নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরহাদ মজহারের সঙ্গে হিযবুত তাহরীরের কানেকশন!

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০২



সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরহাদ মজহার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একজন পৃষ্ঠপোষক। এই সংগঠনের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল। বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার সরকারকে বিব্রত করা এবং বন্ধুপ্রতিম বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশের প্রতি রুষ্ট করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিলেন। হিযবুত তাহরীরের এই পৃষ্ঠপোষক সংগঠনটির প্রথম দিক থেকেই সম্পৃক্ত। হিযবুত তাহরীরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছিলেন। সংগঠনটি নিষিদ্ধ হওয়ার পর আর কোনো কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি ফরহাদ মজহারকে। তবে গোপনে তিনি এই ধাঁচের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। দায়িত্বশীল এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের (হিযবুত তাহরীর উলাইয়াহ বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন) বিষয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। যেখানে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ফরহাদ মজহার অন্যতম। এ ব্যক্তির পরামর্শ এবং নির্দেশনাও মানা হয় হিযবুত তাহরীরে। সংগঠনটি শুরুর দিকে যেসব সভা ও সেমিনারের আয়োজন করত বুদ্ধিজীবী, কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার সেখানে আলোচক হিসেবে ছিলেন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্রীরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পৃষ্ঠপোষকদের একজন ফরহাদ মজহার। যার নাম তালিকার প্রথম দিকেই রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, ২০০২ সালে ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ও মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র এবং পেশাজীবীর সমন্বয়ে হিযবুত তাহরীরের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০০৩ সালে মার্চ মাসে ইরাকে মার্কিন আক্রমণবিরোধী এক আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মাধ্যমে উন্মুক্ত কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। এরপর কথিত খিলাফতের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগঠনটি উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ড, উসকানিমূলক তৎপরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। আর এ সংগঠনের পরামর্শদাতাদের একজন হলেন ফরহাদ মজহার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে কথিত ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর জাতীয় ইসু্যুতে ভারত ও আমেরিকাসহ বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম বিদেশি দেশগুলোর প্রচারণায় প্রকাশ্যে সক্রিয় ছিল। বর্তমানে গোপনে তারা একই ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির কারণে সংগঠনটির নানা পরিকল্পনা ইতিমধ্যে ভেস্তে গেছে। হিযবুত তাহ্রীর বিডিআর বিদ্রোহের সময় হত্যাযজ্ঞের একদিন পরই অপপ্রচারমূলক লিফলেট বিতরণ করে। একই ইস্যুতে সংগঠনটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এখনো গোপনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৎপরতা চালিয়ে আসছে হিযবুত তাহ্রীর। নেপথ্যে বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারসহ আরো কয়েকজন সংগঠনটির হয়ে কাজ করছেন। তবে তারা প্রমাণ না রাখতে কৌশল করছেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত ও বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে গোয়েন্দারা এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। যেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তৎপরতার তথ্য মিলছে। তারা সরকারকে সবসময় বিব্রত করতেও মরিয়া রয়েছে। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগাম তথ্য পেয়ে সংগঠনটির অপতৎপরতা প্রতিরোধে সক্ষম হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহাম্মদ মানবকণ্ঠকে বলেন, ফরহাদ মজহার সরকারকে বিব্রত করতে অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন। অপহরণের ঘটনায় যাতে করে সরকার বিব্রত হয়, সরকারবিরোধীদের কথা বলার ক্ষেত্র তৈরি হয় সে জন্যই তিনি এ ঘটনা সাজান।

ফরহাদ মজহারের সঙ্গে হিযবুত তাহরীরের সম্পৃক্ততার তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, একটি গোয়েন্দাসংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য আছে। এমনকি তিনি হিযবুত তাহরীরের বিভিন্ন সভা সেমিনারেও উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যক্তি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত আছেন বলে জানান ডিআইজি দিদার আহাম্মদ।

জানা গেছে, ফরহাদ মজহারের সঙ্গে হিযবুত তাহরীরের সংগঠনিক কাঠামোর নেতা গোলাম মাওলা, মহিউদ্দিন ছাড়াও রাজনৈতিক উপদেষ্টা শেখ তৌফিক, উপদেষ্টা মোরশেদুল হক, সিনিয়র উপদেষ্টা মাহমুদুল বারী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাকিব, প্রিন্সিপাল মামুনুর রশিদ, প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সমন্বয়কারী ড. সাঈদ ও নীতি গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাস্টি মাহবুবুল হক রিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ফরহাদ মজহারের জড়িত থাকার তথ্য আছে।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হিযবুত তাহরীরের এই পৃষ্ঠপোষক নতুন কোনো নাটক মঞ্চস্থ করতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তার সঙ্গে দেশের বাইরের কানেকশনের তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে।
সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: আপনার এই তথ্যের রেফারেন্স কি?

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

শিখণ্ডী বলেছেন: পাক সার জমিন সাদ বাদ-এর নায়ক এক স্খলিত বাম। আমি অবাক হচ্ছি আর ভাবছি হুমায়ুন আজাদ কীভাবে এই ফরহাদ গিরগিটিকে নায়ক করে আগাম এই উপন্যাসটি লিখতে পারলেন। :(

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল। চারিদিকে শুধু ভুলের ছড়াছড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.