নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুঘল সাম্রাজ্য ছিল ভারত উপমহাদেশের একটি ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য । উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলজুড়ে মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল । মুঘল সাম্রাজ্য পারস্যের ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল । সমসাময়িকরা বাবরের প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যকে তিমুরি সাম্রাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন যা মুঘলরা নিজেরাও ব্যবহার করত । আইন ই আকবরিতে হিন্দুস্তান নামটি উল্লেখ রয়েছে । পাশ্চাত্যে মুঘল শব্দটি সম্রাট ও বৃহৎ অর্থে সাম্রাজ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হত । আরবি এবং ফারসি থেকে মুঘল শব্দটি এসেছে । তবে বাবরের পূর্বপুরুষরা সাবেক মঙ্গোলদের চেয়ে ফারসি সংস্কৃতি দ্বারা বেশি প্রভাবিত ছিলেন । জ্বলপথে প্রথম যুদ্ধে ইবরাহিম লোদির বিরুদ্ধে বাবরের জয়ের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা ঘটে । মুঘল সম্রাটরা ছিলেন মূলত মধ্য এশিয়ার তুর্কি মঙ্গোল বংশোদ্ভূত । এরা চাগতাই খান এবং তৈমুরের মাধ্যমে নিজেদের চেঙ্গিস খানের বংশধর বলে দাবি করতেন । ১৫৫৬ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্রুপদি যুগ শুরু হয় । আকবর এবং তার ছেলে জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ভারতে অর্থনৈতিক প্রগতি বহুদূর অগ্রসর হয় । আকবর অনেক হিন্দু রাজপুত রাজ্যের সাথে মিত্রতা করেন । কিছু রাজপুত রাজ্যের উত্তর পশ্চিম ভারতে মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জারি রাখে কিন্তু আকবর তাদের বশীভূত করেন । মুঘল সম্রাটরা মুসলিম থাকলেও জীবনের শেষের দিকে শুধুমাত্র সম্রাট আকবর এবং তার পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর নতুন ধর্ম দীন ই-ইলাহির অনুসরণ করতেন ।
মুঘল সাম্রাজ্য স্থানীয় সমাজে হস্তক্ষেপ করতেন না তবে তারা প্রশাসনিকভাবে এসববের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতেন । তারা অনেক বেশি কাঠামোগত ভাবে কেন্দ্রীভূত শাসন প্রতিষ্ঠা করেন । মুঘল শাসনামলে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সমাজ গোষ্ঠী যেমন মারাঠা, রাজপুত ও শিখরা সামরিক শক্তি অর্জন করেন ।
শাহজাহানের যুগে মুঘল স্থাপত্য এর স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে । তিনি অনেক স্মৃতিসৌধ, মসজিদ, দুর্গ নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে আগ্রার তাজমহল, মোতি মসজিদ, লালকেল্লা, দিল্লি জামে মসজিদ । আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় । শিবাজী ভোসলের অধীনে মারাঠাদের আক্রমণের ফলে সাম্রাজ্যের অবনতি শুরু । আওরঙ্গজেবের সময় দক্ষিণ ভারত জয়ের মাধ্যমে ৩.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয় । ততকালিন সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ১৫০ মিলিয়নের বেশি যা ততকালীন পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এবং জিডিপি ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ছিল । ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ নাগাদ মারাঠারা মুঘল সেনাবাহিনীর বিপক্ষে সফলতা লাভ করেন এবং দক্ষিণাত্য থেকে বাংলা পর্যন্ত বেশ কিছু মুঘল প্রদেশে বিজয়ী হন । সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টি করে যার ফলে বিভিন্ন প্রদেশ কার্যত স্বাধীন হয়ে যায় । ১৭৩৯ সালে কারনালের যুদ্ধে নাদির শাহের বাহিনীর কাছে মুঘলদের পরাজয় ঘটে । ততকালিন সময় দিল্লি লুন্ঠিত হয় । পরের শতাব্দীতে মুঘল শক্তি ক্রমান্বয়ে সীমিত হয়ে পড়েন ও শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের কর্তৃত্ব শুধু শাহজাহানাবাদ শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে যায় । সিপাহী বিদ্রোহের সমর্থনে তিনি একটি ফরমান জারি করেন । সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহীতার অভিযোগ এনে কারাবন্দী করেন । শেষে তিনি রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন এবং সেখানেই মারা যান ।
বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি ছিলেন মধ্য এশিয়ার তুর্কি মঙ্গোল বংশোদ্ভূত শাসক । বাবার দিক থেকে তিনি তৈমুর লং এবং মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন । মধ্য এশিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে বাবর ভারতে ভাগ্য নির্মাণে নিয়োজিত হন । তিনি নিজেকে কাবুলের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং আফগানিস্তান থেকে খাইবার পাস হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন । জ্বলপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর বাবরের সেনাবাহিনী উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা জয় করে নেয় । তবে তার শাসন কাজে পাকাকোক্ত হতে অনেক সময় লেগে যায় । অস্থিতিশীলতা তার ছেলে হুমায়ুনের সময়ও ছড়িয়ে পড়েছিল । হুমায়ুন ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারত থেকে পারস্য পালিয়ে যায় । হুমায়ুনের সাথে পারস্যের সাফাভিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যে পারস্যের সাংস্কৃতিক প্রভাব বৃদ্ধি শুরু হয় । পারস্যের সহায়তায় হুমায়ুন মুঘলদের ক্ষমতা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে । এর অল্পসময় পরে দুর্ঘটনায় হুমায়ুনের মৃত্যু হলে তার ছেলে আকবর অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সিংহাসনে বসেন । আকবরের অভিভাবক বৈরাম খান ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি মজবুত করতে আকবরকে সহায়তা করেন । যুদ্ধ এবং কূটনীতির মাধ্যমে আকবর সাম্রাজ্যকে সবদিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় । তিনি ভারতের সামাজিক গোষ্ঠীর সামরিক অভিজাতদের থেকে তার প্রতি অনুগত নতুন অভিজাত শ্রেণী গড়ে তোলেন । তিনি উন্নত সরকার ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বহু অবদান রেখেছেন । আকবর ইউরোপীয় বাণিজ্য কোম্পানিগুলোর সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেন । বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পার্থক্য দূর করার জন্য আকবর দীন ই ইলাহি নামক নতুন ধর্ম তৈরি করেন । তবে এই ধর্ম প্রসিদ্ধ হয়নি । আকবরের ছেলে সম্রাট জাহাঙ্গীর সমৃদ্ধির সাথে শাসন করেন । তবে জাহাঙ্গীর আফিমে আসক্ত ছিলেন এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অনীহা দেখায় এবং দরবারের বিদ্রোহীদের প্রভাবে পড়ে । তার ছেলে শাহজাহানের শাসনকাল মুঘল দরবারের জাকজমকের জন্য প্রসিদ্ধ । এসময় অনেক বিলাসবহুল ইমারত নির্মিত হয় যার মধ্যে তাজমহল ছিল অন্যতম । এসময় দরবারের রাজস্ব আয়ের চেয়ে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেশি ছিল । শাহজাহানের অসুস্থতার পর তার বড় ছেলে দারা শিকোহ অভিভাবক হন । সিংহাসন নিয়ে শাহজাহানের ছেলেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অন্যান্যদের পরাজিত করে শেষপর্যন্ত আওরঙ্গজেব জয়ী হন । দারা শিকোহকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় । আওরঙ্গজেব শাহজাহানকে শাসনের অযোগ্য ঘোষণা করে বন্দী করেন । আওরঙ্গজেবের সময় মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অনেক বৃদ্ধি পায় । তিনি প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মুঘল সাম্রাজ্যের সরাসরি অধীনে নিয়ে আসেন । ১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে । আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন । তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে । ১৭১৯ সালে চারজন সম্রাট পরপর শাসন করেন । একটি সময় মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে । মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায় ।
নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে । সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয় । তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচিত করা হত । সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান । কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয় । এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি । ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান এবং মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয় । ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগানদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠেন । তৃতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় রাখেন বা তা ছিল । তারপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হন । সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠান । এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয় । ইতিহাসবিদদের মতে মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ আছে । অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান অফিসার আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় তেমন রাজস্ব ছিল না । আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন । সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলেন । ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করেন । ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন । মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে । একটী মার্ক্সবাদি মতানুযায়ী ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায় । আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে । ধর্মীয় দিক থেকে বিচারে বলা হয় হিন্দু রাজপুতরা মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন । তবে চূড়ান্ত মত হিসেবে অন্যান্য পন্ডিতরা বলেন যে সাম্রাজ্যের অত্যধিক সমৃদ্ধি প্রদেশগুলোকে অধিক মাত্রায় স্বাধীনতা অর্জনে উৎসাহ যোগায় এবং রাজ দরবারকে দুর্বল করে তোলে ।
কৃতজ্ঞতাঃ ইন্টারনেট
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকারভাবে স্বীয় মুন্সিয়ানায় মোঘল ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
কিন্তু শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ........কলেবর আরেকটু বাড়ানো যেতো।
লেখনী প্রাঞ্জল এবং সাবলীল।
এ ধরনের আরো ভালো ভালো পোষ্টের প্রত্যাশা এবং দাবী দুটোই রইলো।
অনেক ধন্যবাদ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা থাকল । চেষ্টা চালিয়ে যাবো ।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
ভাচুয়াল ফন্ট বলেছেন: অনেক ভালো একটি পোস্ট লেখেছেন । মূঘল সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোগলদের সময়ই বোধহয় ভারতবর্ষ সবচে বেশি সুসংগঠিত ছিলো, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছিলো । সবচে সফল শাসক ছিলেন সম্রাট অাকবর ।
পোস্ট ভালো লেগেছে । শুভ ব্লগিং ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল ।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
মীর কাশেম বলেছেন: সুন্দর কথা পোস্ট ভালো লাগলো ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মীর কাশেম ।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
এস ডাবলু বুশ বলেছেন: ইতিহাস জানলাম
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং!!
