নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্য

তাসনুভা রায়া

আমি মানুষের পায়ের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে

তাসনুভা রায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তর কোরিয়ার প্রকৃত কাহিনী

০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৩:০০



এমন একটি দিনও বোধহয় অতিক্রান্ত হয় না, যে দিন পশ্চিমা গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় না এই দেশটি। পিপড়ের সমান এই দেশটির পশ্চিমা ডায়নোসরদের কাছে মাথা না নোয়ানোর কারণে দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী আলোচিত ও বিতর্কিত দেশ। বাংলাদেশের চেয়েও ছোট্ট লিলিপুট সাইজের এই দেশটি যখন দানবাকৃতির আমেরিকার হুংকারেও কাবু হয় না, বরং মাথা উচিয়ে গর্জে উঠে তখন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে তাঁকিয়ে থাকে ছোট্ট এই সাহসী দেশটির দিকে। এই দেশটির নাম হলো উত্তর কোরিয়া। ১৯০৫ সালে রুশো-জাপানিজ যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে কোরিয়া হারায় এর স্বাধীনতা। এই যুদ্ধে জয়ী হয় জাপান, ফলে জাপানের অধীনে চলে আসে কোরিয়া।

১৯১০-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই ৩৫ বছর ধরে কোরিয়ান মেয়েদের বানানো হয় জাপানিদের ভোগ্য পণ্য আর ছেলেদের করা হয় জাপানিদের গোলাম। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে কোরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে, কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়ার দুই প্রান্ত দুই পরাশক্তির অধীনে থাকায় যুদ্ধশেষে কোরিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আমেরিকার অধীনে থাকা কোরিয়ার দক্ষিনাংশ হয়ে যায় গণতান্ত্রিক দেশ দক্ষিন কোরিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকা কোরিয়ার উত্তর অংশ হয়ে যায় সমাজতান্ত্রিক দেশ উত্তর কোরিয়া।



জাপানের শোষন থেকে কোরিয়াকে মুক্ত করার জন্য যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা কিম ইল-সং। জীবনের দীর্ঘ সময় কোরিয়ার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা লাভ করেন কিম ইল-সং। কিম ইল-সং এর মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন তাঁর ছেলে কিম জং ইল এবং কিম জং ইল এর মৃত্যুর পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হন তার ছেলে কিম জং উন।

আমেরিকা ও এর ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো কখনোই চায়নি এশিয়া মাথা তুলে দাড়াক। সেজন্য জাপান যখন চল্লিশ এর দশকে এশিয়াকে ইউরোপের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে চাইছিলো তখন ১৯৪৫ সালে পারমানবিক বোমা মেরে জাপানের ঘাড় মটকে দেয় আমেরিকা, বুঝিয়ে দেয় আসল রাজা কে। এই ঘটনার পর থেকে আমেরিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গোটা এশিয়াকে। যেসব দেশ আমেরিকার কথা শুনেনি কিংবা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সেসব দেশকে হয় তছনছ করে দেওয়া হয় কিংবা সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে সরিয়ে দিয়ে এমন কাউকে ক্ষমতায় বসানো হয় যিনি কাজ করবেন আমেরিকার পুতুল হিসেবে।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা যখন কোরিয়ার উত্তরাংশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তখন থেকেই পরাজয়ের আগুনে জ্বলছিল আমেরিকা। আমেরিকা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না যে তার বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোন দেশ পৃথিবীতে থাকুক। আমেরিকার কাছে উত্তর কোরিয়া হলো চোঁখের কাটা, যতক্ষন পর্যন্ত না এটিকে উপড়ে ফেলা যায় ততক্ষন পর্যন্ত শান্তি পাবে না এটি। তাই ৫০ এর দশকে কোরিয়ান যুদ্ধে গোটা উত্তর কোরিয়াকে লন্ডভন্ড করে ফেলে আমেরিকা এবং হত্যা করে দেশটির ২০ ভাগ মানুষকে যার পরিমাণ ২-৩ মিলিয়ন মানুষ।

যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়েও কিংবা স্বজন হারিয়েও উত্তর কোরিয়ার জনগণ ভেঙ্গে পড়েনি। বরং নিজেদের অবস্থা বদলাতে মরিয়া উত্তর কোরিয়ার মানুষ কয়েক বছরেই তাদের অবস্থা একেবারে বদলে ফেলে। তখন উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা দক্ষিন কোরিয়ার চেয়েও ভালো অবস্থানে ছিল। কিন্তু প্রথমে জোসেফ স্টালিন ও পরে মাও জেদংয়ের মৃত্যু ও সবশেষে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের মধ্যদিয়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই শোচনীয় পর্যায়ে এসে দাড়ায়। ওদিকে জাতিসংঘকে দিয়ে আমেরিকা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছিলো উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে।

কিন্তু এতকিছুর পরেও উত্তর কোরিয়া ভেঙ্গে পরেনি। পরনির্ভরতা বাদ দিয়ে নিজেরাই সবকিছু উৎপাদন করা মানে স্বনির্ভরতা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যাবহার, কঠোর পরিশ্রম, বিনামূল্যে জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতকরণ, শতভাগ স্বাক্ষরতা বাস্তবায়ন অর্থাৎ দেশের কেউ নিরক্ষর বা অশিক্ষিত থাকবে না, এগুলো হলো উত্তর কোরিয়ার উন্নয়নের মূলনীতি। এই দেশটি হলো পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে গৃহহীন বলতে কোন শব্দ নেই, এখানে কাউকে শিক্ষা গ্রহণ, চিকিৎসা সেবা পাওয়া কিংবা বাসস্থানের জন্য টাকা দেয়া লাগে না।

এদেশটিতে কোন পরিত্যক্ত শিশু নেই, মাতা-পিতাহীন শিশুদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে। কিম পরিবার শাসিত একনায়কতান্ত্রিক এই দেশটিতে খুবই কঠোর আইন থাকতে পারে, কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যম যেভাবে গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে দেশটিকে অদ্ভুতভাবে হাসির পাত্র হিসেবে তুলে ধরে সেরকম কোনকিছুই নেই, বলছেন উত্তর কোরিয়া পরিদর্শন করে আসা কানাডিয়ান আত্মনির্ভর সাংবাদিক ইভা বার্টলেট।

গুগল কিংবা ইউটিবে যখন উত্তর কোরিয়া লিখে সার্চ করবেন তখন যে বিষয়গুলো দেখলে আপনার বিদঘুটে মনে হবে সেটি হলো চুল কাটা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কিংবা খাদ্যাভাবে মানুষের মৃত্যু। চুল কাটা নিয়ে কোন দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে এটি বিশ্বাস হচ্ছিলো না দুই অস্ট্রেলিয় যুবকের। আর তাই তাঁরা দুজন পাড়ি জমিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ায়, নিজের চোঁখে দেখে আসবেন বলে। উত্তর কোরিয়া থেকে ঘুড়ে এসে তাঁরা একটি তথ্যচিত্র বা ডকুমেন্টারী ইউটিউবে আপলোড করলেন যার নাম দ্যা হেয়ারকাট। এখানে তাঁরা দুজন বর্ননা করেছেন কিভাবে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উত্তর কোরিয়া ও কিম জং উন কে গোটা পৃথিবীর কাছে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করছে।



কিম ইল সং বুঝতে পেরেছিলেন আমেরিকার হাত থেকে তাঁর দেশকে রক্ষা করতে গেলে একটি জিনিস থাকা দরকার, পারমানবিক অস্ত্র। সেজন্য তিনি বেঁচে থাকতেই পারমানবিক প্রকল্প চালু করেছিলেন যা এখনও চলমান। কিন্তু আমেরিকার চাপের মুখে কি উত্তর কোরিয়া আদৌ এতে সফল হবে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তর কোরিয়া যদি আমেরিকার কথা শুনে পারমানবিক প্রকল্প বন্ধ করে দেয় তাহলে কিম জং উন এর পরিণতি হতে পারে সাদ্দাম হুসেন কিংবা গাদ্দাফির মতো।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক এই চমৎকার পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !

সাম্রাজ্যবাদ সে আমেরিকা/ব্রিটেনই হোক বা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিই হোক, তাদের সকলের উদ্দেশ্য একটিই | প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছোট দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা | আমাদের পার্শ্ববর্তী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রটির কারণে আশেপাশের ছোট রাষ্ট্রগুলো একধরণের অস্বস্তিতে ভুগে থাকে সবসময়ই, তাদের কথামতো না চললে রাষ্ট্রপ্রধানদের ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে (শ্রীলংকা/মালদ্বীপ) দেয়া বা বাণিজ্যিক অবরোধের (নেপাল) মতো নির্লজ্জ কর্মকান্ডের স্বীকার হতে হয় ওই সকল দেশের |

সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর কাছে মাথা না নুইয়ে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব | এই অসম্ভবের মধ্যেও টিকে আছে কোরিয়া ও কিউবার মতো দুটি অতি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র যাদের বাহবা দিতেই হয় | তবে ওই দেশগুলো যদি একনায়কদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ দিতে পারে তবে তাদের জন্যই মঙ্গোল হবে |

০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

তাসনুভা রায়া বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর কাছে মাথা না নুইয়ে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব | এই অসম্ভবের মধ্যেও টিকে আছে কোরিয়া ও কিউবার মতো দুটি অতি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র যাদের বাহবা দিতেই হয় | তবে ওই দেশগুলো যদি একনায়কদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ দিতে পারে তবে তাদের জন্যই মঙ্গোল হবে |

সহমত
বাইরের দেশের কথা বাদ দিলেও, ভারত ও আমেরিকার মতো বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর অনেক রাজ্যও কোণঠাসা হয়ে পরাধীনভাবে কোনমতে টিকে রয়েছে, এই রাজ্যগুলোকে মূলত রাখা হয়েছে এগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদের জন্যই। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার ধর্মই হলো দুর্বলকে শোষণ করে সবলের দল ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হওয়া। উদাহরণ দেওয়ার জন্য বেশিদূর যেতে হবে না, আমাদের পাশের অঞ্চল আসামের দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

২| ০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২০

বলেছেন: আপনার লেখায় তথ্যগত অনেক ভুল আছে --- শিশুরা নাকি নিরাপদ!! নাগরিক না খেয়ে মরে না!! এসব কোথায় পেলেন।।।!!!


উত্তর কোরিয়ায় সবকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে----
কিম পরিবারের তিন পুরুষ শাসন করে আসছে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটিকে।বর্তমান নেতা কিম জং আন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি পুরোপুরি আনুগত্য দেখিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে দেশটির নাগরিকদের।

প্রত্যেক নাগরিকের ওপরই ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আর দেশের অর্থনীতি, সেটিতো সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে।


মানুষের খাদ্য, জ্বালানিসহ মৌলিক বিষয়গুলোতে ভয়াবহ সংকট রয়েছে। কিন্তু কিম জং আনের সরকার অর্থ ব্যয় করছে পরমাণু এবং ক্ষপনাস্ত্র কর্মসূচিতে দেশটিকেই বিশ্বের উন্মুক্ত কারাগার বলা যায় বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ব্র্যাড অ্যাডামস। সামান্য বিষয়ে কারাদন্ড হতে পারে।আর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা সেখানে কোনো বিষয়ই নয়।প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদও করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হলে তাঁর পুরো পরিবারকেই চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হয়। কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা বা ডিভিডি বা কিছু দেখে, তাহলে তাকেও বন্দী করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় সোয়া লাখের বেশি মানুষ কারাগারে রয়েছে। ২২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষার্থী উত্তর কোরিয়া বেড়াতে গিয়ে ১৭ মাস জেল খেটেছিলেন।

নাগরিকের শ্রমের উপরও জবরদস্তি চলে---

দেশের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে বছরের কোনো না কোনো সময় সরকারের কাছে বিনামূল্যে শ্রম দিতে হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ নিয়েও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছিল। উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যাওয়া সাবেক একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, বছরে দু'বার তাদের স্কুল থেকে জোর করে বিনামূল্যে কাজ করিয়ে নেয়া হয়েছিল।

