নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোশতাকের কিছু হটকারি পদক্ষেপ

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১০


বাইশে আগস্ট পাঠানো এক তারবার্তায় বোস্টার জানায় শেখ মুজিবকে হত্যারএক সপ্তাহ পর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি।
ঘটনার পর পর সাময়িকভাবে মার্শাল ল আরোপ করা হয়; কিন্তু ১৯ তারিখে তা অনির্দিষ্টিকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়; সংবিধান সংশোধন করে মোশতাকের ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়া হয়।
পরের দিন সরকার জানায় সংবিধানের চারটি মূলনীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা)অপরিবর্তিত থাকবে।
একুশে আগস্ট তার নিজের কালো রঙের টুপিকে জাতীয় টুপি ও তার জামাকে (গলাবন্ধ ফুলহাতা আচকান বা শেরওয়ানী)সরকারি পোশাক হিসেবে ঘোষণা করে।
রেডিওতে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও গীতা থেকে শ্লোক পাঠ বন্ধ করে দেয়া হয়। গীতা পাঠ পরে আবার চালু করা হয়।
বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা’র বদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ব্যবহার শুরু হয়।
দেশের নাম বদলে ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা পরে বাতিল করা হয়।
এর মধ্যে ২০শে আগস্ট মোশতাকের অনুরোধে বোস্টার বঙ্গভবনে তার সাথে দেখা করলে রাষ্ট্রপতি তার সরকারের পক্ষে আমেরিকার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করে। সেদিন পাঠানো তারবার্তায় বোস্টার নিজেওস্বীকৃতি দানের পক্ষে মত দেয়। এর আগে ইংল্যান্ড, জাপান, বার্মাসহ আরো কয়েকটি দেশ মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর পাকিস্তানের ভুট্টো সরকার মোশতাককে অভিনন্দন জানিয়ে চাল ও কাপড় পাঠায়। অন্যদিকে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী মুজিব হত্যাকে আল্লাহর কৃপা এবং ইসলামের বিজয় হিসেবে ঘোষণা করে।
২৩শে আগস্ট গ্রেপ্তার হন জাতীয় চার নেতা– তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান। তাদেরকে সরকারে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রন জানিয়েছিল মোশতাক। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরের দিন মেজর জেনারেল কে. এম. শফিউল্লাহকে সরিয়ে উপ-সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয় মোশতাক। জিয়ার ডেপুটি হিসেবে নিযুক্ত হয় ব্রিগেডিয়ার এরশাদ। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের একসময়ের মন্ত্রী জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী মোশতাকের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে সংবিধান সংশোধনের বিরোধীতা করে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
জিয়ার সামরিক সরকারের কড়াকড়ির কারনে শেখ মুজিবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী অনেকটা নীরবেই পালিত হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়তি পুলিশী পাহারা বসানো হয়।
একই সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকার-বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে জিয়ার বাহিনী, যাদেরকে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত জাসদ সদস্য ও মুজিব সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: গম্ভীর ষড়যন্ত্র। কাছের লোকেরাই পিছন দিয়ে ছোড়া মারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.