নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি পর্ব ছয়

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

বেলজিয়াম
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি প্রথম পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ২য় পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি ৩য় পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি চতুুর্থ পর্ব
পৃথিবীর ২৬টি রাজতন্ত্র দেশের পরিচিতি পঞ্চম পর্ব
বেলজিয়াম এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বেলজিয়াম হলো উত্তর ও পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। এটি একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। এটি ইউরোপের ক্ষুদ্রতম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলির একটি। বেলজিয়াম ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এটি ইউরোপের সর্বাধিক নগরায়িত দেশ। এখানকার ৯৭% লোক শহরে বাস করেন। নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবুর্গের সাথে মিলে বেলজিয়াম নিচু দেশগুলি গঠন করেছে। দেশটির নাম বেল্গায়ে নামের এক কেল্টীয় জাতির নাম থেকে এসেছে। সেই জাতিটি এখানকার আদি অধিবাসী ছিলেন । খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে জুলিয়াস সিজার এলাকাটি দখল করে নেন। ব্রুসেল শহরটি বেলজিয়ামের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। ইউরোপীয় কমিশন ন্যাটো এবং বিশ্ব শুল্ক সংস্থার সদর দপ্তর ব্রাসেল্‌স এ অবস্থিত। তাছাড়া ইউরোপীয় পার্লমেন্টের নতুন ভবন এখানে অবস্থিত। ইউরোপীয় পার্লমেন্টের আদি ভবন ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অবস্থিত। বেলজিয়াম ইউরো জোন এ অবস্থিত এবং এর মুদ্রা ইউরো। ইউরো প্রবর্তনের পূর্বে বেলজিয়ামের মূদ্রার নাম ছিল বেলজিয়াম ফ্রাঁ ।ফ্রান্স এবং উত্তর ইউরোপের সমভূমির মধ্যস্থলে অবস্থিত। এর উত্তরে উত্তর সাগর। ইউরোপের একটি ভৌগোলিক সঙ্গমস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি মধ্যযুগ থেকেই একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। উত্তর সাগরের মাধ্যমে দেশটি বাকী বিশ্বের সাথে বাণিজ্য চালায়। বেলজিয়ামের অবস্থান সামরিক কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বহু যুদ্ধ হয়েছে। ১৮৩০ সালে বেলজিয়াম স্বাধীনতা লাভ করে।বেলজিয়াম তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত, ফ্ল্যান্ডার্স ও ওয়ালোনিয়া এবং ব্রাসেলস ক্যাপিটাল সিটি। ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চলটি ব্রাসেলসের উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থিত এখানে বেশির ভাগ লোক ওলন্দাজ ফ্লেমিশ ভাষায় কথা বলেন এবং এরা ফ্লেমিং নামে পরিচিত। ওয়ালোনিয়া ব্রাসেলসের পূর্বে ও দক্ষিণে অবস্থিত এবং এখানকার বেশির ভাগ লোক ফরাসি ভাষায় কথা বলেন এরা ওয়ালোন নামে পরিচিত। ব্রাসেলস অঞ্চলের উভয় জাতের লোকের বাস। প্রতিটি অঞ্চলই প্রায় স্বায়ত্তশাসিত কিন্তু ফ্লেমিং এবং ওয়ালোনদের মধ্যে এখনও তীব্র দ্বনদ্ব বিদ্যমান। ফ্ল্যান্ডার্স এলাকা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে আগ্রহী।
ভাষার জন্য বেলজিয়ানরা যুদ্ধ বিগ্রহে পর্যন্ত লিপ্ত হয়েছে। প্রধান ভাষা দুটি যথাঃ ফ্লেমিশ এবং ফরাসী। তৃতীয় প্রচলিত ভাষা জার্মান। কেবল ব্রুসেল শহরে ফ্লেমিশ এবং ফরাসি উভয় ভাষাই সরকারীভাবে ব্যবহৃত হয়। ফ্ল্যান্ডার্স এলাকায় অবিমিশ্রভাবে ফ্লেমিশ ভাষা প্রচলিত ওয়ালোনিয়া এলাকায় প্রচলিত ফরাসি ভাষা। তবে দূতাবাসের শহর ব্রুসেলে ইংরেজি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। বেলজিয়ামে দুটি সরকারী ভাষা প্রচলিত ওলন্দাজ এবং ফরাসি। বেলজিয়ামের প্রায় ৫৭% লোক ওলন্দাজ ভাষার একটি উপভাষা ফ্লেমিশে কথা বলেন। ফরাসি ভাষা প্রায় ৩৩% লোকের মাতৃভাষা এবং ফরাসিভাষীরা মূলত দেশের দক্ষিণাংশে ওয়ালুন অঞ্চলের বাস করেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্‌স একটি দ্বিভাষিক এলাকা। তাছাড়া পূর্বের অয়পেন মালমেডি সাংক্ত ভিট প্রদেশগুলিতে প্রায় দেড় লক্ষ জার্মান ভাষাভাষী বাস করে। বেলজিয়ামের সংখ্যালঘু ভাষাগুলির মধ্যে আরবি, তুর্কি, কাবিলে, স্পেনীয়, পর্তুগিজ এবং লেৎসেবুর্গেশ ভাষা অন্যতম।বেলজিয়ামের রাজনীতি একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাজা বা রাণী হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং দ্বিকাক্ষিক আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত।

