নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরাণ গ্রিক এর বিভিন্ন কথা

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২২

প্রমিথিউস১৮৬৮ সালে গুস্তাভ মোরে অঙ্কিত । হেসিওডাস প্রথম প্রমিথিউসের পুরাকথা অন্তর্ভুক্ত করেন। পরবর্তীকালে সম্ভবত একিলাসের ট্র্যাজিক নাট্যত্রয়ী প্রমিথিউস বাউন্ড, প্রমিথিউস আনবাউন্ড ও প্রমিথিউস পিফোরোস এর মূল রূপে গৃহীত হয়।
গ্রিক এর সাহিত্যিক উপাদান
রাথমিকভাবে গ্রিক সাহিত্য গ্রিক পুরাণের কথা জানা যায়। তাছাড়া জ্যামিতিক যুগ এবং তৎপরবর্তীকালের দৃশ্য মাধ্যমগুলির উপস্থাপনাসমূহ থেকেও এই পৌরাণিকীর অনেকাংশ জ্ঞাত হয়ে থাকে।গ্রিক সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখাতেই পৌরাণিক উপাখ্যানগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদিও প্রাচীন গ্রিসের একমাত্র রক্ষাপ্রাপ্ত পৌরাণিক সারপুস্তিকা হল ছদ্ম অ্যাপোলোডোরাসের লাইব্রেরি। এই গ্রন্থে বিভিন্ন কবিদের দ্বারা রচিত পরস্পরবিরোধী কাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং গ্রিক পুরাণ ও নায়ক-সম্বন্ধীয় কিংবদন্তিগুলির একটি বৃহদাকার সারাংশ প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে।সাহিত্যিক উপাদানগুলি মধ্যে প্রাচীনতার দিক থেকে সর্বাগ্রগণ্য হল হোমারের দুই মহাকাব্য ইলিয়াড এবং ওডিসি। অপরাপর কবিরা মহাকাব্য চক্র”টি সম্পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু সেই সকল অর্বাচীনএবং অপ্রধান রচনাসমূহ বর্তমানে সম্পূর্ণই অবলুপ্ত। সনাতন নামটি ব্যতিরেকে হোমারীয় স্তোত্রাবলি সঙ্গেও হোমারের কোনও সম্বন্ধ নেই। তথাকথিত গীতিকাব্যিক যুগের প্রথমভাগে রচিত বৃন্দ স্তোত্রগান এগুলি।হোমারের সম্ভাব্য সময়সাময়িক হেসিয়ড থিওগনি নামে একটি গ্রন্থে প্রাচীনতম গ্রিক পুরাণকথাগুলির সম্পূর্ণ বিবরণী লিপিবদ্ধ করেন। সেই গ্রন্থে বর্ণিত হয় বিশ্বসৃষ্টি, দেবগণের উৎপত্তি টাইটান এবং দৈত্যদের কথা এবং বিস্তারিত পারিবারিক লোককথামূলক ও রোগোৎপত্তির কারণ ব্যাখ্যামূলক পুরাণকথা। হেসিয়ডের ওয়ার্কস অ্যান্ড ডেজ কৃষিজীবন সংক্রান্ত একটি শিক্ষামূলক কবিতা। এই কবিতাটিতেও প্রমিথিউস প্যান্ডোরা এবং চার মানবীয় যুগের পুরাকথা বর্ণিত হয়েছে। কবি সেই ভয়ানক বিশ্বে সাফল্যলাভের শ্রেষ্ঠ পন্থাটি বাতলেছেন যে বিশ্বকে দেবগণ আরও ভয়ানক রূপে উপস্থাপনা করে থাকেন।
ভার্জিলিয়াস রোমানাস নামে পঞ্চম শতাব্দীর এই পাণ্ডুলিপিতে অঙ্কিত রোমান কবি ভার্জিল তার বহু রচনায় গ্রিক পুরাণের অনেক বিবরণী লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
গীতিকবিরা কখনও সখনও পুরান থেকে তাদের রচনার উপাদান সংগ্রহ করতেন কিন্তু সেগুলির প্রয়োগ যতটা না বর্ণনাত্মক ততোধিক কল্পনামূলক। পিন্ডার, ব্যাকিলিডেস, সাইমনিডেস প্রমুখ গ্রিক গীতিকবি ও থিওক্রিটাস এবং বায়ন প্রমুখ রাখালিয়া কবিগন একক পৌরাণিক ঘটনাবলির বর্ণনা দিয়েছেন।পাশাপাশি ধ্রুপদী এথেন্সীয় নাটকের কেন্দ্রীয় বিষয়ও গৃহীত হয়েছিল গ্রিক পুরাণ থেকেই। একিলাস, সফোক্লিস, এবং ইউরিপিডিস ট্র্যাজিক নাট্যকার তাদের কাহিনীর সারবস্তু চয়ন করেছিলেন বীরযুগ এবং ট্রয় যুদ্ধের ঘটনা থেকে। বহু মহতী ট্র্যাজিক কাহিনী যথা, অ্যাগামেনন ও তার অপত্যগণ, অয়দিপাউস, মিদিয়া প্রভৃতি তাদের ধ্রুপদী রূপটি ধারণ করেছিল সেই নাটকগুলিতেই। কমিক নাট্যকার অ্যারিস্টোফেনিস তাঁর দ্য বার্ডস ও দ্য ফ্রগস এও গ্রিক পুরাণের সূত্র ব্যবহার করেছিলেন।
