নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের দিকে তাকানো মূর্তির কাছে চাওয়ার মতোই অসাড়৷

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

কুরআনের যে জিনিসগুলি বর্তমানে মানা কঠিনঃ
১) নারীদের দিকে না তাকানো ( সূরা নূর আয়াতঃ৩০)
কিন্তু বাস্তবতাঃ
প্রথম পর্যায়ঃ বহু নারীর নিত্যনতুন ফটো ফেসবুকে দেখা, মার্কেটে আরচোখে সুন্দরী নারীদের এক চমক দেখে নেওয়া৷
টিভি স্ক্রীনে সুন্দরী নারীদের এনজয় করে মনটাকে চাঙ্গা করা৷
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ ফেসবুকে মেসেজ, মোবাইলে কথা বলা, ফেসবুকে নারীদের মেসেজ পাঠানো ও জাস্ট ফেসবুক গার্লফ্রেন্ড হওয়া যদিও বাস্তবে কেউ কাউকে দেখেনি৷ ফেসবুকেই দেখা, মন দেওয়া, ঐ নারীকে কল্পনা করা ও একসময় ফেসবুকেই হারিয়ে যাওয়া মানে তাকে বাদ দিয়ে নতুন আরেকটি৷ এইগুলি ২-৩ মাস স্থায়ী হয়৷ এভাবে হাজারো নারীকে নিয়ে কল্পনা করা আবার বাদ দেওয়া৷
তৃতীয় পর্যায়ঃ উক্ত নারীর সাথে সরাসরি সাক্ষাত, তাকে নিয়ে পার্কে যাওয়া ও ব্যভিচার করা ইত্যাদি৷

তার মানে নারী ফিতনা থেকে বর্তমানে কেউই মুক্ত নয়৷ কেউ হয়তো বা প্রথম পর্যায়ে যারা ধার্মিক টাইপের৷ যা খুবই অল্প৷ এমনকি অধিকাংশ তরুন তরুনী দ্বিতীয় পর্যােয়ও নেই৷ বরং তৃতীয় পর্যায়ের দিকে এগুচ্ছে সমাজ৷
ﻣﺎ ﺗﺮﻛﺖ ﺑﻌﺪﻱ ﻓﺘﻨﺔ ﺃﺷﺪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ
পরুষদের জন্যে নারীর চেয়ে কঠিন ফিতনা আমি রেখে যাই নি৷ (আল হাদিস)
নারীর দিকে একদম তাকানো যাবে না৷ কাজটি বড়ই কঠিন৷ আর হাদিসও তাই বলছে৷
অথচ এ দৃষ্টি বড়ই অসাড়৷ এভাবে তাকানো কোনদিন পাত্রী এনে দিতে পারে না, তাহলে কাজীর প্রয়োজন হতো না৷ মহান আল্লাহ যিনি মূর্তি পূজা নিষেধ করেছেন মূর্তির অসাড়তার কারনে৷ না এটি উপকার করতে পারে না অপকার করতেও পারে না৷ নারীদের দিকে তাকানো মূর্তির কাছে চাওয়ার মতোই অসাড়৷
রাসূল সা. বলেন “ মহান আল্লাহ অভিশম্পাত দেন কুদৃষ্টি দানকারী পুরূষ ও দৃষ্টিদানে সুযোগদানকারী নারীর ওপরও”। (মিশকাত ২৭০)
নারীর দিকে না তাকালে পৃথিবীটা নিরস লাগবে৷ আর এই গ্যাপ পূরন করতে ইসলামে বহুবিবাহ আছে৷
তারমানে বিষয়টি কঠিন হলেও কুরআন মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই সফলতা৷ অন্যতায় গুনাহ হবে৷ কিন্তু লাভ হবে না কিছুই৷
বাকি বিষয়গুলি হলোঃ
২) পুরুষদের বহুবিবাহ নারীদের মেনে নেওয়া৷ ( সূরা নিসা)
৩) বেশী সন্তান নেওয়া৷( সূরা বনী ইসরাইল)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

