নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার গ্রামের বৈশাখী আয়োজন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

পার হয়ে গেল আরো একটি পহেলা বৈশাখ। শহুরে জীবনে  সেজেগুজে রমনার বটমূলে যাওয়া পান্তাইলিশ, বৈশাখী মেলা,টিভি চ্যানেলগুলোতে বৈশাখের নানা আয়োজন ঈদের মতই আর একটি উৎসবের আবহ তৈরি করেছিল। ইদানীং যুক্ত হয়েছে সরকারি চাকুরীজীবীদের বৈশাখী ভাতা,আর বেসরকারি চাকুরীজীবীদের বসে বসে দেখা ছাড়া উপায় নেই। আমার বাড়ি নড়াইল জেলায়,গ্রামের নাম ব্রাক্ষণডাঙ্গা। এ বছর স্বপরিবারে নিজ গ্রামের বাড়িতে পহেলা বৈশাখ কাটালাম। প্রতি বছর আমাদের গ্রামে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখীমেলা, জারি গান,ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুইশত বছরের পুরানো এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবার গ্রামে বসে প্রত্যক্ষ করলাম। 

গ্রামের ফসলের মাঠগুলো এ সময় খালি থাকে, সেই খোলামাঠেই আয়োজন করা হয় ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা । ২০-৩০ ঘোড়া এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার একটা অমানবিক বিষয় আছে। ঘোড়াদৌড়ের সময় আট থেকে দশ বছরের শিশুদের ঘোড়ার সাওয়ার করা হয়। অনেকটা সেই উটের জকির মত। অনেক বাচ্চা ঘোড়া থেকে পড়ে বড় ধরনের ব্যথা পেতে দেখেছি।  মেলা অয়োজক কমিটি বিজয়ীদের মধ্যে ১ম ২য় ৩য়  পুরস্কার তুলে দেন। মেলায় বাশ,মাটি, কাঠের তৈরি খেলনার পাশাপাশি বিভিন্ন তৈজসপত্রও পাওয়া যায়। এছাড়া কসমেটিক্স, নানা রকম মিষ্টি, কাঠের আসবাবপত্রও পাওয়া যায়।

একসময় জুয়া খেলাও ছিল এই মেলার অন্যতম একটি আকর্ষণ,এবার প্রশানের হস্তক্ষেপে জুয়া বন্দ হয়েছে।তবে জুয়ার মত ছোটখাটো কিছু আয়োজন রয়ে গেছে।

সন্ধ্যার পর শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী জারী গানের আসর। এই আয়োজন তিনদিন ব্যাপি হয়। নড়াইল জেলায় এমনিতেই অনেক গুনি বাউল শিল্পিদের জন্মস্থান। বিজয় সরকার,মোসলেম বয়াতি তাদের মধ্যে অন্যতম। উনাদের কিছু শিষ্য এখনো জারি গানের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। রাত দশটার পর শুরু হয় জারিগান, সারারাত ধরে চলতে থাকে জারিগানের আসর।  গ্রামের পুরুষ মহিলারা সারারাত উপভোগ করে এই জারিগান। কয়েকশত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী এই মেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্য আনন্দের স্রোত বয়ে যায়। গ্রামের বাচ্চারা কয়েকমাস আগে থেকে মেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। ছোট বেলায় আমরা কয়েকমাস আগে থেকেই টাকা জমাতাম মেলার জন্য। মেলা উপলক্ষে দুরদুরন্ত থেকে আত্মীয়স্বজনরা  আশপাশের গ্রামের বিভিন্নবাড়িতে এসে ভিড় জমায়। প্রত্যেক বাড়িতেই ঈদের মতই উৎসবের আবহ তৈরি হয়। যাদের পুকুর আছে তারা জাল দিয়ে পুকুর থেকে বড় মাছটি ধরেন। ঈদের মত গ্রামে গরু জবাই হয়। মেলা উপলক্ষে গ্রামের বাচ্চারা ঈদের সেলামীর মতই বড়দের কাছ থেকে কিছু টাকা পেয়ে থাকে। মানে প্রকৃত উৎসব বলতে যা বোঝায় তার সব অনুসঙ্গই আছে এ মেলায় আমাদের গ্রামের এই মেলায়। আগামীতে সকলকে নিমন্ত্রন আমাদের এই বৈশাখী উৎসবে।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, এটাই ছিলো আসল বৈশাখী; শহরের চিল-কাউয়ারা সব সময় কাজের থেকে অকাজ করে বেশী।

