয়তো সেগুলা কবিতা হয়ে ওঠে না, হয় অগোছালো শব্দমালা,জীবনের মতোন...

তাহমিদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওজন কমানোর ১০টি সহজ এবং কার্যকরী উপায়!

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৫

মুটিয়ে যাওয়া বা overweight tendency বর্তমানে সারাবিশ্বেই একটা বিশাল সমস্যা।অতিরিক্ত ওজন একদিকে যেমন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে অপরদিকে মানসিক অশান্তি,অবসাদ আর হীনমন্যতার কারন হয়ে দাড়ায়।অথচ দশটি সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায় আপনাকে সাহায্য করবে ৫ থেকে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমাতে।আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই সহজ ফর্মুলা বদলে দেবে আপনার জীবনধারা!

আসুন জেনে নেই সেই ১০ যুগান্তকারী ফর্মুলা যার সাহায্যে ঘরেই বসেই ৫ থেকে ১০ পাউন্ড ওজন কমান সম্ভব কোনো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই

১।নিয়মিত এবং পরিমিত ব্রেকফাস্ট করুনঃ
দেহের স্বাভাবিক শরীরবিত্বীয় কাজের জন্য( যেমন metabolism এর জন্য) সকালে পরিমিত নাস্তার বিকল্প নেই।সবচেয়ে ভালো নাস্তা হতে পারে বিভিন্ন প্রকার ফল কিংবা দৈ

২।খাওয়ার অনিয়ম করবেন নাঃ
সকাল,দুপুর আর রাতের major meal পারতপক্ষে মিস দিবেননা।কখনোই টানা ৫ঘন্টার বেশি অভুক্ত থাকবেননা।

৩। দৈনিক ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুনঃ
হতে পারে হাটাহাটি কিংবা জগিং,নিয়ম মেনে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতে ভুলবেননা!

৪।বেশি বেশি পানি পান করুনঃ
সফট/স্ট্রং/এক্সটা স্ট্রং, সব রকম ড্রিঙ্কস আর সোডাকে না বলুন আর বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করুন (দৈনিক অন্তত ১০ গ্লাস )

৫। বিভিন্ন রকম সবজি আর ফলমূল থাকুক দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়ঃ
অল্প পরিমানে হলেও প্রতিদিন অন্তত ৫ প্রকারের ফলমূল ও সবজী খাওয়ার চেস্টা করুন

৬। ঘরে বানানো খাবার খানঃ
ঘরের খাবারের স্বাদ আর বিশুদ্ধতাকে গ্রহণ করুন আর বাহিরের তেলেভাজা আর ভেজাল খাবার পরিহার করুন

৭। রেডিমেড খাবার বর্জন করুনঃ
রেডিমেড খাবারের খাদ্যমান প্রশ্নবিদ্ধ, তাছাড়া ওজন বৃদ্ধিতে এদের জুড়ী নেই।অতএব ওজন কমাতে হলে না বলুন যাবতীয় রেডিমেড খাদ্যকে।

৮। স্বাস্থ্যকর আর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার বেছে নিনঃ
অল্প পরিমানে হলেও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প নেই।তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকুক পুষ্টিকর খাদ্য।

৯।পাঁচ ধরণের খাবার যা খাবেননাঃ
পাস্তা,
পাউরুট্‌
বিভিন্ন প্রকার সিরিয়াল,
সবধরনের সোডা, আর
প্যাকেটজাত পণ্য যেমন - কেক,কুকি,বিভিন্ন ডেজার্ট,পাই কেক ইত্যাদি

১০। পাঁচ ধরণের উপকারি খাবারঃ
আশযুক্ত খাবার,
কাচা শাক-সব্জি,
বেরি জাতীয় ফল,
বাদাম(দৈনিক সামান্য পরিমানে,অতিরিক্ত লবন ছাড়া অবশ্যই) এবং
আমিষজাতীয় খাবার

কিছু টিপস!
* যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে পুরো এক গ্লাস পানি খাবেন
*খাওয়ার পরপরই পানি খাবেননা, কিছুটা সময় (গড়ে ৩০ মিনিট) অপেক্ষা করুন
*খুব বেশি খিদা লাগলে যেকোনো ২টি meal এর মাঝের সময়ে দৈ অথবা ফল খেতে পারেন
* কিছু কিছু সাপ্লিমেন্টারী আর এন্টি ডীপ্রেসিভ ওষুধ ওজন বাড়িয়ে দেয়। এধরনের ওষুধ পরিহার করতে হবে।

সাধারণত টানা ৮ সপ্তাহ বা ২ মাস এভাবে ডায়েট কন্ট্রোল করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব তবে কাঙ্খিত পরিমান ওজন হ্রাসে নিয়মিতই ডায়েট করে যেতে হবে

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ।শুভ রাত্রি:)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.