নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রদের সস্তা খাবারের গল্প

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৪


ইদানীং ছাত্রদের ৩৮ টাকার খাবার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আসলেইতো চাউলের কেজি যেখানে ৬৫/৭০ টাকা সেখানে ৩৮ টাকায় ভরপেট খাবার, ভাবা যায়? কিছুদিন আগে রাবির এক ছাত্রকে ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম চুরি করার অপরাধে পুলিশে দেওয়া হয়েছিল। পরে জানা গেল ছেলেটি আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাধ্য হয়ে ক্ষুধার তাড়নায় ক্যাম্পাসের গাছের আম চুরি করে খেতো।

এমনি একটা ঘটনা আমার চোখের সামনেই ঘটেছিল ২০০২-২০০৩ সালের দিকে । আমি তখন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হলে সিট না পাওয়ায় ভার্সিটির পাশেই একটা সস্তা মেসে থাকতাম। মেসের বড়ভাইয়েরা খুবই আন্তরিক তাই মানিয়ে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। মেসের খাওয়া দাওয়ার সুবিধার্থে বারো জন সদস্য মিলে একজনকে ম্যানেজার নির্বাচন করতাম, তার কাছেই সবাই খাবারের টাকা জমা দিতো। ম্যানেজার প্রতিদিনের বাজারের লিস্ট করে পর্যায়ক্রমে সবার হাতে দিতো, সবাইকে এক একদিন করে বাজার করতে হতো। মাসিক মিটিংয়ে ম্যানেজার খরচের হিসাব দিতো, তাতে দেখা যেতো সকাল দুপুর এবং রাতের তিন বেলার খাবারের খরচ পড়তো ২৮-৩০ টাকা।

একসময় খেয়াল করলাম মেসের বারোজন মেম্বারের মধ্যে একজন কখনোই মেসের খাবার খায় না। এতে করে আমাদের সবার প্রতিদিনের খাবার খরচ এক থেকে দেড় টাকা বেড়ে যাচ্ছে। মাসিক মিটিংয়ে তাই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলো। আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র ডাবলু ভাই হান্নানকে(ছেলেটির নাম) ডেকে বললো
-তুমি মেসের খাবার খাচ্ছো না কেন?তোমার কারনে সবার খাবার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
হান্নান তখন কান্নাজড়িত কন্ঠে বললো
-আমার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে গত এক সপ্তাহ ধরে শুধুমাত্র শুকনো চিড়া পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেয়ে কোন রকম বেচে আছি। আমার মনে হয় আর পড়াশুনা করা হবে না।

হান্নানের এক কথা শুনে সবারই খুব মায়া হল, সবাই চিন্তা করতে লাগলো কিভাবে তাকে সাহায্য করা যায়!

মেসের মালিক দেশের বাইরে থাকেন, মালিকের ভাতিজা মতিউর ভাই মেসটি পরিচালনা করতেন। মতিউর ভাইয়ের সাথে আমাদের বন্ধুর মত সম্পর্ক ছিল। আমরা সবাই মিলে মতিউর ভাইকে অনুরোধ করলাম হান্নানের কাছ থেকে ভাড়া না নেওয়ার জন্য। আমাদের সবার অনুরোধ তিনি ফেলতে পারলেন না। তার জন্য একটা ফ্রী সিটের ব্যবস্থা করে দিলেন। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম হান্নানের পেপার বিল, কারেন্ট বিল, বুয়ার খরচ বহন করবো। কিন্তু খাওয়ার খরচ কোথা থেকে আসবে?

আমাদের মেসের সবচেয়ে সিনিয়র ডাবলু ভাই সেটারও সমাধান করে দিলেন। মেসের পাশের বাড়ির এক ভাবি ডাবলু ভাইকে ওনার মেয়েকে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ডাবলুর ভাই হান্নানকে ভাবির সাথে পরিচয় করে দিয়ে বললেন
-এই ছেলেটা আপনার মেয়েকে পড়াবে বিনিময়ে কোন টাকা দিতে হবে না, শুধু তিনবেলা খাবার দেবেন। ভাবি ডাবলু ভাইয়ের প্রস্তাবে সানন্দে রাজী হয়ে গেলেন।