আশাকরি, গ্রামের সাধরণ মানুষের ছেলেমেয়রা সামান্য কিছু হলেও কিনতে পারেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বৈশাখের প্রকৃত আমেজ গ্রামেই পাওয়া, তাই প্রতি বছর চেষ্টা করি নিজগ্রামে বৈশাখ উৎযাপন করতে। গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন অনেক ভাল, যেসব বাড়িতে একসময় খড়ের ঘর এখন সেসব বাড়িতেই পাকা দালান। গ্রামের মানুষের কাছে ঈদের চেয়েও বড় উৎসব বৈশাখী মেলা। তাই সবাই অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয় এই মেলাকে কেন্দ্র করে। গ্রামের শিশুরা মন ভরে কেনাকাটা করে মেলায়। মেলার দোকানীরাও স্বাভাবিক দামই রাখে সব জিনিষের।

অনেক ধন্যবাদ গাজী ভাই।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ইস ভাইয়া খুব ইচছে করছে বাস্তবে ফিরে যেতে।
আমরা যেতে চাই তিন দিনের অতিথি হয়ে<

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ বছর মেলা উপলক্ষে আমাদের বাড়িতে ২০ জনের মত অতিথি ছিল। সত্যি এই মেলা অসাধারণ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রোকনুজ্জামান ভাই।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন

@চাঁদ গাজী

@ ভাইয়া

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই মেলা সত্যি বাঙালীর প্রাণের মেলা।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ছবিগুলো দেখে ভাল লাগল। মেলায় কেমন কেনাকাটা করলেন?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। আমার মেয়ে, ভাগনে ভাগ্নি, আমাদের বাড়ির কেয়ারটেকারের মেয়ের জন্য কিছু খেলনা কিনেছি। তবে ধুলাবালির কারণে মিষ্টি চানাচুর এগুলি কিনিনি। ধন্যবাদ অয়ন ভাই।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের মেলাতে বেশ কয়েকবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। মেলায় খুব মজা, খুব আনন্দ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গ্রামের মানুষের কাছে বৈশাখী মেলা খুবই কাংখিত উৎসব। বিশেষ করে বাচ্চাদের আনন্দ সীমাহীন। মন্তব্যের জন্য জন্য রাজীব ভাই।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আর একটা কথা, বাংলাদেশের সব গ্রামের মেলা একই রকম লাগে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হুম সেটাইতো স্বাভাবিক, তবে আমাদের মেলার বাড়তি আয়োজন ঘোড়দৌড় ও জারিগান। মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

সামিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর মেলা

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া আপু। আসলেই অনেক সুন্দর আয়োজন।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গ্রামের মানুষের কাছে বৈশাখী মেলা খুবই কাংখিত উৎসব। বিশেষ করে বাচ্চাদের আনন্দ সীমাহীন। মন্তব্যের জন্য জন্য রাজীব ভাই।


মন্তব্য করা আমার দ্বায়িত্ব।
ভালোবাসা নিরন্তর।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি সবসময় আপনার দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেন এজন্য আপনার জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। অনেক ভালবাসা আপনার জন্য।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই চিত্র আমাদের চির পরিচিত।
বর্তমানে শহরের প্রাণহীন বৈশাখ
পালন করে সেই স্বাদ পাইনা,
তাই আর মেলাই যাইনা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হুম ঢাকার মেলা সত্যি অতিমাত্রায় কৃত্রিম, আর গ্রামের মেলা হচ্ছে গ্রামের মানুষের প্রাণের মেলা।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

আরাফআহনাফ বলেছেন: আপনার ছবিগুলো ফিরিয়ে নিলো আমার ছোট্টবেলার সেই মেলায় -
যা ছবি দিয়েছেন সবই আমার দেখা, এই রূপেই, তফাৎ বলতে আপনার ছবিগুলো ২০১৮ এর আর আমার ছবিগুলো ১৯৮২/৮৩ সালের।

অনেক ভালো লাগলো - ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল লাগছে আপনার ছোটবেলা মনে করিয়ে দিতে পেরে। অনেক ভালবাসা রইলো।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো ভাল লেগেছে বিশেষ করে পানের ছবিটা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সোহেল ভাই মনে হয় পান পছন্দ করেন? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো ভাল লেগেছে বিশেষ করে পানের ছবিটা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আপনি আসতে চেয়েছিলেন মেলায়, আসলেন না যে?

