নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উগ্রপন্থায় জড়িত ২৭ জন বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

২৭ জনের অপরাধ জ্বলে পুড়ে মরতে হবে একটা জাতিকে, সোনার ডিম দেওয়া হাঁসটা অযত্ন আর অবখেলায় আর বেশি দিন টিকতে পারবেনা। প্লিজ এখনো সময় আছে অনুগ্রহ করে এই হাঁসটার একটু যত্ননিন।
ছোট বেলায় গল্পের বইয়ে পড়ে ছিলাম এক বোকা কৃষক তার সোনার ডিম দেওয়া হাসটা মেরে ফেলেছিল অতি লোভে, সেই গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এখন আর হাসটা একদিনে মেরে ফেলতে চাইনা। কিন্তু অবখেলা আর অযত্নে এই হাঁসটা আর কতদিন বেচে থাকতে পারবে এটাই সব চেয়ে বড় কথা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের রেমিটেন্সের একটা বিরাট অংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে। আরব দেশ গুলির ভিসা দিন দিন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আস্তে আস্তে সেই স্থানটা দখল করে নিচ্ছে সিঙ্গাপুর। ২০০১-২০০২ সালে যেখানে সিঙ্গাপুর থেকে রেমিটেন্স এসেছিল মাত্র ১৪.২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার সেখানে ২০১৪-২০১৫ সালে রেমিটেন্সের পরিমান দাড়িয়েছে ৪৪৩.৪৪ মিলিয়ন, এর মধ্যেও কথা থাকে ২০১২-২০১৩ সালে রেমিটেন্সের পরিমান ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
রেমিটেন্সের পরিমান দেখে সবাই তৃপ্তির ডেকুর তুলি কিন্তু সেই রেমিটেন্সের বাহকদের একটু খুজ খবর কি কেও নিয়েছে? রেমিটেন্সের প্রতি সবার লোভ আছে কিন্তু পেরকদের খুজ কেও নেইনা। কেন আমরা বুঝতে পারছিনা অযত্ন আর অবখেলায় কোন কিছুই বেশি দিন টিকতে পারেনা, আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ঝুকে পরতে বাধ্য।
প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করে সিঙ্গাপুরে এই হিসাবে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের ভরন পোষন সব কিছু নির্বর করছে এই দেশে বাঙ্গালিদের কাজ থাকার উপর, যদি কোন কারনে এই মানুষ গুলিকে ফিরে যেতে হয় তাহলে পরিস্থিতি কি হবে সহজেই অনুমান করা যায়।
সিঙ্গাপুর যারা আসে বেশিরভাগই নিজের চেষ্টায় আসে, সরকার থেকে বিন্দু পরিমান সহযোগিতা পায়না। হোক সেইটা মুক্তিযুদ্ধের সরকার অথবা রাজাকারের সরকার, সব সরকারই প্রতিটা ষ্টেপে আমাদের পিশে মারে।
আগে সিঙ্গাপুর আসতে সরকার কোন সহযোগিতা করতনা আর এখন হাজার ঝামেলার সৃষ্টি করছে, ২০১৫ সাল থেকে নিয়ম করেছে নির্দিষ্ট কয়েকটা এজেন্সি ছাড়া অন্যগুলির মাধ্যমে যেতে পারবেনা। আর এই সুযোগে ঐ এজেন্সি গুলি হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক অনেক বেশি টাকা, যা আগে ওনারা পারতনা।
কিছুদিন পূর্বে কিছু ইন্ডিয়ান একটা পুলিশের গাড়ি পুরিয়ে ফেলে, তখন ঐ দেশের হাইকমিশন এবং ইন্ডিয়ান সরকারের কর্মদক্ষতা চোখে পরার মত ছিল। প্রতিটা ডরমিটরিতে গিয়ে ইন্ডিয়ান শ্রমিকদের এই বিষয়ে কাউন্সেলিং করতো, সরকারের সাথে এই বিষয়ে অনেক দেন দরবার করে পরিস্থিতী স্বাভাবিক করে ছিল।
বাংলাদেশি শ্রমীকের উগ্রপন্থায় জড়িত এতবড় একটা ঘটনার পরেও চোখে পরার মত কোন কার্যক্রম দেখলামানা, এখন গ্যালারিতে বসলাম দর্শক হয়ে দেখি সরকার বাহাদূর কি করে।

একজন প্রবাসী হিসাবে অনুরোধ করব, প্লিজ এই বিষয়ে ভাল কোন পদক্ষেপ নিন যাতে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত আমাদের কোন সমস্যা না হয়।আর সিঙ্গাপুর অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি ভাইদের অনুরোদ করব, আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে করে দেশের ক্ষতি হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.