নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়ামামার যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৯


ইয়ামামার যুদ্ধ এটি সম্ভবত ৬৩২ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান সৌদি আরবের ইয়ামামা নামক স্থানে মুসলিম ও স্বঘোষিত নবী মুসায়লিমার পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ রিদ্দার যুদ্ধের একটি অংশ ছিল।মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর অনেক আরব গোত্র মদিনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। খলিফা আবু বকর বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করার জণ্য ১১টি সেনাদল গঠন করেন। তিনি ইকরিমা ইবনে আবি জাহলকে একটি সেনাদলের অধিনায়ক নিযুক্ত করেন। তাকে আদেশ হয় যাতে তিনি মুসায়লিমার সেনাদের সাথে ইয়ামামায় সাক্ষাত করে। তবে তাকে আক্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তার সেনাসংখ্যা আক্রমণের জন্য যথেষ্ট ছিল না। অন্যান্য ক্ষুদ্র বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করার পর খালিদকে এই অভিযানের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইকরিমাকে নিয়োগের উদ্দেশ্য ছিল যাতে মুসায়লিমাকে ইয়ামামায় আটকে রাখা যায়। তার উপস্থিতিতে মুসায়লিমা আক্রমণের আশঙ্কায় নিজ শিবির ত্যাগ করতে সক্ষম হয়নি। মুসায়লিমার এমতাবস্থায় খালিদ উত্তর মধ্য আরবের বিদ্রোহী গোত্রগুলোকে মোকাবেলার জন্য সুযোগ পেয়ে যান। ইকরিমা অগ্রসর হয়ে ইয়ামামা অঞ্চলে শিবির স্থাপন করেন।
তার শিবিরের স্থান জানা যায়নি। এই শিবির থেকে তিনি বনি হানিফা গোত্রের উপর নজর রাখেন এবং খলিফার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন। খলিফা খালিদকে মুসায়লিমার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। পাশাপাশি শুরাহবিল ইবনে হাসানার সেনাদের কমান্ডও তার উপর ন্যস্ত করা হয়। খালিদ বুতার দিকে যাত্রা করেন। সেখানে তার পুরনো সেনাদল তার অপেক্ষায় ছিল। ইতিমধ্যে খলিফা শুরাহবিলকে খালিদের অধীনে কাজ করার আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠান। মুসায়লিমা তার চল্লিশ হাজার সেনা নিয়ে আকরাবার সমভূমিতে শিবির করেছে এ সংবাদ খালিদ জানতে পারেন। ইতিপূর্বে মুসায়লিমার সেনারা ইকরিমা ও শুরাহবিলকে পরাজিত করেছিল।

খালিদের নির্দেশে মুসলিমরা অগ্রসর হয়। মুসলিমরা পুরো শক্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। কিন্তু যুদ্ধ ভারসাম্য অবস্থায় চলে আসে। এরপর যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ে মুসলিমরা সফল হয়।

মুসায়লিমার সেনাবাহিনীর এক চতুর্থাংশ এসময় টিকে ছিল। তারা একটি দেয়ালঘেরা বাগানে আশ্রয় নেয়। তাদের ডান পাশের কমান্ডার মুহাকিম পিছু হটতে সক্ষম হয়। মুসলিমরা এখানে উপস্থিত হলে মুসায়লিমাসহ ৭,০০০ এর কিছু বেশি বিদ্রোহী সৈনিক এতে উপস্থিত ছিল। বিদ্রোহীরা গেট বন্ধ করে দেয়। ফলে মুসলিমরা ভেতরে গিয়ে লড়াই করতে সক্ষম ছিল না।সেসময় মুসলিম সৈনিক আল বারা ইবনে মালিক তার অনুসারীদের নিয়ে দেওয়াল টপকে যাওয়ার জন্য আহ্বান করেন যাতে ভেতর থেকে গেট খুলে দেওয়া যায়। সৈনিকরা তারপর বাগানের ভেতর ঢুকে পড়েন এবং গেট খুলে দেয়। তারপর যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায় সম্পন্ন হয়।
তারপর লড়াই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মুসায়লিমা তখনও লড়াই করছিলেন। মুসায়লিমা ওয়াহশি ইবনে হারবের নজরে পড়লে তিনি তার বর্শা মুসায়লিমার দিকে নিক্ষেপ করেন ইসলাম গ্রহণের পূর্বে উহুদের যুদ্ধে ওয়াহশি একই বর্শা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে নিক্ষেপ করেছিলেন। মুসায়লিমার মৃত্যুর সংবাদে বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙে পড়ে। বাকি বিদ্রোহীরা যুদ্ধে নিহত হয়।

এই যুদ্ধ আরব ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের পতন হিসেবে চিহ্নিত হয়।ইয়ামামার যুদ্ধ আবু বকরের কুরআন সংকলনে ভূমিকা রাখে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় কুরআনের বিভিন্ন অংশ সাহাবীদের কাছে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় লিখিত ছিল। ইয়ামামার যুদ্ধে সাতশত জন হাফিজ নিহত হন। উমর ইবনুল খাত্তাবের অণুরোধে আবু বকর সমগ্র কুরআন একটি খন্ডে সংকলনের নির্দেশ দেন।

তথ্যসূত্রঃ
A.I. Akram, The Sword of Allah: Khalid bin al-Waleed, His Life and Campaigns, Nat. Publishing. House, Rawalpindi (1970) ISBN 0-7101-0104-X
এবং ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

123456789happy বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই ।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

blogermassud বলেছেন: ভালো লাগল আপোনার লেখাটি ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামের ইতিহাস বেশিরভাগই নিজেদের মধ্যে হানাহানি ... যুদ্ধ আর যুদ্ধ ..

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হয়ত বা কিছু ক্ষেত্রে ।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবেরা শান্তি পেলো না, মনে হচ্ছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো কিছু পেতে হলে কস্ট পেতেই হয় ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো। তয় সাহাবা রাজুয়াল্লাহু আনহুমদের নামের শেষে দোয়া লিখলে ভালো হয় !
আরো ভালো হয় যদি সতর্কতা জারি করেন "এই পোস্ট হনুমানদের জন্য নয় !"

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



"হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ইসলামের ইতিহাস বেশিরভাগই নিজেদের মধ্যে হানাহানি ... যুদ্ধ আর যুদ্ধ .."

-নির্ভেজাল এলার্জিময় রঙিন জগত।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই ।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



''Tarzan00007 বলেছেন: ভালো লাগলো। তয় সাহাবা রাজুয়াল্লাহু আনহুমদের নামের শেষে দোয়া লিখলে ভালো হয় !
আরো ভালো হয় যদি সতর্কতা জারি করেন "এই পোস্ট হনুমানদের জন্য নয় !"

-মন্তব্যে সহমত। ধন্যবাদ, Tarzan00007।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই ভালোর মধ্যে কিছু খারাপ থাকবেই থাকুক না । আমরা আমাদের মত থাকলেই হলো । মন্তব্যে অনুপেরিত হোলাম ।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত! স্পেশালি Tarzan00007 এর মন্তব্যের নিচের এই অংশটুকুর প্রতি আপনার দৃষ্টি অাকর্ষন করাই ছিল আমার পূর্বের মন্তব্যের উদ্দেশ্য।

"সাহাবা রাজুয়াল্লাহু আনহুমদের নামের শেষে দোয়া লিখলে ভালো হয় !"

ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.