নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি পঞ্চম পর্ব

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২১


পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি প্রথম পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ২য় পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ৩য় পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি চতুুর্থ পর্ব
কাতার এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ। এ দেশটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব আর এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত এবং শুষ্ক মরু এলাকা। এখানে ভূ পৃষ্ঠস্থ কোন জলাশয় নেই । প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। বেশির ভাগ লোক শহরে বিশেষত রাজধানী দোহা শহরে বাস করেন। দেশটিতে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। সেই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণেই দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে আল থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯৭১ সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। সে সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয় এবং সেগুলি উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।
প্রাগৌতিহাসিক কাতারে স্থায়ী জনবসতির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তবে প্রাগৌতিহাসিক কালথেকে কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। প্রত্নতত্তবিদ ডে কার্ডির মত অনুযায়ী কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো। সেখানের আবহাওয়া ছিলো বৃষ্টিবহুল জলপ্রপাত, উচু ঘাস এবং স্বচ্ছ পানির নালা ছিলো বলে প্রমাণও পাওয়া যায়। আধুনিক ইতিহাসের জনক হেরাডোটাসের মত অনুযায়ী কাতারে কান্নানিয়ান নামক জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস ছিলো। তারা মাছ ধরার মৌসুমে অস্থায়ী ক্যাম্পেইন করে মাছ শিকার করতেন।প্রাচীনকালে কাতারের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত যেমনঃ মাটির বাসন, চকমকি পাথর, পাথর কাটার যন্ত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় । কাতারের পূর্ব উপকূল রাস আব্রুখের সাথে মেসোপটেমিয়ান আল উবায়েদ গোত্রের ব্যবসা ছিলো। পরবর্তিতে টলেমির মানচিত্রে কাতারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেখানে একে কাথারা ও এর একটি শহর কাদারা নামে দেখানো হয়।ইসলাম পূর্ব যুগে কাতার আরব উপ দ্বীপের অন্যান্য দেশের মতোই পারস্যের শাসানী রাজবংশের অধিনস্থ ছিলো। পরবর্তিতে সপ্তম শতকে সমগ্র আরব উপ দ্বীপে ইসলাম প্রসার লাভ করলে সে অঞ্চলও ইসলামের ছায়ায় চলে আসে। সে সময় বনু আমের বিন আবদ উল কায়েস বনু সাদ বিন যায়েদ মিনাহ বিন তামি্ম নামক বিভিন্ন গোত্রের বসবাস ছিলো। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আল সানি, আ্ল তামিমিরই একটি শাখা। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলাম দক্ষিণ আরবীয় অঞ্চলে ইসলাম প্রসারে আলা আল হাদরামি কে প্রেরণ করেন ৬২৮ সালে। তখন কাতার অঞ্চলে শাসন করছিলো স্থানীয় বনু তামিম গোত্র। বনু তামিমের গোত্র প্রধান মুনযির বিন সাওয়া আল তামিমি ইসলাম গ্রহণে সম্মত হন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য গোত্রে ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখেন।

ইসলামের প্রথম যুগে কাতারে স্থায়ী বসবাস ছিলো। তাছাড়াও মুরওয়াব নামক স্থানে একটি দুর্গ এবং একশটির মতো পাথুরে বাড়ীর সন্ধান মিলে। সে সময় কাতারের মূল ব্যবসা মাছ এর পাশাপাশি উট ও ঘোড়া পালন এবং বিক্রয় জনপ্রিয়তা লাভ করে। হাদীস থেকে জানা যায় কাতারে এক ধরনের কাপড় তৈরি হতো উটের পশম থেকে। সেটিও কাতারের অন্যতম ব্যবসায়িক আকর্ষণ ছিলো। উমাইয়া (৬৬১-৭৫০ খ্রী) এবং আব্বাসীয় (৭৫০-১২৫৮ খ্রী) আমলে দামেস্ক ও বাগদাদ কেন্দ্রিক ব্যবসা গড়ে ওঠে। উমাইয়া আমলে এ অঞ্চল বিখ্যাত উট ও ঘোড়া ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়। আব্বাসীয় আমলে মুক্তা ব্যবসার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। কাতারি মুক্তার চাহিদা প্রাচ্যের দেশগুলোয় বেড়ে চলে চীনেও কাতারি মুক্তার চাহিদা ছিলো।

