নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রিকের দেব যুগ

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

আমোর ভিনসিট ওমানিয়া প্রেমের দেবতা এরোসের একটি চিত্র। মাইকেলঅ্যাঞ্জেলো মেরিসি দা কারাভ্যাগিও অঙ্কিত চিত্রটি অঙ্কন করা হয়েজে ১৬০১ সালে ।
লোকসাধারণের বোধ্য ভাষায় বিশ্বের বর্ণনা এবং তার উৎপত্তি ব্যাখ্যার প্রয়াসটিই হল উৎপত্তির পুরাণকথা বা সৃষ্টিপুরাণ। হেসিয়ডের থিওগনি তে উৎপত্তি সংক্রান্ত সর্বাধিক লোকমান্য বিবরণটি পাওয়া যায়। সেই বিবরণ অনুসারে সব কিছুর শুরু ক্যাওস নামে এক পরিব্যাপ্ত শূন্যতায়। এই শূন্যস্থান থেকে উৎপন্ন হয় গে বা গাইয়া পৃথিবী এবং আরও কয়েকটি দৈবী সত্তা এরোস (প্রেম), অ্যাবিস (টারটারাস) ও এরিবাস। পুরুষ সংসর্গ ছাড়াই গাইয়া জন্ম দেন ইউরেনাসের (আকাশ) যিনি পরে গাইয়ার গর্ভাধান করেন। উভয়ের সঙ্গমে প্রথমে জন্ম নেন টাইটানগণ ছয় পুরুষ এবং ছয় নারী ওশেনাস, কোয়েয়াস ও ক্রিয়াস, হাইপেরিয়ন ও ইয়াপেটাস, থেইয়া এবং রেহ্‌য়া, থেমিস ও নিমোসিন, ফোয়েবি ও টেথিস তারপর একচক্ষু সাইক্লোপস এবং সহস্রভুজ হেকাটোনচিরেস। ক্রোনাস গাইয়ার সন্ততিদের মধ্যে চতুর ও কনিষ্ঠতম এবং সর্বাধিক ভয়ানক ছিল,তিনি তার পিতাকে খোজা করে দেবতাদের রাজা হন। ভগিনী রেহ্‌য়াকে তিনি বিবাহ করেন এবং অন্যান্য টাইটানগণ তার অমাত্য হন। পিতা পুত্র বিরোধের পুনরাবৃত্তি হয় ক্রোনাসের পুত্র জিউসের ক্ষেত্রেও। পিতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার পর ক্রোনাসের মনে ভীতি জন্মেছিল যে তার সন্তানও তার সঙ্গে অনুরূপ আচরণ করতে পারে। তাই প্রতিবার রেহ্‌য়া সন্তানের জন্ম দিলে ক্রোনাস সেই সন্তানকে কেড়ে ভক্ষণ করতেন। এই কাজটি রেহ্‌য়া অত্যন্ত ঘৃণা করতেন; তাই জিউসের জন্ম হলে তাকে লুকিয়ে নবজাতকের কাথায় একটি পাথর মুড়ে ক্রোনাসকে ধোকা দেন। সেই পাথরটিই ভক্ষণ করেন ক্রোনাস। জিউস বড় হলে তিনি তার পিতাকে একটি ঔষধিমিশ্রিত পানীয় পান করান যাতে ক্রোনাস জিউসের সকল ভ্রাতা ও ভগিনীদের বমন করেন এবং সেই পাথরটিও বেরিয়ে আসেন যেটি তার উদরে রাখা ছিল। তারপর জিউস দেবরাজের পদের জন্য ক্রোনাসকে যুদ্ধে আহ্বান করেন। শেষে সাইক্লোপসের সাহায্যে জিউস ও তার ভ্রাতা ভগিনীগণ যুদ্ধে জয়লাভ করেন। ক্রোনাস এবং টাইটানগণ টারটারাসে নিক্ষিপ্ত ও বন্দী হন। গ্রিকদের প্রাচীনতম কাব্যচেতনায় সৃষ্টিপুরাণ ছিল আদর্শ কাব্যধারা আদর্শ মিথোস বা পুরাণকথা এবং প্রায় অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন হিসাবে চিহ্নিত। অ্যাপোলোনিয়াসের আর্গোনটিকা গ্রন্থে দেখা যায় সৃষ্টিপুরাণের আদর্শ কবি এবং গায়ক অর্ফিয়ুস শুধুমাত্র যে সমুদ্র ও ঝড়কেই শান্ত করতেন তাই নয় হেডিস-এ পতনের পর পাতালের পাষাণহৃদয় দেবতাদেরও বিচলিত করে তুলেছিলেন। হার্মিসের প্রতি হোমারীয় স্তোত্র এ দেখা যায় হার্মিস লায়ার আবিষ্কার করে প্রথমেই যে গান গেয়েছিলেন, তা দেবতাদের জন্মবিষয়ক সংগীত।