নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ জোহা স্যার আপনি কোথায়

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৭



#জোহা_স্যার_আপনি_কোথায়ঃ

আমি লোপা।বাবার একমাত্র আদুরে মেয়ে। স্কুল কলেজের গন্ডি পার করে একসময় ভর্তি হলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবার স্বপ্ন ছিল আমি মেডেকেলে ভর্তি হবো, কিন্তু বাবার সেই স্বপ্ন আমি পুরণ করতে পারিনি। তাতে আমার খুব একটা আফসোস নেই। রাবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েই আমি খুশি। আর আমার খুশিতে আমার বাবাও খুশি। তবে বাড়ি থেকে দূরে এসে বাবাকে বড্ড মিস করি। এই বয়সেও বাবা আর আমি একপ্লেটে খাই। এতদিন বাবা সর্বদাই আমাকে আগলে রাখেছেন, কিন্তু এখন আমি বাবার কাছ থেকে অনেক দুরের একটা শহরে একাএকা থাকি।

ক্লাশ পড়াশোনা বেশ ভালই চলছিল। ক্লাস টেস্টগুলোতেও আমার রেজাল্ট বেশ ভাল হচ্ছিল। ভর্তির পর থেকেই অনেক ছেলেরাই আমার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতে থাকে। একসময় বুঝলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পড়াশোনার জন্য নয় জীবন সঙ্গী পছন্দেরও জায়গা। অন্য বান্ধবীদের দেখে আমিও বুঝলাম ভালবাসাবিহীন ক্যাম্পাস জীবন একেবারেই পানসে। শত ছেলের মাঝে ক্লাসমেট রনিকে আমার ব্যতিক্রম মনে হল। রনি পড়াশোনায় ভাল আবার ওর কিছু মানবিক গুনও আছে, এই যেমন ও স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। বন্যার সময় সময় ওকে দেখেছি নাওয়া খাওয়া ভুলে ভার্সিটির হলে হলে গিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কাপড় সংগ্রহ করতে এবং পুরো এক সপ্তাহ ক্লাস মিস দিয়ে সেগুলো বন্যার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। ওর এই মানবিক গুণগুলো আমাকে আকর্ষণ করলো। তাই রানিকে আমি ফেরাতে পারলাম না। এরপর থেকে ৭৫০ একরের বিশাল ক্যাম্পাসে আমি আর রনি দুজন যেন ডানামেলা দুটি পাখি। ক্লাশের বিরতির সময়গুলো আমরা একান্তে কাটাই পরম ভাললাগা নিয়ে।

একদিন বাবা আমাকে দেখতে ক্যাম্পাসে এলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরুপ সৌন্দর্যে বাবা মুগ্ধ হলেন। রাবির বদ্ধভুমি, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা এবং সবশেষে শহীদ শামছুজ্জোহা স্যারের স্মৃতিস্তম্ভের কাছে এসে বাবা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। আমিই বাবাকে জোহা স্যারের গল্প শোনাই, জোহা স্যার কিভাবে নিজের বুকের রক্ত দিয়ে তার ছাত্র/ছাত্রীদের সেদিন বাচিঁয়েছিলেন, শুনে বাবার চোখে পানি এসে যায়। বাবা শুধু একটা কথাই বলেন
-এমন শিক্ষক যুগে যুগে বার বার কেন আসে না?

প্রথমে বর্ষের রেজাল্টে রনি ফাস্ট আমি তৃতীয় হই। কিন্তু ২য় বর্ষে গিয়ে আমি ফাস্ট হই রনি পঞ্চম। রনি প্রথম প্রথম পড়াশোনায় মনোযোগী হলেও পরবর্তীতে সমাজসেবা এবং বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। আমি ওকে বার বার চেষ্টা করি রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে কিন্তু কে শোনে কার কথা?