পরবর্তীতে ব্যবসায়র রুট হয় দুইটি উপসাগর এবং লোহিত সাগর। ষোড়শ শতকে কাতার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতার মুখে পরে। সে শতকের প্রথমার্ধ ছিলো মামলুকের অধিকারে। পরবর্তীতে মামলুকের প্রভাব কমে যাওয়ায় আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয় উসমানীয় সালতানাত। তাছাড়া স্থানীয় শক্তি ছিলো হরমুজ। উসমানীয় সালতানাত মামলুককে সরিয়ে আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের সাফাভি রাজবংশ উসমানীয় থেকে বাগদাদ দখল করে। একই সময় স্প্যানিশ পর্তুগীজদের হাতে মুসলিম ইউরোপীয় শক্তি আল আন্দালুসের পতন হয়। পর্তুগীজ নৌ শক্তি বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তারে ছড়িয়ে পরে। তারা খুব অল্প সময়ে দূর্ধর্ষতার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ১৫০৯ সালে উসমানিয়া ও মামলুক এবং ভারতীয় মুসলিম রাজশক্তি মিলিত হয়ে পর্তুগীজদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করেন। ইতিহাসে সেটি তিন রাজার যুদ্ধ নামে পরিচিত। সে যুদ্ধে পর্তুগীজ দের নৌবহরের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।আধুনিক কাতারের জন্মঃ কাতার ও বৃটিশ চুক্তি ১৮৬৮ সালে বৃটিশ আল সানী চুক্তির মাধ্যমে জন্ম লাভ করে আধুনিক কাতারের। ১৮৬৮ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে লুইস পেলি আল ওয়াকরায় মুহাম্মাদ আল সানী এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে মিলিত হন। ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৬৮ সালে মুহাম্মদ বিন সানী চুক্তিবদ্ধ হতে সম্মত হন।

বিষ্যগুলো ছিলোঃ
১। দোহায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করা।
২। সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হতে বিরত থাকা।
৩। যে নিজেদের ও প্রতিবেশীর মাঝে সৃষ্ট যে কোন ধরনের সমস্যায় বৃটিশদের ফয়সালা গ্রহণ করা।
৪। বাহরাইনের তৎকালীন আমীর আলি বিন খলিফার সাথে সুসম্পর্ক রাখা।
৫। বাহরাইনের পূর্ববর্তী আমির মোহাম্মদ বিন খলিফাকে কাতারে পাওয়া গেলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া।

বাহরাইন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাহরাইন হল মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশের ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর পূর্বে সৌদী আরব এবং পশ্চিমে কাতার। সবচেয়ে বড় দ্বীপটিও বাহরাইন নামে পরিচিত এবং এতে দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী মানামা অবস্থিত।
প্রায় ৫,০০০ বছর আগেও বাহরাইন একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। সবসময়ই এটি শক্তিশালী প্রতিবেশীদের অধীনস্থ ছিল। ১৭শ শতকে এটি ইরানের দখলে আসে। ১৭৮৩ সালে মধ্য সৌদী আরবের আল খলিফা পরিবার নিজেদেরকে বাহরাইনের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তখন থেকে তারাই দেশটিকে শাসন করে আসছেন। ১৯শ শতকের কিছু সন্ধিচুক্তির ফলে যুক্তরাজ্য দেশটির প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব পায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাহরাইন ব্রিটিশ প্রভাবাধীন ছিল।
১৯৩০ এর দশকে বাহরাইন পারস্য উপসাগরের প্রথম দেশ হিসেবে তেল ভিত্তিক অর্থনীতি গঠন করেন কিন্তু ১৯৮০ এর দশকের শুরুর দিকেই এর সমস্ত তেল ফুরিয়ে যায়। তবে দেশটি সেই পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই অন্যান্য শিল্পে বিনিয়োগ করে রেখেছিল এবং দেশটির অর্থনীতি এখনও উন্নতি করে যাচ্ছে।