আবার হেসিয়ডের থিওগনি ও শুধুমাত্র দেবতাদের সম্পূর্ণ রক্ষাপ্রাপ্ত বিবরণীই নয় এর দীর্ঘ প্রাথমিক মিউজ আবাহনীগুলি সহকারে এটি আদিম কবিদের উদ্দেশ্যেরও এক পূর্ণ বিবরণী। সৃষ্টিপুরাণ আবার বেশ কিছু অধুনাবিলুপ্ত কবিতারও বিষয়বস্তু। সেগুলির মধ্যে রয়েছে অর্ফিয়ুস, মিউজেয়াস, এপিমেনিডেস, অ্যাবারিস এবং অন্যান্য কিংবদন্তি ভবিষ্যদ্‌দ্রষ্টাদের রচনা যা ব্যবহৃত হত ব্যক্তিগত আচারসংক্রান্ত শুদ্ধিকরণ এবং বিভিন্ন গুপ্তপ্রথায়। প্লেটো অরফিক সৃষ্টিপুরাণের কয়েকটি সংস্করণের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়।এই রচনাগুলির কিছু খণ্ডাংশের সন্ধান মেলে নব্য প্লেটোপন্থী দার্শনিকদের উদ্ধৃতি ও সম্প্রতি আবিষ্কৃত কিছু প্যাপিরাস পুঁথি থেকে। এই পুঁথিগুলির অন্যতম ডারভেনি প্যাপিরাস প্রমাণ করেছে যে অন্ততপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত অর্ফিয়ুসের একটি সৃষ্টিপৌরাণিক সৃষ্টিতত্ত্বসংক্রান্ত কবিতার অস্তিত্ব ছিল। এই কবিতাটি হেসিয়ডের থিওগনি কেও ছাপিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে। এখানে দেবতাদের সৃষ্টি ইউরেনাস, ক্রোনাস ও জিউসেরও আগে নিক্সের কাহিনী পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।প্রথম যুগের দার্শনিক সৃষ্টিতাত্ত্বিকগণ কখনও গ্রিসে সেকালে প্রচলিত জনপ্রিয় পুরাণ ধারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন আবার কখনও বা তার উপর নির্ভর করেছেন। হোমার ও হেসিয়ডের কবিতা থেকে এই জনপ্রিয় ধারণাগুলির কিছু দৃষ্টান্ত পাওয়া যেতে পারে। হোমারের রচনায় পৃথিবী ওশেনাস নদীর উপর ভাসমান একটি চ্যাপ্টা চাকতি তার উপরে অর্ধগোলকাকার আকাশ সেই আকাশে সূর্য, চাঁদ ও তারা। সূর্য রথীর বেশে স্বর্গ পরিক্রমা করেন রাত্রে একটি সুবর্ণ পাত্রে ভেসে বেড়ান পৃথিবীর চারিধারে। সূর্য, পৃথিবী, স্বর্গ, নদী ও বায়ু সম্বোধিত হত এবং তা সাক্ষীশপথ বলে কথিত হত। প্রাকৃতিক গর্তগুলিকে মনে করা হত মৃতদের রাজ্য ।
গ্রিক দেবমণ্ডলী
ধ্রুপদী যুগের পুরাণ অনুসারে টাইটানদের নির্বাসিত করার পর দেবদেবীদের এক নতুন দেবমণ্ডলী গঠিত হয়। প্রধান গ্রিক দেবতাদের মধ্যে ছিলেন অলিম্পিয়ানগণ সম্ভবত অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালেই তাদের সংখ্যা বারোয় সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মাউন্ট অলিম্পাসের শীর্ষে দেবরাজ জিউসের নজরদারিতে তারা বাস করতেন। অলিম্পিয়ানদের পাশাপাশি গ্রিকরা একাধিক গ্রাম্য দেবতাও পূজা করতেন। যেমন প্যান, নিম্ফগণ (জলদেবী), নায়াডগণ (ঝর্ণাবাসী), ড্রায়াডগণ (বৃক্ষদেবতা), নেরেইডগণ (সমুদ্রবাসী), নদী দেবতাগণ, স্যাটারগণ। তার সঙ্গে ছিলেন পাতাললোকের অন্ধকারের শক্তিগুলিও। যেমন, এরিনেস কথিত হয় যিনি রক্তের সম্বন্ধীদের বিরুদ্ধে কৃত অপরাধে দোষীদের তাড়া করে ফিরতেন।এই গ্রিক দেবমণ্ডলীর সম্মানেই কবিগণ রচনা করেছিলেন হোমারীয় স্তোত্রসমূহ । গ্রেগরি ন্যাগি মনে করেন অধিকাংশ হোমারীয় স্তোত্রই হল সাধারণ মুখবন্ধ যার প্রত্যেকটি একজন দেবতাকে আবাহন জানায়।
