নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখ হীন পৃথিবী

দুঃখ হীন পৃথিবী

একশত সিপাহী ঢাল-তলোয়ার লইয়া যে ক্ষমতা না রাখে, অনুতাপের হাত তাহার চেয়ে অধিক ক্ষমতা রাখে।

দুঃখ হীন পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিয়ের গল্প - পর্ব ১

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২


আমাদের বিয়ের কথাবার্তা পারিবারিক ভাবেই চলছে, আসলে প্রবাসীদের বিয়ের বিষয়টা সাধারনত পরিবারই দেখে।
ঐযে একটা কথা আছেনা, আমার একচোখে পারিবার দেখি আরেকচোখে কাজ, ৩য় চোখ নাই যা দিয়ে নিজেকে দেখব। যার জন্য ৩য় চোখের কাজটা পরিবারই করে।
কয়েকটা মেয়ে দেখে ছবি পাঠিয়ে কিছুটা ডিটেইলস দিয়ে জানতে চাইল কোন মেয়েটা পছন্দ হইছে, ছবিগুলি কয়েকবার দেখে তনির ছবিটা আলাদা করে বল্লাম এর বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে পারেন।
পরিবার তাদের মত কথা এগিয়ে নিয়ে আমাকে জানাল দেশে আসার জন্য, আমি কাজের মানুষ কাজ ছাড়া কিছুই বুঝিনা। অফিসে কথা বলে দেশে যাওয়ার তারিখটা জানালাম, এই তারিখ মানে বিয়ে করার জন্য না। একটু কথা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রাতের ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে উড়াল দিলাম, পরদিন তনিদের বাড়িতে যাব।
সকালের নাস্তা করে তনিদের বাড়িতে আসলাম, এই একটু পরিচয় হওয়া আর কি। আমাদেরকে রিসিপ করলেন তনির মামা, ভদ্রলোক অনেক অমায়িক এবং মিশুক।
পাত্রী দেখতে এসে মনেহয় একপ্রকার ইন্টারভিউ দিতে বসলাম, এইসেই হাজারও প্রশ্ন করা হলো। আমার যতটুকু ততটুকুই উত্তর দিলাম, মনেহচ্ছে ঘটক বেটা কিছু বাড়িয়ে বলেছিল তাই কোন কোন উত্তরের পরে একজন আরেক জনের দিকে তাকাচ্ছে।
সুন্দর পরিপাটি সাজানো একটা পুতুলের মত মেয়েকে আমার সামনের সুফাতে বসানো হল, সাধারনত কন্যাকে লাল বা উজ্জল রং এর শাড়ি পরানো হয় কিন্তু তনিকে এখটা নীল শাড়িতে আমার সামনে আনা হল। নীল শাড়ির সাথে খুপায় বেলি ফুল চোখে কাজল, হালকা একটু মেকআপ করা হয়েছে, চোঠে কি কালারের জেনো একটা লিপষ্টিক দিয়েছে। আমার কালার চিনতে সমস্যা হয়, আমি কয়েকটা কালার ছাড়া অন্য কোন কালার সহজে চিনতে পারিনা।
ফর্মালিটি বলতে যা জানতে চাওয়ার দরকার তাই জানতে চাওয়া, যদিও কোন প্রশ্ন করার ইচ্ছা আমার ছিলনা কিন্তু মুরুব্বিরা বল্লা কিছুই না জানতে চাওয়া অভদ্রতা তাই কিছু জানতে চাওয়া।
আমি মানুষটা ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলতে পারিনা, তাই সরাসরি বল্লাম "আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে, আমাকে আপনার পছন্দ হয়েছে কিনা বলতে পারেন" তনি নিরব হয়ে বসে আছে। পাশ থেকে মামা বল্ল নিরবতা সম্মতির লক্ষন, আমরা কথা এগিয়ে নিতে পারি।
