নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আগুন-সন্ত্রাস’ নিয়ে ১৮ মিনিটের ভিডিওচিত্রে যা আছে

২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৬



একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোটের আগুন-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ভিডিওচিত্র সারা দেশে প্রচার করবে আওয়ামী লীগ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ওই ভিডিওচিত্র দেখা যাচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অগ্নি-সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিএনপি-জামায়াত জোট’।

গত শনিবার গণভবনে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা পর্যায়ের নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই সিডি। প্রায় ১৮ মিনিটের ভিডিওচিত্রটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশসংবলিত টেলিসংলাপের অংশ রয়েছে। আগুন-সন্ত্রাস ছাড়াও ওই ভিডিওতে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্মের অপব্যবহার করে চালানো সন্ত্রাসের সচলচিত্র আছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওচিত্রটি উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে প্রচারের জন্য। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিটি জেলার তথ্য ও গবেষণা এবং দপ্তর সম্পাদকদের নিয়ে কর্মশালা হয়েছে। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। জনসভা, কর্মিসভা, হাটে-মাঠে এ ভিডিওচিত্র দেখানো হবে। ’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা শুনেছি নির্বাচন সামনে রেখে ওরা ভিডিওচিত্রটি তৈরি করেছে। আমরাও তো গুম-খুনের ওপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলছি। এ নিয়ে আমরাও ভিডিও তৈরি করতে পারি। তবে তা তৈরি করা হবে কি না এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। ’

আওয়ামী লীগের ভিডিওচিত্রে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের দৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি নেপথ্যে পুরুষ কণ্ঠের ধারাভাষ্যে সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা, ট্রেনে আগুন, রেলপথে নাশকতা, উপাসনালয়ে হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসে তিন বছরে ১৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একই সময়কালে আহত হয় তিন হাজার ৮৬ জন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিন হাজার ২৫২টির বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। ট্রেনে হামলা হয়েছিল ২৯ বার।

১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওচিত্রে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনে আগুন লাগানো, মানুষের শরীর ঝলসে যাওয়া, বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ ও তাদের স্বজনদের আর্তচিৎকারের দৃশ্য রয়েছে। শুরুতেই ভাষ্যকারের কণ্ঠে শোনা যাবে—‘ক্ষমতার লোভে মানুষ কতটা হিংস্র, বর্বর হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ তা দেখেছে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালজুড়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যযুগীয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডবলীলায়। মানুষ পুড়িয়ে, যাত্রীবাহী বাসে, ট্রেনে আগুন দিয়ে, রাস্তায় গাছ কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে, শত শত মায়ের কোল খালি করে কী স্বার্থ উদ্ধার করতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত? দেশের ক্ষমতা? যে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, জঙ্গিবাদে মদদ দিয়ে পৃথিবীর কাছে সম্মানহানি করতে চেয়েছে, সে দেশের মানুষ কিভাবে মেনে নেবে তাদের?’

ভিডিওচিত্রে খালেদা জিয়া ও সাদেক হোসেন খোকার স্থিরচিত্র দেখিয়ে সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির সংলাপ যোগ করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে দেখিয়ে বলা হচ্ছে, ‘ইনি সেই ম্যাডাম, যার ক্ষমতার লোভের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে মানবতা, পুড়ে গেছে রাষ্ট্র। যার নির্দেশে দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াত এক জোট হয়ে তাণ্ডব চালায় দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। ’ খালেদা জিয়ার যে সংলাপ আছে তাতে শোনা যায় তিনি বলছেন, ‘কেউ হাঁটবে না, সব রাস্তায় থাকবে। ...বেশি করে লোক নামাবে। আপনি কথা বলেন...। ওরা এখনো নামেনি কেন?’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সারা দেশ থেকে জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছিল বিএনপি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আগতদের ওপর পুলিশি হামলা হয়। তারপর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ও পরে দেশজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণে একজনের প্রাণহানিও ঘটে। পোড়ানো হয় বেশকিছু গাড়ি। আগুনে সিলেটে পুড়ে মারা যায় এক যাত্রী।

একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা খালেদা জিয়ার একাধিক কথোপকথন, তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি টেলিফোন সংলাপের অডিও টেপ ঘুরতে থাকে ইউটিউবে। তার থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি কথোপকথন রয়েছে ভিডিওচিত্রে।

খালেদা জিয়ার কথোপকথনের একটি অংশ এমন—‘এখন পর্যন্ত অন থাকবে। কিন্তু ওখানে কেউ থাকবে না। ছেলে-পেলেরা সব রাস্তায় থাকবে। ভেতরে কাউকে আমি দেখতে চাই না। ছেলেরা সব রাস্তায় যাবে। ’