তৃতীয় বর্ষে আমাদের একজন নতুন শিক্ষক জয়েন করেন। তিনি আবির স্যার, আসলে নতুন বললে ভুল হবে স্যার গত দুইবছর দেশের বাইরে ছিলেন উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য। স্যারের বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি হবে কিন্তু দারুণ স্মার্ট। হয়তো স্যারের বয়স আর বিশ বছর কম হলে আমিই স্যারের প্রেমে পড়ে যেতাম। যেকোনো বিষয়ে বোঝানোর ক্ষমতা স্যারের অপরিসীম। অল্পদিনের আমাদের সবার প্রিয় হয়ে উঠলেন আবির স্যার। সকাল সাতটায় ক্লাস নিলেও স্যারের ক্লাশ কেউই মিস করতে চাইতো না। স্যার যখন ক্লাশ নিতেন ক্লাশে তখন পিনপতন নিরবতা বজায় থাকতো। সবাই শুধু স্যারের কথাগুলো খাতায় তুলতে ব্যস্ত। ক্লাশের ভাল ছাত্রী হিসাবে আমি একসময় স্যারের প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠলাম।

ইদানীং রনির সাথে আমার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। পড়াশোনায় মন নেই ওর,ক্লাশেও অনিয়মিত। সারাক্ষণ ওর ভাবনায় দেশ এবং রাজনীতি। সেবার হল কর্তৃপক্ষ ডাইনিংয়ের খাবারের দাম দুটাকা বাড়িয়েছিল,
ব্যাস তাই নিয়ে রনিদের সেকি আন্দোলন! দশ বারোটা ছেলেমেয়ে মিলে পুরো ক্যাম্পাসে ধর্মঘট ডেকে বসে। কাজের কাজ কিছুই হল না মাঝখান থেকে আমাদের শিক্ষাজীবনের কয়েকটা দিন নষ্ট হল। ইদানীং এক বাম নেত্রীর সাথে রনিকে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে ক্যাম্পাসে দেখা যায় বলে আমার বান্ধবীদের কাছ থেকে খবর পাই। আসলে ওর ব্যাপারে আমার আর কোন ইন্টারেস্ট নেই তাই ওদের সম্পর্কটা কি সাংগঠনিক নাকি প্রেমের তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই।

অনার্স পরীক্ষার রেজাল্ট আমার বেশ ভাল হল। প্রথম হতে না পারলেও দ্বিতীয় হতে পেরেছি।রনি কোনমতে পাশ করেছে। মাস্টার্সে আবির স্যারের আণ্ডারে থিসিস গ্রুপে ভর্তি হলাম। আমিতো মহাখুশি এমন একজন ভাল শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করতে পেরে। স্যারের উৎসাহ আর নির্দেশনায় তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে আমার পড়াশোনা। স্যার রাজশাহীতে একাই থাকেন তাই আমি মাঝেমধ্যে হল থেকে স্যারের জন্য মুরগির মাংসের তরকারি রান্না করে বাটিতে করে ডিপার্টমেন্টে নিয়ে আসি। স্যার বাসায় নিয়ে যান এবং পরদিন আমার রান্নার দারুণ প্রশংসা করেন।
আমার থিসিস প্রায় শেষের দিকে, একদিন বিকেল বেলায় স্যার তার ডিপার্টমেন্টের রুমে আমাকে ডাকলেন। গিয়ে দেখি স্যারের রুম তালা দেওয়া। স্যারকে ফোন দিলাম, স্যার ফোন রিসিভ করে বললেন
-একটা জরুরি কাজে বাসায় চলে এসেছি, তুমি এককাজ কর আমার বাসায় চলে আসো।
স্যারকে আমি এতোটাই শ্রদ্ধা করি যে সাত পাচ না ভেবেই স্যারের বাসায় চলে গেলাম। স্যারের দেওয়া ঠিকানামতো স্যারের বাসায় গিয়ে কলিংবেল টিপলাম। দরজা খুলতে একটা সেকেন্ডও দেরি হল না। মনে হল স্যার আমারই অপেক্ষায় বসে ছিলেন। বাসায় স্যার ছাড়া দ্বিতীয় কোন মানুষ ছিল না। প্রথমে আমার পেপারগুলো বেশ ভালভাবেই দেখলেন। দারুণ প্রশংসা করলেন আমার, হঠাৎ বললেন
-দেখ তুমি খুব ভাল ছাত্রী আমি জানি, আমি চাই তুমিও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হও, এবং সে যোগ্যতা তোমার আছে। শুধু যদি আমাকে একটু খুশি করতে পারো তবেই তোমার শিক্ষক হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
আমি আকাশ থেকে পড়লাম,
-স্যার আপনি এসব কি বলছেন?
স্যারকে দেখে বুঝতে বাকী রইলো না স্যার মদ খেয়েছেন।
আমি স্যারের বাসার গেট খুলে বাইরে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু স্যার তার আসল রুপ মেলে ধরলেন, সব ভদ্রতা আর শিক্ষা যেন ধুলোয় লুটিয়ে পড়লো। স্যারের হিংস্র থাবা থেকে নিজেকে বাচানোর শক্তি আমার ছিল না, একসময় আমাকে পরাস্ত হতেই হল ওই দানবটার কাছে।