ঐতিহাসিক হেরোডোটাস এবং ডিওডোরাস সিকিউলাস ও ভূগোলবিদ পসানিয়াস এবং স্ট্র্যাবো গ্রিক বিশ্ব পরিভ্রমণ করে তাঁদের শোনা অসংখ্য স্থানীয় পুরাকথা লিপিবদ্ধ করেন। সেগুলির অনেকগুলিই অল্পজ্ঞাত পাঠান্তর। বিশেষত হেরোডোটাস বিভিন্ন প্রথাসমূহের উৎস সন্ধান করেন ও প্রাচ্য এবং গ্রিসের ঐতিহাসিক আর পৌরাণিক মূলের পার্থক্যটি আবিষ্কার করেন।হেলেনীয় ও রোমান যুগের কবিতাগুলি কৃষ্টিগত অনুশীলনের বদলে সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত হলেও বহু গুরুত্বপূর্ণ বিবরণী লিপিবদ্ধ করে রেখে তাদের অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করেছে। এই শ্রেণীতে যে সকল সাহিত্যিকের রচনা অন্তর্ভুক্ত তারা হলেনঃ
রোমান কবি ওভিড, স্ট্যাটিয়াস, ভ্যালেরিয়াস ফ্ল্যাকাস, সেনেকা এবং সার্ভিয়াস ভাষ্যসহ ভার্জিল। পরবর্তী প্রাচীন যুগের গ্রিক কবি নোনাস, অ্যান্টোনিয়াস লিবারেলিস, কুইন্টাস স্মায়ারনিয়াস।হেলেনীয় যুগের গ্রিক কবি রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস, ক্যালিম্যাকাস, ছদ্ম এরাটোস্থেনিস ও পার্থেনিয়াস। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমান উপন্যাসকার, যথা অ্যাপুলিয়াস, পেট্রোনিয়াস, লোলিয়ানাস ও হেলিয়োডোরাস।
একিলিস চারোনের সম্মুখে ট্রোজান বন্দীকে হত্যা করছেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শেষ বা তৃতীয় শতকের প্রারম্ভের একটি লাল এট্রুস্কান ক্যালিস্ক-ক্রাটারে অঙ্কিত।
রোমান ছদ্ম হাইজিনাসের ঢঙে রচিত ফ্যাবুলা এবং অ্যাস্ট্রোনোমিকা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরান সংক্রান্ত গদ্যরচনা। জ্যেষ্ঠ এবং কনিষ্ঠ ফিলোস্টেটাস রচিত ইম্যাজিনেস ও ক্যালিস্ট্রাটাসের বিবরণী দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।সবশেষে, এইসব কৃষ্টিগত প্রথাকে হেয় করার জন্য খ্রিস্টান অ্যাপোলজিস্ট অর্নোবিয়াস প্রদত্ত উদ্ধৃতি এবং কয়েকজন বাইজানটাইন গ্রিক লেখকের রচনা থেকে গ্রিক পুরাণের বহু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায়। সেগুলির কয়েকটি অধুনাবিলুপ্ত গ্রিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল। সেই পুরাণ সংরক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হেসিকিয়াসের লেক্সিকন, সুদা ও জন জেজেস এবং ইউস্টেথিয়াসের চুক্তিগুলি। খ্রিস্টীয় নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রিক পুরাণের মূল বক্তব্য মনে করা হয়ে থাকে প্রত্যেক পুরাণেই রয়েছে ডায়াডালাসের অসতীত্বের বিবরণী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আছে সুদাস বিশ্বকোষে পসেইডনের ষাঁড়ের প্রতি প্যাসিফের অস্বাভাবিক কামনা চরিতার্থ করার পিঁছনে ডায়াডালাসে ভূমিকার কথা বলা হয়েছে । এই সকল অশুভের উৎস ও দায় ডায়াডালোসের উপর বর্তায় এবং সে সেগুলির জন্য চিহ্নিত বলে, আজ প্রবাদের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