চীন, কুয়েত এবং কাতারে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার নাগরিককে ক্রীতদাসের মতো নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করতে পাঠানো হয়।তারা নামমাত্র যে পারিশ্রমিক পান, তারও বড় অংশ সরকার নিয়ে নেয়। নাগরিকদের বিনামূল্যে শ্রমও দিতে হয়।
নারীদের কোন অধিকারই সেখানে নেই। উত্তর কোরিয়া নিজেদের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও সেখানে নারীরা চরম বৈষ্ণ্যমের শিকার। তাদের শিক্ষা এবং কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। আর আহরহ ঘটে যৌন হয়রানির ঘটনা। ফলে নারীদের জীবন সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

শিশুরাই বা কতটা নিরাপদে আছে?
প্রাথমিক স্কুল থেকেই শিশুদের ঝড়ে পড়ার হার উদ্বেগজনক। শিশুরা স্কুল যাওয়া শুরু করে। কিন্তু পরিবারকে সাহায্য করার জন্য শিশু বয়সেই অর্থ আয়ের চেষ্টা করতে হয়।ফলে তাদের আর স্কুলে যাওয়া হয়না। স্কুলের পাঠ্যক্রম রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত। এই পাঠ্যক্রম দিয়ে জানার পরিধিও সীমিত করে রাখা হয়েছে। ইউনিসেফ এর হিসাব অনুযায়ী দুই লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

উত্তর কোরিয়ার সরকার নাগরিকদের অধিকার নিয়ে সমালোচনা অস্বীকার করে আসছে। তবে মানবাধিকার কর্মি ব্র্যড অ্যাডামস এর মন্তব্য হচ্ছে,উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতিকে তলাবিহীন গভীর কূপের সাথে তুলনা করা যায়।

০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০২

তাসনুভা রায়া বলেছেন: আপনার লেখায় তথ্যগত অনেক ভুল আছে

এভাবে ঢালাওভাবে না বলে ঠিক কোন তথ্যটি/তথ্যগুলো ভুল তা বললেই যথার্থ হতো, অন্যথায় এটিকে মনগড়া উক্তি ছাড়া কিছুই বলা যায় না...

শিশুরা নাকি নিরাপদ!! নাগরিক না খেয়ে মরে না!! এসব কোথায় পেলেন।।।!!!

পোস্টে বলা হয়েছে, এদেশটিতে কোন পরিত্যক্ত শিশু নেই, মাতা-পিতাহীন শিশুদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে।
নিরাপদ শব্দটি উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু তবুও লেখা থেকে ধরে নেয়া যেতেই পারে যে, যেহেতু দেশটিতে কোন পরিত্যক্ত শিশু নেই, সেহেতু শিশুরা নিরাপদ। এই তথ্যটি মিথ্যা এর স্বপক্ষে আপনি কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন কি?

আপনাকেও একইভাবে প্রশ্ন করা যায়, উত্তর কোরিয়ার শিশুরা অনিরাপদ, আপনি এই তথ্য পেলেন কোথা থেকে? যে দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে রক্ষণশীল দেশ, যে দেশের কোন সাধারণ মানুষের/জনগণের সাক্ষাৎকার কোন সাংবাদিক এখনও নেয়নি, সেই দেশ সম্পর্কে মূলধারার বানোয়াট প্রতিবেদনগুলো কি বললো তার ভিত্তিতে কিংবা আন্দাজের ভিত্তিতে মনগড়া মন্তব্য মোটেই কাম্য নয়।

উত্তর কোরিয়ার শিশুরা গোটা বিশ্বের যেকোন দেশের শিশুদের চাইতে মেধা, মননে, কার্যক্ষমতায় অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই বরং অনেক দিক দিয়ে বহুগুণ এগিয়ে আছে --- এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায় এই শিশুদের অসাধারণ পারফর্ম্যন্সের ভিডিওগুলো থেকেই। যারা উত্তর কোরিয়ার ঘোর বিরোধী তাঁরাও এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে এই শিশুগুলো মেধাবী, অনেক ক্ষেত্রে বহু তথাকথিত উন্নত দেশের শিশুদের চাইতেও এদের কাজ অধিক বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।

