নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা না জানা বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস (২য়পর্ব )

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫


শ্রীলংকা এবং বার্মায় বৌদ্ধ ধর্মের সম্প্রসারণ
জানা না জানা বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস ( প্রথম পর্ব )
শ্রীলংকায় বৌদ্ধ ধর্মের সম্প্রসারিত হয়েছিল খৃষ্ট পূর্ব ৩য় অব্দে সম্রাট অশোক পুত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু মাহিন্দ এবং তার ছয় সহচরের সহায়তায়। তারা শ্রীলংকার তৎকালীন রাজা দেবানাপিয়া টিস্‌সা এবং রাজ্যের আরো অভিজাত শ্রেণীর লোকদের বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করেন। পাশাপাশি সম্রাট অশোকার মেয়ে সংঘমিত্রাও শ্রীলংকায় মেয়ে সন্ন্যাসীন্নিদের প্রথা চালু করেন। তাছাড়াও অশোক তনয়া তার সাথে একটি বোধি বৃক্ষের চারা গাছও নিয়ে এসেছিলেন এবং সেটি শ্রীলঙ্কা অনুরাধাপুরাতে রোপণ করেছিলেন। সেখানেই মূ্লত মহাবিহার নামক সিংহলিদের প্রাচীন মঠ অবস্থিত। মূলত শ্রীলংকায় পালি ভাষায় ধর্ম সূত্রগুলো লিপিবদ্ধ হয়েছিল রাজা ভট্টগমনীর শাসনামলে এবং থেরবাদ ভক্তি আন্দোলন মূলত সেখানে থেকেই বিকশিত হয়েছিল। বুদ্ধঘোষ ও ধর্মপালের মতো অনেক প্রখ্যাত বুদ্ধ সন্ন্যাসী থেরবাদ ভক্তি আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল এবং তারা এই মতাদর্শের অনেক নিয়মাবলীও প্রণয়ন করেছিল। যদিও মহাযান বৌদ্ধ শাখা শ্রীলংকায় বেশ অনেক সময় অব্দি প্রভাব বিস্তার করেছিল তথাপি শ্রীলংকায় পরবর্তীতে থেরবাদই স্থায়ী হয় এবং এটি এখনও পালন করা হয়। শ্রীলংকা থেকে পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্ম একাদশ শতাব্দিতে ধীরে ধীরে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বাকি দেশগুলোতে প্রচার হতে থাকে।ভারতীয় উপমহাদেশের একেবারে পূর্বে বার্মা এবং থাইল্যান্ডের মানুষজনদের মাঝেও বৌদ্ধ ধর্মের দরুণ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির প্রভাব বিশেষ লক্ষ্যণীয়। বৌদ্ধ ধর্মের দুই শাখা মহাযান ও হীনযান বিভক্তির পূর্বে খৃষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দিতে থাইল্যান্ড এবং বার্মার লোকেরা সম্রাট অশোকের শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। খৃষ্টপূর্ব ১ম থেকে ৫ম শতাব্দিতে নির্মিত মধ্য মিয়ানমারে অবস্থিত প্রাচীন বার্মিজ বুদ্ধ মন্দির পেইকথানো হলো মিয়ানমারে প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মের নিদর্শন।মোন জাতিগোষ্ঠীর ধর্মচক্র যেটি দ্বারবতি শাসনামলে খৃষ্টপূর্ব ৯ম অব্দে পাওয়া যায়।