আমরা সবাই হলে উঠলেও হান্নান হলে সিট পেলেও কখনই হলে ওঠেনি, সেই মেসে থেকেই পড়াশুনা শেষ করেছিল। সবার একটু আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে ছেলেটা সেদিন পড়াশুনা শেষ করতে পেরেছিল।

আমরা যারা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়েছি, জনগনের টাকায় অল্প খরচে খাবার খেয়েছি তাদের পক্ষ থেকে দেশের জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সস্তা লেখা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সস্তা খাবারের গল্পতো সস্তা হবেই, অনেক ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আলুর বর্তা আর মশারী ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে

দোকানে এসে ব্যান্ডসনে টান মারে :(

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় তারেক ফাহিম ভাই

আপনি যে ধরনের ছেলেদের কথা বলেছেন এমন ছেলেও যে নাই তা নয়। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম, বরং কষ্ট করে পড়াশুনা শিখছে তাদের সংখ্যাই বেশি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন নিজের অভিজ্ঞতার অালোকে। প্রতিটা ক্যাম্পাসেই মনে হয় কিছু ছেলেমেয়ে পাওয়া যাবে যাদের অার্থিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে সামান্য কয়টা টাকা খরচ করেও খাওয়ার সামর্থ হয় না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আম পেড়ে খাওয়া ছেলেটার ঘটনা পেপারে দেখেছিলাম। কী নিদারূন কাহিনি!

অথচ সরকার চাইলেই বিনা সুদে কিংবা গ্রোস পিরিয়ডসহ নিম্নসুদে স্টুডেন্ট ক্রেডিটের ব্যবস্থা করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধরণের ঝামেলায় থাকে না। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের এটা চালু আছে। পড়া শেষে জবে ঢুকলে কিস্তি আকারে তা ফেরত দিবে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন ভাই,

আপনার কমেন্ট পড়ে আমার এক সহপাঠীর কথা মনে পড়ে গেল, যার নাম কাঞ্চন। ভার্সিটিতে ভর্তির শুধুমাত্র টাকার অভাবে সে পড়াশুনা শেষ করতে পারেনি। আমাদের সরকার প্রধান যখন ৩৮টাকার খাবারের খোটা দেন তখন আমরা কিভাবে আশাকরি ছেলেমেয়েরা সরকারি সহায়তায় লেখাপড়া করবে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



পাব্লিক আপনার মনের কথা বুঝতে ব্যর্থ হবে। যারা পাবলিকে পড়েনি তারা হো হো করে হাসবে। বলিবে ম্যাচে বইসা হলে গাঞ্জা খাইয়া এরা দেশের টাকা নষ্ট করছে! ইহাদের জন্যে থোক বরাদ্দ বাতিল হোক! অনেক নেতা সংসদে বলিবে এরা হইল *নকির পুত। কোটা আন্দোলনের মত অনেক মেধাবী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদে বুকেপিঠে লিখে আনবে- আমি *নকির পুত..


এই হল অবস্থা ভাই! এগুলা সস্তা কথা! কেন লিখছেন? জাতি হাসিবে তো?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ভাই

কিছু কথা মানুষ কোনদিনই ভুলে যায় না ৩৮ টাকার খাবারের কথাও অনেকদিনই সবার মনে থাকবে।

এসব সস্তা কথা শোনার মানুষ আসলেই নেই। তবে ইতিহাস বড়ই নির্মম, সময় সবসময় একরকম যায় না।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যের সাথে একমত।

যদিও আমাদের ভাবতে হবে সবার বিবেক এক না।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ভাই শ্রাঞ্জি সে।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনাদের আন্তরিকতার কথা জেনে ভাল লাগল।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় সোহেল ভাই

সেদিন ডাবলু ভাই এবং মতিউর ভাইয়ের কথা ভাবলে সত্যি ভাল লাগে উনারা কত বড় কাজ করেছিলেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তারেক ভাই, সুন্দর একটা বিষয়! দেশে হাজারো হান্নান রয়েছে। সবাই একটু সচেতন হলেই এসব মোকাবেলা করা সম্ভব।

হলের খাবার সবসময় খারাপ ছিল। নেতারা সব ফ্রী খায়। এর একটা সমাধান দরকার। আমি ৩-৪বছর হলে ছিলাম। সেখানে দুবেলা ৩২টাকা দিতে হত। খাবার যাচ্ছে তাই....