আমাদের পক্ষ থেকে ফুফা জানতে চাইল কতজন বরযাত্রী আসতে পারব, তবে ২শ এর কম হলে ইজ্জত থাকবেনা। কোন ভেন্যুতে অনুষ্ঠান করবে এটাও জানতে চাচ্ছে। আমাদের পরিবারে যৌতুক এর পচলন নাই তাই যৌতুক নিয়ে কথা উঠবেনা এটাই স্বাভাবিক। মেয়ে পক্ষও দেনমোহর কত এবং মেয়েকে কি কি গহনা দিতে হবে এইসব কথা শুরু করলেন। ২০ লাখের নিচে কাবিনে বিয়ে হলে ইজ্জত বাচবেনা, ইত্যাদি ইত্যাদি
এইসব বিষয়গুলি আমার কাছে অনেকটা অস্বস্থি লাগছে। আমি একটু কাশি দিলাম, এই কাশির মানে যক্ষা না। এটার সরল মিনিং হল আমি কিছু বলতে চাচ্ছি।
আমার কাশি দেখে তনি এগিয়ে এসে এক গ্লাস পানি দিল, গ্লাসটা মনে হয় নতুন অথবা মাত্রই সুকেস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। রেগুলার ইউজ করার গ্লাস হলে কিছু ক্রেচ থাকত, এই গ্লাসটা চকচকে পরিষ্কার।
আমি পানিটা হাতে নিলাম একটু খেয়ে উঠে গিয়ে টেবিলে রাখলাম।
সবার সামনে দাড়িয়ে বলতে লাগলাম, বিয়েতে কোন বরযাত্রী আসবেনা। হইতো বাবা মা এবং ২/৩ জন সাক্ষী থাকবে। যতজন সাক্ষী থাকলে ইসলামে বিয়েকে বৈধ্য বলাহয় ততজন থাকবে। এবং দেনমোহরের বিষয়টা আমি যত ক্যাশ দিতে পারবো ততই হবে, সামর্থের বাহিরে গিয়ে কাগজে লিখে বিয়েটাকে অবৈধ বা হারাম করতে পারবনা।
ভ্যেনুর বিষয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নাই, আমাদের বিয়েটা হবে মসজিদে। এবং মসজিদে নববীতে, রাসুল (সাঃ) এর মসজিদে।
এতটুকু বলে আমি থামলাম, সবাই একজন আরেক জনের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। হইতো আমি দাড়িয়ে এক নিঃশ্বাসে এতগুলি কথা বলার জন্য অনেকে বেয়াদবও ভাবতে শুরু করেছে। আমি আবার শুরু করলাম, আলেমের সাথে কথা বলে যতটুকু ভাল মনে করেছি ততটুকুই বলেছি, ইসলামের বাহিরে গিয়ে চাকচিক্য বিয়ে করতে পারবনা। সেই বিয়েতে আল্লাহর রহমত থাকেনা।
অধিক কথা বলার জন্য এবার সত্যি সত্যি কাশি আসল, তনির মামা নিজের গ্লাসে পানি নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। পাশে দাড়ালেন, অবাক হয়ে আমাকে দেখছেন। সুন্দর করেই জানতে চাইলেন, কি করে এমন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব?
আমি পানি খেয়ে দাড়ালাম, আবার কথা বলতে শুরু করলাম। বিয়েতে মেয়ের বাবা এবং ২জন স্বাক্ষী থাকা বাধ্যতামুলক, আমি চাই তনির বাবা মা পাসপোর্ট করবে তারপর ওমরাহ ভিসা করবে। আমার বাবা মাও সাথে যাবে, একজন মাওলানা আমাদের সাথে যাবে। এর বাহিরে যদি আর কোন ব্যক্তির উপস্থিতি প্রয়োজন হয় তাহলে উনিও যাবেন। তবে বিয়ের বিষয়ে যতজন যাবেন সবার খরচ আমি বহন করবো।
