নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাতৃত্ব

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৯

অশিক্ষিত আর শিক্ষিত মানুষের পার্থক্য হল অশিক্ষিত মানুষেরা মনের রাগ ক্ষোভ দু:খ পুষে রাখে না আর শিক্ষিত মানুষেরা এগুলো বুকের মধ্যে জমিয়ে রাখতে রাখতে বুকটাকে রাগ দু:খ ক্ষোভের পাহাড় বানিয়ে ফেলে। এই যেমন অনুর শাশুড়ি যদি অশিক্ষিত মানুষ হতেন তাহলে হয়তো বলতেন যে মেয়ের মা হওয়ার ক্ষমতা নেই সে মেয়ে সংসারে না থাকাই ভাল, এমন মেয়ে সংসারে অমঙ্গল ডেকে আনে । কিন্তু উনি এসব কিছুই বলেন না, কিন্তু উনার চালচলনই বলে দেয় উনি অনুর উপর খুবই বিরক্ত। অনুর শাশুড়ি একদিন মনের দু:খের কথা মোবাইলে এক আত্মীয়কে বলছিলেন শোনার কোন ইচ্ছা না থাকলেও অনুর কানে এসেছিল। উনি বলছিলেন
-জীবনে কত শখ ছিল ছেলে বিয়ে দিবো ঘরে ফুটফুটে নাতি আসবে, হাসবে খেলবে সারা ঘর মাতিয়ে রাখবে। কিন্তু ছেলেটা নিজের পছন্দে সমবয়সী মেয়ে বিয়ে করলো। এখন বাচ্চা হচ্ছে না,আমার মেধাবী ছেলেটা কি দেখে যে এমন বউ ঘরে আনলো বুঝি না।

অনুদের গ্রামের বাড়ির উঠানের পাশে একটা আম গাছ ছিল, একদিন অনুর দাদু গাছটি বিক্রি করে দিলেন, অনু দাদুকে সেদিন বলেছিল
-দাদু গাছটি আমাদের আম না দিক ছায়াতো দেয় কেটে ফেলার দরকার কি?দাদু সেদিন বলেছিলেন
-গাছটি বেশী জায়গা দখল করে আছে। এই জায়গায় আমরা যদি একটি নতুন উন্নত জাতের আম গাছ লাগাই তবে তাড়াতাড়ি আমও খেতে পারবো আবার এত জায়গাও দখল করবে না। অনুর আজ কেন যেন সেই নিস্ফলা আম গাছটার কথা মনে পড়ছে।


পৃথিবীর প্রতিটি মেয়ের মত অনুও চায় মা হতে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা মনে হয় একজন মানুষকে একজীবনে সব কিছু দেন না। মফস্বল থেকে উঠে এসে নামি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশুনা করেছে অনু , ক্লাশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটির সাথে তার বিয়ে হয়েছে,রাসেল এখন অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। অনু নিজেও খুব ভাল একটা প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা। স্টুডেন্ট লাইফে অনু আর রাসেলের জুটি অনেকেরই হিংসার কারণ ছিল। ওরা দুজন ক্লাশের অন্যদের থেকে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল। অথচ আজ অনুর কাছে সবকিছুই অসহ্য লাগে আরো অসহ্য লাগে যখন অনুকে একটু হাসি খুশি দেখলেই কেউ জিজ্ঞাসা করে
-কি এত খুশি কেন? নতুন কোন খবর আছে নাকি? সব মানুষের ভাবনা এমন
যে মেয়ের বাচ্চা হয় না তার হাসতে নেই। পৃথিবী কত রং রুপ, পৃথিবীতে সব মানুষ কতই না সুখে আছে অনুর মনে হয় সে একাই অসুখী মানুষ। পৃথিবীর সব মানুষকে নিজের শত্রু মনে হয়,পৃথিবীর মানুষেরা তাকে এমন একটি বিষয় নিয়ে দোষ দেয় যে বিষয়ে তার নিজের কোন হাত নেই। দেশে বিদেশে কোন ডাক্তার বাদ দেয়নি অনু কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মানুষের কাছে এরচেয়ে বেশী আর কিই বা করার আছ?

উপরোক্ত ঘটনাটি গল্পের আকারে বললেও এমন ঘটনা আমাদের সমাজে আজও অহরহ ঘটছে। একটি মেয়ের মা হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণই নিয়তির হাতে, শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই বিষয়টি বুঝে। একজন মেয়ের মা হতে না পারার কষ্ট মেয়েটি ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না। এই বিষয়ে যদি তাকে দোষারোপ করে একটি কথাও তাকে বলা হয় তবে মেয়েটি কি পরিমাণ কষ্ট পেতে পারে তা আমাদের উপলব্ধি করা উচিত।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের মানুষ অশিক্ষিত, ওরা ক্ষতের উপর লবন ছড়ায়

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমার পোষ্টের মুল বক্তব্য এটাই, ধন্যবাদ গাজী ভাই।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমরা মানুষ ভুলে যাই ক্ষমতাগত দিক থেকে আমরা কতোইনা সংকীর্ণ। গল্পটিতে সত্যি এই সমাজের একটি সিন ফোটাটে পেরেছেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এমন কিছু বিষয় যেটা আমরা সাবাই বুঝি কিন্তু কাউকেতো দোষারোপ করাই লাগবে।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩২

