নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি চতুুর্থ পর্ব

০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১২


পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি প্রথম পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ২য় পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ৩য় পর্ব
সংযুক্ত আরব আমিরাত এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাত হল দাওলাত আল ঈমারাত আল আরবিয়াহ আল মুত্তাহিদাহ মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব কোনায় অবস্থিত সাতটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি ফেডারেশন। সেগুলি একসময় ট্রুসিয়াল স্টেটস নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে দেশগুলি স্বাধীনতা লাভ করে। প্রতিটি আমিরাত একটি উপকূলীয় জনবসতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত এবং ওই লোকালয়ের নামেই এর নাম। আমিরাতের শাসনকর্তার পদবী আমির। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি আমিরাতের নাম হল আবু ধাবি, আজমান, দুবাই, আল ফুজাইরাহ, রাআস আল খাইমাহ, আশ শারিকাহ এবং উম্ম আল ক্বাইওয়াইন। আবু ধাবি শহর ফেডারেশনের রাজধানী এবং দুবাই দেশের বৃহত্তম শহর।সংযুক্ত আরব আমিরাত মরুময় দেশ। তার উত্তরে পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ এবং পশ্চিমে সৌদি আরব, এবং পূর্বে ওমান ও ওমান উপসাগর। ১৯৫০সালের দিকে পেট্রোলিয়াম আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত ব্রিটিশ সরকারের অধীন কতগুলি অনুন্নত এলাকার সমষ্টি ছিল। খনিজ তেল শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে সেগুলির দ্রুত উন্নতি এবং আধুনিকায়ন ঘটে ফলে ১৯৭০সালের দিকে শুরুতে আমিরাতগুলি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসতে সক্ষম হয়। দেশের খনিজ তেলের বেশির ভাগ আবু ধাবিতে পাওয়া যায় আর তার ফলে এটি সাতটি আমিরাতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী এবং শক্তিশালী। তেল শিল্পের কারণে সেখানকার অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং জীবনযাত্রার মান বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম মানব বসতির সন্ধান পাওয়া যায় খৃষ্ট পূর্ব ৫৫০০ শতাব্দী থেকে। তৎকালে বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বলতে উত্তর পশ্চিমের মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার সাথে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। হাজর পর্বতে প্রাপ্ত তামা দিয়ে ব্যবসার মাধ্যমে ৩০০০খৃষ্ট পূর্ব থেকে মেসোপটেমিয়ার সাথে সেই যোগাযোগ দীর্ঘস্থায়ী এবং বিস্তৃত হয়। ১ম শতাব্দী থেকে ভূমি পথে সিরিয়া এবং ইরানের দক্ষিণাংশের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়। পরবর্তীতে ওমানা বন্দর বর্তমান ওম্ম আল কোয়াইন এর মাধ্যমে সমুদ্র পথে ভারতের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়।