আমার কথা শেষ না হতেই তনির বাবা বল্লেন বিয়ের অনুষ্ঠান করতে টাকা খরচ হত, যেহেতু অনুষ্ঠানের জন্য টাকা লাগছেনা তাই কনেপক্ষের যতজন যাবেন সবার খরচ উনি বহন করবেন। আমি বিনয়ের সাথে উনাকে থামিয়ে দিলাম, বল্লাম মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করতে অনেক খরচ করেছেন। এখন থেকে সবটা দায়িত্বই আমাকে দিন, আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ সবটা খরচ আমি ম্যানেজ করতে পারব।
এখন কাজ হল, যারা যারা যাবে তাদের লিষ্ট করতে হবে, ভিসা করতে হবে, হোটেল বুকিং করতে হবে, এয়ার টিকেট কাটতে হবে। আগে পাসপোর্ট হাতে আসুক তারপর অন্য কিছু।
আমি তাকিয়ে দেখছি তনির চোখে পানি ছলছল করছে, একটু হলেই টুপুস করে সোফার হাতলে পরবে। তনি যেভাবে বসে আছে চোখের পানি ঐখানেই পরার কথা। আমি অপেক্ষা করছি এই দৃশ্যটা দেখার জন্য।
সবাই মোটামুটি একটা কনফার্মেশনে আসলাম বিয়ের অনুষ্ঠান মদিনাতে হবে, কারা যাবে তাদেরও একটা লিষ্ট হল। তনির মামা আমার হাত ধরে বল্ল "বাবা, এমন বরকতময় বিয়ে দেখার জন্য আমি তোমাদের সাথে যাব। শুনেছি সাহাবীদের বিয়েতে অনেকেই হেল্প করতো, আমি যাবো তবে খরচের অংশটা আমি দেবো, তুমি দিতে পারবে জানি তবও এমন বরকতময় কাজে একটু অংশিদার হতে চাচ্ছি, প্লিজ মানা করোনা"
তনির দুলাভাইও একি কথা বল্ল, পিছন থেকে তার চাচাও এমন প্রস্তাব রাখলেন। এখন আমার দায়িত্ব তনি এবং তার বাবা মা এবং আমি আর আমার বাব মায়ের ভিসা টিকেট এবং হোটেলের ব্যবস্থা করা।
তনির বাবা দাড়াল, তনির পাশে দাড়িয়ে বল্লা তুমিতো সবই শুনেছ। এমন বিয়েতে তোমার মতামত কি? তনি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে বল্ল "আল্লাহ স্বাক্ষী আপনাদের প্রস্তাবে আমি একমত"
.
হালকা নাস্তার পর্ব শেষ করে আমরা বিদায় নিলাম, তনির বাবা এবং মামা দুজনই আমার হাত ধরে দাড়িয়ে আছে। কিছু একটা বলতে চাচ্ছে কিন্তু পারছেনা, ভদ্রলোক কান্না করছে। পকেট থেকে টিস্যু বের করে উনার হাতে দিলাম আর বল্লাম এখন কান্না করবেন না, যদি কোনদিন আমার দায়িত্বে অব হেলা করি তখন নাহয় শাসনের শেষে কান্না কইরেন।
.
আমরা সবাই তনিদের বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি, ঢাকা ফিরে ট্রাভেল্স এজেন্ট এর সাথে কথা বলতে হবে ভিসার জন্য। আমি নিচে দাড়িয়ে থেকেও বুজতে পারছি ৩ তলার বারান্ধা থেকে তনি নিজের দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখ ছলছল করছে।
আমি উপরের দিকে তাকালামনা, চোখের পানির সামনে দাড়ানোর শক্তি আমার নাই.............