সেদিন স্যারের বাসা থেকে বেরিয়ে প্রথমেই গেলাম শহীদ জোহা স্যারের স্মৃতিস্তম্ভের কাছে আর জোরে জোরে চিৎকার করে বললাম

-জোহা স্যার আপনি কোন কোথায়? আপনার ছাত্রীরা আজ ধর্ষিত হচ্ছে আপনাকে আজ বড্ড প্রয়োজন।

বিঃদ্রঃ গল্পের চরিত্র এবং ঘটনাগুলো সম্পুর্ন কাল্পনিক, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে লেখা , কোন ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে মিলে যাওয়া সম্পূর্ণই কাকতালীয়

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: লেখাটি পড়ে বিষন্ন বোধ করছি :(

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পত্রিকার পাতা খুললে এখন এমন ঘটনা প্রতিদিনই চোখে পড়েছে আর মন খারাপ হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শক্ত প্লট ছিল......আরো ভালোভাবে লিখতে পারতেন। :)
যাইহোক, গল্প ভালো হয়েছে। বাস্তবধর্মী ঘটনা।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজ সকালে অফিসে আসার পথে গল্পটি লিখলাম, আসলে আরও কিছুটা সময় নিয়ে লিখলে হয়তো গল্পটি আরও ভাল হতে পারতো, অনেক ধন্যবাদ মফিজ ভাই।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: কাল্পনিক হলেও বাস্তব লেখা।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময়টা এমনই ।

টাইপো গুলো ঠিক করে দিয়েন । রনি হবে রানি নয়। :)

১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই, চেষ্টা করছি ভুলগুলো খুঁজে বের করার।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
তারেক ভাই ,

তারেক ভাই ,
বাস্তবিক ঘটনা আপনি খুব ভালো করে লিখেছেন । শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লোপা নয় , ২/৩ বছরের শিশু বাচ্চারও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । খুব খারাপ লাগে যখন এগুলো পড়ি বা পত্রিকায় দেখি। বিষাদ গল্পে ভালোলাগা+++

অ,টা : পোস্টটি পড়ার পর যখন মন্তব্য করবো তখনই লগ আউট হয়ে গেলাম ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুপ্রিয় মুক্তা নীল আপু,

দেরিতে প্রতিউওরের জন্য প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করছি। ছুটির দিনগুলোতে অনলাইন দুনিয়া থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করি তাই এই দেরী।
ছোট্ট শিশুদের উপর যৌন নিপিড়ন সত্যি সমাজের একটি দুঃখজনক চিত্র। ববাবরের মত পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মনে বিষন্নতা ধরিয়ে দিলেন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে তবে গল্পের আমরা সব সময়ই একদিক থেকে শুনি।
দুঃখজনক হলেও সত্য ভার্সিটিতে অনেক মেয়েকেই দেখা যায় স্বেচ্ছায় স্যারদের কাছে চলে যেতে। উচ্চতর রেজাল্ট আর ক্যারিয়ারের লোভে পড়ে এইসব করে আর পরে যখন আশা ভঙ্গ হয় তখন স্যারদের নামে অভিযোগ চলে আসে। এই সব স্যার রা তো মানুষ নামের কলংক, কিন্তু এই সব মেয়েরাও কি সাত ধোয়া তুলশি পাতা? যা বলেছি নিজের চোখেছি বলেই বলেছি।
ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
সাম্প্রতি রাবির এক ছাত্রী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই গল্পটি লেখা । আপনি বলেছেন অনেক ছাত্রী ভাল ফলের আশায় শিক্ষকদের কাছে নিজের শরীর বিলিয়ে দেয়,
এমন ঘটনা আমিও শুনেছি। আমার এই গল্পটা ধর্ষণের বিরুদ্ধে যারা স্বেচ্ছায় শরীর বিলিয়ে দেয় তাদের ব্যাপারে কিছুই বলার নেই আমার।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: উপরে মন্তব্য ২বার চলে এসেছে। এইড়া সহ উপরের যেকোন একটা ডিলিট করে দেবেন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিক আছে।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৮