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া

আপনি ঠিকই বলেছেন দেশে হাজারো হান্নান আছে, যারা দিনের পর দিন না খেয়ে পড়াশুনা অনেকে প্রতিষ্ঠিতও হয়ে গেছে।

যে দলই ক্ষমতায় থাকুক নেতাদের চেহারা সবসময় একই রকম। ফাও খাওয়া গলাবাজি করা এদের অভ্যাস।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ ভ্রমরের ডানা
ডানা, প্রথম কমেন্টটা ওভাবে করা ঠিক হয় নি। লেখকদের উৎসাহ দেয়া দরকার।

আর এসব জীবনের গল্প। এর ভারত্ব যে কোন গান, গল্প, কবিতা, উপন্যাসের চেয়ে বেশী। আমার কাছে ডাবলু ভাই সহ অন্য সবাই হিরো। আর গল্পটা আজকের সেরা গল্প।

৪নং কমেন্ট নিয়ে কি বলবো? আমার হিসেব সোজা, নেতারা বেশীরভাগ মগজহীন। ওরা কি ভাবলো, ওসব দিয়ে জীবন চলে না!!


সবার জন্য শুভকামনা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় নিজাম ভাই, অনেকগুলো কমেন্টের আগে আপনাকে প্রতিউত্তর করছি

প্রথম কমেন্ট পড়েই আমার বুঝতে মোটেই অসুবিধা হয়নি ভ্রমরের ডানা ভাই কি বোঝাতে চাইছেন। আর আমি সামুতে নতুন হলেও প্রায় ৮ মাস হতে চললো, ভ্রমরের ডানা সম্পর্কে আমার ধারণা আছে তাই উনার ইঙ্গিত বোঝা আমার জন্য মোটেই কঠিন নয়।

আমরা কিছুই করিনি ছেলেটার পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার পিছনে ডাবলু এবং মেস মালিকের ভাতিজা মতিউর ভাইয়েরই প্রধান ভুমিকা ছিল। উনারা দু'জনই এই গল্পের হিরো।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: রাজশাহী ইউনিভার্সিটির কল্যাণে শিয়াল-কুকুরের খাসি খাওয়ার অভিজ্ঞতা ব্যাপক !!!

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই ব্লু হোয়েল খাবার নিয়ে এত নিয়ে রাবির মত এত আজেবাজে ঘটনা আর কোন ভার্সিটিতে ঘটেনি।

অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: তারেক ভাই, সত্য কথা- এই দেশে ২ কোটি লোক ছাড়া বাকি ১৬ কোটি লোক ভালো নেই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনিয়মই যে দেশের নিয়ম সেদেশের মানুষ ভাল থাকবে কিভাবে। অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



তারেক ভাই, আপনার শেষের দুইটি লাইন মনটা ছুঁয়ে গেল; ডাক্তারদের মনে যদি এমন কৃতজ্ঞতা বোধটি থাকতো!!!

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাওসার ভাই,ইদানীং সামুতে বেশী সময় দিতে পারছি না। আশাকরি ভাল আছেন।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: এটা জীবনের গল্প, আর মানুষের গল্প। কয়েকজন মানুষ একজন মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, তাকে সাহায্য করেছিল জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে। খুব ভালো লাগলো পড়ে তারেক_মাহমুদ। পোষ্টের বিষয় আর বলার স্টাইল, দুটোতেই +++++++

খুব খারাপ লাগলো, একটি অনাহারী ছেলে ক্ষুধার জ্বালায় আমি চুরি করে খেয়ে ছিল জেনে। আমরাতো মধ্যম আয়ের দেশ!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপু, সবাই মিলে একজনকে সাহায্য করার আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে সেটা করা সম্ভব।

আম চুরি করে জেলে যাওয়ার ঘটনা এবং ছেলেটির আর্থিক অবস্থা জেনে আমারও খুবই খারাপ লেগেছে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ করুনাধারা আপু।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যারা হলে থেকে বা মেসে থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে তারা অন্যদের চেয়ে বাস্তবতা বেশী বুঝেন যা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে লাগে...