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ দুই নূর+নুর ভাই ----
ঝালকাঠির সূর্যমনির মেলার কি কোন খবর নাই /:)
যদি সম্ভব হয় দ্রুত জানাতে ও জানতে চাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আশাকরি নুরু ভাই আপনার প্রশ্নের উওর দিবেন।

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন মেলাগুলো আমি খুবই উপভোগ করি। পোষ্টে ভালোলাগা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবি তোলার কলাকৌশল আমার জানা নেই, মেলায় গেলাম ভাবলাম মোবাইলে কিছু ছবি তুলি সামুতে শেয়ার করা যাবে সেই ভাবনা থেকেই ছবি তোলা। মন্তবব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের এমন মেলার পরিবেশ শহরের চেয়ে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবিগুলো ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো প্রামাণিক ভাই । অনেক ভালবাসা।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !!!
একদম ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন !!!
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ছবি আর লেখার জন্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মনিরা আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

ওমেরা বলেছেন: কখনো মেলাত যাই নাই তবে মেলার বাতাসা খেয়েছি ছোট বেলায়।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দেশে আসলে একবার অবশ্যই চেষ্টা করবেন মেলায় যেতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওমেরা আপু।

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: তারেক ভাই, সুন্দর পোস্ট।

বৈশাখে আমাদের গ্রামে লাঠিখেলা হয়। আচ্ছা ৮ নাম্বার ছবিটা কিসের?/??

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ নিজাম ভাই, ৮ নং ছবিটা পানের ছবি,পান সুন্দর করে খিলি করে মশলা দিয়ে সাজানো হয়েছে।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধন্যবাদ,

আমি ভাবছিলাম কী, না কী???:)
রাতে কথা হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পানকে দেখতে আর্কষনীয় করার জন্যই এই পদ্ধতি।

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: খুবই ভাল ছবিগুলো, আসলে গ্রাম এখনও অনেক ভাল অবস্থানে আছে আমাদের সামাজিক মানদন্ডে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবি ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ রফিক ভাই।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি কোন দিকে, দক্ষিন, উত্তর, পশ্চিম নাকি পূর্ব? মানে কোন জেলায়?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাই দক্ষিণে নড়াইল জেলা, পোষ্টেতো লিখেই দিয়েছি রফিক ভাই।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

শায়মা বলেছেন: আমি যদি যেতে পারতাম!!!!!!!


এই মাটির পুতুল আমার অনেক ভালো লাগে!!!!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপুনির জন্য মিষ্টি বউ পুতুল।

২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: গ্রামের মেলাগুলোতে গেলে শেষের খেলাটা দেখা যায়, খুব ইন্টারেস্টেড


তারেক ভাই, আপনার এই আয়োজনটা একটু ব্যতিক্রম। আমাদেরকে আমাদের ঐতিহ্যে কিছুক্ষণ হাটার সুযোগ দিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ তাজুল ভাই,অনেক ভালবাসা।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

শায়মা বলেছেন: এই লেখা প্রিয়তে নিলাম ভাইয়া!!!!!

আমার কাজে লাগবে! :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমার সৌভাগ্য আপুমনি।

২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:



গ্রামে এখনও এইভাবে জমিয়ে মেলা হয় ! আমার মনে হয়েছিল হয়ত আর হয়না। আমি শেষ কবে গ্রামের পহেলা বৈশাখে গিয়েছিলাম সেটা আর মনে নেই। মনে হয় ছোটবেলায়,বাবার হাত ধরে গিয়েছিলাম। মেলায় গেলে বায়না থাকত একটাই বাঁশি কিনে দিতে হবে। আর ছিল হালখাতা, প্রত্যেকটা দোকানে ঘুরে ঘুরে মিষ্টী খেতাম ;) এখন অবশ্য মিষ্টি দুই চোখে দেখতে পারি না।
বিকেলের শেষ দিকে বড় আকর্ষন ছিল "ঘোড়ার দৌড়"। কতগুলো ঘোড়া আর তাদের সওয়ার সকাল থেকে মেতে থাকতো ঘোড়ার যত্ন নিতে। আমরাও আশেপাশে ঘুরে ফিরে ঘোড়া দেখতাম। বিকেলে খোলা মাঠে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে হত এই দৌড়। প্রায় ১৫/১৮ টা ঘোড়া অংশ নিত এই দৌড়ে। এবং দুইপাশে আমরা হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতাম, মন ভরে দৌড় দেখতাম। সবশেষে কেন যেন লাল ঘোড়াটাই জিতে যেত !

