নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাপের কামড়

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

আমাদের গ্রামে এক সময় সাপের খুব উপদ্রব ছিল। প্রতি বছরই সাপের কামড়ে দুএকজন মারা যেত। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল সাপের কামড়ের কোন চিকিৎসা নেই। একমাত্র ওঝারাই সাপে কাটা রোগীকে ভাল করতে পারে। এ ধারণার জন্য শুধু গ্রামের মানুষকে দোষ দিলে হবে না, বাংলা সিনেমা এমনকি হিন্দি সিনেমার পরিচালকরাও দায়ী। একসময় সাপ এবং ওঝাদের কারিশমা নিয়ে উদ্ভট সব সিনেমা বানানো হতো। ওঝারা বিন বাজিয়ে সাপকে ডেকে এনে বিষ তুলিয়ে দিতো। এইসব উদ্ভট কাহিনীর সিনেমার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।এখনো গ্রামের মানুষ সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে যায়, তাদের ধারণা হসপিটাল এ নেওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু।

আমার চাচা(বাবার চাচাতো ভাই) একজন শক্ত সামর্থ্য পুরুষ ছিলেন। একদিন রাতের বেলা রাস্তাদিয়ে বাড়ি ফেরার সময় উনাকে গোখরা সাপে কামড়ায়। উনি রাতের অন্ধকারে সাপটাকে দেখতে পাননি। ভেবেছিলেন উনাকে চিকা বা ইদুরে কামড়িয়েছে। উনি তাই কামড়ানো জায়গাটি বাধাও প্রয়োজন মনে করেন নি। একঘণ্টা পর উনার প্রচণ্ড পানির পিপাসা পায় উনি নিজেই দুতিন গ্লাস পানি খেয়ে ফেলেন। ততক্ষণে সাপের বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে, শরীরে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর চাচা ঘটনাটি দাদীকে(উনার মাকে) বলেন। দাদী ঘটনা শুনে এবং কামড়ের দাগ দেখে বুঝে ফেলেন ওটা সাপের কামড়। তাড়াতাড়ি একটা কাপড় দিয়ে পায়ের হাটুর একটু নিচে বেধে ফেলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে, সেই রাতেই চাচাকে ওঝার বাড়িতে নেওয়া হয়। ওঝা নানারকম তন্ত্রমন্ত্র পড়ে ফু দিতে থাকেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন লাভ হয় না। ওঝার বাড়িতেই চাচা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মাত্র ৫-৬ ঘন্টার একজন শক্ত সামর্থ্য মানুষের মৃত্যু হয়।

গ্রামের রাস্তাঘাট এখন পাকা হয়ে গেছে, গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে এখন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে, গ্রামের ছেলেদের হাতে এখন মোবাইলফোন, ইন্টারনেট। সাপও এখন বিলুপ্ত পায় প্রাণী। তবে গ্রামের ঝোপঝাড়ে কিছু সাপ রয়ে গেছে। কিছুদিন আগে শুনলাম গ্রামের একটা ছেলেকে সাপে কামড়িয়েছে। তাকে যথারীতি ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সে ওঝার ঝাড়ফুকে ভাল হয়ে গেছে। পৃথিবী উন্নত হলেও সাপে কামড়ানো রোগীর ব্যাপারে এখনো সেই আদিযুগের ধ্যানধারনাই রয়ে গেছে।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এব্যাপারে সরকার ও জনগন কারো কোন সচেতনতা নেই এবং ভাল ধারনা না থাকায় কেউ হাসপাতালেও যায়না।

অথচ বিদেশে ভেকসিন সাথেই রাখে যখন সাপে কামড়ায় সাথে সাথে ভেকসিন বা টেবলেট খেয়ে ফেলে ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনা।
আর আমরা পড়ে আছে ওঝা, বৈদ্য নিয়ে।

বর্ষাকালে এদেশে সাপের কামড়ে বেশি মানুষ মারা যায়।

সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন এখনো বর্ষাকালে বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে প্রচুর মানুষ মারা যায় সাপের কামড়ে। এব্যাপারে সচেতনতা সেই আগের পর্যায়েই রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে কোন প্রচারণা নেই সরকারের তরফ থেকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: অমার এক কাজিনও সাপের কামড়ে(অসচেতনতায়) মারা গিয়েছে।:(

