নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাছে বেল পাকিলে তাতে কাকের কি

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

নগর জীবনে কাক নামক কুৎসিত কালো একটি পাখির কা-কা শব্দে প্রতিদিন সকালে আমাদের ঘুম ভাঙে। ঢাকা শহরে কাক ছাড়া অন্যন্য পাখিদের অস্তিত্ব খুব একটা দেখা যায় না। দু একটা চড়ুই পাখিকে মাঝেমধ্যে ফুড়ুৎ করে উড়ে যেতে দেখা যায়। গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙে, ফিঙে, শালিক,দোয়েল, বউ কথা কও পাখির ডাকে আর নাগরিক জীবনের একমাত্র পাখি হচ্ছে কাক। কাক যেহেতু নোংরা আবর্জনা খেয়ে বেচে থাকে তাই গ্রামে এদের উপস্থিতি শহরের তুলনায় কম।

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে গাছে বেল পাকিলে তাতে কাকের কি? বেলের মত শক্ত ফল কাকের খাওয়ার উপযোগী নয় তাই এই প্রবাদ। আবার একটি বাগধারা আছে 'কাকের বাসা' কাকের বাসা মানে আগোছালো জিনিষ পত্র। কাক খড় কুটো কাগজ,সহ যা পায় তাই দিয়ে বাসা বানায়, বাসাটি ভিষন অগোছালো তাই মেয়েদের চুলে দু একদিন চিরুনি না করলে সবাই বলে থাকে চুলগুলো কাকের বাসা বানিয়ে রেখেছো।

এক সন্তান জন্মদানকারী নারীকে কাকা বন্ধ্যা বলা হয় কারণ হিসাবে জানা যায় কাক একবারের বেশী বাচ্চা জন্ম দেয় না। আবার কোন কারণে কাকের সঙ্গিনী মারা গেলে কাক আর দ্বিতীয় বার সঙ্গী গ্রহন করে না। আর একটি প্রবাদ আছে 'কাক কাকের মাংস খায় না' অর্থাৎ স্বজাতি স্বজাতির ক্ষতি করে না।

কাককে নিয়ে একটি প্রচলিত গল্প : একদিন একটা কাকের প্রচন্ড তেষ্টা পেল। অনেক খুজতে খুজতে একটি কলসির একেবারে নীচে জল দেখতে পেল, যা তার পক্ষে পান করা অসম্ভব ছিল। হঠাৎ কাকের একটা বুদ্ধি এল সে কলসির মধ্যে ঠোট দিয়ে ছোট ছোট পাথরের টুকরো ফেললো তখন কলসির জল উপরে উঠে এল, এবং কাক তার তেষ্টা মেটালো। এটা একটি শিক্ষণীয় গল্প।


মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেচে থাকে বলে অনেকেই একে প্রকৃতির ঝাড়ুদারও বলে থাকেন। কাককে আমরা যতই ঘৃনা করি না কেন কাক কিন্তু আমাদের বন্ধু পাখি।

অনেকেই কাককে অমঙ্গলের প্রতিক মনে করে করে। 'কাক চরিত্র' নামের একটি বই রয়েছে যেখানে কাকের ডাককে বিশ্লেষণ করে মানুষের ভবিষৎবাণী করা হয়েছে।পৃথিবীর সব প্রাণী মানুষের কোন না কোন উপকারে আসে কাক ও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই কাকা অমঙ্গলের প্রতিক না ভেবে আমাদের বন্ধু ভারা উচিৎ।

কাকের কাছ থেকেও আমাদের একটা বিষয় শেখার আছে তা হচ্ছে একতাবদ্ধতা। কাকের বাসায় কোনদিন ঢিল মেরে দেখেছেন? ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না। পুরো কাক সম্পদায় আপনার উপর হামলে পাড়বে। হাজার হাজার কাক একসাথে কা-কা-কা শব্দ করে আপনার আরামের ঘুম হারাম করবে। তাই কাকাকে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকুন ।

একাটি সুবিধাবাদী পাখি হচ্ছে কোকিল, এরা গোপনে কাকের বাসায় ডিম পাড়ে(অনেকটা সুবিধাবাদী মানুষের মত)
কাক সেই ডিমে তা দেয়,বাচ্চা লালনপালন করে এরপর বাচ্চা উড়তে শিখলে কোকিলের বাচ্চা কোকিলদের সাথে মিশে যায়।

প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাকের অবশ্যয়ই প্রয়োজন রয়েছে। তাই কাককে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

(বি: দ্র: কাক নিয়ে অনেকেই এর আগে লেখেছেন আমি নিজের মত করে কিছু কথা লিখলাম)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

সনেট কবি বলেছেন: আপনি কি কাকের কাকা?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কাকের কাকা নই কাকের শুভাকাঙ্ক্ষী, মতামতের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.