বর্তমান বাহরাইন অঞ্চলে একটি সময় ব্রোঞ্জ যুগে দিলমুন নামক সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। ৫ হাজার বছর আগেও বাহরাইন সিন্ধু অববাহিকা এবং মেসোপটেমিয়ার সভ্যতাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০০ অব্দের দিকে ভারত থেকে বাণিজ্য আসা বন্ধ হয়ে গেলে দিলমুন সভ্যতার পতন ঘটা শুরু করে। ৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে আসিরীয় রাজার বাহরাইনকে ক্রমাগত নিজেদের বলে দাবী করতে শুরু করেন। ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কিছু পরে দিলমুন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। তারপর অনেক দিন যাবৎ বাহরাইনের কোন ইতিহাস খুজে পাওয়া যায় না। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে পারস্য উপসাগরে মহাবীর আলেকজান্ডারের পদার্পণ ঘটলে আবার এর হদিস পাওয়া যায়। যদিও আরব গোত্র বনি ওয়াএল এবং পারসিক গভর্নরেরা অঞ্চলটি শাসন করতেন। খ্রিস্টীয় ৭ম শতক পর্যন্তও এটি গ্রিক নাম তিলোস নামে পরিচিত ছিল। সে শতকে সেখানকার অধিবাসীরা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। বাহরাইন ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং মুক্তা আহরণ কেন্দ্র। ৭ম শতক থেকে বিভিন্ন পর্বে এলাকাটি সিরিয়ার উমাইয়া বংশীয় খলিফাগণ ও বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাগণ, পারসিক, ওমানি এবং পর্তুগিজদের দ্বারা শাসিত হয়। শেষ পর্যন্ত বনি উতবাহ গোত্রের আল খালিফা পরিবার ১৭৮৩ সালে ইরানীদের কাছ থেকে অঞ্চলটি দখল করেন এবং তখন থেকে আজ পর্যন্ত তারাই বাহরাইনের শাসক।১৮৩০এর দশকে আল খালিফা পরিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাহরাইনকে একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টোরেটে পরিণত করেন অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বহিরাক্রমণ থেকে দেশটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় এবং তার বিনিময়ে বাহরাইন যুক্তরাজ্যের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হারায়। বাহরাইনে বড় আকারে খনিজ তেলের উৎপাদন শুরু হবার কিছু পরেই ১৯৩৫ সালে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাটিটি বাহরাইনে নিয়ে আসা হয়।

১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্য সরকার পারস্য উপসাগরের শেখশাসিত রাজ্যগুলির সাথে ইতোমধ্যে করা চুক্তিগুলি রদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় বাহরাইন কাতার এবং বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি শেখরাজ্যের সাথে মিলে একটি বৃহৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সাল নাগাদ সেই রাজ্যগুলো সংযুক্তিকরণের বিভিন্ন ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ফলে ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট বাহরাইন একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।নতুন রাষ্ট্র বাহরাইনের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা হয় এবং ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচিত হয় কিন্তু মাত্র দুই বছর পরে ১৯৭৫ সালে বাহরাইনের আমির সংসদ ভেঙে দেন কেননা নির্বাচিত সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আল খলিফা শাসনের অবসান এবং মার্কিন নৌবাহিনীকে সেখান থেকে বিতাড়নের প্রচেষ্টা করছিল।১৯৯০এর দশকে বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়ের অসন্তুষ্টি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতের আকারে প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে বাহরাইনের আমির প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ১৯৯৫ সালে, বাহরাইনের মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনেন এবং আইন পর্যালোচনাকারী কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০এ বৃদ্ধি করেন। তার ফলে সংঘাতের পরিমাণ প্রথমে কিছু কমলেও ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকে বেশ কিছু হোটেল এবং রেস্তোরাঁতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এবং তাতে অনেকে নিহত হয়। পুলিশ প্রায় ১ হাজার লোককে এর জের ধরে গ্রেফতার করেন এবং কোন বিচার ছাড়াই তাদের শাস্তি দেয়া হয়। সম্প্রতি বাহরাইন সরকার তাদের অনেককে ছেড়ে দিয়েছে।

