নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীষণ বিষ-ত্রাসঃ ঘোষণা নিয়ে দলে প্রশ্ন ! ঘোষণাস্থলে যা হলো ...

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

খালেদা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়েছেন। খালেদার রূপকল্প হাসিনার অনুকরণ, নতুনত্ব কিছু নেই।
রাশেদ খান মেনন বিএনপির ভিশন ২০৩০-কে ‘ভ্রান্তিবিলাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবিধান সংশোধন করার কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। এর জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূরের কথা, ক্ষমতায় যাওয়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনও তারা পাবে না। তাই এসব প্রতিশ্রুতির কোনো মানে নেই।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভূইয়া বলেছেন, এই ভিশনে ভালো কথা রয়েছে। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করবে কে? এর জন্য কী দল প্রস্তুত আছে? ভিশনের কথা বিএনপির সাতজন সদস্যও জানেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

এখনই ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা নিয়ে দলে প্রশ্ন
১৫-৪০ বছর বয়সীদের আকৃষ্ট করতে চায় বিএনপি
১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী কিশোর, তরুণ ও যুবকদের আকৃষ্ট করতে ‘ভিশন ২০৩০’-এ একগুচ্ছ অঙ্গীকার করছে বিএনপি। এ ছাড়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনার অঙ্গীকারও এতে থাকবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ নামের এই রূপকল্প তুলে ধরার কথা রয়েছে।
অবশ্য রূপকল্পটি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গত সোমবার রাতে উত্থাপন করা হলে এখনই রূপকল্প দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন সদস্য। তাঁদের প্রশ্ন, এখনই কেন রূপকল্প দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আগে আলোচনা না হওয়ায় কোনো কোনো সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে সেখানে উপস্থিত একাধিক নেতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তবে বৈঠকে এটি অনুমোদন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিনজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির রূপকল্পে তরুণ-যুবকদের আকৃষ্ট করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো, নতুন সেবা আনা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বাংলাদেশের তরুণদের জন্য বিদেশ উচ্চশিক্ষার জন্য তহবিল করা, ছেলেদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, মেয়েদের উপবৃত্তি সম্প্রসারণ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার মতো বিষয়গুলো রাখা হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে বিএনপির নেতারা বলছেন, বর্তমান ভোটারের তরুণ অংশ এবং আগামী দিনের ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চায় বিএনপি। ২০১৯ সালের পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির ক্ষমতার বাইরে থাকা ১২ বছরে এসে দাঁড়াবে। ফলে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে না পারলে তাঁদের ভোট পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে এবং তরুণদের চিন্তা-স্বপ্নকে মাথায় রেখে রূপকল্পে এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপকল্পে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সরকার পরিচালনায় বিএনপির ভাবনা তুলে ধরা হবে। জাতীয় সংসদকে কার্যকর করা, প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, পুলিশ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনার অঙ্গীকার, নারীর ক্ষমতায়ন, উপজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকার, পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আবাসনসহ বিভিন্ন খাতভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে দলের ‘ভিশন ২০৩০’ তুলে ধরবে বিএনপি। তাদের ভাষায়, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি এগুলো বাস্তবায়ন করবে। সংস্কার ও বিভিন্ন খাতওয়ারি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার স্বপ্নের কথাও এতে থাকছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি যে ভিশন তুলে ধরতে যাচ্ছে তা বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮ থেকে ৯ শতাংশ। এটার ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও জোরদার হবে।
এখনই রূপকল্প দেওয়া নিয়ে স্থায়ী কমিটিতে প্রশ্ন
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, দলটির এই ভিশন তৈরি করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির দু-তিনজন সদস্যের ভূমিকা ছিল। তাঁরা এর আগে চেয়ারপারসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছিলেন। অন্যরা ছিলেন অন্ধকারে। এটি নিয়ে নেতাদের একটি অংশের ক্ষোভ আছে। এর রেশ ছিল স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো প্রায় ৪০ পাতার ভিশনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হয়ে দেড়টায়ও আলোচনা শেষ করা যায়নি। বৈঠক শেষ না করে মুলতবি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবার মুলতবি বৈঠক হয়। তবে গতকালের বৈঠকে সবাই উপস্থিত ছিলেন না।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে একজন সদস্য প্রশ্ন তোলেন, এখন কেন এই ভিশন তুলে ধরা হচ্ছে? এটি নির্বাচনের আগে তুলে ধরা হলে ভালো হতো। কমিটির সদস্যদের আগে খসড়া সরবরাহ না করে হঠাৎ এটি চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডাকা কতটুকু যৌক্তিক, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন সদস্য। তাঁরা অভিযোগ করেন, এ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। দলের মহাসচিব এর জবাবে বলেন, এটি নিয়ে আগে একটি বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।
সংসদ কার্যকরে ৯ প্রস্তাব
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সংসদকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান করতে ৯টি প্রস্তাব থাকবে। এর মধ্যে আছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি পদে সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের সদস্যদের দেওয়া হবে। স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সরকারি হিসাব-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দেওয়া হবে বিরোধী দল থেকে। বিরোধী দলের আনা মুলতবি প্রস্তাব বা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রস্তাবসমূহ গ্রহণ এবং আলোচনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, বিরোধী দলের প্রতি উপযুক্ত সম্মান ও সহনশীলতা দেখানো হবে, দ্বিদলীয় রাজনৈতিক চর্চা চালু করা, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাবে বেশির ভাগ সদস্য বিরোধিতা করেছেন।

‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণাস্থলে যা হলো
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের ‘ভিশন ২০৩০’ নামের রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথি ও দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের উপস্থিতিতে বিএনপির রূপকল্প ঘোষণা করা হয়।

বিকেল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করলেও খালেদা জিয়া সভাস্থলে আসেন ২০ মিনিট পর। খালেদা জিয়ার সভাস্থলে প্রবেশের সময় ছাত্রদলের কর্মীরা সভাস্থলে প্রবেশের জন্য হট্টগোল বাধিয়ে দেন। এরপর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। যদিও সভাস্থলে ছাত্রদলের জন্য নির্ধারিত আসন বরাদ্দ ছিল না।
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির গণমাধ্যম শাখার (প্রেস উইং) কর্মীদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়। গণমাধ্যমকর্মীরা একটি জায়গায় আসন গ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে তাঁদের উঠিয়ে দিয়ে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের বসার জায়গা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে হট্টগোল বেধে যায়। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা করেন।
পরে দলের ‘ভিশন ২০৩০’ বিষয়ে ছাপানো পুস্তিকা বিতরণের সময়ও হট্টগোল বাধে। গণমাধ্যমকর্মীরা পুস্তিকা পাওয়ার জন্য নিজের আসন ছাড়লে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখন বিএনপির কর্মীরা পুস্তিকা না দিয়ে চলে যান। এতে অনেক গণমাধ্যমকর্মী পুস্তিকাটি পাননি। এরপর বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটানা দুই ঘণ্টা ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেন। দু-একটি উপধারা ছাড়া সব ধারা তিনি পড়ে শোনান। মোট ৩৭টি বিষয়ের ওপর ২৫৬টি উপধারা রয়েছে।
রূপকল্প ঘোষণাকালে খালেদা জিয়া দেশের মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার ডলারে উন্নীত করার কথা বলতে গিয়ে ভুল করে ৫০০ ডলারে উন্নীত করার কথা বলেন। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা বিষয়টি দলীয় প্রধানের নজরে আনলে তিনি বিষয়টি শুধরে নেন। রূপকল্প ঘোষণার পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৮

মাগুরগিয়াসাইবারফোর্স বলেছেন: কি সুনডর

২| ১১ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৫

তপোবণ বলেছেন: আওয়ামীলীগের বর্তমান নির্বাচনী ক্যাকুলেশনে নির্বাচন হলে শুধু বিএনপি কেন কেউই আর ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। নির্বাচনে যখন প্রহসন হয় তখন ইনু-মিনা-ডিকা যা বলেছেন তাই সত্য হবে -"এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূরের কথা, ক্ষমতায় যাওয়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনও তারা পাবে না।" আসন কেড়ে নিলে কি আর আসন পাওয়া যায়? আওয়ামী গণতন্ত্রে নির্বাচন এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।

৩| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ৩২১০ বার পঠিত, মন্তব্য মাত্র ২!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.