নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

সরকার রাজধানীর কিছু কিছু এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় প্রসাশনের উদ্যোগে  কিছু কিছু জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে আমার জেলা নড়াইল অন্যতম। আমাদের জেলায় দরিদ্র ও ভিক্ষুকদের জন্য সরকারি উদ্যোগ পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতাসহ দরিদ্রদের জন্য নানা প্রকার সহয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফলে আগে যারা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতো এখন তারা ছোটখাটো ব্যবসা /কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। যদিও দু'একজন ভিক্ষুক লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রামগুলোতে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকেও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে নড়াইল এখন ভিক্ষুকমুক্ত জেলা। নড়াইলের প্রবেশদারগুলোতে সাইনবোর্ড এ শোভা পাচ্ছে 'ভিক্ষুকমুক্ত নড়াইলে আপনাকে স্বাগতম'।

এ সপ্তাহে জুম্মার নামাজের আগের আলোচনা ইমাম সাহেব খুব আক্ষেপ করে বলছিলেন আমাদের নবী মুহাম্মদ(সঃ) তার উম্মতদের ভিক্ষা করতে নিষেধ করেছেন, কাজ করে খেতে বলেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই ভিক্ষুকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিছু মানুষ আমাদের প্রিয় নবীর আদর্শকে ভিক্ষাবৃত্তির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন।আবার কেউ কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে শুধুমাত্র ভিক্ষা করার জন্য। ঢাকার বিভিন্ন মসজিদগুলোর সামনে দেখবেন নওমুসলিমের বেশে প্রায় কিছুলোক ভিক্ষা করছে। ইসলামে নওমুসলিমদের সাহায্য করা বিধান আছে। আর সেই বিধানকেই কাজে লাগিয়ে এরা ভিক্ষা করে যাচ্ছে। আল্লাহ ও রাসুলকে কি এরা আসলেই ভালবেসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে নাকি এটা ভিক্ষাবৃত্তির কৌশল সেটা মহান আল্লাহ তালাই ভাল জানেন।

প্রতি রমজান মাসে ঢাকা শহরে ভিক্ষুকের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে যায়। যাকাত ফিতরা, দান, সদগার আশায় সারা দেশথেকে হাজার হাজার ভিক্ষুক এসে রাজধানীত ভিড় করে। শোনা যায় এসব ভিক্ষুকদেরও নাকি নেতা আছে, যারা ভিক্ষকদের পরিচালনা করে, এবং ভিক্ষুকদের ইনকামের সিংহভাগ তারাই ভোগ করে।

দেশে এখনো অনেক সমস্য আছে, কিন্তু ঝড়, বন্যা, সিডরের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগকে এখন আর এদেশের ভয় পায় না। মঙ্গা নামক শব্দটি এখন আর শোনা যায় না। তাহলে কেন টিকে থাকবে ভিক্ষাবৃত্তি নামক এই লজ্জাজনক পেশা? সবগুলো জেলা প্রশাসন কি নড়াইল জেলার মত পারেনা ভিক্ষাবৃত্তিরোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে?

বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ভিক্ষাবৃত্তি চিরতরে বন্দ হোক। প্রিয় নবী মুহাম্মদ(সঃ) সবাইকে মেহনতি হওয়ার যে শিক্ষা দিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হোক।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবার জন্য মানসম্মত কাজ চাই।
ভিক্ষা কোন পেশা হতে পারে না।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলো সাজ্জাদ ভাই। সবার জন্য কাজ মানসম্মত কাজ চাই। ভিক্ষাবৃত্তি চিরতরে বন্দ হোক এটাই সবার চাওয়া।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেকভাই,

খুব ভালো বলেছেন। কিন্তু ঝুকিহীন পেশা কোনও দিন বন্ধ হবে বলে মনে হয়না। এখন আবার চোখে পড়ে, কমবয়সী নারী- পুরুষও নিলজ্জের হাত বাড়িয়ে ভিক্ষে করে।


শুভকামনা জানবেন।


০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

ভিক্ষাবৃত্তি যেকোনো জাতির জন্য অসম্মানজনক, ইসলামে এটা নিষেধ এটা বন্দ হওয়া জরুরী।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

সনেট কবি বলেছেন: সহমত

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবি।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের সরকারও বিদেশের কাছে হাত পাতে।
দেশে গরীব লোকের অভাব নেই। বেকারের অভাব নেই।
নাই কাজ। বিক্ষা করবে না তো কি কবে???