এখন কথা হলো এই শিশুগুলোকে কি না খাইয়ে রেখে কিংবা জামাকাপড় খুলে মারধর করে এমন দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে নাকি বাইরের তথাকথিত স্বাভাবিক দেশের আর দশটা শিশুর মতো সুবিধা দেওয়ার ফলেই এরা এমনভাবে গড়ে উঠেছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কি আসলেই কেউ জানে? তবে আমাদের সাধারণ বিচার বুদ্ধি থেকে আমরা এটুকু হয়তো বুঝতে পারি যে জোর করে যদি এই শিশুদের দিয়ে এগুলো করানো হতো তাহলে এরা কখনোই এতোটা ভালো করতে পারতো না।

বহু তথ্যচিত্র থেকে এ কথা পুরোপুরি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে এই দেশটির শিশুদের ছোটবেলা থেকেই প্রপাগন্ডা গেলানো হয়। কিন্তু এই প্রপাগন্ডার আল্টিমেট লক্ষ্যটা কি সেটা কি নিরপেক্ষভাবে ভেবেছেন? কেউ বলবে কিম পরিবারের ক্ষমতায় টিকে থাকা আবার কেউ বলবে বহি:বিশ্ব থেকে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে আগলে রাখা। আসলে কে কিভাবে/কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখছে সেটার ভিত্তিতেই উত্তর টা আসে, ভালো-মন্দ, নিরাপদ-অনিরাপদ এই বিষয়গুলো একেবারেই আপেক্ষিক।

ধরুণ আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী (স্বামী বা স্ত্রী) পুরোপুরি রক্ষণশীল, আপনারা দুজনেই দৃঢ়ভাবে মনে করেন যে ইসলামি শারিয়াহর ভিত্তিতে জীবনধারণ করাই হলো আপনাদের দুজনের মতে সর্বোত্তম পন্থা। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি আপনার পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন আমেরিকার লাস ভেগাসের মতো জায়গায়। আপনার কি মনে হয় আপনি কি পারবেন নিজের আদর্শে আপনার পরিবারকে আগলে রাখতে? আপনি যদি নাছোড়বান্দা হয়ে আপনার পরিবারকে শারিয়াহর আদর্শে রাখতেই চান তাহলে আপনাকে এতোটাই কঠোর হতে হবে যা আপনার প্রতিবেশিদের কাছে একেবারেই বিদঘুটে মনে হবে, অনেকক্ষেত্রে এদের চোঁখে আপনি একটা হায়েনা কিংবা দানব হিসেবেও প্রতিপণ্য হবেন। এদের দৃষ্টিতে এরা অনেক এগিয়ে আছে, আর আপনার দৃষ্টিতে এই মানুষগুলো অনধকারে ডুবে আছে।

এ বিষয়গুলো একেবারেই আপেক্ষিক, আপনি কিভাবে দেখছেন তার ভিত্তিতেই উত্তর আসবে .... যদি নিরপেক্ষ হোন, তবে একথা স্বীকার করবেন

উত্তর কোরিয়ায় সবকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে----

সহমত [সবকিছুই না বলে প্রায় সবকিছু বলাটা যৌক্তিক ]

কিম পরিবারের তিন পুরুষ শাসন করে আসছে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটিকে।বর্তমান নেতা কিম জং আন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি পুরোপুরি আনুগত্য দেখিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে দেশটির নাগরিকদের।

গোটা কোরিয়ার সমাজব্যবস্থার ভীত ছিল কনফুসিয়াসের দর্শন। দক্ষিন কোরিয়া এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেলেও উত্তর কোরিয়াএখনও কনফুসিয়াসের দর্শনেই রয়ে গেছে। এই মানুষগুলো স্বাভাবতই বয়সে যারা বড় তাদের এবং শাসকদের শ্রদ্ধা করে আসছে হাজার বছর ধরে। তবে অনেক মানুষই যে বিরোধিতা করেছে এবং এখনও করছে এটা সহজেই অনুমেয়, এটা সব সমাজ ও দেশেই হয়ে থাকে। তবে কিম পরিবার বিরোধীদের পরিণাম ভয়াবহ এটা বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর একথা সব একনায়কদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, শুধু কিম পরিবার নয়...