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন যারা ফ্যামেলির বাইরে থেকে পড়াশুনা করেন তাদের বাস্তবতা বোধ অনেক বেশি থাকে

অনেক ধন্যবাদ তালগাছ ভাই।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আমি এবং আমার আপন বড় ভাইয়ের মধ্যে আমি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এমবিএ করেছি আর আমার ভাইয়া কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এমবি এ করেছে। আমার প্রতি মাসের খরচ ছিল ২০ হাজার টাকা (ভার্সিটির খরচ সহ), আর ভাইয়াকে প্রতি মাসে দেওয়া হত মাত্র ২ হাজার টাকা। শেষের দিকে তিন হাজার টাকার মত খরচ পেতেন তিনি। সত্যি বলতে কি ভাইয়া বাড়ি থেকে এর বেশি টাকা চাইতে পারতেন না কেননা তার বন্ধুরা আরও কম টাকা আনতেন বাড়ি থেকে আর সেখানে আমার হয়ত মাহে মাঝে টাকার সঙ্কটে পড়তে হত। এক দিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি আর অন্যদিকে ঢাকায় সিট ভাড়া এবং খাওয়া খরচ নিয়ে মাঝে মাঝেই বিপদে পরছি মনে হত। আর এটাই হল বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বিদ্রঃ কোন ধরণের নেশা বা প্রেম এসবের পিছে কখনোই এক টাকাও খরচ করিনি।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আল শাহরিয়ার ভাই

আপনার এবং আপনার ভাইয়ের খরচের হিসাব জেনে ভাল লাগলো। আমাদের সময় পাবলিক ভার্সিটিতে দেড় দু হাজার টাকায় থাকার খাওয়ার খরচ হয়ে যেতো। এই টাকাও অনেকের পক্ষেই জোগাড় করা কঠিন ছিল।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

বিষন্ন পথিক বলেছেন: মাসিক বরাদ্দ ছিলো দেড় হাজার টাকা বাসা থেকে
তারপরও ধুমায়া গোল্ডলিফ টানসি

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাদের সময় টাকার মুল্য ওই রকমই ছিল, তাই আপনার পক্ষে দেড় হাজার টাকায় এটা সম্ভব হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই বিশন্ন পথিক।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

লায়নহার্ট বলেছেন: {Respect}

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লায়ন হার্ট।

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর এবং +।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

হাসান রাজু বলেছেন: আমরা যারা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়েছি, জনগনের টাকায় অল্প খরচে খাবার খেয়েছি তাদের পক্ষ থেকে দেশের জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো। -পোষ্ট পড়ে আপ্লুত হয়েছি । কিন্তু শেষ লাইনটা আবেগকে ছুঁয়ে গেছে।
ভালো থাকবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আরে হাসান রাজু ভাই যে? অনেকদিন পর দেখা হল। খেলা শেষ আসেন কোলাকুলি করি। অনেক শুভ কামনা ও ভালবাসা।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কারো কারো জন্য মেস জীবন অনেক কষ্টের, অনেক দুঃখের। কিন্তু তার মাঝেও বেঁচে থাকে মানবতা, ভালোবাসা আর সহমর্মিতা।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, যাদের পরিবারে টানাটানি তাদের জন্য ছাত্রজীবন মোটেই সুখকর নয়। এখনো সহমর্মিতা ভালবাসা আছে বলেই পৃথিবী টিকে আছে।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অর্থনীতিবিদ ভাই।

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

সিনথিয়া আফরিন বলেছেন: ভার্সিটিতে ভর্তির পর প্রায় ১ বছর লেগেছিলো ক্যান্টিন এর খাবার খাওয়া শুরু করতে । প্রথম দিকে নিজের কাছেও বিশ্বাস হতোনা এমন গল্প হতে পারে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছিলাম । তখন নিজেকে বেশ অপরাধী মনে হতো ।
যাই হোক আপনার অভিজ্ঞতালদ্ধ লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় সিনথিয়া আফরিন আপু

আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। ভার্সিটির প্রথমদিকে এত বাজে খাবার খেতে সবারই সমস্যা হয়, একসময় অভস্ত্য হতেই হয়। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

রাকু হাসান বলেছেন:



জীবনের কঠিন বাস্তবতার গল্প শুনলাম । আপনাদের ভাল কাজের লেখা পড়ে ভাল লাগলো । হান্নান ভাইয়া এখন কেমন আছে সব মিলিয়ে ?

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ প্রিয় রকু হাসান ভাই

হান্নান কেমন আছে জানি না। পড়াশুনা যেহেতু শেষ করতে পেরেছিল নিশ্চয় একটা চাকুরীও জুটিয়ে নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.