নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্মৃতি (৩য় পর্ব)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬



যেখানেই থাকি মনটা এখনো পড়ে আছে রাবিতে। রাবি ক্যাম্পাসের ছবি দেখলেই এখনো নস্টালজিক হয়ে পড়ি। ২০০১-২০০৭ এর স্মৃতিগুলি এখনো জীবন্ত। মতিহারের প্রতিটি ধুলিকনা একান্ত আপন। ঢাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর কাউকে পেলেই নিজের আপনজন মনে হয়,তার সাথে রাবির স্মৃতিচারণ করি।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কখনো ক্লাসের জন্য অপেক্ষা আবার কখনো এমনিতে কত সময় আমরা কাটিয়েছি।সেমিনার লাইব্রেরিতে পড়াশুনার চাইতে অনেক বেশী গল্পই হতো। ক্লাসের ফাঁকে দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে জম্পেশ আড্ডা,সিলসিলার পুকুরপাড়ে আড্ডার ফাঁকেফাঁকে চা সিংগাড়া।

বিশেষ দিবসে মেয়েদের শাড়ি পড়ে সাজগোজ করে ঘুরে বেড়ানোরর দৃশ্য খুবই ভাল লাগতো। কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন এ বিভিন্ন সমিতির অনুষ্ঠানে গানের সাথে সাথে নৃত্য দারুণ উপভোগ করতাম।সূবর্ণ জয়ন্তীরর প্রগ্রামে এন্ড্রু কিশোরের সেই কর্নসাট এখনো চোখের সামনে ভাসছে।
বিকেলবেলা পশ্চিমপাড়া(মেয়েদের হলের সামনে) ঘোরা আমাদের নিয়মিত রুটিন, যাদের গার্লফ্রেন্ড ছিল তারা ছিল ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুখী মানুষ, আর আমরা ছিলাম ভবঘুরে অর্থাৎ দেখেই চোখের সুখ মিটিয়ে হলে ফিরে আসতাম।

সন্ধ্যার পর মাদারবক্স হল, সোহরাওর্দী হল,স্টেশন বাজার এলাকাগুলি খুব জমজমাট থাকতো। সব হলের ছেলেরা এই এলাকাগুলোতে আড্ডা দিতো। সোহরাওর্দী হলের পাশে মামার বানানো দুধ চা আমার জীবনে খাওয়া সেরা চা গুলোর মধ্যে অন্যতম, ঢাকায় এসে বহুত ভাল হোটেলে দুধ চা খেয়েছি কিন্তু আমি এখনো ওই চা কেই এগিয়ে রাখি,ওই চায়ের সাধ এখনো মুখে লেগে আছে। কেউ কেউ বলতো মামা মোষের দুধ দিয়ে চা বানায়। স্টেশন বাজারে মাদারিপুর হোটেলের সিস্টেম(সিক্স আইটেম) খায়নি এমন স্টুডেন্ট একজন ও খুজে পাওয়া যাবে না রাবিতে। সিস্টেম খাবারে মুলতো থাকতো হাফ ডিম,আলুভর্তা, শাক,পিঁয়াজু, ভাজি সব মিলিয়ে ৬টাকা নিতো, এই খারারটা রাতের বেলা পাওয়া যেতো। স্টেশন বাজারের যেকোনো খাবারে গ্যাটিস পাওয়া যেতো, গ্যাটিস হচ্ছে যেকোনো তরকারির সাথে একটু ফ্রি। এসব হোটেলে বট পরোটাও পাওয়া যেতো, বট হচ্ছে গরুর ভুড়ি ভাজা এটাও আমার একটা প্রিয় আইটেম ছিল।

সত্যি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর স্মৃতিগুলি আজ ও মনের ভিতর জীবন্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.