নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এই লর্ড কারলাইল?

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২০


ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত সপ্তাহে ব্যক্তি উদ্যোগে বাংলাদেশবিষয়ক সেমিনার আয়োজন করে আলোচনায় এসেছেন লর্ড কারলাইল। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা অংশ না নেওয়ায় সেটি কার্যত বিএনপি ও জামায়াতের একতরফা অভিযোগ জানানোর মঞ্চে পরিণত হয়। লন্ডনে গিয়েও সংলাপ বর্জনের কারণ প্রসঙ্গে ড. মসিউর রহমান জানান, ওই সংলাপ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আয়োজিত কোনো সংলাপ ছিল না। এটি জানতে পারার পরই তাঁরা সেটি বর্জন করেন।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদিরও দাবি করেছেন, এটি যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান তা তাঁরা জানতেন না।

=p~ এরপরও লর্ড কারলাইল বলেন, অনুষ্ঠান বর্জনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে অপমান করা হয়েছে।
অর্থাৎ তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান বর্জনের কারণে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অপমানিত হয়েছে!

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বা এর কোনো কমিটি নয়, বরং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই সেমিনার আয়োজন করেছিলেন আলেকজান্ডার চার্লস কারলাইল ওরফে লর্ড কারলাইল। সেমিনারের নামে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ও জামায়াতকে মুখোমুখি করার তাঁর ওই উদ্যোগ কার্যত ব্যর্থ হয়। সেই সঙ্গে লন্ডনে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ঘটনাবলী নিয়ে কারলাইলের অতি আগ্রহের কারণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও আদালতের রায়ে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ামূলক লেখালেখি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মীর কাসেম আলীসহ অন্যান্য জামায়াত নেতার বিচার ও ফাঁসির বিরোধী ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনায়ও মুখর ছিলেন।

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন লর্ড কারলাইল। তাঁর সেই বিবৃতি গত ১ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর জামায়াতের ওয়েবসাইটে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে লেখা সাবেক সৌদি কূটনীতিক ড. আলী আল ঘামদির লেখায়ও লর্ড কারলাইলের প্রসঙ্গ রয়েছে। ২০১৩ সালের ১৯ অক্টোবর জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরেকটি খবরে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লর্ড কারলাইলের চিঠি লেখার তথ্য রয়েছে।

ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকাতে লর্ড কারলাইলের আহ্বানের তথ্য প্রকাশিত হয় জামায়াতের ওয়েবসাইটে। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের বিবৃতিতে আবারও যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি না দিতে কারলাইলের আহ্বান স্থান পায়। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের পক্ষে তদবির করা লর্ড কারলাইলের হতাশা প্রকাশ পায় গত বছর মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রাক্কালে। তাঁর বরাত দিয়ে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারগুলোতে আর ন্যায়বিচার, অভিযুক্তের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না!

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অব লর্ডসের স্বতন্ত্র সদস্য কারলাইল ব্রিটেনের শীর্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের অন্যতম। পোলিশ ইহুদি অভিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে আইনে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯৬৯ সালে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি ‘কুইন’স কাউন্সেল (কিউসি)’ নিযুক্ত হন। লর্ড কারলাইল একজন ব্যারিস্টার এবং লন্ডনের শীর্ষস্থানীয় ব্যারিস্টারদের চেম্বার ‘ফাউন্ড্রি চেম্বারসের সাবেক প্রধান।

গত বেশ কয় বছর ধরে জামায়াতের পক্ষে বিবৃতি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনামূলক লেখালেখি থেকেও কারলাইলের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করে তিনি তাঁদের ফাঁসি ঠেকাতে তদবির করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছেও। কামারুজ্জামানসহ জামায়াত নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প নির্ধারণেরও সুপারিশ করেছিলেন তিনি।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের শুরু থেকেই কারলাইল ছিলেন তার বিরোধী। ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের ভূমিকাকে ‘প্রতিশোধমূলক’ বলে অভিযোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মতো ‘ন্যায়বিচার ও পুনর্মিলনের নীতি’ অনুসরণ করার আহ্বান জানান কারলাইল।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.