ডেনমার্ক এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ডেনমার্ক হল উত্তর ও পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। ডেনীয় ভাষায় এর সরকারি নাম Kongeriget Danmark (Kingdom of Denmark। ভাইকিংয়েরা ১,১০০ বছর আগে ডেনীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজত্বগুলির একটি। ডেনমার্কের বর্তমান জাতীয় পতাকা Dannebrog ১২১৯ সাল থেকে প্রচলিত। কোপেনহেগেন ডেনমার্কের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ডেনমার্ক স্ক্যান্ডিনেভিয়ার একটি অংশ। বিগত শতাব্দীগুলিতে ডেনমার্কের রাজারা সমগ্র নরওয়ে এবং সুইডেন কিংবা তাদের কিয়দংশ শাসন করেছেন। তারা দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডও শাসন করেছেন। ভৌগলিকভাবে ডেনমার্ক উত্তরের স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলির সাথে মহাদেশীয় ইউরোপের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।বর্তমানে ডেনমার্ক জুটলান্ড উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকার উপর অবস্থতি একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। তাছাড়াও রাষ্ট্রটি ডেনীয় দ্বীপপুঞ্জের বহু শত দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করে। জুটলান্ডের দক্ষিণ সীমান্ত জার্মানিকেস্পর্শ করেছে। সেই সীমান্তের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬৮ কিমি। পূর্বে জুটলান্ড ও সুইডেনের মাঝে ডেনমার্কের প্রধান দ্বীপগুলি অবস্থিত। তাদের মধ্যে জেলান্ড দ্বীপটি সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ। ডেনমার্কের ৬০০ বছরের রাজধানী কোপেনহাগেনের বৃহত্তর অংশ জেলান্ডের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত।

তাছাড়াও স্কটল্যান্ডেরউত্তর পশ্চিমে ১৮টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফারো দ্বীপপুঞ্জ এবং তারও অনেক উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অধীন। রাজনৈতিকভাবে ফারো দ্বীপপুঞ্জ এবং গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ হলেও প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারগুলি বাদে তারা স্বশাসিত।অনেক উত্তরে অবস্থিত হলেও উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রস্রোতের কারণে ডেনমার্কের জলবায়ু তুলনামূলকভাবে বেশ মৃদু। ডেনমার্ক একটি নিচু দেশ। এখানে রয়েছে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি, সাজানো গোছানো খামার, এবং বিস্তৃত গ্রামীণ সবুজ চারণভূমি। ডেনমার্কের কোন অংশ থেকেই সাগরের দূরত্ব ৬৪ কিমি-র বেশি নয়, ফলে সমগ্র দেশেই উপকূলীয় আবহাওয়া বিরাজমান। বর্ষা, কুয়াশা এবং মেঘাচ্ছন্ন আকাশ স্বাভাবিক ঘটনা।ডেনমার্ক ধনী ও অত্যন্ত আধুনিক একটি দেশ। এখানকার নাগরিকেরা ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু জীবনযাত্রার মানগুলির একটি উপভোগ করেন। ডেনীয়রা তাদের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারে চাতুর্য এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন ও ব্যাপক সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রগুলির একটি। ফ্যাশন, শিল্পকারখানার ডিজাইন, চলচ্চিত্র এবং সাহিত্য ডেনীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ডেনমার্কের বিখ্যাত লেখকদের মধ্যে আছেন হান্স ক্রিস্টিয়ান আণ্ডারসন, যিনি তাঁর রূপকথাগুলির জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত, এবং বিখ্যাত দার্শনিক সরেন কিয়ের্কেগর।