প্রত্যেক নাগরিকের ওপরই ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আর দেশের অর্থনীতি, সেটিতো সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে।

প্রত্যেক নাগরিকের ই ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে এটা অতিরঞ্জন ছাড়া কিছুই না। সাধারণত নাগরিকদের নজরদারিতে রাখা হয় এটা হয়তো বলা যেতে পারে। কিন্ত এ কথাটিই বা কিভাবে জোর দিয়ে বলা যায় যখন উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা একটি মেয়ে নিজেই বলেছেন তিনি দশ বছর ধরে লুকিয়ে রেডিও শুনতেন (রেডিওতে বাইরের দেশের অনুষ্ঠান শুনতেন)। একটি রক্ষণশীল পরিবারে যেমন পরিবারের স্বন্তানদের সবসময় চোঁখে চোঁখে রাখা হয়, সেরকম টা হতে পারে, কিন্তু “ত্যেক নাগরিকের ওপরই ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে“ একথাটি ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জন ছাড়া কিছুই নয়।


মানুষের খাদ্য, জ্বালানিসহ মৌলিক বিষয়গুলোতে ভয়াবহ সংকট রয়েছে। কিন্তু কিম জং আনের সরকার অর্থ ব্যয় করছে পরমাণু এবং ক্ষপনাস্ত্র কর্মসূচিতে দেশটিকেই বিশ্বের উন্মুক্ত কারাগার বলা যায় বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ব্র্যাড অ্যাডামস। সামান্য বিষয়ে কারাদন্ড হতে পারে।আর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা সেখানে কোনো বিষয়ই নয়।প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদও করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হলে তাঁর পুরো পরিবারকেই চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হয়। কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা বা ডিভিডি বা কিছু দেখে, তাহলে তাকেও বন্দী করা হয়।

বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশগুলোই মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতে ব্যর্থ হয় এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ভয়াবহ সংকট টাইপের শব্দগুলো মাত্রাতিরিক্ত অতিরঞ্জন বা প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। সামান্য বিষয়ে কারাদন্ড হয় এটা সুবিদিত, কিন্তু শিরচ্ছেদ এর কথা কোথায় পেলেন? যদি নিশ্চিত থাকেন, তাহলে বিশ্বাসযোগ্য সোর্স/লিংক দিন

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় সোয়া লাখের বেশি মানুষ কারাগারে রয়েছে। ২২ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষার্থী উত্তর কোরিয়া বেড়াতে গিয়ে ১৭ মাস জেল খেটেছিলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে যা বলা হয় এর বেশিরভাগই বানোয়াট ও প্রপাগন্ডা। তবে একাধিক মার্কিন নাগরিক যে তুচ্ছ কারণে জেল খেটেছেন এটা বিশ্বব্যপী খুবই আলোচিত সংবাদ। ক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা বা সিডি / ডিভিডি পেলে শাস্তি দেওয়া হয় এটাও খুবই আলোচিত। তবে ঠিক কোন তথ্যটি সঠিক আর কোনটি বানোয়াট তা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল।


নাগরিকের শ্রমের উপরও জবরদস্তি চলে---
দেশের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে বছরের কোনো না কোনো সময় সরকারের কাছে বিনামূল্যে শ্রম দিতে হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ নিয়েও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছিল। উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যাওয়া সাবেক একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, বছরে দু'বার তাদের স্কুল থেকে জোর করে বিনামূল্যে কাজ করিয়ে নেয়া হয়েছিল।


এটাতে কি এমন দোষের কিছু আছে! বহু দেশ আছে যেখানে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যেতে হয়, মরুভূমিতে আমেরিকান ষ্টাইলের উন্নত শহর গড়ার জন্য খ্যাত ইজরায়েল নামক দেশটিতেও একই নিয়ম রয়েছে। জার্মানিতেও যেতে হতো বলে আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডে চলে গিয়েছিলো, তাই বলে জার্মানি নিকৃষ্ট হয়ে গেলো!