মোন জাতিগোষ্ঠীর ধর্মচক্র যেটি দ্বারবতি শাসনামলে খৃষ্টপূর্ব ৯ম অব্দে পাওয়া যায়।
থাইল্যান্ড ও বার্মায় যে বৌদ্ধ শিল্পের নিদর্শন পাওয়া যায় তা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের গুপ্ত সাম্রাজ্যের চিত্র শিল্প কর্তৃক প্রভাবিত। পাশাপাশি তাদের বিশেষ শিল্প ধারা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়াতে আরো ছড়িয়ে পরে যখন ৫ম থেকে ৮ম শতাব্দিতে মোন গোত্রের লোকদের সাম্রাজ্য আরো বিস্তার লাভ করে। খৃষ্ট পরবর্তী ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে মহাযান শাখা প্রভাব বিস্তারের পূর্বে থেরবাদ বিশ্বাস মূলত দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার উত্তরাংশে মোন জাতিগোষ্ঠীর কারণেই আরো বেশি প্রভাবিত হয়েছিল। অশোকাবদান থেকে জানা যায় যে সম্রাট অশোক উত্তরে হিমালয়ের দিকেও একটি বৌদ্ধ মিশনারী প্রেরণ করেন যারা খোতান, তারিম বাসিন, ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাভাষি তুষারি লোকদের মাঝেও বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করেন।
শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান
সম্রাট অশোকের মৃত্যুর ৫০ বছর পর শুঙ্গ রাজবংশ ১৮৫ খৃষ্টপূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ মৌর্য্য কে হত্যার মধ্য দিয়ে সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ সিংহাসন আরোহণ করেন। অশোকাবদানের মতো বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে গোঁড়া ব্রাহ্মণ পুষ্যমিত্র বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিরোধী ছিলেন এবং বৌদ্ধ বিশ্বাসীরা তার শাসনামলে নির্যাতিত হয়েহিল। বৌদ্ধ গ্রন্থগুলোতে আরো উল্লেখ আছে যে তিনি শত শত বৌদ্ধ মঠ ধ্বংস করেছিলেন এবং হাজারের উপর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের হত্যা করেছিলেন। ৮,৪০,০০০ বুদ্ধস্তূপ যা সম্রাট অশোক কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল তা রাজা পুষ্যমিত্র ধ্বংস করে ফেলেন এবং প্রত্যকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মাথার বিনিময়ে তিনি ১০০টি স্বর্ণ মুদ্রা প্রদানের পুরষ্কার ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য বৌদ্ধ সূত্রগুলো আরো দাবী করে যে রাজা পুষ্যমিত্র নালন্দা, বুদ্ধগয়া, সারনাথ ও মথুরার মতো স্থানগুলোতে অবস্থিত বৌদ্ধ বিহারগুলোকে হিন্দু মন্দিরে রূপান্তরিত করেন। কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবেত্তাগণ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের নিরিখে উপরিউক্ত তথ্যগুলোর সাথে তাদের মতবিরোধ প্রকাশ করেন। তাদের মতামত অনুযায়ী অশোকের বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার দরুণ বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার প্রসারে ভাটা পরেছিল ঠিক কিন্তু পুষ্যমিত্র কর্তৃক বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর সক্রিয় নির্যাতনের প্রমাণ প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় পাওয়া যায় নি। বেলজিয়া পাদ্রী এবং গ্রীক ভাষার প্রভাষক এতিয়ান লেমোতের ভাষ্যানুযায়ী নথি থেকে বিচার করতে গেলে দেখা যায়, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পুষ্যমিত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। কিন্তু অন্য দিকে ভারতের জাওহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও ইতিহাসবেত্তা রোমিলা থাপর এতিয়ান লেমোত ও অন্যান্য পাশ্চাত্য ইতিহাসবেত্তাদের মতামত নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। রোমিলা থাপরের ভাষ্যমতে "পুশ্যমিত্র ছিলেন একজন ধর্মান্ধ বৌদ্ধ বিদ্বেষী। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থের দাবী অনুযায়ী পুষ্যমিত্র আসলে ৮,৪০,০০০ অশোক স্তূপ ধ্বংস করেন নি।"। থাপার আরো বিশদভাবে বলেন যে, পুষ্যমিত্র কর্তৃক মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতনের জন্যই বৌদ্ধ সূত্রগুলো তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছিল বাড়তি তথ্যগুলো অতিঃরঞ্জিত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে।
সেই সময় পুষ্যমিত্রের শাসনামলে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা গাঙ্গেয় উপত্যকা ছেড়ে কেউ কেউ উত্তরের দিকে আর কেউ বা দক্ষিণের দিকে যাত্রা করেন। বিপরীতক্রমে বৌদ্ধ শিল্প মগধ রাজ্যে বিকশিত হওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এবং মগধ ছেড়ে তা উত্তর পশ্চিমাংশের গান্ধার ও মথুরাতে এবং দক্ষিণ-পূর্বের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের অমরাবতীতে বিকাশ লাভ করে। এছাড়াও কিছু বৌদ্ধ শিল্প পুষ্যমিত্রের শাসনামলে মধ্য ভারতের ভারহুত অঞ্চলেও বিকশিত হয়েছিল।