কে ত ন বলেছেন: ১) নারীদের দিকে না তাকানো কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আপনি যদি কাজে ডুবে থাকেন, সব সময় নিজের উন্নতির চিন্তা করেন, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রাখেন, তাহলে নারীদের দিকে তাকালেও শয়তান বা পাপ আপনাকে স্পর্শ করবেনা।

২) বহুবিবাহ নারীদের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্ট। কেননা আমাদের দেশে একজন পুরুষের বহু বিবাহ করার তেমন কোন কারণ বা যুক্তি কিছুই নেই। একজন পুরুষের সীমিত সকল চাহিদা পূরণ করার জন্য একজন নারীই যথেষ্ট। যেসব দেশে ঘরের কাজ বেশি, একজন মহিলার পক্ষে সবকিছু সামলানো সম্ভব হয়না, সেসব দেশে বহুবিবাহের চল আছে। যেসব জায়গাতে নারিরা কৃষি কাজে নিয়োজিত, সেখানে পুরুষদের একাধিক বিবাহ বাধ্য হয়েই করতে হয় এবং নারীরা তা সহজেই মেনে নেয়।

৩) বেশি সন্তান নেয়ার ব্যাপারে হাদীসে এসেছে, "তোমরা অধিক সন্তানবতী নারী বিবাহ কর, কিয়ামতের দিন আমি অধিক সংখ্যক উম্মত নিয়ে গর্ব করব"

এখানে কথার দিকে না তাকিয়ে কথার উদ্দেশ্যের দিকে তাকান। আপনার দু'জন সন্তান থাকলেও তাদেরকে যদি রাসূল (সা) এর আদর্শ উম্মত বানাতে পারেন, তো রাসূল (স) এর কাছে তারাই গর্বের কারণ হবে। আর যদি এক কুড়ি ছেলেপেলে পয়দা করেন, এরা আপনাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে, রাসূল (সা) এর কোন কাজে আসবেনা।



১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

পলিগেমি আহমাদ বলেছেন: দৃষ্টির হেফাজত মারেফতের সিড়ি
কারন এটা গোপন ইবাদত৷ আপনি চোরাচাহনী দিয়ে রাস্তায় বা মার্কেটে তাকালে পৃথিবীর কেউ টের পাবে না৷ এটার খবর শুধু আপনি আর আল্লাহর মধ্যে সীমাবদ্ধ৷ এর জন্যে দরকার উচ্চ পর্যায়ের তাকওয়া৷ এটা খুবই কঠিন৷ নজরের হিফাজত করতে গেলে দিল ক্ষতবিক্ষত হবে।প্রথম প্রথম তীব্র হতাশা লাগবে৷ মাওলা এ যখমে দয়ার মলমের প্রলেপ দেবেন। রবের একান্ত সান্নিধ্যের অপার্থিব স্বাদ দান করবেন এই দুনিয়াতে। আর টেনে নিয়ে যাবেন বেলায়েতের চূড়ায।
একটা পবিত্র অন্তর নিয়ে যখন কাল কিয়ামতের মাঠে রবের সামনে দাঁড়াবো অভ্যর্থনা আসবে,
ﺍﺩﺧﻠﻮﻫﺎ ﺑﺴﻼﻡ ﺫﻟﻚ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺨﻠﻮﺩ .
ঢুকে পড়ো শান্তির সাথে, আজ এখানে অনন্ত জীবন।
আল্লাহ দেখবেন আমার বান্দা আমার নির্দেশ মানতে গিয়ে মনের চাহিদা (নারীর প্রতি তাকানো) কে বিসর্জন দিচ্ছেন৷ তখন আল্লাহ খুশি হয়ে তার চাহিদাকে হালাল উপায়ে মেনেজ করার ব্যবস্থা করবেন৷ দুনিয়াতে একাধিক সুন্দরী স্ত্রী দান করবেন আর তা না করলে আখিরাতে অফুরন্ত নেয়ামত আর হুর দান করবেন৷