পুরাতাত্ত্বিক উপাদানঃ
ঊনবিংশ শতাব্দীতে জার্মান শখের পুরাতাত্ত্বিক হেইনরিক শিলিয়েম্যান কর্তৃক মাইসিনিয়ান সভ্যতার আবিষ্কার এবং বিংশ শতাব্দীতে ক্রিট দ্বীপে ব্রিটিশ পুরাতাত্ত্বিক স্যার আর্থার ইভানস কর্তৃক মিনোয়ান সভ্যতার আবিষ্কার হোমারের মহাকাব্য সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি খুলে দেয় বহু দেবতা এবং যোদ্ধাদের পৌরাণিক বিবরণীর পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণের দরজাও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাইসিনিয়ান এবং মিনোয়ান ক্ষেত্রগুলিতে প্রাপ্ত পুরাণ ও প্রথাসংক্রান্ত প্রমাণগুলি সম্পূর্ণত সৌধকেন্দ্রিক। কারন এখানে ব্যবহৃত লাইনার বি হরফটি মালপত্রের হিসাবরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হত। যদিও দেবদেবী এবং যোদ্ধাদের নামও এখানে প্রকাশিত হয়েছে তবে সে নিয়ে বহু সন্দেহের অবকাশও রয়েছে।খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর মৃৎপাত্র শিল্পে ব্যবহৃত জ্যামিতিক নকশাগুলিতে ট্রোজান চক্র তথা হেরাক্লেসের অভিযানের দৃশ্যাবলি চিত্রিত রয়েছে। দুটি কারণে পুরাণের সেই দৃশ্য উপস্থাপনাগুলি গুরুত্বপূর্ণ; একদিকে যেমন গ্রিসের বহু পুরাণকথা সাহিত্যিক উপাদানগুলির অনেক আগেই পাত্রগুলিতে অঙ্কিত হয়েছিল যেমনঃ হেরাক্লেসের দ্বাদশ কৃত্য কেবলমাত্র সারবারাসের অভিযানগুলির কাহিনী আগে সাহিত্যে বর্ণিত হয়। তেমনি অন্যদিকে সেই দৃশ্য উপস্থাপনাগুলি অনেক সময়ই এমন কিছু পুরাণ বা পৌরাণিক দৃশ্য দর্শায় যা অধুনারক্ষিত কোনও সাহিত্যিক উপাদানে দেখা যায় না। কখনও কখনও দেখা যায় কোনো কোনো পুরানকথার প্রথম জ্যামিতিক শিল্প উপস্থাপনাটি পরবর্তী প্রাচীন যুগে রচিত প্রথম কাব্য উপস্থাপনার কয়েক শতাব্দী আগে রচিত হয়েছে। প্রাচীন ধ্রুপদী ও হেলেনীয় যুগে হোমারীয় এবং অপরাপর বিভিন্ন পৌরাণিক দৃশ্যাবলি রক্ষাপ্রাপ্ত সাহিত্যিক প্রমাণসমূহের সংযোজনরূপে পাওয়া যায়।
পৌরাণিক ইতিহাসের সমীক্ষণঃ
গ্রিকদের সাংস্কৃতিক বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে তাদের পুরাণকথার রূপটিও। প্রসঙ্গত এই সংস্কৃতির উল্লিখিত এবং অনুচ্চারিত মূলসূত্র গ্রিক পুরাণই। গিলবার্ট কাথবার্টসন এর মতে যেসকল রক্ষাপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রূপগুলিতে আমরা এগুলি পেয়ে থাকি সেগুলি প্রকৃতিগতভাবে রাজনৈতিক।বলকান উপদ্বীপ অঞ্চলের কৃষিজীবী আদিম অধিবাসীগণ প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক বিষয়ের উপর একটি করে সত্তা আরোপ করত। কালক্রমে সেই অস্পষ্ট সত্তাগুলি ধারণ করল মানবীয় চেহারা। স্থানীয় পুরাণকথায় তারা প্রবেশ করল দেবদেবীর রূপে। উত্তর বলকান উপদ্বীপের উপজাতিগুলি যখন বহিরাক্রমণ শুরু করল তখন তাদের সঙ্গে সঙ্গে এলো বিজয় শক্তিমত্তা, যুদ্ধ ও ভয়ানক বীরত্বকেন্দ্রিক এক নতুন দেবমণ্ডলী। কৃষিজগতের প্রাচীন দেবতারা হয় সেই সকল অধিক শক্তিমান দেবতাদের সঙ্গে মিশে গেল নয়ত হারিয়ে গেল বিস্মৃতির অতলে।