নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরব বিদ্রোহের ইতিহাস ( প্রথম পর্ব )

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১


আরব বিদ্রোহ শরিফ হুসাইন বিন আলী কর্তৃক সূচিত হয়েছিল । উসমানীয়দের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ এবং সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইয়েমেনের এডেন পর্যন্ত বিস্তৃত একটি একক আরব রাষ্ট্র গঠন করা এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল । আর যতদূর মনে হয় ১৮২১ সালের দিকেই উসমানীয় সাম্রাজ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়েছিল । আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিভূমি ছিল মাশরিক মিশরের পূর্বদিকের আরব ভূমি বিশেষ করে শামে । আরব জাতীয়তাবাদীদের রাজনৈতিক ঝোক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে সহনীয়ই ছিল । আরবদের দাবিগুলো ছিল সংস্কারবাদী ধরনের । সাধারণ স্বায়ত্বশাসন শিক্ষায় আরবির ব্যবহার বাড়ানো এবং শান্তিকালীন সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম পরিবর্তন এসবেই সীমাবদ্ধ ছিল ।

১৯০৮ সালের ৩রা জুলাই তরুণ তুর্কি বিপ্লব শুরু হয় এবং খুব দ্রুত তা সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লো । ফলে সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ ১৮৭৬ সালের সংবিধান পুনঃস্থাপন এবং সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন । এই সময়কে দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ বলা হয়ে থাকে । ১৯০৮সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তরুণ তুর্কিরা তাদের কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেসের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিন্স শাবাহাদ্দিনের দলকে পরাস্ত করতে সমর্থ হলেন । সিইউপি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে উদারনৈতিক ছিলেন । সেইসাথে তারা ব্রিটিশদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সুলতানের নিকটবর্তী ছিল । নতুন সংসদে ১৪২ জন তুর্কি, ৬০ জন আরব, ২৫ জন আলবেনিয়ান, ২৩ জন গ্রীক, ১২ জন আর্মেনিয়ান, ৫ জন ইহুদি, ৪ জন বুলগেরিয়ান, ৩ জন সার্ব ও ১ জন ভ্লাচ নিয়ে গঠিত হয় । উসমানীয় সংসদে সিইউপি কেন্দ্রীকরণ এবং আধুনিকীকরণের উপর অধিক জোর দেন ।
[siসংসদের আরব সদস্যরা ১৯০৯ সালের পাল্টা অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেন । এবং এই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল সংবিধানের বিলুপ্তি সাধন ও দ্বিতীয় আবদুল হামিদের পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণ করা । ক্ষমতাচ্যুত সুলতান তরুণ তুর্কিদের সেকুলার নীতি বাতিলের মাধ্যমে খিলাফত লাভ করতে চেষ্টা করে । কিন্তু ৩১ মার্চের পরিস্থিতির পর তাকে সেলোনিকায় নির্বাসনে যেতে হয়। তার ভাই পঞ্চম মেহমেদ তার স্থলাভিষিক্ত হন।

]১৯১৩ সালে আরব মাশরিকের বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদরা প্যারিসে অনুষ্ঠিত প্রথম আরব কংগ্রেসে মিলিত হলেন । উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভেতরে স্বায়ত্বশাসনের জন্য তারা একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করেন । সেই সাথে এত্ত দাবি করেন যে বাধ্যতামূলকাভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া আরবদেরকে যুদ্ধের সময় ছাড়া অন্য অঞ্চলে পাঠানো যাবে না ।


প্রায় ৫০০০ জন সৈনিক আরব বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে ।তবে এখানে শুধু সিনাই ও ফিলিস্তিন অভিযান এবং এডমন্ড এলেনবির মিশরীয় বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকেই হিসাব করা হয় । ফয়সাল ও লরেন্সের সাথে অংশগ্রহণকারী অনিয়মিত বাহিনীর সৈনিকদেরকে বিবেচনায় আনা হয়নি । কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে সিরিয়ায় চূড়ান্ত অভিযানের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেত । অনেক আরব বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্রোহে অংশ নিতেন । যখন অভিযানের অগ্রগতি দেখা যেত বা নিজেদের বাসভূমির এলাকায় প্রবেশ করতে তখন তারা এতে যোগ দেওয়া হত ।
আকাবা অভিযানের সময় প্রথমদিকে আরব বাহিনীতে মাত্র কয়েকশত সৈনিক ছিল । পরবর্তীতে স্থানীয় গোত্রগুলো থেকে এক হাজারেরও বেশী মানুষ আকাবায় চূড়ান্ত অভিযানের জন্য যোগ দেন । হুসাইনের সৈন্যসংখ্যারও বিভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায় । কিন্তু ১৯১৮সাল নাগাদ তাদের সংখ্যা প্রায় (৩০০০০ ত্রিশ হাজার ) এর মত ছিল । হাশেমি সৈন্যবাহিনী দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিল গোত্রীয় অনিয়মিত সৈন্য যারা উসমানীয়দের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ করতো এবং উসমানীয় আরব যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে সংগৃহিতদের নিয়ে গঠিত শরিফি বাহিনী যারা নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ করতেন । যুদ্ধের প্রথম দিকে হুসাইনের বাহিনী মূলত বেদুইন এবং অন্যান্য মরুচারি যাযাবর গোত্রগুলোকে নিয়ে গঠিত হয় । তারা তার সাথে দুর্বল মিত্রতায় আবদ্ধ ছিল এবং সমগ্র পরিস্থিতির চেয়ে গোত্রীয় আনুগত্য তাদের কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল । স্বর্ণমুদ্রায় অগ্রিম বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা লড়াইয়ে অংশ নিতে চাইতেন না ।


