নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর চেহাড়া মানুষকে মুখোশ দেয় আর সুন্দর মন মানুষকে সুন্দর করে! কুৎসিত মনকে সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বল্প সময় আড়াল করা যায় কিন্তু বেশিক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না।

আসিফ ইকবাল তােরক

অনুবাদকঃ আমি ঘৃনার শব্দকে ভালোবাসায় অনুবাদ করি।

আসিফ ইকবাল তােরক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ইউরোপ আমেরিকায় আশ্রয় প্রার্থনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই!!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশে এসাইলাম সিক করবার পূর্বশর্ত হচ্ছে এটা বুঝানো যে তার দেশে জীবনের নিরাপত্তা নেই কিংবা দেশে জরুরী অবস্থা জারি রয়েছে। এ জন্য যারা এসাইলাম সিক করে তারা নিয়মিত সেমিনারে যায়, বিভিন্ন সংস্থা আছে যারা এইসব নিয়ে কাজ করে, তাদেরকে বুজানোর চেষ্টা করে যে আসলেই দেশের অবস্থা বেগতিক, তাদের জীবন । তারা যত ভালোভাবে বুজাতে সক্ষম হবে বিদেশে তাদের অবস্থান তত ভালো ভাবে পাকাপোক্ত হবে।

অবশ্যই এই সব দেশে স্থায়ী ভাবে বসবাসের আরেকটি উপায় আছে, আর সেটা হল আপনাকে অনেক মেধাবী হতে হবে। আপনি যদি বুজাতে সক্ষম হন যে আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে ঐদেশ ভবিষ্যতে উন্নতি লাভ করবে তাহলে তারা আপনাকে সেই দেশে থাকবার সুযোগ করে দিবে।

আপনি যদি খুব ভালোভাবে লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন যে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে যারা নাস্তিক হিসেবে এসাইলাম সিক করে বিভিন্ন দেশে তাদের অধিকাংশেরই ব্যাকগ্রাউন্ড খুব একটা ভালো নাহ। কোনো রকমে দিন আনে দিন খায় অবস্থা। আসিফ মহিউদ্দিন, সন্নাসী রতন সহ আরো যারা বর্তমানে এসাইলাম সিক করে দেশে বাইরে রয়েছে তারা দেশে থাকতে কোনো রকম সারভাইভ করতে পারত। এরা দেশে থাকতেও দেশের এমন কোনো উন্নতি সাধন করে নি যার জন্য দেশ তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। বর্তমানেও এরা বাইরে গিয়ে নিয়মিত ভাবে দেশের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশ সেমিনারে যোগ দিয়ে তাদেরকে কনভিন্স করার চেষ্টা করে যাচ্ছে!

মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি যখন সিন্গেল এন্টেটি হিসেবে কোনো সাদা কিংবা ভীনদেশিদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করি তখন যথাসাধ্য আমার ধর্মের কিংবা কালচারের ভুল ধারনা গুলো সুধরে দেবার চেষ্টা করি এবং তারা খুব অবাক হয় আমাদের ব্যবহার দেখে। মাঝে মধ্যেই বলতে শুনি অনেকে বলেই বসে তোমাদের(মুসলমানদের) সম্পর্কে আমার যে ধরনের ধারনা ছিল সেটা আসলে ঠিক নাহ। কিন্তু এইসব এসাইলাম সিকার নাস্তিকেরা যখন ইসলাম কিংবা দেশের মানুষকে নিয়ে বলবে তখন তারা কতটা নেগেটিভ ভাবে তা রিপ্রেজেন্ট করবে সেটা নিশ্চই বুজতে পারছেন। কেননা এটাই তাদের রুজি রুটির একমাত্র মাধ্যম। সমস্যা হচ্ছে এরা এমন সব উচু যায়গায় গিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যেখানে তাদের ভয়েসটা খুব স্ট্রং ভাবে রিফ্লেক্টেড হচ্ছে।

যাই হোক এতক্ষন যা পড়েছেন তা ছিলো ভূমিকা। এবার মূল অংশে যাই,
উপরের এত কিছু লেখার মূল কারন হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া প্রতিটি নাস্তিক হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই বিদেশে এসাইলাম সিক করা বা এসাইলাম সিক করার অপেক্ষায় থাকা অতি মেধাবীদের (মেধাহীন) মাঝে একটা হুক্কা হুয়া রব পরে যায়। খুনী কে সেটা না জেনেই এক সাথে বিশ্বের আড়াইশো কোটি মুসলমানের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। অপপ্রচারের মাত্রা কয়েকশো গুনে বেড়ে যায়। একযোগে বলতে থাকবে ইসলাম খারাপ, মুসলিম খারাপ, দেশ জন্গিতে ভরে গেছে। আসিফ মহিউদ্দিন, রতনের মতন নাস্তিকেরা বলতে শুরু করে দেশের সকল মসজিদ, মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে, মাদ্রাসা থেকে আসা কোনো ছাত্রকে রাষ্ট্রের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে না নেওয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তব সত্য এবং পরিসংখ্যান হচ্ছে এই যে, দেশে গত ১৩ বছরে নাস্তিকের মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ৮ জন অথচ শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মারা গেছে কম পক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের অধিক। দেশে এখন পর্যন্ত কোনো খুনের বিচার হয় নি এমনকি খুনী কে তা ধরতেও রাষ্ট্র ব্যার্থ হয়েছে। বিচারহীনতার যে অপসংস্কৃতি শুরু হয়েছে সেটা এখন রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্র ঢুকে গেছে। দেশের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে পৌছেসে সেই সম্পর্কে কি কোনো ধারনা আছে আপনাদে। অবৈধ, দূর্নীতিপরায়ন, চরম স্বৈরাচারী একটা সরকার দেশকে আজ কোথায় নিয়ে দাড় করিয়েছে। দেশে এখন যে অবস্থা, সেই হিসেবে দেশের ১৬ কোটি মানুষই চাইবে দেশ ছেড়ে অন্য কোনো উন্নত দেশে গিয়ে পাড়ি জমাতে। এবং হচ্ছেও তাই। যার সম্ভব হচ্ছে সে দেশ ছাড়ছে আর যারা পারছে নাহ তারা চরম আতংকে নিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। তাই আমি আসলে নাস্তিক এসাইলাম সিকারদের খুব একটা দোষ দিতে চাই নাহ। কে না চায় একটা নিরাপদ, অর্থনৈতিক ভাবে সিকিউর জীবন! যেখানে দেশে থেকে পাঁচ হাজার টাকার চাকরী করবারও সুযোগ বা যোগ্যতা নেই সেখানে বিদেশে গিয়ে বিনামূল্যে বাসা, খাওয়া প্লাস হাত খরচের জন্য ভাতা পাচ্ছে।