সার্প দংশনে অবহেলা নয়, ওঝা/কবিরাজ নয়, দরকার সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা।।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাপের কামড়ে করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই অজ্ঞ, তাই সবাই ওঝার কাছে দৌড়ায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিজাম ভাই।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: ভাই সাপের কামড়ের যে ভ্যাকসিন আছে এটাও তো মানুষের জানা দরকার ! সরকার অনেক বিষয়ের প্রচারণা চালালেও এই বিষয়ে কোনদিন কোন প্রচারণা করেছে বলে আমার জানা নাই । আমাদের দেশে সরকারের বোধোদয় হতে হলে আগে মানুষের প্রচন্ড রকমের ক্ষয়ক্ষতি হতে হয় তাছাড়া সরকার বুঝতে পারে না কোন বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করা উচিত। আবার সাপের কামড়ের পর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বলে ভ্যাকসিন নাই ! মানুষেরই বা দোস কিসের ...

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না এই অভিযোগ আমিও শুনেছি। এ বিষয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা কোনদিনই ছিল না
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রকি ভাই।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সাপ আমি খুব ভয় পাই।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাপের ভয় সবাই পায়, সাবধানে থাকবনে, যেখানে সাপের (বাঘের) ভয় সেখানেই রাত হয়।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

ডাঃ সাইফুল বলেছেন: আসলে বাংলাদেশে ৯৯% সাপের সিরিয়াস বিষ ক্রিয়া থাকে না । তবে প্রশ্ন হল সাপে কামড় দিলে মানুষ কেন মারা যায় ? আসলে সাপে কামড় দিলে মানুষ ভয় পেয়ে যায় , ফলে কার্ডিয়াক এরেস্ট ( হার্ট এটার্ক ) হয় । এই কারণে সাপের বিষের চেয়ে হার্ট এটার্কে মারা যায় অধিকাংশ । আপনার চাচার ক্ষেত্রে তো হয়তো তাই হয়েছে, সাপে বিষ একটু থাকতে পারে । তবে উনি যখন শুনল উনাকে সাপে কামড় দিয়েছে , তখন হয়তো সমস্যা আরও বেশি হয়েছে । কিংবা বিষাক্ত সাপও হতে পারে ।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল তথ্য দিলেন স্যার ৯৯% সাপই বিষাক্ত নয়, আসলেই তাই আমরা সাপ দেখলেই অনেক বেশী ভয় পেয়ে যাই, অনেকে স্টোকেও মারা যায়। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা রইলো ধন্যবাদ ডাঃ সাইফুল।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: বাংলাদেশের ডাক্তার আমি বিশ্বাস করিনা এরা কিছুই করতে পারে না। তাই ওঝারা যা পারে তাই ভালো। সাপে কাটলে মরলেও ওঝারাই ভালো। ডাক্তারের কাছে গেছে মরবেই তো আরো কষ্ট দিয়ে মারবে ওরা।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমি ডাক্তার নই, এ বিষয়ে তেমন জ্ঞান রাখিনা,আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের ধারনা আপনার মতই। সাপে কাটলে ওঝার কাছেই যেতে হয়। আপনি ডাঃ সাইফুল স্যারের মন্তব্য পড়েন কিছুটা ধারণা পাবেন আশাকরি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কলি আপু।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

মি.তানভীর বলেছেন: হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও সাপের কামডের ব্যাপারে এখনও মানুষ সচেতন হতে পারেনি বা সরকারের তরফ থেকেও তেমন কোনো উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি!

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এখনো বর্ষাকালে সাপের কামড়ে প্রচুর মানুষ মারা যায় কিন্তু সরকারের কোন সচেতনতামুলক কর্মসূচি নেই। ওঝারাই ভরসা গ্রামের মানুষের।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গ্রামের মানুষদের মাঝে এখনও অনেক কুসংষ্কারই রয়ে গেছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হুম সাপে কামড়ালে এখনো মানুষ ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কথা ভাবতেই পারেনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: এটা ঠিক হবে ধীরে ধীরে। ওঝারা বিলুপ্ত হলেই এই ধ্যান ধারণা শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ওঝাদের না খেয়ে মরতে হচ্ছে, আশাকরি তাদের ছেলেমেয়েরা এই পেশায় নিয়োজিত হবেনা।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাপই এখন বিলুপ্তির পথে তবে পৃথিবীর বিভিন্নদেশে সাপের চাষ শুরু হয়েছে। ওঝা একদিন বিলুপ্ত হবেই তার আগেই অনেক প্রাণ ঝরে যাবে সাপের কামড়ে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সালা উদ্দিন শুভ ভাই।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: সাপ নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে এখনো মিথগুলো কিছু আধাশিক্ষিত মানুষ বিশ্বাস করে বলেই ওঝা ডেকে পাঠায়। এ নিয়ে সরকারী-বেসরকারী সচেতনতাও তেমন একটা চোখে পড়ে না।