১৯১৬সাল এর শেষ নাগাদ ফরাসির ১.২৫ মিলিওন গোল্ড ফ্রা এবং ১৯১৮ সাল এর সেপ্টেম্বর নাগাদ ব্রিটিশরা প্রতি মাসে ২২০০০০ পাউন্ড বিদ্রোহে খরচ করেন। ফয়সালের ধারণা ছিল যে উসমানীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত আরবদেরকে বিদ্রোহ করতে এবং নিজের পক্ষে আনতে পারবেন। কিন্তু উসমানীয় সরকার অধিকাংশ আরব সেনাদেরকে যুদ্ধের প্রথম সারিতে প্রেরণ করেন । ফলে সেসময় মুষ্টিমেয় কিছু পক্ষত্যাগী সৈনিক আরবদের সাথে যোগ দেন । হাশেমি বাহিনী সেইসময় দুর্বলভাবে সজ্জিত ছিল । কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছ থেকে রাইফেল এবং মেশিনগানের মত প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সরবরাহ পান ।


১৯১৭ সালে হেজাজে প্রায় ২০০০০ জন উসমানীয় সৈন্য ছিল । ১৯১৬ সাল এর জুনে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার সময় চতুর্থ উসমানীয় আর্মির সপ্তম কর্পস লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলি নসিব পাশার অধীন ৫৮তম পদাতিক ডিভিশন জেনারেল মেহমেদ জামাল পাশার অধীন ১ম প্রাদেশিক বাহিনীর সাথে যোগ দেওয়ার জন্য হেজাজে অবস্থান করছিলেন । এই বাহিনীর কাজ ছিল হেজাজ রেলওয়ে এবং জেনারেল ফখরুদ্দিন পাশার অধীন হেজাজের বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা । হেজাজ রেলওয়ের উপর অব্যাহত হামলার কারণে ১৯১৭ সালে ২য় আরেকটি বাহিনী গঠন করা হয় । উসমানীয় বাহিনীতে খলিফার প্রতি অনুগত সৈনিক ছিল । তারা মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন । আধুনিক জার্মান অস্ত্র সরবরাহ থাকায় প্রথমদিকে উসমানীয়রা হাশেমিদের বিরুদ্ধে সুবিধা লাভ করেন । অধিকন্তু উসমানীয়দের কাছে নিজেদের বিমানবাহিনী জার্মান বিমান এবং উসমানীয় সৈনিকদের সাহায্য ছিল । সেই সাথে তারা হাইল রাজতন্ত্রের রাজা ইবনে রশিদের সাহায্য লাভ করে । ইবনে রশিদের গোত্র বর্তমান সৌদি আরবের উত্তর অঞ্চল শাসন করত এবং হাশেমি ও সৌদি এই দুই দলের সাথে সংঘাতে লিপ্ত ছিলেন । সরবরাহ লাইনের শেষপ্রান্তে অবস্থান করাটা উসমানীয়দের দুর্বলতা ছিল । অবস্থানগত দুর্বলতার কারণেই তাদেরকে কখনো কখনো প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ করতে হয়েছে । হাশেমিদের বিরুদ্ধে উসমানীয়দের পদক্ষেপ অধিকাংশ সময়ই শত্রুর তৎপরতার চেয়ে সরবরাহের ঘাটতি কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন ।

ছবিতথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

আমি মিন্টু বলেছেন: আরব দেশের ইতিহাস ভালো ভালো লাইক হলো । :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মিন্টু ভাই ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: আরব বিদ্রোহের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

জটায়ু. বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

রাজর্ষী বলেছেন: ভালো টপিক তবে অগোছালো লেখা। একটু কষ্ট করে যদি টাইমলাইন ধরে লিখতেন তাহলে ভালো হত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । এরপর থেকে অবশ্যয়ই চেষ্টা থাকবে গুছিয়ে লেখার ।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। একবারে কয়েকটা পর্ব পড়ে নিব।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভালো লেখা++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ অন্যবদ্য লেখক । কৃতজ্ঞতা থাকলাম ।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

কালের সময় বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: তারপর কই ???

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আসবে অপেক্ষা করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.