গ্রিক পুরাণের বিভিন্ন উপকথা এবং কিংবদন্তি অনুসারে গ্রিকদের সুপরিচিত দেবতাদের শরীর ছিল মানবীয় কিন্তু আদর্শ। ওয়াল্টার বারকার্ট মনে করেন গ্রিক নরত্বারোপবাদের মূল বৈশিষ্ট্যই হল গ্রিক দেবতাগণ ব্যক্তি বিমূর্ত কোনও কল্পনা বা ধারণা নন। তাদের আসল রূপটির কথা বাদ দিলেও প্রাচীন গ্রিক দেবতাগণ অনেকগুলি আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই যে তারা রোগবিসুখ দ্বারা আক্রান্ত হতেন না এবং কোনও কোনও অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতিরেকে তাদের আহতও করা যেত না। গ্রিকরা মনে করত দেবতাদের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল অমরত্ব। এই অমরত্ব তথা অনন্ত যৌবন ধরে রাখত নেক্টর ও অ্যামব্রোসিয়ার ক্রমান্বয় ব্যবহার যা দেবতাদের শিরায় দৈবী রক্তকে সর্বদা পুনরুজ্জীবিত করত।

প্রত্যেক দেবতা উদ্ভূত হতেন তার নিজস্ব বংশধারা থেকে। তাদের প্রত্যেকের আগ্রহ এবং বিশেষত্বের ক্ষেত্রগুলি হত ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যেকেই চালিত হতেন এক একটি স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তার দ্বারা। যদিও এই বর্ণনাগুলি অনেক ক্ষেত্রেই উৎপন্ন হয়েছিল প্রাচীন স্থানীয় পাঠান্তরগুলির বিভাজনের দ্বারা যা সর্বদা পরস্পরের বক্তব্যের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হত না। কবিরা যখন কাব্যে প্রার্থনায় বা পূজনে দেবতাদের স্মরণ করতেন তখন তারা দেবতাদের নাম এবং উপাধিগুলি সংমিশ্রিত করে উল্লেখ করতেন। যার ফলে তাদের বিশেষ বিশেষ দিকগুলি অন্যান্য দিকগুলির থেকে সহজেই পৃথক করা যেত উদাহরণস্বরূপ অ্যাপোলো মিউজগেট হলেন মিউজদের নেতা অ্যাপোলো। বৈকল্পিকভাবে উপাধিও দেবতাদের কোনও নির্দিষ্ট ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করত যা অনেক সময় গ্রিসের ধ্রুপদী যুগেও প্রাচীন বলে বিবেচিত হত।অধিকাংশ দেবতাই জীবনের কোনও না কোনও দিকের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ আফ্রোদিতি ছিলেন প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী অ্যারিস ছিলেন যুদ্ধের দেবতা, হেডিস ছিলেন মৃতের দেবতা এবং অ্যাথিনা ছিলেন জ্ঞান ও সাহসিকতার দেবী। অ্যাপোলো বা ডায়োনিসাস দেবতারা ছিলেন একাধিক গুণের অধিকারী এবং জটিল চরিত্রবিশিষ্ট। আবার হেস্টিয়া বা হেলিওস ছিলেন ব্যক্তিত্বারোপ ভিন্ন আর কিছুই না। খুব অল্পসংখ্যক দেবতাদের উদ্দেশ্যেই মনোহর মন্দির নির্মিত হত। এই দেবতারা হতেন বৃহত্তর হেলেনীয় কৃষ্টির মুখ্য আকর্ষণকেন্দ্র। যদিও স্বতন্ত্র অঞ্চল বা গ্রামে অধিবাসীদের স্থানীয় কৃষ্টি অপ্রধান দেবতাদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে দেখা যেত প্রায়শই। অনেক শহরে আবার বিশ্রুত দেবতাদের এমন সব স্থানীয় প্রথার মাধ্যমে সম্মান জানানো হত যা অন্যত্র সচরাচর লক্ষিত হত না। এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য অঞ্চলে অপ্রচলিত অদ্ভুত সব উপকথাও সেই সব দেবতাদের কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হত। বীরযুগে বীর বা উপদেবতাদের পূজন শুরু হলেও সেখানেও অনুরূপ ঘটনা ঘটতে থাকে।

অবিনশ্বর ও নশ্বরদের যুগ
দেবযুগে দেবতারা ছিলেন একা এবং বীরযুগ বা যোদ্ধাদের যুগে মানবজীবনের উপর দৈবী হস্তক্ষেপ অনেক কমে এসেছিল। আবার এই দুই যুগের সংযোগ সাধন করেছিল একটি যুগসন্ধি যে সময়ে দেবতা ও মানব অবাধে মেলামেশা করতে পারতেন। দেব মানবের এতটা ঘনিষ্ঠতা পরবর্তী সময়ে আর সম্ভব হয়নি। সেই যুগের কাহিনীগুলি অধিকাংশই বর্ণিত হয়েছে ওভিডের মেটামরফোসিস গ্রন্থে। সেই কাহিনীগুলি দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। যথাঃ প্রেমের কাহিনী এবং শাস্তিদানের কাহিনী।