মালয়েশিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
মালয়েশিয়া হল তেরটি রাষ্ট্র এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। যার মোট আয়তন ৩,২৯,৮৪৫ বর্গকিমি। দেশটির রাজধানী শহর হল কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়া হল ফেডারেল সরকারের রাজধানী। দক্ষিণ চীন সাগর দ্বারা দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া এবং পূর্ব মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার স্থল সীমান্তে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, এবং ব্রুনাই, এর সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন এর সাথে। মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যা ২৮ মিলিয়নের অধিক। মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের কাঠামোতে পরিচালিত হয়। রাজা হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। মালয়েশিয়ার সরকার এবং ১১টি অঙ্গরাজ্য সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। সরকার এবং আইনসভার দুই কক্ষের দেওয়ান নেগারা এবং দেওয়ান রাকিয়াত উপর যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ অপেক্ষা স্বাধীন তবে নির্বাহী বিভাগ বিচারক নিয়োগদানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের উপর কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে থাকে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতি অপেক্ষাকৃত মুক্ত কিন্তু রাষ্ট্রকেন্দ্রীক। বর্তমানে মালয়েশিয়া একটি উঠতি শিল্পউন্নত বাজার অর্থনীতি বলে বিবেচিত।সরকার বিভিন্ন ম্যাক্রো অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও এই প্রভাব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মালয়েশিয়ার অর্থনীতি মূলত মুক্তবাজার অর্থনীতি। মালয় ভাষা মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক মালয় ভাষাতে কথা বলে। মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ইংরেজি ভাষাতে শিক্ষা দেয়া হয়। ইংরেজি ভাষা সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগেও ইংরেজি ভাষাই ব্যবহার করা হয়। মালয়েশিয়াতে আরও প্রায় ১৩০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, বুগিনীয় ভাষা, দায়াক ভাষ ও জাভানীয় ভাষা এবং তামিল ভাষা উল্লেখযোগ্য। বাজার মালয় ভাষা বহুজাতিক বাজারের ভাষা হিসেবে প্রচলিত এবং সাবাহ প্রদেশে সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যবহৃত। মালয়েশিয়ার প্রধান সংবাদপত্রগুলি হল উতুসান মালয়েশিয়া, দ্য স্টার এবং দ্য মালয় মেইল। সেগুলির সবগুলিরই ইন্টারনেট সংস্করণ আছে। এগুলিতে স্থানীয় ইস্যু, রাজনীতি, ব্যবসা, বিনোদন এবং সংস্কৃতির উপর সংবাদ ও নিবন্ধ থাকে।উতুসান মালয়েশিয়া ইংরেজি এবং মালয় উভয় ভাষাতেই প্রকাশিত হয়। সেটি ১৯৩৯ সালে সিঙ্গাপুরে যাত্রা শুরু করে। ১৯৫৮ সালে মালয়েশিয়া ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করলে তারা কুয়ালালুম্পুরে স্থানান্তরিত হয়। এটি মালয়েশিয়ার প্রথম অনলাইন পত্রিকা হিসেবেও ইন্টারনেটে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে সেটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বেশি পঠিত সংবাদপত্র।

জর্দান এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
জর্দান বা হাশেমীয় জর্দান রাজ্য হল আলমামলাকাল উর্দুনিয়ালহাশিমিয়া মধাপ্রাচ্যের একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জর্দানের রাজবংশ নিজেদেরকে হযরত মুহাম্মদের পিতামহ হাশেমের বংশধর বলে মনে করেন।জর্দানের ভূপ্রকৃতি ঊষর মরুভূমিময়। সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণও কম। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে ব্রিটিশরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়। জর্দান নদীর পূর্বতীরের ট্রান্সজর্ডান এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন উভয়ই ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৯৪৬ সালে ট্রান্সজর্ডান অংশটি একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৪৯ সালে তার নাম বদলে শুধু জর্দান রাখা হয়।১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের অংশবিশেষে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করলে জর্দান আরও চারটি আরব রাষ্ট্রের সাথে একত্রে ইসরায়েলিদের আক্রমণ করে। যুদ্ধশেষে ইসরায়েলিরা পশ্চিম জেরুজালেম এবং জর্দানিরা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলে আনেন। ১৯৬৭ সালের জুন মাসে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরও দখল করে নেন। জর্দান পশ্চিম তীরকে জর্দানের অংশ হিসেবে দাবী করতে থাকলেও স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৮৮ সালে জর্দানের বাদশাহ হুসেন পশ্চিম তীরের উপর থেকে জর্দানে দাবি প্রত্যাহার করে নেন।বর্তমানে জর্দানের উত্তরে সিরিয়া, পূর্বে ইরাক এবং সৌদি আরব, দক্ষিণে সৌদি আরব ও আকাবা উপসাগর এবং পশ্চিমে ইসরায়েল ও পশ্চিম তীর। জর্দানের আয়তন প্রায় ৮৯,৫৫৬ বর্গকিলোমিটার। আম্মান জর্দানের বৃহত্তম শহর এবং রাজধানী।