গ্রীক-বৌদ্ধ ভাষ্কর্য, যেটি অন্যতম প্রথম বৌদ্ধ ভাষ্কর্য হিসেবে বিবেচিত। খৃষ্টপরবর্তী ২য় - ৩য় শতাব্দিতে গান্ধারে এটি পাওয়া যায়।.
গ্রেকো বৌদ্ধ আন্তঃক্রিয়া
রেশম পথ বা সিল্ক রোড সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকেই ভারত এবং চীনের মধ্যে গঠিত আন্তঃসড়ক মূলত আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে সম্রাট আলেক্সান্ডারের বিজয়ের পর থেকেই গ্রীক সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। প্রথমে ছিল সেল্যুসিড সাম্রাজ্য যার আনুমানিক সময়কাল খৃষ্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে, তারপর গ্রিক ব্যাক্ট্রিয় রাজ্য যার সময়কাল খৃষ্টপূর্ব ২৫০ অব্দ, এবং সর্বশেষে ইন্দো গ্রীক সাম্রাজ্য যা খৃষ্টপূর্ব ১০ শতাব্দির আগ পর্যন্ত টিকে ছিল।গ্রীক বৌদ্ধ ভাষ্কর্য, যেটি অন্যতম প্রথম বৌদ্ধ ভাষ্কর্য হিসেবে বিবেচিত। খৃষ্টপরবর্তী ২য় ৩য় শতাব্দিতে গান্ধারে এটি পাওয়া যায়।গ্রিক ব্যাক্ট্রিয় রাজ্যের রাজা ব্যাক্ট্রিয়ার প্রথম দেমেত্রিওস ১৮০ খৃষ্টপূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশ আক্রমণ করে ইন্দো গ্রীক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন যা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার উত্তর পশ্চিমাংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল। আক্রমণের পরেই ইন্দো গ্রীক সাম্রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্ম আবার বিকশিত হতে থাকে এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ গ্রন্থে কারণ হিসেবে পাওয়া যায় যে মৌর্য্য সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য এবং শুঙ্গ রাজবংশের নির্যাতন থেকে বৌদ্ধদের রক্ষার জন্যই এই আক্রমণ করা হয়। ইন্দো গ্রীক সাম্রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজা ছিল প্রথম মেনান্দ্রোস সোতের যিনি বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন ও মহাযান বৌদ্ধ শাখায় তাকে বৌদ্ধ ধর্মের হিতকারি হিসেবে সম্রাট অশোক এবং সম্রাট কণিষ্কের সমতুল্য হিসেবে অভিহিত করেন। মেনাদ্রোসের শাসনামলে তার রাজ্যের মুদ্রায় তাকে পরিত্রাণকারি রাজা হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং কিছু মুদ্রায় আটটি কাঁটা বিশিষ্ট ধর্ম চক্রেরও হদিস পাওয়া যায়। তাছাড়া মিলিন্দপঞহ এর মতো বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থেও সাংস্কৃতিক আন্তঃক্রিয়ার হদিস পাওয়া যায় যেখানে মহারাজ মেনান্দ্রোস ও বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের,যিনি ছিলেন গ্রীক বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাধর্মরক্ষিতার শিষ্য, মধ্যে কথোপকথনের উল্লেখ পাওয়া যায়। রাজা মেনান্দ্রোসের মৃত্যুর পর তার দেহাবশেষ তার শাসনকৃত শহরে অবস্থিত স্তুপগুলোতে তার সম্মানার্থে সংরক্ষণ করা হয়। মেনান্দ্রোসের অন্যান্য উত্তরসূরীগণ তাদের শাসনামলে মূদ্রায় খরোষ্ঠী লিপিতে ধর্মদেশনা লিপিবদ্ধ করেন এবং মুদ্রা সঙ্গীতে তাদের নিজ নিজ গুণাবলী বর্ণনা করেন।