প্রেমের কাহিনীগুলির বিষয়বস্তু ছিল অজাচার ও পুরুষ দেবতাদের দ্বারা মর্ত্যনারীর সতীত্বহনন বা ধর্ষণ যার ফলে জন্ম হয় বহু বীর যোদ্ধার। তবে দেবতা এবং নশ্বরের এই ধরণের সম্পর্ক পরিহার্য এমন একটি ইঙ্গিতও এই কাহিনীগুলিতে লক্ষিত হয়। কারণ, খুব অল্পক্ষেত্রেই এই ধরণের কাহিনী মিলনান্তক হত।আবার অন্যদিকে অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে স্বর্গের দেবীরাএবং মর্ত্যপুরুষের সঙ্গে যৌনসংসর্গে লিপ্ত হয়েছেন। এমনই একটি উদাহরণ মেলে অ্যাফ্রোদিতির প্রতি হোমারীয় স্তোত্র এ। এখানে অ্যাফ্রোদিতি অ্যাঙ্কিসেসের সঙ্গে মিলিত হয়ে অ্যানিসের জন্ম দিয়েছেন।দ্বিতীয় ধরনের কাহিনীর সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রথার প্রবর্তন ও আবিষ্কার সংক্রান্ত কিংবদন্তী। যেমন স্বর্গ থেকে প্রমিথিউসের আগুন চুরি, জিউসের টেবিল থেকে ট্যান্টালাসের অমৃত ও অ্যাম্রোসিয়া চুরি এবং সেই গুপ্ত দেবরহস্য নিজের প্রজাদের নিকট প্রকাশ, প্রমিথিউস বা লাইকনের বলিদান প্রথা প্রবর্তন, ট্রিপ্টোলেমাসকে ডিমিটরের কৃষি ও এলিসিনীয় রহস্য শিক্ষাদান, মার্সিয়াসের আউলোস আবিষ্কার এবং অ্যাপোলোর সহিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রমিথিউসের অভিযান সম্পর্কে বলা হয় এগুলি দেবতা ও মানুষের ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী।তৃতীয় শতকে লিখিত একটি অজ্ঞাতনামা প্যাপিরাস পুঁথিতে বর্ণিত এক বিস্তারিত কাহিনী থেকে জানা যায় কিভাবে থ্রেসের রাজা লিকারগাসের উপর ডায়োনিসাসের ভয়ংকর অভিশাপ রাজার দেবত্বলাভে বিলম্বের সুযোগে মৃত্যু পরবর্তী জীবনেও প্রসারিত হয়েছিল। থ্রেসে নিজ কৃষ্টির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ডায়োনিসাসের আগমনের কাহিনীও এসকিলীয় ত্রয়ীর অন্যতম বিষয়। অপর এক ট্রাজেডি ইউরিপিডিসের দ্য ব্যাকে তে থিবসের রাজা পেন্থেয়াসকেও ডায়োনিসাসের শাস্তির মুখে পড়তে হয় কারণ তিনি তাকে অসম্মান করেছিলেন এবং মিনাড নামে মহিলা পুরোহিতদের পশ্চাতে গুপ্তচর নিয়োগ করেছিলেন। প্রাচীন লোককথা জাতীয় একই ধরনের একটি কাহিনীতে দেখা যায় কন্যা পারসিফোনির অনুসন্ধানে বের হয়ে দোসো নামে এক বৃদ্ধার ছদ্মবেশে ডিমিটর অ্যাটিকার এলেসিস রাজ্যের রাজা সেলিয়াসের সাদর অভ্যর্থনা লাভ করেন। সন্তুষ্ট হয়ে তিনি ডেমোফোনকে দেবত্বে উন্নীত করতে চান। কিন্তু দেবত্ব উপনয়নের সেই আচারানুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটে। ডেমোফোনের মা মেটানিরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে পুত্রকে জ্বলন্ত আগুনের উপর দণ্ডায়মান দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। ক্রুদ্ধ ডিমিটর খেদ করতে থাকেন যে মুর্খ নশ্বরেরা ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের মর্ম বোঝে না। এর পর আর কিছু জানা হয়নি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.