স্পেন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
স্পেন এর প্রথম দিকের আধিবাসীরা মূলত কেল্ট এবং আইবেরিয়রা। এক দীর্ঘমেয়াদী ও প্রবল যুদ্ধের পর আইবেরিয় উপদ্বীপ রোমান রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং পরিচিত হয় হিসপিনিয়া নামে। মধ্যযুগের প্রথমদিকে এটি জার্মান শাসনাধীনে গেলেও পরবর্তীকালে মুসলিমগণ দেশটি জয় করেন। শুরু হয় মুসলিম শাসন অবসানের জন্য উত্তরের খ্রিস্টান রাজ্যসমূহের এক এলোমেলো এবং অত্যন্ত দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। অবশেষে সফল হয় খ্রিস্টানরা। ১৪৯২ সালে কলম্বাস যখন অজানা দ্বীপ আমেরিকায় পৌঁছেন তখন মুসলিম শাসনের শেষ চিন্হটুকু নিশ্চিন্হ হয়ে যায় গ্রানাডা থেকে। নতুন সাম্রাজ্য স্পেনকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করেন এবং ষড়বিংশ শতাব্দী থেকে সপ্তবিংশ শতাব্দীর অর্ধভাগ পর্যন্ত স্পেন ছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রধান পরাশক্তি।স্পেনের সে স্বর্ণযুগ বিভিন্ন কোন্দল এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে একসময় ম্লান হতে শুরু করে। উপরন্তু ঊনবিংশ শতাব্দিতে ফরাসিদের আক্রমণ দেশটিতে তৈরি করে ভীষণ বিশৃঙ্খল অবস্থা। ফুঁসে উঠা স্বাধীনতা আন্দোলন অধিকাংশ রাজ্যকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং রাজনৈতিকভাবে দেশটিতে অস্থিরতা সৃষ্ট করে। বিংশ শতাব্দীতে এক ধ্বংসাত্বক গৃহ যুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বৈর শাসন এর ফলে দেশটিতে এক ধরণের স্থবিরতা বিরাজ করে যদিও তা শেষ হয় অর্থনৈতিক গতিশীলতার মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরে আসে। এক সাংস্কৃতিক নবজাগরণ ও অর্থনৈতিক উন্নতির পর ১৯৮৬ সালে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়।স্পেনের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের কাঠামোতে পরিচালিত হয়। এই ব্যবস্থায় স্পেনের রাজা হলেন রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হলেন একটি বহুদলীয় ব্যবস্থাতে সরকারি নেতা। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সংসদের দুইটি কক্ষের হাতে ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী এবং আইন প্রণয়নকারী বিভাগ থেকে স্বাধীন।২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে হোসে লুইস রদ্রিগেস থাপাতেরো ও তার নেতৃত্বধীন স্পেনীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:





দারুন পোস্ট।
ইউরোপের অনেক ইতিহাস জানা হল।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দারুন অনেক সুন্দর পোস্ট অনেক কিছু জানা হল ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

সিগনেচার নসিব বলেছেন: পাঠে অনেক কিছু জানলাম। অনেক ধন্যবাদ ।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

হৃদয়হীন মানব বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বেলজিয়াম সম্বন্ধে জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

মুসাফির নামা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।অনেক কিছু জানা হল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.