ওমান এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
ওমান হলো সাল্‌ত্বানাৎ উমান আ-ধ্ব-ব যা আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব কোনাতে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এটা একটি মরুময় দেশ যেখানে সুউচ্চ পর্বতমালার ঠিক পাশেই রয়েছে উজ্জ্বল শুভ্র বালুর সমুদ্র সৈকত। এখানে সংখ্যালঘু মুসলমান গোত্র ইবাদি জাতির লোকেরা বাস করেন। তারা শিয়া ও সুন্নীদের চেয়ে স্বতন্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে ওমান ভারত মহাসাগরীয় বাণিজ্যের একটি অন্যতম কেন্দ্র ছিল। ১৭শ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত এটি একটি ঔপনিবেশিক শক্তি ছিল। ওমানের রাজা সুলতান উপাধি ব্যবহার করেন এবং দেশটির সরকারি নাম ওমান সুলতানাত।ওমানের পশ্চিমে ইয়েমেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, পূর্বে আরব সাগর, উত্তরে ওমান উপসাগর। ওমানের সবচেয়ে উত্তরের অংশ মুসান্দাম উপদ্বীপ হর্মুজ প্রণালীর দক্ষিণ তীর গঠন করেছে। পারস্য উপসাগরে ওমানের কয়েক কিলোমিটার তটরেখা আছে। মাসকাত ওমানের রাজধানী এবং বৃহত্তম নগর।ওমানের রাজনীতি একটি পরম রাজতন্ত্রের কাঠামোতে সংঘটিত হয়। ওমানের সুলতান হলেন একাধারে রাষ্ট্রের প্রধান এবং সরকারের প্রধান। ওমানের সুলতানেরা বংশানুক্রমে ক্ষমতায় আসেন। বর্তমানে কাবুস ইবন সাইদ আস সাইদ দেশটির সুলতান এবং তাকে সহায়তা করার জন্য একটি মন্ত্রীসভা আছে। ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রায় ২ লক্ষ ওমানি প্রথমবারের মত আইনসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন। মোট ৮৩জন সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাদের মধ্যে ২জন মহিলা সদস্যও ছিলেন।ওমান আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব চতুর্থাংশে অবস্থিত। ওমানের শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি এলাকা মরুভূমি ১৫% পর্বত এবং মাত্র ৩% উপকূলীয় সমভূমি। বেশির ভাগ লোকালয় সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত।
ওমান উপসাগর, আরব সাগর, এবং আর রাব আল খালি মরুভূমি ওমানকে বাকি সব দেশ থেকে পৃথক করে রেখেছে।

ওমানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ দেশটির উত্তর ও পশ্চিম থেকে দক্ষিণ ও পূর্বে বিস্তৃত আল হাজর পর্বতমালা। ৩০১০ মিটার উঁচু জেবেল শামস এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। সোহার এবং মাস্কটের মধ্যবর্তী স্থানে ওমান উপসাগরের উপকূল ধরে রয়েছে বিস্তৃত সৈকত, যেগুলিতে ডাইভিং, পানির নিচে ডুব দেয়া, এবং ডলফিন ও কচ্ছপদের সাথে খেলার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়াও পক্ষীপ্রিয় মানুষদের জন্যও ওমান জনপ্রিয়। সেখানে স্থানীয় প্রায় ৮০ প্রজাতির এবং অতিথি প্রায় আরও ৪০০ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অতিথি পাখিরা নির্দিষ্ট ঋতুতে ওমানে ফিরে আসে। ওমানের মরুভূমি এর বিশালাকার বালিয়াড়িগুলি ঘুরে দেখতেও অনেকে পছন্দ করেন। ওমানের চুনাপাথরের পাহাড়ী গুহাগুলিও বিখ্যাত। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গুহা মাজলিস আল জিন সেখানে অবস্থিত।আদর্শ আরবি ভাষা ওমানের সরকারি ভাষা। ওমানের আরবিভাষীদের মধ্যে দ্বিভাষিকতা বিদ্যমান। আনুষ্ঠানিক এবং সরকারি কর্মকাণ্ডে কথ্য ও লিখিত ভাষা হিসেবে আদর্শ আরবি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তায় ভাবের আদান প্রদানে স্থানীয় আরবি উপভাষাগুলিই বেশি ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় আরবি উপভাষাগুলির মধ্যে আছে ওমানি আরবি ভাষা ও উপসাগরীয় আরবি ভাষা এবং জোফারি আরবি ভাষা। অনেক ওমানি আরবি ছাড়াও দ্বিতীয় আরেকটি ভাষায় কথা বলতে পারেন।ওমানের সাক্ষরতার হার এক সময় নিচু ছিল ১৯৯০ সালে ৫৪.৭%। সম্প্রতি ২০০২ সালে এটি বেড়ে ৭৫% এ দাঁড়িয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে।আরবি ছাড়াও ওমানের দক্ষিণাংশে অনেকগুলি আধুনিক দক্ষিণী আরবি ভাষা প্রচলিত। তাদের মধ্যে আছে জিব্বালি ভাষা, মেহরি ভাষা, হার্সুসি ভাষা এবং হবিয়ত ভাষা। সেগুলি আরবির মতোই সেমিটীয় ভাষা, কিন্তু আরবি থেকে আলাদা।

হর্মুজ প্রণালীর উপর অবস্থিত পর্বতময় মুসান্দাম উপদ্বীপে শিহু গোত্রের লোকেরা শিহ্‌হি নামের একটি ইরানীয় ভাষায় কথা বলে। ভাষাটিতে আরবির বড় প্রভাব দেখা যায়।১৯৬০সালের দিকে প্রচুর জানজিবারি লোক পূর্ব আফ্রিকা থেকে ওমানের রাজধানী মুস্কাত এবং উপকূলীয় শহর এলাকাগুলিতে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে সোয়াহিলি ভাষা বহুল প্রচলিত।ওমানে বহু বিদেশীর বাস। সেখানকার ৩৫ লক্ষ লোকের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ লোক ওমানি নাগরিক নন, মূলত ভারত,বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ইরান থেকে আগত বিদেশী কর্মী। সেই বিদেশীরা ওমানে ভাষাগত বৈচিত্র্যের সৃষ্টি করেছেন। দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত ওমানিদের মধ্যে অনেকে বালুচি ভাষায় কথা বলেন। সাম্প্রতিককালে বিদেশ থেকে আগত নতুন কর্মীরা বাংলা, হিন্দি, উর্দু, এবং ফার্সি ভাষায় কথা বলেন।ইংরেজি ভাষা ওমানে সবচেয়ে বেশি শেখানো বিদেশী ভাষা। মাধ্যমিক স্তরের পরবর্তী সমস্ত লেখাপড়া ইংরেজিতেই ঘটে। ওমানের বেতার সংস্থার ইংরেজি চ্যানেল আছে।তাছাড়াও দেশে অনেকগুলি ইংরেজি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাক্ষরতার হার ২০১০ সালে ছিল ৮৬.৯%। ১৯৭০ সালের আগে দেশে ৩টি মাত্র স্কুল এবং তাতে ১০০০জন মত ছাত্র ছিল। সুলতান কাবুস এর সময় থেকে শিক্ষার বিস্তার ঘটতে থাকে। বর্তমানে ১০০০টি স্কুল এবং সেগুলোতে প্রায় ৬৫০,০০০জন ছাত্র ছাত্রী আছে। ওমানের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।



তথ্যসূত্র ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:



শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক কিছু জানা হল।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: শুভকামনা থাকল কল্লোল পথিক ভাই ।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো অনেক তথ্য আছে ।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.