নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনূসকে পাত্তা দেয়নি বিদেশীরা - নিউইয়র্ক টাইমস

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯





পোশাক শিল্পের উন্নয়নে পোশাকের দাম বাড়ানো বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেয়া প্রস্তাবকে পাত্তা দেয়নি বিশ্বের পোশাক ক্রেতারা। সাভারের রানা প্লাজা ধসের প্রেক্ষাপটে এ প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গ্রামীণ ব্যাংকসহ নানা ইস্যুতে ব্যাপক সবর থাকলেও এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দুটি পোশাক ক্রেতা সংগঠন কারখানা পরিদর্শনের নামে একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যাটল ফর এ সেফার বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদনে। প্রস্তাব দেয়ার সময়ই ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, পোশাক শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু প্রস্তাব ক্রেতাদের কাছে আমি মাঝে মধ্যে দিয়েছি। অনেকের কাছে অনেকদিন ধরে দিয়েছি। কিন্তু দানা বাঁধেনি। এখন আবার নতুন করে বলার বা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সাভার ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সারাবিশ্ব শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস সাভার ট্র্যাজেডি, পোশাকশিল্প ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তার মধ্যে তিনি আলাদা করে দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। প্রথম প্রস্তাবটিতে তিনি বলেছেন, দেশে ন্যূনতম মজুরি আইন আছে যার ফলে কোন প্রতিষ্ঠান এর নিচে বেতন দিলে এটা বেআইনী প্রতিপন্ন হয়। আমার প্রস্তাব হলো, পোশাক শিল্পের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে একটি আন্তর্জাতিক ন্যূনতম বেতন স্থির করে দেবে। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন বেতনের হার যদি এখন ঘণ্টায় ২৫ সেন্ট হয়ে থাকে এটাকে আন্তর্জাতিক শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক মানের করে সর্বনিম্ন ৫০ সেন্ট নির্ধারণ করে তারা সমস্ত দরদাম নির্ধারণ করবে। কোন ক্রেতা এর নিচে বেতন ধরে দর নির্ধারণ করবে না, কোন শিল্প মালিক এর নিচে বেতন ধার্য করবে না। এটা কমপ্লায়েন্সের অঙ্গ হবে। এর একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে এমন ধারণাই স্বাভাবিক। এর ফলে সস্তা শ্রমিকের জন্য যে পরিমাণ আকর্ষণীয় হতে পেরেছিল, সে আর্কষণীয়তা রাতারাতি হারিয়ে ফেলবে। এই আকর্ষণীয়তা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে অন্যান্য দিক থেকে আকর্ষণীয়তার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই প্রস্তাবনায় তিনি কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে শ্রমিকদের আকর্ষণ বাড়াতে হবে সে বিষয়ে তুলে ধরে বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য সকল ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে একমত করতে হবে- এমন হওয়ার দরকার নেই। কয়েকটি বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে এগিয়ে এলেই কাজটা শুরু হয়ে যাবে। অন্যরাও ক্রমে ক্রমে এটা মেনে নেবে।

ড. ইউনসূসের দ্বিতীয় প্রস্তাবটি ছিল এ রকম, আমরা যে পোশাক ৫ ডলার দাম ধরে সুন্দর মোড়কে পুরে চমৎকার কার্টন ভরে নিউইয়র্ক বন্দরে পৌঁছে দেই সেই পোশাকের পেছনে তুলা উৎপাদনকারী কৃষক থেকে শুরু করে তুলা প্রক্রিয়াজাত করা, পরিবহন করা, সুতা বানানো, কাপড় কেনা, রং করা, জামা তৈরি করে সুন্দর মোড়কে কার্টন ভরে নিউইয়র্ক বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যেতে যত শ্রম, ব্যবস্থাপনার মেধা এবং কাঁচামাল লেগেছে, বিভিন্ন স্তরে মালিককে যা লাভ করতে হয়েছে, তার সবকিছু এই ৫ ডলারের মধ্যে নিহিত আছে। আমেরিকার বিপণিবিতানে যখন একজন আমেরিকান ক্রেতা এটা ৩৫ ডলারে কিনে আনন্দ উপভোগ করেন তখন মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে, এই বণ্টন ব্যবস্থায় সামান্যতম পরিবর্তন কি করা যায় না। উৎপাদন যারা করল তারা সবাই মিলে পেল ৫ ডলার আর বিক্রি করতে গিয়ে যোগ হলো ৩০ ডলার। বিক্রিয় মূল্যটা সামান্য বাড়ালেই শ্রমিকদের জন্য অনেক কল্যাণমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় এবং উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করার মধ্যেও কিছুটা সঙ্গতি আসে। এই সঙ্গতি আনার ব্যাপারে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ৩৫ ডলারের জামাটিকে যদি ৩৫ ডলার ৫০ সেন্ট কিনতে বলি তাতে ক্রেতা কি খুব বিচলিত বোধ করবেন। এই অতিরিক্ত ৫০ সেন্ট দিয়ে যদি আমি উন্নত বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে পরিচিত এবং আস্থাভাজন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় বাংলাদেশে গ্রামীণ বা ব্র্যাক পোশাক শিল্প শ্রমিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করতে পারি তাহলে শ্রমিকদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ করে তুলে ধরেছিলেন তাঁর প্রস্তাবনায়।