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই
দেশ এখন আর আগের অবস্থানে নেই। গ্রামে এখন প্রতি বাড়িতেই দালান,সবাই ইচ্ছা করলেই কিছু না কিছু কাজ খুজে নিতে পারে। ভিক্ষাবৃত্তি বন্দ করার তাই এখনই সময়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



তারেক ভাই, আপনার শেষ দু'টি লাইন দারুন অনুভূতির জন্ম দেয়ে; এদেশে ভিক্ষাবৃত্তি হয় ধর্মের নাম৷অথচ ইসলামে তা নিষিদ্ধ!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুপ্রিয় কাওসার ভাই

ইসলামে যেখানে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ সেখানে সেখানে ধর্মের ভিক্ষাবৃত্তি খুবই দুঃখজনক।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: এদের মধ্যে কিছু ধর্মান্তরিত ভিক্ষুক অাছে, তাদের কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিক্ষার জন্যেই ধর্ম পরিবর্তন করেছে ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাইন বোর্ড ভাই

এইসব নওমুসলিমদের প্রথম কাজই হচ্ছে ঢাকা শহরের সব মসজিদে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করা। এদের কাছে ইসলাম গ্রহণ করা মানেই হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তির সার্টিফিকেট পাওয়া।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঢাকাতে ভিক্ষা একটা পেশা। এদের চাঁদা দিয়ে লাইন নিতে হয়। এমন কি মক্কা, মদীনাতেও ভিক্ষুক সাপ্লাই হয় হজ্জ্ব মৌসুমে...

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার ভাই

আপনি ঠিকই বলেছেন, এখন ভিক্ষাবৃত্তি জঘন্য একটা ব্যবসা। কিছু মানুষ ইসলামকে ব্যবহার করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা জরুরি।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

রাকু হাসান বলেছেন: ভিক্ষাবৃত্তি কমাতে সরকার কি যেন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন;তারপর আর কথা শুনলাম না । আপনার সোথে সহমত পোষণ করছি । অনেক সময় ভিক্ষবৃত্তির সাথে বড় চক্র জড়িত । +

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রকু হাসান ভাই

ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবে পদক্ষেপগুলো ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

তানভীর তুর্য্য বলেছেন: নবীর শিক্ষা যেখানে ভিক্ষা নিষি, সেখানে কলেমার কোরাশ গেয়ে ভিক্ষা করে মানুষ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: তানভীর ভাই।

সেটাই ধর্মের নামে ভিক্ষাবিত্তি খুবই দুঃখজনক। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আলোচনা।

দুঃখজনক হলেও সত্যি ভিক্ষার শিক্ষা ইসলামের মধ্যেই বেশি, মাদ্রাসা মসজিদ ভিক্ষা করেই তৈরি করা হয়, শুধু তৈরি নয় মসজিদে টাইলস লাগানো হয় ভিক্ষা করে, মাদ্রাসার ছোট ছোট হাফেজী পড়ুয়া ছাত্রদের ভিক্ষার জন্য রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়, এটা অবশ্য বলবেন এটা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়ানো। সেদিক থেকে চিন্তা করলে তো ভিক্ষাবৃত্তির কাজে যারা হাত বাড়ায় তারাও সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় নিজের খাওয়া পড়া বেঁচের থাকার জন্য। কিন্তু, মসজিদের ভেতর আরাম আয়েশের জন্য এয়ারকন্ডিশান লাগানোর জন্য ভিক্ষা করার চেয়ে ভিক্ষুকের ভিক্ষা উত্তম মনে হয় আমার কাছে।

আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয় নিজের কথা টুকুই বলে গেলাম, কষ্ট নিবেন না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নয়ন ভাই

মসজিদের জন্য রাস্তার পাশে চাঁদা তোলাটা অবশ্যই ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যেই পড়ে। তবে যেহেতু মুসল্লিরাই মসজিদে নামাজ পড়েন তাই মসজিদের উন্নয়নে মুসল্লিদেরই এগিয়ে আসতে হয়, এটা খারাপ কি কিছু নয়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা মেহনত করো সবে - নবী করীম (সাঃ) এর এ শিক্ষার প্রতি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভিক্ষার মত কোন কায়িক শ্রম ছাড়া উপার্জনের এত সহজ পন্থা আর কোন কিছু নেই। ভিক্ষুকদের ধরে ধরে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শ্রমকেন্দ্রে পাঠানো যেতে পারে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার সুন্দর মন্তব্যের জন্য,আসলে ইসলাম ধর্মের নামে ভিক্ষাবৃত্তি খুবই দু:খজনক, এটা নবীর শিক্ষা নয়। ভিক্ষুকদের জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও অনেকেই সহজ ইনকামের পন্থা হিসাবে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে চায় না। আপনি ঠিকই বলেছেন এদেরকে ধরে শ্রমকেন্দ্রে পাঠানো দরকার।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সূর্যালোক । বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই সূর্যালোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.