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোগলদের সময়ই বোধহয় ভারতবর্ষ সবচে বেশি সুসংগঠিত ছিলো, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছিলো ।
তবে আওরঙজেবের সময়ই মুঘলদের সবচেয়ে সফল সময় মনে করি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ গেমচেঞ্জার ভাই ।
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো পোস্ট। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে পরবর্তি সম্রাট আর বংশধরদের দুর্বলতাও কারন ছিলো। আওরঙ্গজেব নাকি উগ্রবাদী মুসলমান ছিলেন, তার আমলে অন্য ধর্মাবলম্বীরা অসন্তুষ্ট হয়। বিদ্রোহ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে সামাজ্য জুড়ে। আর এর বাইরে ইংরেজদের ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় তো ছিলই। শক্তিশালী মুঘল সামাজ্য এ অঞ্চলের ভাগ্যের জন্য ভালোই হতো। আমরা এখন যে অবস্থানে আছি এরচেয়ে অনেক উন্নত অবস্থায় থাকতে পারতাম যদি উপমহাদেশ দুইশত বছর পরাধীন না থাকতো। তবু ভালো যে ইংরেজরা শাসন করেছে। ডাচ, স্প্যানীশ কিংবা পর্তুগীজদের হাতে পরলে অবস্থা আরো খারাপ হতো।
শুভকামনা রইলো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু একটি নদী ভাই আপনি ঠিক ধরেছেন আমাদের ভালোটা যেখানে খারাপ সেখানে আমাদের জন্য পরাধীনতাই ঠিক ছিল ।
৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: শুভেচ্ছা থাকলো ।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: দিল্লীর বাদশাহ্ আলমগীরের(ঔরঙ্গজেব) সাথে শিক্ষকের ঘটে যাওয়া কাহিনীটিও মনে পড়ে গেল।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ অবেলার পানকৌড়ি ভাই ।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০১
প্রলয়শিখা বলেছেন: আহহা! রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকের আহমদ শাহ আবদালী আবার আপনার ব্লগের মাধ্যমে ফিরে এল।
মানুষ বেচে থাকলে বদলায়, কারনে-অকারনে বদলায়, সকালে-বিকালে বদলায়। আর ব্লগাররা যতদিন বেচে থাকবে ততদিন ভাল ভাল লিখে যাবে আর জ্ঞানের ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটিয়ে দেবে। ব্লগার মফিজ ভাই, আরো ভাল ভাল পোস্ট লিখতে থাকুন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আহহা! ভাই প্রলয়শিখা সব মানুষয়ই অমানুষ না আবার সব অমনুষয়ই মানুষ না মানুষের মাঁঝেই ভেদাভেদ আবার মানুষের মাঁঝেই ভালো মন্দ । দোআ করবেন ধন্যবাদ ।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১০
প্রান্তিক জন বলেছেন: ভালো লাগার মতো পোস্ট।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট । অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১০
সাবু ছেেল বলেছেন: আসল কথা মুঘলরা প্রচুর পরিমাণে সেক্স করতো।ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা তাদের ভাড়া করা "বৈধ" পতিতাদের সাথে সেক্স করতো।অনেক সময় সুন্দরী মেয়ে ও ওই মেয়ের সুন্দরী মা'কে একই বিছানায় পাশাপাশি শুইয়ে রেখে বাদশাহ তার বিকৃত যৌন লালসা মিটাত,যার অনেকটাই আজকের আধুনিক ব্লুফিল্মের মত।আর আল্লাহপাক ব্যাভিচার একদম পছন্দ করেনা।
মূলত মুঘলরা "বাল ফালানো" মুসলমান ছিল,মুসলমান নামের কলঙ্ক।
আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে,৯৯% ভাগ মুঘল শাসক জাহান্নামী হয়েছেন!!
মুঘল শাসকদের সেক্সের কাহিনী নিয়ে আমি আলাদা একটি ব্লগ খুলবো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল মূঘল সম্পর্কে কিছু জানা হল ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: শুভেচ্ছা থাকলো ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় ইতিহাস তুলে ধরেছেন, পড়ে ভালো লাগলো।
শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের করুণ পরিণতি সম্পর্কে একটু আলোকপাত করলে ভালো হতো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন খায়রুল আহসান ভাই । সময় করতে পারলে অবশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬
মানবী বলেছেন: অনেক অনেক বছর পর মুঘলদে ইতিহাস আবারও পড়া হলো।
আওরঙ্গজেব ক্ষমতা গ্রহনের পর পর নিজের বড় ভাইকে মৃত্যু দন্ড দেয়, এই তথ্য পুরোপুরি ভুলে গিয়েছিলাম!
ক্ষমতার লোভ বরাবরই নীচ!
সুন্দর পোরস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।