নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর চেহাড়া মানুষকে মুখোশ দেয় আর সুন্দর মন মানুষকে সুন্দর করে! কুৎসিত মনকে সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বল্প সময় আড়াল করা যায় কিন্তু বেশিক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না।

আসিফ ইকবাল তােরক

অনুবাদকঃ আমি ঘৃনার শব্দকে ভালোবাসায় অনুবাদ করি।

আসিফ ইকবাল তােরক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইবোলা ভাইরাস এর বর্তমান পরিস্থিতি!!! (ফলোআপ পোস্ট)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৫

আমি ইতিমধ্যে ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আগের পোস্টে লিখেছি! সুতরাং এই পোস্টে আর বিশদ বর্ননায় যাবো নাহ! যদি ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কিত আমার লেখা আগের পোস্টটি কোনো কারনে মিস করে থাকেন তবে এই খানে ক্লিক করে মূল পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন! মূল পোস্টে যাওয়ার আগে ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে একটু সংক্ষেপে বলে নেই:

*ইবোলা ভাইরাল জ্বর/Ebola virus disease(EVD) বা ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর/Ebola hemorrhagic fever(EHF) ইবোলা ভাইরাস দ্বারা মানুষের শরীরে সংক্রমিত একটি রোগ।

*পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ইতিমধ্যে এই রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে!

*ইবোলা রোগের লক্ষন হচ্ছে উচ্চ মাত্রার জ্বর, রক্তক্ষরন এবং সেন্ট্রাল নার্ভ ডেমেজ।

*আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশংখা প্রায় ৯০% পর্যন্ত হতে পারে, ২১ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে লক্ষন পরিলক্ষিত হতে, ফলখেকো বাদুর এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক এবং এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি!



পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস এর সর্বশেষ পরিস্থিতিঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ০১অগাষ্ট ২০১৪ এর তথ্য মতে ১৬০৩ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৮৮৭জন মারা গিয়েছে! শুধুমাত্র ৩১শে জুলাই থেকে ১এ অগাষ্ঠ পর্যন্ত মাত্র ১ দিনে ১৬৩জন নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে যাদের মধ্যে ৬১জন মৃত্যুবরন করেছে গিনিয়া, লিবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং নাইজেরিয়া মাত্র চারটি দেশে।





ইবোলা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সমূহঃ

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশ সরকারও ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে অবগত আছে এবং এই রোগ প্রতিরোধে কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে! স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, "আমরা বাংলাদেশে ইবোলা ভাইরাস এর সংক্রামন প্রতিরোধে সবধরনের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করেছি!" মন্ত্রী আরো বলেছেন, ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের সরকারের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে এবং আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যে কাউকে বিমানবন্দরে যথাযথ মেডিক্যাল চেকআপেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেহেতু বাংলাদেশের বহু নাগরিক আফ্রিকার এই দেশগুলোতে বসবাস করছে!



রোগ নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর পরিচালক প্রফেসর বেনাজির আহমেদ এর মাধ্যমে জানা যায় যে, একহাজার জন বেসামরিক শল্যচিকিৎসক, উপজেলা গৃহওপরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্মী এবং পশুঅধিদপ্তর কর্মীদের সরকারের পক্ষ হতে এই রোগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এরকম সন্দেহো হলে যাতে সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে ফেলা হয় হাসপাতাল কিংবা তাদের নিজ নিজ গৃহে। ইবোলা রোগের রুগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট(আই সি ইউ) সুযোগসুবিধা সম্বলিত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে! এ জন্য ঢাকার যে সকল হাসপাতালে ইনটেনসিফ কেয়ার ইউনিট রয়েছে তাদেরকে অবগত করা হয়েছে!



বিমানবন্দরের স্বাস্থাকেন্দ্রের একজন স্বাস্থ্যকর্মী রেজিয়া আক্তার বেগম এর মাধ্যমে জানা যায় যে এখন পর্যন্ত বাহিরের দেশে থেকে আগত কোনো যাত্রীর মধ্যে এই রোগের কোনো লক্ষন দেখা যায় নি তবে ভবিষ্যতের সাবধানতার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সকল কর্মকর্তাকে এই রোগের ব্যাপারে তথ্য প্রদান করা হয়েছে যাতে এই রোগে আক্রান্ত কেউ বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে তাকে সনাক্ত করা হয় এবং সাথে সাথে জনসাধারন হতে আলাদা করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়!



এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুকির মধ্যে রয়েছে শান্তিমিশনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আর্মির যে সকল সদস্য পশ্চিম আফ্রিকায় বর্তমানে অবস্থান করছে তারা। ব্রিগেডিয়া জেনেরাল সেলিম আক্তার জানান যে বর্তমানে বাংলাদেশ আর্মির তিনটি ইউনিট লিবেরিয়াতে কর্মরত রয়েছে যেখানে এই রোগটি মারাত্নক ভাবে ছড়িয়ে পরেছে! এ ব্যাপারে সিনিয়র আর্মি অফিসারকে প্রশ্ন করা হয় যে শান্তি মিশনে কর্মরত সকল অফিসারকে এই মূহুর্তে বাংলাদেশে ফেরত আনা উচিত কিনা! এর উত্তরে তিনি বলেছেন এটা সম্পূর্নই সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে! তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কর্মরত কোনো আর্মির সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হয়নি! (তথ্যসূত্র)



তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই রোগটি সারাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার সমূহ সম্ভাবন রয়েছে তাই এই মূহুেত্বেই এ ব্যাপারে আরো বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা অতিব জরুরী!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

এ্যরন বলেছেন: আজ সকালে দেখলাম নিউইয়র্কে এক টুরিস্ট ইবেলা তে আক্রান্ত ....

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২১

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: উন্নত বিশ্বের জন্য এটা তত বেশী বিপদজনক নয় যততা উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে! এখন পর্যন্ত দুজন আমেরিকান এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন যারা আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন! ভালো থাকবেন সাবধানে থাকবেন!

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার তো পড়েই ভয় লাগছে --- শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২২

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: আপনি ইবোলা নিয়ে আমার লেখা আগের পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন! অনেক কাজে আসবে! ধন্যবাদ!

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪১

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ০১অগাষ্ট ২০১৪ এর তথ্য মতে ১৬০৩ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৮৮৭জন মারা গিয়েছে! শুধুমাত্র ৩১শে জুলাই থেকে ১এ অগাষ্ঠ পর্যন্ত মাত্র ১ দিনে ১৬৩জন নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে যাদের মধ্যে ৬১জন মৃত্যুবরন করেছে গিনিয়া, লিবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং নাইজেরিয়া মাত্র চারটি দেশে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.