ঢাকা মহানগর বিএনপির তখনকার আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামকে ‘লোক নামানোর’ নির্দেশও দিতে শোনা যায় খালেদা জিয়াকে। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘খোকা আর সালামকে বলে দেন, বেশি করে লোক নামাতে। ওরা যদি লোক নামাতে না পারে, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিক। আমি রাস্তায় লোক দেখতে চাই। ’ এরপর খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি কি ওদের সঙ্গে কথা বলেছেন?’ অপর প্রান্ত থেকে তখন ‘জি’ বলা হয়।

বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ২৪ দিন অবরোধ পালন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তার আগে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতা শুরু হয়।

সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২২

কলম চোর বলেছেন: মনে করুন 'ক' এর সাথে 'খ' বিরোধ আছে। অন্য দিকে 'গ' এর সাথে 'ক' এর সম্পর্ক ভাল না। যদি 'গ' - 'খ' এর মাথায় আঘাত করে তাহলে সবাই মনে করবে এটা 'ক' করেছে। আইনে আমরা এটাকে কপিক্যাট অফেন্স বলে। সেটাই হয়েছে এ দেশে। হ্যাঁ বিএনপি-জামাতো পেট্রোল বোমা মেয়ে তান্ডব চালিয়েছে কিন্তু আওয়ামীলীগো কম যায় নি।
সূত্রঃ Click This Link

১) ৮ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী এলাকার যুবলীগ কার্যালয় থেকে ১০টি পেট্রল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। (শীর্ষ নিউজ, ৮ ফেব্রুয়ারী)

২) ৪ ফেব্রুয়ারী নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের ছানাব এলাকায় ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা রহমতউল্লাহসহ চারজন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের আলামত সরিয়ে ফেলেন। (যুগান্তর ৫ ফেব্রুয়ারী)

৩) ৪ ফেব্রুয়ারী রাত ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের কেসকি মোড় এলাকা থেকে পেট্রোল বোমাসহ মানিক ও বাবুল নামে দুই যুবলীগের নেতাকে আটক করে পুলিশ, কিন্তু পরে ছেড়ে দেয়। (শীর্ষ নিউজ ৪ ফেব্রুয়ারী)

৪) ৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে পেট্রল বোমাসহ ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশ আটক করে। পরে অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। (আমার দেশ ৭ ফেব্রুয়ারী)

৫) ৩ ফেব্রুয়ারী রাতে র‌্যাবের অভিযানে চট্টগ্রামের টাইগার পাস রেলওয়ে কলোনী থেকে ৯টি পেট্রোল বোমা, ২টি ককটেল, ৭টি কিরিচ, ২টি রামদা, ৯টি লোহার পাইপ সহ ছয় ব্যক্তি আটক হয়। ঘটনার মূল হোতা মুন্না স্বীকার করে, সে নিহত যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুরাদের ছোট ভাই এবং সে নিজেও আ’লীগ করে। (ইত্তেফাক, ৪ ফেব্রুয়ারী)

৬) ২৫ জানুয়ারী ফেনী শহরের টেলিফোন ভবন থেকে ৭টি পেট্রোল বোমাসহ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল করিমের ভাতিজা আজিম উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। (দিনকাল ২৫ জানুয়ারী)

৭) ১০ জানুয়ারী বেলা সোয়া ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ৩টি হাতবোমা বিস্ফোরন হয়। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাতে নাতে গ্রেফতার হয় সাদিক নামে এক আ’লীগ কর্মী, যদিও পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। (যুগান্তর, ১১ জানুয়ারী)

৮) গত ১ জানুয়ারী রাত পৌনে ৮টার দিকে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে পেট্রল দিয়ে বাসে আগুন দেয়ার কালে ৩ ছাত্রলীগ কর্মী আটক হয়, যার মধ্যে ছিল জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা, ছাত্রলীগ কর্মী লিমন, ও রানা। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় পেট্রল ভর্তি দু’টি বোতল ও দিয়াশলাই। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২ জানুয়ারী ২০১৫)

৯) লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হোসেনের নেতৃত্বে গত ১ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিতে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়, যাতে মারা যায় ২জন। ওই পেট্রলবোমা হামলায় স্থানীয় দর্জি দোকান কর্মচারী ও যুবলীগ কর্মী পিচ্চি রুবেল, শামীম, মাসুদ ও জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হোসেন জয়সহ ১০ থেকে ১২ জন অংশ গ্রহন করে। (শীর্ষ নিউজ ৫ ফেব্রুয়ারী)

১০) আজ ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ৩টার বগুড়ায় ককটেল বানানোর সময় বিস্ফোরণে সোহাগ (২২) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সোহাগ বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের বড়ধাওয়া গ্রামের সফিকুল ইসলাম সফিকের ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি গণি’র ভাতিজা। (শীর্ষ নিউজ) সূত্রঃ http://khabor.com/archives/44141

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.