নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অলস মানুষ; ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে, চিন্তা করতে, আর কবিতা লিখতে।পেশায় চিকিৎসক, তবে স্বপ্ন দেখি সাহিত্যের সাথে নিবিড় সখ্য গড়বার।ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে, ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই কন্যাশিশু নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।

তাহমিদ রহমান

প্রবাসী চিকিৎসক ও স্বপ্নচারী। শখের বশে কবিতা লেখার প্রয়াস হয়। হয়তো সেগুলা কবিতা হয়ে ওঠে না, হয় অগোছালো শব্দমালা,জীবনের মতোন...

তাহমিদ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসকের জীবন যেমন

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৬

শহরের স্বনামধন্য এক হাসপাতাল।
সে হাসপাতালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে অনীক। অনীকের ডিউটি মূলত ইমার্জেন্সীতে অর্থাৎ জরুরী বিভাগে।
তরুণ চিকিৎসক, ক্ষেত্রবিশেষে সকল চিকিৎসকের জন্যই ইমার্জেন্সী ডিউটি মানেই বিভীষিকা; যেকোনো মুহূর্তেই ধুপধাপ কিল ঘুষি, চড় থাপ্পড় বা ফ্লাইং কিক খাবার সম্ভাবনা থাকে।
আর সেই ইমার্জেন্সিতেই অনীকের সব ডিউটি-ই নাইট ডিউটি। ১১ ঘন্টার দীর্ঘ নাইট ডিউটি।
এদিকে রাতে ডিউটি ডাক্তারের জন্য কোনো বেড নাই, যাতে রাতের বেলায় ডাক্তার ঘুমাতে না পারে। এরপরও কোনো 'বেহায়া' ডাক্তার শুতে চাইলে, ইমার্জেন্সী রুগীদের জন্য রাখা বেড এ শুতে হবে৷

ইমার্জেন্সীতে আবার প্রচুর মশা।
রুগী দেখবে নাকি গায়ে বসা মশা মারবে, দিশ কূল পায়না অনীক। তাছাড়া সময়টাও ত ভালোনা, চারিদিকে ডেংগুর ভীষণ প্রকোপ!
কিন্তু মশা মারারও উপায় নাই।
কর্তৃপক্ষ নিয়ম করে দিয়েছে, ২০ দিনের আগে এরোসল শেষ হয়ে গেলে, আর দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবেই, এতো মশা মারতে গিয়ে এরোসল বেচারা ২০ দিনের আগেই নিঃশেষ হয়ে গেছে।
অতএব, কর্তৃপক্ষের আজ্ঞা মতোন আপাতত মশার কামড় খেয়ে যাচ্ছে অনীক। শক্ত চেয়ারে সারা রাত বসে থেকে ঘুমও আসছেনা, তবু উর্ধতনদের মর্জি তো পূরণ হচ্ছে৷
তাছাড়া, জুনিয়র ডাক্তারের শরীর থেকে কিছু রক্ত গেলে কি এসে যায়? জুনিয়র ডাক্তারের কি অভাব আছে? ফি বছর ত তিন-চার হাজার প্রডাকশন হচ্ছে৷ এতো জুনিয়র ডাক্তার আর তাদের দেহের লিটার লিটার রক্তের প্রয়োজনটা কি?
চাপড় দিয়ে মশা মারার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে ভাবতে থাকে অনীক......

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: অনীকের জন্য মায়া লাগছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

তাহমিদ রহমান বলেছেন: মানুষের প্রতি মানুষের মায়া উঠে যাচ্ছে। সেসময়েও আপনি যে অনীকের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেন সেটা কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
কর্তব্য কর্তব্যই ।
এমনকি এটি চিকিৎসক বা গার্মেন্টস কর্মীও হতে পারে ।
ডিউটি ​​সময়ে কেউ ঘুমানোর জন্য বিছানা বা এ জাতীয় সুবিধা আশা করতে পারে না ।সংস্থা / হাসপাতাল তাকে ডিউটির সময়ের
জন্য বেতন দেয় এবং শর্ত সম্মত হওয়ার পরে সে সেখানে যোগ দেয় ।
তিনি শর্ত এবং অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েই কাজে যোগ দান করেছেন ।

বেঁচে থাকার জন্য,পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার কোনও বিকল্প নেই ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

তাহমিদ রহমান বলেছেন: কর্তব্য কর্তব্য-ই, যথার্থ বলেছেন। তবে বাংলাদেশে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব কমই নিজেরা নিয়োগের শর্ত মেনে চলে। আর বাস্তবতা হলো জুনিয়র চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির পর আবার মর্ণিং ডিউটি করানো হয়, ফলে ক্ষতিটা কিন্তু ডাক্তার আর রুগীর হয়, কর্তৃপক্ষ'র নয়।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভাল না লাগলে ক্যারিয়ার চেঞ্জ করা উচিত। কয়েক বছর পর অনীক যে রোগী প্রতি ৫০০ টাকা (দিনে ২০ রোগী হলে ১০০০০ টাকা) নিবে তখন মশার কস্টও ভুলে যাবে...

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

তাহমিদ রহমান বলেছেন: চিকিৎসকদের সম্পর্কে 'কমন মিসকনসেপশন' এর অভাব নাই ভাই। সে বিষয় নিয়ে কথা বললে গেলে আসলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তথাপি, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :- )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.