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই সব লেখার উদ্দেশ্য আপনার নিক নাম টা দেখেই বোঝা যায়! পলেগেমি..ভালো অন্তত: নিজের আসল চরিত্রটা বুঝিয়ে দিয়েছেন!
কি লাভ এসব করে? আপনি যদি বিশ্বাস না করেন, ঠিক আছে আপনি আপনার মতো থাকেন, অহেতুক বাকি সবাইকে খোচাখুচি করছেন কেন?
আপনার মতো আরো বহু ব্লগার এই সব প্রলাপ বকেছে, আরও হ্য়ত বকবে, তাতে কারো কিছুই যায় আসেনা......।
ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

পুকু বলেছেন: খুব শীঘ্র মানসিক ডাক্তার দেখান।কোথাও নিশ্চয় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

পলিগেমি আহমাদ বলেছেন: এক বিবাহ পুরুষের নারী লালসা পুরোপুরি দূর করতে পারে না৷
পথে নারী চোখে পড়ে গেলে সাথে সাথে কল্পনায় পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক৷ একে কন্ট্রোল করার জন্যে কিছু শিক্ষা হাদিসে দেওয়া আছেঃ
১) হে আল্লাহ হালালের মাঝে সন্তুষ্ট রাখো হারাম থেকে দূরে রাখো ( اكفني بحلالك عن حرامك)
২) অপর নারীর মাঝে যা আছে তা তোমার স্ত্রীর মাঝেও আছে৷ এইটা আমলে নিয়ে অন্য নারীকে দেখে উত্তেজিত হলে নিজ স্ত্রীকে কল্পনা করা৷ এমনকি নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার কথাও হাদিসে আছে৷
কিন্তু মন থেকে অন্য নারীর অসাড়তা দূর করা এক বিবাহিত যুবকের পক্ষে কঠিন৷ কারন সে তো নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সাথে মিলিত হয় নি৷ তাই সে ধারনা করতে থাকে অন্য নারীর বিশেষ কিছু আছে৷
আমি আরো বুঝিয়ে বলছি, একটি মোবাইলের দোকানে গেলেন, দোকানদার ৫০০০ টাকা চাইল৷ আর বলল এর কম আর কোথাও পাবেন না৷ প্রথম দোকানদার যতই বলুক না কেন আপনার পুরোপুরি বিশ্বাস আসবে না৷ এরপর আপনি আরেকটি দোকানে গেলেন সে দোকানদার ৫০৫০ টাকা বলল৷ এখন কিন্তু আপনার বিশ্বাস একেবারেই পরিপক্ক হয়ে গেছে যে মোবাইলটি ৫০০০ এর নিচে কিনতে পারা যাবে না৷
ঠিক সেই রকম অন্তত দুটি বিবাহে পুরুষের নারী লালসা ভালই দূর হয়৷ সে মন থেকে বিশ্বাস করতে পারে, অন্য নারীর মাঝে যা আমার স্ত্রীর মাঝেও তা৷ ফলে বহুবিবাহে পুরুষ অধিকতর পবিত্রতা লাভ করে৷ তাই নবী রাসূল ও সাহাবীদের আমরা অধিক বিবাহিত অবস্থায় দেখতে পাই৷

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

পলিগেমি আহমাদ বলেছেন: তাই দৃষ্টির হেফাজতের সঠিক বাস্তবায়ন এক বিবাহিত পুরষের জন্যে কঠিন

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি পজিটিভ/নেগেটিভ নাকি রিভার্স খেলছেন তা বোঝা যাচ্ছে না এখনও...

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: নারী আবার কি?
মানুষ ভাবতে হবে আগে।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

খাঁজা বাবা বলেছেন: গুড লেংথের বল
স্টাম্পে যাবে না সুইং করে বেড়িয়ে যাবে বোঝা যাচ্ছে না :D B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.