তবে সব কিছুর জন্য একক ভাবে এদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এই পরিস্থিতির জন্য একইভাবে দায়ী অসহনশীল কাঠমোল্লারাও। একদল গালিগালাজ করবে আরেকদল ছুড়ি চাপাতি দিয়ে কতলের ফতোয়া দিবে। এই দুই গ্রুপই দেশকে আরো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একদল ইসলাম কায়েমের ফাকা বুলি ফুটিয়ে আরেকদল দেশের বাইরে সেই ফাকা বুলিকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে অপপ্রচারের মাধ্যমে। যাই হোক পরিশেষে বলতে চাই দেশ যতদিন না পর্যন্ত একটি সৎ যোগ্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠি দ্বারা পরিচালিত না হবে ততদিন দেশের আর কোনো আশা নেই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ভালো বলেছেন। এমন যুক্তিমূলক লেখা চাই আরও।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন্য।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

ধন্যবাদ।

দেশ যতদিন না পর্যন্ত একটি সৎ যোগ্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠি দ্বারা পরিচালিত না হবে ততদিন দেশের আর কোনো আশা নেই।
শতভাগ সহমত।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: দেশের অবস্থান পরিবর্তনের আসলেই আমি কোনো পথ খোলা দেখি নাহ!

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুনের শাস্তি প্রচলিত আইনেই আছে। তাই আগে আইনের শাসন ঠিক করতে হবে। তাহলে সব বন্ধ হবে.....

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: বাংলাদেশের খুন করার পর তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু ঐ কমিটির কোনো রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না। খুনি কেই ধরা সম্ভবপর হয় না সেখানে বিচার তো অনেক দূরের ব্যাপার।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই, দেশে সামগ্রিক বিচারে প্রকৃত শিক্ষিত ও সৎ শ্রেণী গড়ে উঠছে না। তবুও আশাহত হওয়া যাবে না।
ভাল থাকবেন।
আর ওই কুলাঙ্গারগুলোর জন্য স্রষ্টার সুমতি কামনা করেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ওই কুলাঙ্গারগুলোর জন্য স্রষ্টার সুমতি কামনা করি। ভালো থাকবেন।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা যদি এখন কক্ষতায় না থাকলে, দেশে কি স্বরতণ্ত্র চালু থাকতো? শেখ হাসিনা না থাকলে, কে থাকার সম্ভাবনা ছিল?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: সেটা আমি কি করে বলবো! দেশের জনগন ভোট দিয়ে যাদের ক্ষমতায় আনতো তারাই থাকতো!

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অবশ্যই এই সব দেশে স্থায়ী ভাবে বসবাসের আরেকটি উপায় আছে, আর সেটা হল আপনাকে অনেক মেধাবী হতে হবে। আপনি যদি বুজাতে সক্ষম হন যে আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে ঐদেশ ভবিষ্যতে উন্নতি লাভ করবে তাহলে তারা আপনাকে সেই দেশে থাকবার সুযোগ করে দিবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: এখন আর মেধাবী হতে হয় না! ছোট্ট ট্রিকস ই যথেষ্ঠ! :)

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

ইফতেখার রাজু বলেছেন: ভাই ছোট্ট ট্রিকসটা আপনি অনুরণ করে দেখেনতো, আমরা দেখি আপনি কতটুকু সফল হন। ব্যক্তি স্বার্থে দেশকে খাটো করা ঠিক না। যারা করে তারা অপরাধী। কিন্তু যে দেশে জীবনের ও লেখনির নিরাপত্তা থাকে না। সেদেশে তো ছাড়াই বেটার। আর নিজের ঘাড়ে না চাপলে, অন্যদের ব্যথা বুঝা মুশকিল।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: এই দেশে তো কারোরই নিরাপত্তা নাই! তাই বলে নিজের দেশকে ছোটো করে যেতে হবে অন্য দেশে!!!

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ভাই, কি করলে যে কি হবে বুঝতে পারতেছি না।

৯| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে বুঝছে, সেই লাভবান হয়েছে!! আমরা বোকাচদুরাই শুধু.....।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.