আপনার বৈশাখী পোষ্ট দেখে কত কিছু লিখে ফেললাম ! ভালো থাকুন

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন:
এটাই হচ্ছে আমাদের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাঠ।আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমাদের মেলার প্রচুর মিল রয়েছে। আমাদের বাজারের দোকানদারেরা এখনো হাল খাতা নিয়ে বসে। আমরা ছোট বেলায় বিভিন্ন দোকান থেকে মিষ্টি খেতাম। মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর মেলায় যায়নি গত কয়েক বছর আবার যাওয়া, শুরু করেছি। আপনার অভিজ্ঞতা খুব ভাল লাগলো জাহিদ অনিক ভাই।

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কতো দিন এইরকম মেলার আমেজ পাইনা। আপনা ছবিগুলো মনে করে দিল সেই সব দেনের কথা।সারা বছর জমা করতাম মেলায় খরচ করবো বলে। দুপুর হতেই মেলার দিকে রওয়ানা দিতাম আর সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলায় কতো ঘুরতাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতার হুবহু মিলে গেল। আসলে গ্রামের মেলার তুলনা হয়না। নিরন্তর ভালবাসা সুজন ভাই।

২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এক কথায় অনবদ্য।

ধন্যবাদ ভাই তারেক_মাহমুদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো,নিরন্তর ভালবাসা হেনা ভাই।

২৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: বৈশাখের প্রকৃত আমেজ গ্রামেই উপভোগ হয়।

মন ভরে গেলো আপনার এলাকায় বৈশাখের আমেজ দেখে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমারো মন ভরে গেল আপনার কমেন্টে, ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই।

২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবিগুলো দেখে ছেলেবেলার গ্রাম্য মেলার কথা মনে পড়ে গেল।

গ্রামে আনন্দ বিনোদন বলতে ঈদ ও মেলা।

ধন্যবাদ লিংক দেয়ার জন্য ।

নয়তো মিস হত সুন্দর ছবি মেলা দেখা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ব্লগে যাদেকে প্রিয় মানুষ মনে তাদের একজন আপনি তাই লিংক দিয়েছিলাম, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালবাসা।

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, তারেকভাই।আপনার গ্রামের বৈশাখী মেলা দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।আমারও শৈশব গ্রামে কেটেছে। প্রতিবছর মাঘমাসের শেষ শনিবারে গ্রামে মেলা বসতো।ওটাই ছিল আমাদের একমাত্র বিনোদন। বাড়িতে লোকজমা হত মেলাকে কেন্দ্রকরে।কাজেই সে সময় পড়ার চাপ থাকতো না।এখন জীবিকার টানে একটা আধা শহরে থাকি।আত্মীয়পরিজন সব থেকেও যেন নেই।মেলা উপলক্ষে এখন কেউ বাড়িতে আসেনা।আমার ছেলেও প্রচন্ড খেলা, আত্মীয় স্বজন পাগল।বাড়িতে লোকসমাগম ওর খুব পছন্দের।কিন্তু এখন যে কারো এত সময় নেই,যে মেলার জন্য কারো বাড়িতে যাওয়ার।তবে শহরের পৌষমেল, মিলন মেলা পুষ্প প্রদর্শনী, বইমেলা এখনকার প্রজন্মকে কিছুটা হলেও বিনোদন দিচ্ছে।

শুভেচ্ছা নিয়েন ভাইজান।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ভালবাসা,আপনার জন্য মিষ্টি, গ্রামের মেলা আপনাকে নস্টালজিক করেছে জেনে ভাল লাগলো।

৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: নোটি দেখায় না।
তাই আর কী মন্তব্য করা ব্লগগুেলো পুণরায় নিজ প্রোফাইলে গিয়ে চেক করে আসি।
ভাবলাম আসছি যেহেতু, প্রমাণ রেখে যাই। :P

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আবার যখন এসেই পড়েছেন নেন চানাচুর খান

৩২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: কী দিলেন তারেক ভাই।
খাওয়ার আইটেম? আমার জন্য? এত্তগুলো B-)

ভাই মেহমান হিসেবে আপনার গ্রামের বাড়ী গেলে এইরকম মেহমেনদারী হবে :D

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাথে মিষ্টি, পুকুরের তাজা মাছ,গরুর টাটকা দুধ, ক্ষেতের সবজী,গাছের আম, কাঠাল সবই হবে। ইনশাল্লাহ।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.