চীন, কুয়েত এবং কাতারে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার নাগরিককে ক্রীতদাসের মতো নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করতে পাঠানো হয়।তারা নামমাত্র যে পারিশ্রমিক পান, তারও বড় অংশ সরকার নিয়ে নেয়। নাগরিকদের বিনামূল্যে শ্রমও দিতে হয়।
নারীদের কোন অধিকারই সেখানে নেই। উত্তর কোরিয়া নিজেদের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও সেখানে নারীরা চরম বৈষ্ণ্যমের শিকার। তাদের শিক্ষা এবং কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। আর আহরহ ঘটে যৌন হয়রানির ঘটনা। ফলে নারীদের জীবন সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে।


আপনার লেখাগুলো পশ্চিমা মূলধারার সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যগুলোর হুবুহু উদৃতি ছাড়া কিছুই নয়। উত্তর কোরিয়ার নারীদের কোন অধিকারই সেখানে নেই এগুলো পুরোপুরি মিথ্যা। আপনি কয়েকটি ডকুমেন্টারি দেখলেই দেখতে পাবেন মেয়েরা বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে। যে দেশের কোনকিছুই কেউ ভালোভাবে জানে না সে দেশ সম্পর্কে এমন বানোয়াট মিথ্যা প্রতিদিন ছড়ানো একটি কথাকে মনে করিয়ে দেয়..... বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বুশ সরকারকে প্ররিচিত করেছিল যে সাদ্দাম হোসেনের কাছে ধ্বংসাত্মক মারণাস্ত্র রয়েছে....পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো ঢালাওভাবে নেতানিয়াহুর কথা এমনভাবে প্রচার করলো যে রাতারাতি সাদ্দাম বনে গেলেন সন্ত্রাসী। তারপর ইরাককে গুড়িয়ে দেওয়া হলো, তেল লুট করা চলছে এখনও, কিন্তু সবশেষে কি দেখা গেলো? কোন ধ্বংসাত্মক মারণাস্ত্র পাওয়া গেলো? কিচ্ছু পাওয়া যায়নি.... এই ঘটনার জন্য কি আমেরিকান সরকার কোন ক্ষমা চেয়েছে?

প্রত্যেক দেশের সরকারই ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু না কিছু করছে যা ব্যবহার করে আমেরিকা সেই সরকারকে উৎখাত করতে পারে।

আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার সম্পর্কে যে ধারণাটি আসছে সেটি হলো এমন যে, আপনাকে যা গেলানো হচ্ছে আপনি তাই গিলছেন, নিজের সহজাত বিচার বুদ্ধিটুকু ও প্রয়োগ করছেন না

৩| ০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: উত্তর কোরিয়ার সাইবার সক্ষমতা নজর কাড়ার মতো। যদিও দেশটির হাতেগোনা কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে। তবে নিজ কাজে তারা যথেষ্ট দক্ষ। হ্যাকিং এর মাধ্যমে বিটকয়েন এবং অর্থ সংগ্রহ করে।

তাদের পারমাণবিক স্থাপনাও দারুণভাবে ধোঁয়ার মতো কিছু উপাদান ব্যবহার করে স্যাটেলাইট থেকে গোপন রাখে।

আপনার পোস্টের তথ্যগুলো আমি যাচাই করে পরে কমেন্ট করবো। ইন্টারনেটের সকল তথ্যই সঠিক নয় !

০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১২

তাসনুভা রায়া বলেছেন: তবে নিজ কাজে তারা যথেষ্ট দক্ষ
সহমত। উত্তর কোরিয়ার মানুষদের কাজ দেখে এখনও পর্যন্ত একথাটির পুরোপুরি সত্যতা পেয়েছি, কতোটা যত্ন ও আন্তরিকতার সাথে এি মানুষগুলো নিজেদের কাজকে দেখে তা সত্যিই মুগ্ধ করে।

ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স, ভালো থাকবেন

৪| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় গুলোতে আমার কোনো জ্ঞান নেই। তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

তাসনুভা রায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ধন্যবাদ! অনেক কষ্ট করে পোস্টটি লেখেছেন ও মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করেছেন!