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বেশ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ৪টা বিয়ে করবেন, মনে হয়। তনির কপালে দু:খ আছে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: হা হা হা, সোনাগাজী ভাই বিয়া একটাই অন্যরাতো কনের বান্ধবী আর আত্মীয়

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ৪টা বিয়ে করবেন, মনে হয়। তনির কপালে দু:খ আছে



হাহাহ....


দুঃখ হীন পৃথিবী শুভ কামনা নতুন জীবনের জন্য। আর একদম শেষের দিকের প্যারাটাতে বোধই 'নিচের' হবে...

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা হা, সোনাগাজী ভাই বিয়া একটাই অন্যরাতো কনের বান্ধবী আর আত্মীয়

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: পুরোপুরি সত্য বলে বিশ্বাস হচ্ছে না। এরকম সোনায় সোহাগা পা্ত্রী পেলেন কিভাবে? আমার জন্য আপনার reject list টা পাঠাবেন?

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: আপনাদের দাম্পত্য জীবন বরকতময় হোক।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫০

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনি ৪টা বিয়ে করবেন, মনে হয়। তনির কপালে দু:খ আছে

মেন্টাল কেস সোনাগাজী মুরুব্বী মানুষ, অতিশয় উচ্চ শিক্ষিত। তারপরও পাবলিক এই লোকেরে থাবড়ায় ক্যান এখন বুঝলাম। "পাগলরে থাবড়াইলে কবিরা গুনাহ্", আধুনিক বিশ্ব এটা মানেনা।

লেখকের উদ্দেশ্যে:-
ভালো লিখেছেন। পজিটিভ কথাবার্তা, মানসিকতা। বানান, শব্দচয়ন ইত্যাদি লিখতে লিখতে ঠিক হয়ে যাবে। আরো লিখুন।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: অনেকটা গরু কিনার মতো অবস্থা।আগে এমনটাই প্রচলন ছিনো।কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে।এখন দেখে না জেনে বিয়ে করতে হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাই প্রবাসীদের বিয়ের বিষয়টা এখনো অনেকটা এমনই আছে, তবে এখানের সবটাই কল্পনা

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



@আফলাতুন হায়দার চৌধুরী ,

প্রতি পোর্টে ২/১ ঘন্টার জন্য বিয়ে করেছিলেন তো, তাই ভাবনাশক্তি সীমিত হয়ে গেছে।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে বিয়ের অনুমতি দিল সৌদি মনে হয় এই খবরের প্রেক্ষাপটে একটা গল্প লিখেছেন ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: আমার এমন একটা ইচ্ছা ছিল, কিন্তু করোনা মহামারি এবং রেস্ট্রিকশন এর জন্য পারিনি।
তাই নিউজটা পড়ে কল্পনা করতে শুরু করলাম

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: ঘটনা যদি সত্য হয় তবে খুব ভাল- আপনি সর্বদা সুখী হন এই কামনা করছি।

* আমি নিজেই বানানে প্রচুর ভুল করি কিন্তু আপনি অতি সাধারন কিছু বানানের দিকে আরেকটু নজর দিন;
সুন্দর পরিপাটি সাজানো একটা পুতুলের মত মেয়েকে আমার সামনের সুফাতে (সোফাতে) বসানো হল, সাধারনত কন্যাকে লাল বা উজ্জল রং এর শাড়ি পরানো হয় কিন্তু তনিকে এখটা (একটা) নীল শাড়িতে আমার সামনে আনা হল।নীল শাড়ির সাথে খুপায় (খোঁপায়) বেলি ফুল চোখে কাজল, হালকা একটু মেকআপ করা হয়েছে, চোঠে (ঠোঁটে) কি কালারের জেনো একটা লিপষ্টিক দিয়েছে। আমার কালার চিনতে সমস্যা হয়, আমি কয়েকটা কালার ছাড়া অন্য কোন কালার সহজে চিনতে পারিনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ঘটনা সবটাই কল্পনা। তবে এমনটা বাস্তব করার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু করোনা মহামারি আর দুই হারামের রেস্ট্রিকশনের জন্য পারিনি।
বানান কিছু টাইপিং এর কারনে হয়ে যায় আর কিছু পারিনা তাই ভুল হয়, চেষ্টা করছি কিছুটা ঠিক করতে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভুলগুলি ধরিয়ে দেয়ার জন্য

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি কি সৌদি আরবে থাকেন?
এতোগুলো মানুষ নিয়ে ওখানে যাবেন কি করে?
ভিসা নাও তো হতে পারে।
খরচ সামলাবেন কি করে?