অ্যান্ডোরা রাজ্য এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
অ্যান্ডোরা হলো স্পেনের একটি নগর। দেশটি পূর্ব পিরেনিস পর্বতমালায় ফ্রান্স এবং স্পেনের মাঝে অবস্থিত। অ্যান্ডোরা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে এটি অন্যতম একটি রাষ্ট্র। এর আয়তন ৪৬৮ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজারেরও বেশি। আন্দরা লা ভেলিয়া রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।অ্যান্ডোরা একটি রুক্ষ এলাকা গভীর গিরিখাত ও সরু উপত্যকা এবং সুউচ্চ পর্বত এর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। এর সর্বনিম্ন এলাকা সমুদ্র সমতল থেকে ৯১৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। শীতকালে প্রচুর বরফ পড়ে এর পাহাড়ি রাস্তাগুলি প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষত ফ্রান্সের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী রাস্তাটি। গ্রীষ্মে এর আবহাওয়া শীতল শুষ্ক এবং রোদেলা থাকে।অ্যান্ডোরা বহু বছর ধরেই অবহেলিত ছিল। ১৯৫০ এর দশকে এসে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র হলেও অ্যান্ডোরাতে পিরেনিসের সেরা স্কি ও স্নোবোর্ডিঙের ব্যবস্থা আছে। হাইকিং, বাইকিং এবং আল্পস পর্বতমালার অসাধারণ দৃশ্যাবলী গরমকালে পর্যটকদের ডেকে আনে। তবে অ্যান্ডোরার বেশির ভাগ অতিথিই দৈনিক ভিত্তিতে স্পেন বা ফ্রান্স থেকে প্রবেশ করেন । বিশেষত দেশটির করমুক্ত কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণের জন্য। ব্যবসায়ীরা আন্দোররা লা ভেল্লা এবং অন্যান্য শহরের রাস্তায় রাস্তায় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও মদ, তামাক এবং অন্যান্য বিলাসদ্রব্য বিক্রি করেন।

পর্যটন অ্যান্ডোরার আয়ের মূল উৎস তবে কিছু কিছু অ্যান্ডোরান আদিকালের মত এখনও ভেড়া ও গবাদি পশু পালন করেন। গ্রীষ্মে গ্রামের লোকেরা গবাদিপশুদের পর্বতের উঁচুতে আল্পীয় চারণভূমিতে নিয়ে যায়। আবাদযোগ্য জমিগুলোতে মূলত তামাকের চাষ হয়।
প্রায় ৭০০ বছর ধরে অ্যান্ডোরা ফ্রান্সের নেতা এবং উত্তর ও পশ্চিম স্পেনের উর্গেল অঞ্চলের বিশপ একত্রে শাসন করতেন। তাদেরকে একত্রে অ্যান্ডোরার যুবরাজগণ উল্লেখ করা হত। ১৯৩৩ সালে অ্যান্ডোরাবাসী স্বাধীন গণতান্ত্রিক এলাকা তাদের প্রথম সংবিধান পাশ করেন। বর্তমানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও উর্গেলের বিশপ দেশটির কেবল নামেই শাসক।
অ্যান্ডোরার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের কাঠামোয় পরিচালিত। সরকার প্রধান দেশটির প্রধান নির্বাহী এবং বহুদলীয় ব্যবস্থার নেতা। সরকার এবং আইনসভা উভয়ের হাতে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত। নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে বিচার বিভাগ স্বাধীন।১৯৯৩ সালে রচিত অ্যান্ডোরার নতুন সংবিধান অনুযায়ী অ্যান্ডোরা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যার রাষ্ট্রপ্রধান ফ্রান্স ও স্পেনের দুই রাজপুত্র কিন্তু প্রকৃত নির্বাহী ক্ষমতা সরকারপ্রধানের হাতে ন্যস্ত।

তথ্যসূত্র ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট অনেক তথ্যপূরর্ণ ।ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.