যদিও এখন আর সেইরকম সাপের উপদ্রপ নেই সাপরুপী মানুষের অত্যাচারে রিয়াল সাপেরা গর্তে...।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যদিও এখন আর সেইরকম সাপের উপদ্রপ নেই সাপরুপী মানুষের অত্যাচারে রিয়াল সাপেরা গর্তে... ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই দারুণ বলেছেন।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

সুমন কর বলেছেন: মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এখনো মানুষ সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তারের উপর ভরসা করতে পারে না। উপরে কলি আপুর মন্তব্য দেখুন। এখনো বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এমনই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমাদের গ্রামে এক লোকের নিকট অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটা পাথর আছে যেটা সাপে কাটা রোগিদের দংশন স্হানে বা অন্য জায়গায় ব্লেড দিয়ে লাগানো হয়। বিশ্বাস করেন বা না করেন অনেক বিষধর সাপে কাটা রোগী ভালো হয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। এবং এখনো। সে কিন্তু কোন ওঝা নয় বা কোন টাকা নেয়না। আমিও তার কাছে চিকিৎসা নিয়েছিলাম, বেচেও আছি আল্লাহর রহমতে

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাপে কাটা রোগীদের ব্যাপারে এখনো মানুষ ডাক্তারের উপর ভরসা করতে পারে না, আপনার মত হাজার হাজার অভিজ্ঞতা আছে তালেব ভাই।
উপরে ডাঃ সাইফুল সাহেবের মন্তব্য আছে পড়ে দেখতে পারেন।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার অভি জ্ঞতা কে সম্মান জানাই। আমি যে পাথরটার কথা বললাম সেটা নিয়ে আপনার মতামত/ধারনা কি?

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা আছে যার ব্যাখ্যা নেই, আবারো ধন্যবাদ তালেব ভাই।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ডাক্তার সাহেবের কমেন্ট আমি না পড়া হয়নি

১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একটু পড়ে দেখেন, উনার ব্যাখ্যা চমৎকার।

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: ভাই সাপকে আমি সব চেয়ে বেশি ভয় পায়
সাপে কামড় দিলে দেখলে ভয়ে মারা যাব

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাপকে সবাই ভয় পায় , মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোজাহিদুর রহমান ভাই ।

১৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সাপ ওরে বাপ,সে তো বিষেভরা নাগীন নয় আবার!
সাপ থেকে সাবধান, যদি সাপে কামড় দিয়েই ফেলে তড়িৎ নিকটতম হসপিটালে যাওয়া চাই। এই বিষয়ে আমাদের সচেতনা আরো বাড়াতে হবে। আপনার পোস্টটি জনসচেতানামূলক। ধন্যবাদ তারেক ভাই।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুজন ভাই ,সাপে কামড়ালে এখনো মানুষ ডাক্তারের চেয়ে ওঝাকেই বেশী ভরসা করে ,সেজন্যই এই পোষ্ট ।

১৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সাপে কাটলে ডাক্তারি সঠিক চিকিৎসা দরকার... ।
এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সচেতনতা বেশী প্রয়োজন ,মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ভাই ।

১৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতি ২/৩ গ্রামে একজনকে সাপের সিরাম প্রয়োগের ট্রেনিং দিয়ে, থানাতে সিরাম সংরক্ষণ করে, আইন করে ওঝাদের চিকিৎসা বন্ধ করা উচিত।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ বিষয়ে সরকারের কোন খেয়ালই নেই, সাপের কামড়ের একমাত্র ভরসা ওঝারাই।

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১০

হাঙ্গামা বলেছেন: চাঁদগাজীর সাথে একমত।
সাপ দেখলেই আমার গা রি রি করে ওঠে।
সাপ বিষয়ক পোষ্ট ভালো হয়েছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে সাপে কাটারোগীদের আধুনিক চিকিৎসা দিতে হলে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে,ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাঙ্গামা ভাই।

২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাপের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসা আমার জানা নেই। ওঝাদের ঝাড়ফুঁক অনেক প্রাচীন পদ্ধতি। এবং কার্যকর।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমারো জানা নেই আসলে এ বিষয়ে তেমন প্রচারণা নেই, ডাঃ সাইফুল সাহেবের মন্তব্যটি পড়ে দেখতে পারেন সেলিম ভাই।

২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫০

ওমেরা বলেছেন: ধুর ছবি দেখেই ভয়ে গা শির শির করছে ।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলেই আপু সাপের ছবি দেখলেই গা শিরশির করে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওমেরা আপু।