আর যদি গল্প হয় তাহলে -
গল্প তো আর সত্য নয়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাইয়া আমি প্রবাসী তবে সৌদী থাকিনা, বর্তমানে সিঙ্গাপুর আছি।
আসলে প্লানটা বাস্তব করা সম্ভব, খুব বেশি মানুষতো হবেনা। ১৩/১৫ জন হবে, এই মানুষগুলির ভিসা হয়ে যাবে আর ওমরাহ ভিসা রিজেক্ট আসেনা সাধারনত।
১৩/১৫ জন হলে খরচ ১০ লাখের মত হবে, একটু কম বেশি হতে পারে। তবে সবকিছু এজেন্ট দিয়ে করালে খরচটা ১৫ লাখের বেশি হয়ে যাবে।
.
শেষ কথা হল, এটা সবটাই গল্প। ২দিন আগে নিউজ দেখলাম মক্কা এবং মদিনাতে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিছে তাই এমন একটা চিন্তা তৈরী করা।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি যত সহজ কাজ ভাবছেন তত সহজ না।
বাংলাদেশ থেকে একপাল লোকজন নিয়ে মক্কা-মদিনাতে গিয়ে বিয়ে করা এতো সহজ কাজ না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাইয়া সহজনা আবার খুব কঠিনও মনে হচ্ছেনা, সবাইতো ওমরাহ করার স্বপ্ন দেখে। ৫/৬ দিনের প্লানে বিয়ের পর ওমরাহও করা যাবে

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩

এম ডি মুসা বলেছেন: বেশি বিয়ে সুখ নাই, এইগুলো মানুষ কে ঠকানো ছাড়া কিছুই নয়, একটা ছেলে যখন চারটা মেয়ে বিবাহ করে, বলেন সুখে আছেন! একটা মেয়ে যদি চারটা পুরুষ বিয়ে করতে সেই পুরুষের ভিতরে আপনি একজন হতেন সুখে থাকতেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাইয়া ৪ বিয়ের পক্ষে আমি কখনোই না, এমনকি একাদিক বিয়ের পক্ষেও না। এখানেতো বউ একজনই বাকিরা বউয়ের ফ্রেন্ড/আত্বীয়

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: তনির চোখ দিয়ে পানি পড়বে এই দৃশ্য দেখার জন্য আপনি অপেক্ষায় ছিলেন কেন?

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু বুঝতে পারছি না। ঘটনা সত্য না বানোয়াট।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বনিম্ন লোকজন নিয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী।ইসলামে বিয়ের নামে যথেচ্ছ ভাবে অর্থ অপচয় করাও মনে হয় সিদ্ধ নয়। কিন্তু আপনি লোকসংখ্যা মানলেও খরচের ব্যাপারে দেদারসে খরচ করে বিয়ে করতে চলেছেন। আপনার হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকার মতো হতে পারে। দেখুন বিয়ে আপনার, আপনি যতখুশি এবং যেখানে খুশি বিয়ে করুন। বিষয়টি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ব্লগে এমন বিষয় শেয়ার করার কারণে আমাদের দুচার কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিষয়টি খুবই অবাস্তব পরিকল্পনাহীন লেগেছে। বিষয়টি আমার কাছে নেহাতই অর্থের অপচয় বৈকি। আমি কলকাতায় একটা বিয়েতে দেখিছি রিসেপশনের দিনে ড্রপবক্সে দুঃস্থ অসহায়দের সাহায্যার্থে অর্থ দানের অনুরোধ ছিল। নেমন্তন্ন পত্রে ফুটনোটে উপহার বর্জনীয় লেখা ছিল। আমন্ত্রিত অতিথিরা একারণে ড্রপবক্সে ওনাদের পক্ষে যতটা সম্ভব নগদ টাকা দান করেন।
মত পথ আপনার। যদি উপরওয়ালাকে খুশি করতে চান আমার দৃঢ় বিশ্বাস গরিব আর্ত মানুষের মঙ্গলে কিছু করলে উনি হাজার গুণ বেশি খুশি হবেন।


তবে হ্যাঁ বিষয়টি যদি এভাবে দেখা হয় আপনি ওমরা করে ওখানে বিয়ে করবেন সাক্ষী নিয়ে।সেটা ধর্মীয় মাত্রা পাওয়ায় অন্য কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.