বৃটিশ জাদুঘরে সংরক্ষিত মেনান্দ্রোস প্রথমের শাসনামলে প্রচলিত মুদ্রা যেখানে আটটি কাঁটা বিশিষ্ট ধর্মচক্র পরিলক্ষিত।বুদ্ধের প্রথম নরত্বারোপমূলক উপস্থাপনার বা মূর্তির হদিস পাওয়া যায় গ্রীক বৌদ্ধ শাসনামলে। বুদ্ধের নরত্বারোপমূলক উপস্থাপনার প্রতি অনীহা মূলত বুদ্ধের বাণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত যেটি দিঘা নিকায়ার মতো বৌদ্ধ গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ আছে, যেখানে বুদ্ধ বলেছিলেন, তার মৃত্যুর পর তাকে যেন কোন রূপ মূর্তি বানিয়ে বা চিত্র এঁকে উপস্থাপন করা না হয়। এসব বিধি নিষেধ পালনে প্রয়োজনীয়তা অনুভূত না করে এবং সম্ভবত তাদের পূর্ববর্তী সংস্কৃতির প্রভাবের বশীভূত হয়েই গ্রীকরা প্রথম বৌদ্ধের ভাষ্কর্য নির্মাণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। প্রাচীন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গ্রীকরা বিভিন্ন সংস্কৃতির সমন্বয়ে যে দেব দেবী সমূহের রূপায়ন করেছিলেন তা কালক্রমে বিভিন্ন বিশ্বাসী মানুষদের মাঝে সাধারণ ধর্মীয় অনুশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠে। এটির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো বিভিন্ন বিশ্বাস এবং সংস্কৃতিতে গড়ে উঠা দেবতা স্যারাপিসের রূপায়ণ যা টলেমি প্রথম এর শাসনামলে মিশরে পরিচয় লাভ পায় যা মূলত গ্রীক ও মিশরীয় উভয় ঈশ্বরদেরই সমন্বয়ের ফলস্বরূপ। তাই ভারতের মতো স্থানে গ্রীকদের একটি মহাপুরুষের রূপায়ণ প্রচেষ্টায় হাত দেওয়া ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার যা তারা করেছিল তাদের পূর্ববর্তী ধর্মের সূর্য দেবতা অ্যাপোলো অথবা ইন্দো গ্রীক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ব্যাক্ট্রিয়ার প্রথম দেমেত্রিওস এর শারীরিক গঠন থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে যা পরবর্তীতে গ্রীকরা বুদ্ধের ভৌত বৈশিষ্ট্য গঠনে প্রতিফলন করেন। মূলত দুই কাঁধ ঢেকে বুদ্ধের কাপড়ের পরিহিত অবস্থায় যে মূর্তি আমরা দেখতে পাই তা প্রাচীন গ্রীক রোমান সাম্রাজ্যে পরিহিত এক ধরনের গ্রীক ঐতিহ্যগত পোশাক টোগা এবং হিমাশনের সমতুল্য বলে অনেক ইতিহাসবেত্তাগণ মনে করেন।তাছাড়া বুদ্ধের কোঁকাড়ানো চুল এবং উষ্ণীষ বা মাথার উপর ডিম্বাকৃতি চুলের ঝুঁটি মূলত ভাষ্কর্য বেলভেদের অ্যাপোলো এর অনুকরণে রূপায়িত হয়েছে বলে মনে করা হয়। ভারত এবং হেলেনিস্টিক শাসনামলে নির্মিত বুদ্ধের ভাষ্কর্য সমূহের একটি বড় অংশই আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরের গান্ধার অঞ্চলের হাজ্জা নামক জায়গাটিতে মাটি খুঁড়ে ভাষ্কর্যগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়।


বৃটিশ জাদুঘরে সংরক্ষিত মেনান্দ্রোস প্রথমের শাসনামলে প্রচলিত মুদ্রা যেখানে আটটি কাঁটা বিশিষ্ট ধর্মচক্র পরিলক্ষিত।

তাছাড়াও গ্রীক বৌদ্ধ শাসনামলে আন্তঃসাংস্কৃতিক আদান প্রদানের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয় গ্রীক ভিক্ষু মহাধর্মরক্ষিত কে যিনি জাতিতে ছিলেন গ্রীক এবং মহাবংশ গ্রন্থের ২৯তম অধ্যায়ে উল্লেখ আছে যে রাজা মেনান্দ্রোস প্রথমের শাসনামলে ভিক্ষু মহাধর্মরক্ষিতের অধীনে গ্রীক ঔপনিবেশিক শহর আলাসান্দ্রা যা বর্তমানে ১৫০ কি.মি. জায়গা জুড়ে কাবুলের উত্তরে অবস্থিত থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত প্রায় ৩০,০০০ এর মতো তার বৌদ্ধ শিষ্য ছিল যা ছিল মূলত সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের অবদান হিসেবে দেখা হয়।

তথ্যসূত্র ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলুক।

অজানারে জানা :)

++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যে ভালোবাসা পেলাম। :)

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার এই টাইপ মানে ইতিহাসভিত্তিক পোস্টগুলো খুব ভাল লাগে। :)

চালিয়ে যান।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনুপেরনা দেবার জন্য ধন্যবাদ গেমু ভাই । ;)

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দারুন ইতিহাস।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই বা মামা যা ডাকলে খুশি হন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.