মধ্য প্রাচীন যুগের পর থেকে পুরুষ দেবতা এবং পুরুষ যোদ্ধাদের সম্পর্ক বিষয়ক পুরানকথাগুলির বাহুল্য দেখা যায়। এটি শিক্ষাকেন্দ্রিক পেডেরাস্টি বা বালক পুরুষ যৌনসম্পর্কের একটি সমান্তরাল বিকাশের ইঙ্গিতবাহী যা আনুমানিক ৬৩০ সাল নাগাদ প্রবর্তিত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর শেষ নাগাদ কবিরা অ্যারিস ভিন্ন অন্য সকল দেবতা ও অনেক কিংবদন্তি চরিত্রের সঙ্গে কমপক্ষে একজন এরোমেনোসের নাম যুক্ত করেছিলেন। পূর্বকালে প্রচলিত কিছু পুরানকথা যেমনঃ একিলিস এবং প্যাট্রোক্লাসের কাহিনীও বালক পুরুষ যৌনসম্পর্কের আলোকে দর্শিত হয়ে থাকে।প্রথমে আলেকজান্দ্রীয় কবিগণ এবং পরে আদি রোমান সাম্রাজ্যের সাহিত্যিক পুরাণকারেরা সাধারণভাবে গ্রিক পৌরাণিক চরিত্রগুলির কাহিনী গ্রহণ করতে শুরু করেন।

মহাকাব্যিক কবিতার কৃতিত্বই হল একটি কাহিনী-চক্র সৃষ্টি করা যার ফলস্রুতিতে পৌরাণিক কালনির্ঘণ্টের একটি ধারণা বিকাশলাভ করে। এইভাবে গ্রিক পুরাণ বিশ্ব এবং মানবসভ্যতার বিকাশের একটি পর্যায়ের ন্যায় প্রতিভাত হয়। বহু পরস্পরবিরোধী বক্তব্য কাহিনীগুলির একটি সুনির্দিষ্ট কালপরম্পরা নির্ধারণের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ালেও একটি মোটামুটি কালপঞ্জি উপস্থাপনা অসম্ভব নয় সৃষ্টিপুরাণ বা দেবযুগ বিশ্ব, দেবগণ ও মানবজাতির উৎপত্তি সংক্রান্ত পুরানকথা।দেব মানবের অবাধ মেলামেশার যুগ দেবতা উপদেবতা ও মানুষের আদি যোগসূত্রের কাহিনী।যোদ্ধাদের যুগ যেখানে দেবতাদের ক্রিয়াকলাপ কমে এসেছে। সর্বশেষ তথা সর্বশ্রেষ্ঠ বীরত্বব্যঞ্জক কিংবদন্তি হলো ট্রয় যুদ্ধ এবং তার ফলস্রুতি ।

গ্রিক পুরাণের আধুনিক ছাত্রদের নিকট দেবযুগ অধিক আকর্ষণীয় হলেও প্রাচীন এবং ধ্রুপদী যুগের গ্রিক লেখকদের যে বীরযুগই প্রিয় ছিল তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ আকার ও জনপ্রিয়তায় গ্রিক মহাকাব্য ইলিয়াড এবং ওডিসির কাছে দেবকেন্দ্রিক থিওগনি ও হোমারীয় স্তোত্রগুলি বামনতুল্য। হোমারের প্রভাবে যে বীরপূজন বা হিরো-কাল্ট সৃষ্টি হয় তা আধ্যাত্মিক জীবনেও পরিবর্তন সূচিত করে যার প্রকাশ ঘটে দেব রাজ্য এবং মৃত রাজ্যের বিচ্ছিন্নতা এবং অলিম্পিয়ান ও ক্‌থনিকের বিভেদনে। ওয়ার্কস অ্যান্ড ডেজ গ্রন্থে হেসিয়ড চার মানবীয় যুগের কথা বলেছেন ১। স্বর্ণযুগ ২। রৌপ্যযুগ ৩। ব্রোঞ্জযুগ ৪। লৌহযুগ। এই যুগ বা জাতিগুলি দেবতাদের বিচ্ছিন্ন সৃষ্টি। স্বর্ণযুগ ক্রোনাসের রাজত্ব অন্যান্য যুগগুলি জিউসের সৃষ্টি। ব্রোঞ্জযুগের ঠিক পরেই হেসিয়ড প্রক্ষিপ্ত বীর যুগ অংশটি যুক্ত করেছেন। সর্বশেষ যুগটি হল লৌহযুগ যে যুগে বাস করতেন কবি স্বয়ং। প্যান্ডোরার পুরাণকথার সূত্র ধরে অমঙ্গলের উপস্থিতির কারণ দর্শিয়ে কবি এই যুগকে বলেছেন সর্বনিকৃষ্ট।মেটামরফোসিস এ ওভিডও হেসিয়ডের চতুর্যুগ ধারণার অনুসরণ করেছেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখনী ।ভালো লাগল । !:#P

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মামুন ইসলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.