বলেছেন: বাস্তবিক ঘটনার বিবরণ অল্প কথায় অনেক কিছু তুলে এনেছেন। ++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লতিফ ভাই।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩১

মা.হাসান বলেছেন: দেশ আজ ধর্ষিত। বড় কষ্ট লাগে। কিছু বলতেও ইচ্ছে করে না। এধরনের পোস্ট এড়িয়ে যাই। জোহা সারের নাম না থাকলে এই পোস্টও এড়িয়ে যেটাম।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দিন দিন শিক্ষিত মানুষগুলোও অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পের প্লটটি এখনকার জন্য যেনো পান্তাভাত হয়ে গেছে। চারদিকে এই কি দেখা যাচ্ছে। পুশু রূপি মানুষগুলো আর মানুষ হবে কখন!

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গল্পের খুবই কমন প্লট তবে এমন বাংলাদেশের কারোই কাম্য নয়। অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাই।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চরম সত্য বচন। গল্পের ছলে সমাজের আলোকিত একটা দিকের নোংরামি ফুটিয়ে তুলেছেন। এই সমাজে শিশু/মেয়ে/ছাত্রী/টিচার কেউ নিরাপদ নয়। এসব গল্প পড়ে মানুষ সচেতন হবে আশা করি।

গল্প লেখা চলুক; সাথে আছি। +++

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: জি আমারও মত তাই গল্প পড়ে একজন মানুষও যদি সচেতন হয় তবে সেটাই হবে গল্পের স্বার্থকতা। অনেক ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩১

মি. বিকেল বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে ঘটছেও তো। -রাবি থেকে বলছি

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সত্যি দুঃখজনক।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভার্সিটিগুলোতে কালসাপের বাস বহু আগে থেকেই। শিক্ষার চেয়ে অন্য কিছুর ধান্ধায় থাকলে যা হয় আর কি!!

ভালো লেগেছে আপনার গল্প ব্লগার তারেক_মাহমুদ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক আগে থেকে ভার্সিটিগুলোতে সুশিক্ষকদের পাশাপাশি কিছু কুকুরও বাস করে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: লোপা আবির স্যারকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথেই নিয়েছিলো। কিন্তু আবিরের মতলব ছিলো অন্যরকম। তার মনে কাজ করতেছিলো কিভাবে লোপাকে ভোগ করা যায়। শিক্ষকদের কাছে তাদের ছাত্রছাত্রীরা সন্তানতুল্য। কিন্তু এখানে সেটা কাজ করেনি। বাস্তবেও এরকম ঘটনার তীব্রতা লক্ষ্য করার মতো। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক নামধারীরা ছাত্রীদের ধর্ষণ করার মাধ্যমে ক্রমাগত বিকৃত রুচির পরিচয় দিয়েই চলছে। এগুলো সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র। এগুলোর কারণ উদঘাটন করে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিলে এই মানসিকতা অদুর ভবিষ্যতে মহামারীর আকার ধারণ করবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শিক্ষকরা সমাজের দর্পণ অথচ এদের ব্যাপারে এমন অভিযোগ মেনে নেওয়া আসলেই কঠিন।

দেরিতে প্রতিউওরের জন্য দুঃখিত।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

সুমন কর বলেছেন: বাস্তব প্লটে দারুণ গল্প। +।

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুবই পরিচিত প্লটে গল্প। তবুও ভাল লাগলো।

আমারও প্রশ্ন কেন জোহা স্যাররা আর বাংলার মাটিতে আসেননা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.