২২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিভাগিয় শহরের প্রধান হাসপাতাল ছাড়া সাপের এন্টিভেনাম পাওয়া যায় না। কাউকে সাপে কামড়িয়েছে বাট সাপটি বিষাক্ত ছিলনা এরকম কাউলে এই এন্টিভেনাম দিলে লোকটি ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় মারা যাবে।
আবার ওঝার চিকিৎসায় সাপে কাটা রোগি মারা না যাবার বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা আছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সাপে কাটা রোগীর ৪৫ শতাংশ মারা যায় হার্ড এটাকে। এই ক্ষেত্রে বিষাক্ত সাপে না কামড়ালেও । যদি তার ওঝায় বিশ্বাস থাকে, ওঝা ঝাড় ফুক করার পর তার মনে এই বিশ্বাস জন্মে যে সে বিষ মুক্ত হয়েছে তাহলে হার্ড এটাকে মরার আশংকা থাকে না ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ন: বিভাগিয় শহরের প্রধান হাসপাতাল ছাড়া সাপের,এন্টিভেনাম পাওয়া যায় না। কাউকে সাপে কামড়িয়েছে বাট সাপটি বিষাক্ত ছিলনা এরকম কাউলে এই এন্টিভেনাম দিলে লোকটি ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় মারা যাবে।
এইবার বুঝলাম মানুষ কেন হাসপাতালে যেতে চায় না ,সুন্দর মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম ,ধন্যবাদ লিটন ভাই।

২৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪০

তারেক ফাহিম বলেছেন: ডাক্তার সব কিছু করলে ওঝারে কী করবে ;)

ওদেরওতো পেট পুত আছে :D

তবে আমি অনেক ভয় পাই

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে ওঝাদের চিকিৎসায় রোগী ভাল হয়ে যাওয়ার, ওঝারাই এখনো সাপে কাটা রোগীর জন্য ভরসার প্রতিক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই।

২৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধার্মিকগনই পাথর ওঝা এই সব বেশী বিশ্বাস করে, উপরের কমেন্ট থেকে প্রমানিত।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বিশ্বাস না করে কি করবেন সরকার যেখানে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ, সেখানে এইসব পাথর ওঝা বিশ্বাস না করে উপায় কি?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অগ্নিবেশ ভাই।

২৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আইন করে এইসব ওঝাদের দমন করা উচিৎ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ওঝাদের দমন করা যেমন জরুরি তেমনি সাপে কাটা রোগীর জন্য সঠিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সাপে কাটিলে ওঝার কাছে যাইতে হইবে নাকি ডাক্তারের কাছে ইহার নির্দেশনা ধর্ম দেয়নাই ! ইহা প্রচলিত সংস্কার ! আগে গ্রামে ধাত্রীরাই প্রসবে সাহায্য করিত। পরে কমিউনিটি ক্লিনিক অসিলেও অপ্রতুল বিধায় সরকার ধাত্রীদেরই প্রশিক্ষণ দিয়াছিল যাহা ফলপ্রসুই হইয়াছে ! যেহেতু চিকিৎসা অপ্রতুল , তাই ওঝাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সরকার করিতে পারে। এটলিস্ট, যে সাপ কামড়াইয়াছে তাহা বিষাক্ত কিনা তাহা সনাক্ত করিয়া হাসপাতালে দ্রুত পাঠাইতে পারে। ইহাতেও বহু রোগীর জীবন রক্ষায় সহায়তা হইতে পারে !

ওঝা একটি প্রান্তিক পেশা। ইহাদের দূরে না সরাইয়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিলে প্রাথমিক চিকিৎসা ইহারাও করিতে পারে, তাহাদেরও অস্তিত্ব রক্ষা হয়।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ওঝাদের ট্রেনিং দেওয়ার বুদ্ধিটা ভাল, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাধবে?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ টারজান ভাই।

২৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটলে এন্টি ভেনোমগুলো পাওয়া যায় না? আমি একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম | ওখানে যে জিনিষটা বললো সেটা হলো জোট বিষধর সাপের কামরাক না কেন দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া গেলে প্রায় সব রোগীরই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব |এই সাপে কাটা নিয়ে সবাইকে সচতন করা দরকার সবাইকে |দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থাটাই এখানে আসল প্রতিষেধক |

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটলে এন্টি ভেনোমগুলো পাওয়া যায় না? এটাই বাস্তবতা, এ কারণেই মানুষ ওঝার উপর নির্ভরশীল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাইমুলইসলাম ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.