ওই সময় ড. ইউনূসের এসব প্রস্তাবনা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক হৈচৈ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যখন সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন করতে গিয়েছে তখন সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বিবৃতি দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থ না দেয়ার পেছনে ড. ইউনূস ইস্যু গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল বলেও ওই সময় সংশ্লিষ্ট অনেকেই মতামত দিয়েছিলেন। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁকে এ্যাওয়ার্ড, পুরস্কার ও ডিগ্রী দিয়ে সম্মান জানালেও পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ড. ইউনূসের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো বর্তমানে পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পোশাক করাখানার নিরাপত্তার নামে পোশাক ক্রেতাদের দুটি সর্ববৃহৎ সংগঠন এ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্স দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি নিরাপত্তা ক্রটির কথা বলে সফটেক্স কারখানা বন্ধ করে দেয় এ্যাকর্ড। এতে বেকার হয়ে পড়েন আড়াই হাজার শ্রমিক। এসব শ্রমিকের বেতনের কোন দায়িত্ব এ্যাকর্ড নেয়নি। সফটেক্সের প্রধান নির্বাহী রেজওয়ান সেলিম অভিযোগ করেছেন, তাঁর কারখানা সঠিক পদ্ধতি ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে এ্যাকর্ড পেশাদারিত্ব ও সহানুভূতির পরিচয় দেয়নি। শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামার পর তিনি ব্যাংক লোন নিয়েছিলেন তাঁদের বেতন দেয়ার জন্য। এ্যালায়েন্সের সদস্যরাও শ্রমিকদের বেতনের দায়িত্ব না নিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়ায় ইউরোপভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন এ্যাকর্ডের সমালোচনা করেছেন।



উত্তর-আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন এ্যালায়েন্সের সমালোচনা করছেন এ্যাকর্ড সদস্যরা। এ্যাকর্ডের উপদেষ্টা ও ওয়ার্কার্স রাইট কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা বলেছেন, এ্যালয়েন্সের অনেক পরিদর্শন ওয়ালমাটের জন্য দ্রুততার সঙ্গে সমাপ্ত করা হয়েছে। এসব পরিদর্শন মানসম্মত নয়। এ্যালায়েন্সের পরিদর্শন করা কারখানায় এ্যাকর্ড মারাত্মক ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেকট্রাম সোয়েটার কারখানায় ২০০৫ সালে ধসের পর, যে ঘটনায় ৬৪ শ্রমিক প্রাণ হারান, শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কোন উন্নতি হয়নি। এরপর গত বছরের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১১২৯ শ্রমিক প্রাণ হারান যে ঘটনা গার্মেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। এই ঘটনা ঘটে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জনের প্রাণহানির কয়েক মাস পরে।

প্রবল জনরোষের কারণে পশ্চিমা পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশী গার্মেন্টের কারখানার শ্রম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাপ দেয়। আরেকটি সর্বনাশা ধস বা অগ্নিকাণ্ড রোধ করতে তারা প্রতিমাসে শতাধিক গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করে নিরাপত্তা সমস্যা খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই উদ্যোগে যোগদানের পরিবর্তে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো পরিষ্কার দুটো শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেন, এ কারণে সামগ্রিক প্রচেষ্টা হ্রাস পেয়েছে।

এদের মধ্যে একটি গ্রুপ বাংলাদেশ এ্যাকর্ড ফর ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি যেটির সদস্য দেড় শ’র বেশি। এর মধ্যে রয়েছে এইচএন্ডএম, ক্যারিফোর, ম্যাঙ্গোর মতো বহু ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডসহ ১৪টি আমেরিকান কোম্পানি।

অন্য গ্রুপটি দ্য এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। এর সদস্য সংখ্যা ২৬টি। যেগুলো সব যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ, টার্গেট, কল’স ইত্যাদি।

এ্যালায়েন্সের কিছু কর্মকর্তা দাবি করেন, তাঁরা এ্যাকর্ডের তুলনায় বেশি কারখানা পরিদর্শন করেছেন। তবে এ্যাকর্ডের কর্মকর্তারা দাবি করেন, এ্যালায়েন্সের পরিদর্শন অপেক্ষাকৃত দুর্বল। এ্যাকর্ড দাবি করে, তারা শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন এবং শ্রমিকদের নিকট থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। একই সময়ে এ্যালায়েন্সের দাবি, বড় ধরনের নিরাপত্তা ক্রটির কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া কারখানার শ্রমিকদের বেতন এ্যাকর্ড বহন করে না। এ্যালায়েন্স শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন বহন করে।

কলম্বিয়া, ডিউক, জর্জটাউন, নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাকর্ডের কর্মকা- তুলনামূলক ভাল হওয়ায় এর সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী।

কিন্তু এই বিতর্কের মাঝে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দারা ও রোর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে সংস্থা দুটোর কর্মকা- অভূতপূর্ব। তারা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে যা সত্যিই খুব কঠিন কাজ।

ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক হাউজ মেম্বার এলেন ও থ্যাচার যিনি এ্যালায়েন্স বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, রানা প্লাজা ধস সবকিছু পাল্টে দিয়েছে এবং কোম্পানিগুলোকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করা আসলেই দুঃসাধ্য কাজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অবাধ্যতার একটি ইতিহাস রয়েছে। এটা এমন একটি স্থান যেখানে এসব ব্যবসায় যা করা হয়, যা আসলে ব্যবসার আদর্শ নয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাদের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে সর্বাধিক ব্যবসার ঝুঁকি নিতে। ঝুঁকির ওপরই এসব ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখানে কিভাবে আপনি আশা করেন দ্রুত বস্তুগত পরিবর্তনের- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ্যাকর্ড ১১০ জন প্রকৌশলী নিয়োগ দিয়েছে যারা কারখানার অনিরাপদ বৈদ্যুতিক বক্স, কাঠামোগত নিরাপত্তা ও স্প্রিংকলার সিস্টেম পরিদর্শন করছেন।



সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে, পাত্তা না পাওয়ায় আপনি খুব খুশি হয়েছেন !!

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: এই বাল পোষ্ট ছাড়া কি আপনার আর কোন কাম নাই।
বালের দালালি আর কত করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.