তবে আপনার একথা স্বীকার করতে বাধ্য হতে হবে যে,পশ্চিমা মিডিয়াগুলো অনেক মিথ্যা তথ্য ফলাও করে প্রচার করে!

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪১

তাসনুভা রায়া বলেছেন: তবে আপনার একথা স্বীকার করতে বাধ্য হতে হবে যে,পশ্চিমা মিডিয়াগুলো অনেক মিথ্যা তথ্য ফলাও করে প্রচার করে!

ঠিক বলেছেন ভাইয়া।

ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪২

তাসনুভা রায়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪৫

তারপর বলো বলেছেন: সব বুঝলাম, আচ্ছা বলেন তো সেখানে নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না কেন?

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫০

তাসনুভা রায়া বলেছেন: একটি রক্ষণশীল পরিবারের কর্তাব্যক্তি যেমন তাঁর সন্তানদের আগলে রাখতে চাইবেন, উত্তর কোরিয়ার মানুষেরাও মনে করে তাদের শাসক তাদেরকে সন্তানের মতো আগলে রাখার জন্যই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সাধারণ নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারলেও রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ ইন্ট্রানেট ব্যবহার করতে পারে, হয়তো এই ইন্ট্রানেট ব্যবহার করার সৌভাগ্যও সবার ভাগ্যে জোটে না, কেবল নির্দিষ্ট মানুষের ই সুযোগ হয়।

আসলে, এই পোস্টে উত্তর কোরিয়া কিংবা কিম পরিবারের স্বপক্ষে কোন সাফাই গাওয়া হয়নি, এমন কোন লক্ষ্যও ছিলো না, আর এখনও নেই। এখানে মূলত তুলে ধরা হয়েছে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো যে মিথ্যা বানোয়াট তথ্যগুলো প্রচার করছে সে বিষয়গুলো।

আপনার ছোট্ট মন্তব্যের ঠিকঠাক উত্তর দিতে গেলেও লম্বা এক জবাব লিখতে হবে, কিন্তু তা পারছি না বলে,
এক কথায় বলললে, পুরো ব্যপারটি হলো আপনি কোন পার্সপেক্টিভ বা দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছুকে দেখছেন তা থেকেই উত্তরটি আসবে। এক দিক থেকে দেখলে জঘন্য মনে হবে আবার উল্টো দিক থেকে দেখলে ঠিক মনে হবে।

কেন যেন মনে হয় এখনকার মানুষেরা বড্ড বেশি দূরন্ত, কোনকিছুকে নিরপেক্ষভাবে দেখা কিংবা দৃষ্টিকোণ নামের একটা কিছু যে রয়েছে তা নিয়ে ভাবার সময় বা ইচ্ছে আমাদের নেই, প্রায় সবকিছুই রেডিমেড/মেকি/ঠুনকো.....সব..... এমনকি প্রিয় মানুষটির হাসিটুকুও....

নিকট ভবিষ্যতে যখন রোবট এসে সব স্থান দখল করে নেবে তখন আমাদের পা মাটি স্পর্শ করতেই চাইবে না....
ব্রাজিলের কিছু অঞ্ল এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের এখনও এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আদিম মানুষগুলো স্বাধীনভাবে বসবাস করছে, অনেক বিজ্ঞদের মতে তাঁরাই সুখে রয়ে গেছে, আর আমরা একটু বেশিই জটিল হয়ে গেছি। সেজন্য তাদের স্বাধীনতায় এখনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ধরুন আপনি চলে গেলেন ওই বিচ্ছিন্ন স্থানে আর আপনার সুপার ডুপার আধুনিক জাদুর বাক্স আইপ্যাড ধরিয়ে দিলেন ওখানকার কোন এক শিশুকে.... ভাবুনতো সেই শিশুটি ও তাঁর সাথে থাকা অন্য শিশুদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া কতোটাই না বিস্ময়কর হবে! কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে একটি সময় আসবে যখন আপনার জাদুর বাক্স তাদের সমস্ত শান্তি কেড়ে নেবে, মানুষগুলোকে লোভী আর হিংসুটে করে তুলবে.......আরো অনেক কথাই বলা যায় কিন্তু ইচ্ছে করছে না।

যাহোক, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.