নাহিদ০৯ বলেছেন: গল্পের ছলে লিখা খুবই বাস্তব একটি ঘটনা। অনুর জন্য দোয়া রইলো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সমাজ চলছে কতগুলো আবদ্ধ নিয়মে। কিন্তু প্রকৃতি চলছে আপন গতিতে। আমরা প্রকৃতিকে গ্রহণ না করে সামাজিক আবদ্ধতা গ্রহণ করে সংকীর্ণ হচ্ছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পৃথিবী এগিয়ে গেছে আমরা নিজেদের আধুনিক মানুষ মনে করি কিন্তু চিন্তা চেতনায় আমরা সেকেলে। ধন্যবাদ শাহাদাৎ ভাইয়া।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: তারেক ভাই,


আমাদের দেশের উঁচু শ্রেণির পেটুক শিক্ষিতরা যদি গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ করতো, তবে এমমন কুসংস্কার দূর হত।
আপনার লেখা সেইরকম ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমরা অনেকেই শিক্ষিত হয়েছি কিন্তু মনের আধার দূর হয়নি। ধন্যবাদ সৈয়দ ইসলাম ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৮

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: AJAIRA VALENTINE'S DAY SPECIAL FUNNY INTERVIEW | কঠিন রিপোর্টার*Link:- https://youtu.be/1Ng753Di9Pw

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলেই ফানি। রিপোর্টার কি আপনি?

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মানুষগুলো বুঝে ও বুঝে না।

অনু'দের জন্য শুভকামনা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মানুষগুলো সবকিছু বুঝেও নির্বোধ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের সমাজে সচরাচর ঘটা একটা অন্যায় বিষয়কে আপনি গল্পের ছলে চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন। মা না হতে পারা সব মেয়ের জন্যই কষ্টের, এই বিষয় নিয়ে খোটা দেয়া আরো কষ্টের। আল্লাহর ইচ্ছা না হলে যে কিছুই ঘটে না তা আমরা মনে রাখি না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যে বিষয়টি নিয়তি হাতে সেটা কাউকে দোষারোপ করা উচিৎ নয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৬

ওমেরা বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: আমাদের সমাজে সচরাচর ঘটা একটা অন্যায় বিষয়কে আপনি গল্পের ছলে চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন। মা না হতে পারা সব মেয়ের জন্যই কষ্টের, এই বিষয় নিয়ে খোটা দেয়া আরো কষ্টের। আল্লাহর ইচ্ছা না হলে যে কিছুই ঘটে না তা আমরা মনে রাখি না। একমত

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: করুণাধারা আপু আমার পোষ্টের মুল বক্তব্য তুলে ধরেছেন, আপুর সাথে সহমত পোষনের জন্য ধন্যবাদ ওমেরা আপু।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বাস করুন, এই আধুনিক সমাজে এসেও আমাদের সমাজ এখনও উন্নত হয়নি।
একটা শিক্ষিত মেয়ে চাকরির জন্য কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে- মেয়েটার সাথে তার মা অথবা বাবা যায়।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলেই তাই সেই সংকীর্ণ মন মানসিকতা থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারিনি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

সায়েদুল ইসলাম এর বাংলা ব্‌লগ বলেছেন: দুঃখজনক বাস্তবতা। সংকীর্ণতা দূর করা প্রয়োজন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, কিছু বিষয় আছে আমরা বুঝেও বুঝতে চাই না। মন্তব্যের ধন্যবাদ সায়েদুল ইসলাম ভাই।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনু গল্প হিসাবে 'অনু' ভাল লাগলো।তবে আমার মতে অনুর সমাজে অনেক দায়িত্ব আছে। প্রথমত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সমস্যাটি অনেকটা সমাধান মুক্তো।দ্বিতীয়ত অনুদের মত সম্পন্ন দম্পতি একটি বাচ্চা দত্তক নিয়ে সমাজকে একটি মেসেজ দিতে পারে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ বলেছেন পদাতিক ভাইয়া, কিছু বিষয় সম্পুর্ণই নিয়তির হাতে। অনুর হয়তো এখনো আশা আছে সন্তানের মা হওয়া দওক নেওয়াতো সর্বশেষ পদক্ষেপ।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পে আধুনিক সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।


বন্ধ্যাত্বের যন্ত্রণা আসলে কষ্টের।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত, তার উপর যদি অন্যরা কাটাঘায়ে নুনুর ছিটা দেয় তবে সেটা আরো কষ্টের । সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কবির ভাই।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি গল্পের আদলে লেখা হলেও এর অন্তর্নিহিত বক্তব্য খুবই মুল্যবান। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব কিছু দেন না, কিন্তু তিনি সবাইকেই সম্মান করতে বলেছেন, সবার সাথে সদাচারন করতে বলেছেন। এই কথাটা মনে রাখা উচিৎ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দূর্বল জায়গায় আঘাত করা মানুষের মজ্জাগত স্বভাব। ধন্যবাদ হেনা ভাই সুন্দর মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.