নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চারমিনার হল হায়দ্রাবাদের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪


চারমিনার ১৫৯১ সালে স্থাপিত ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের হায়দ্রাবাদের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ একটি সৌধ এবং মসজিদ। এই স্থাপনাটি হায়দ্রাবাদকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয়। এটি ভারতের তালিকাভুক্ত সর্বস্বীকৃত একটি প্রাচীন স্থাপনা। চারমিনার পুরাতন হায়দ্রাবাদ শহরের মুসি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এই মসজিদ এর উত্তরপূর্বকোণে লাদ বাজার এবং পশ্চিম দিকে গ্রানাইটের তৈরী খুবই উচ্চ কারুকাজ সম্পন্ন মক্কা মসজিদ অবস্থিত। চারমিনার দুইটি উর্দু শব্দ চার এবং মিনার এর সমন্বয়ে গঠিত যার ইংরেজী অনুবাদ Four Towers। স্থাপনাটিতে চারটি মিনার সংযুক্ত যা এই স্থাপনাটিকে চারটি খিলানের মাধ্যেমে মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।মোহাম্মদ কূলই কুতুব শাহ চারমিনার তৈরী সিদ্ধান্ত নেন মসজিদ ও মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য। মীর মোমিন আস্তারাবাদী, কুতুব শাহর প্রধানমন্ত্রী যিনি তৎকালীন সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হায়দ্রাবাদে চারমিনারের নকশা পরিকল্পনায় প্রধান ভূমিকা পালন করতেন। নবতগঠিত রাজধানী শহরের পরিকল্পনা করার জন্য পারস্য থেকে স্থপতি আনা হয়েছিল। এই স্থাপনাটির স্থাপনার ধরন ইন্দো ইসলামিক যা পারস্যের স্থাপনাশিল্পের প্রমাণ বহন করে। চারমিনার তৈরী হয় গোলকন্দার ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক পথের মিলিত স্থানে যেখানে গোলকন্দা বাজারের সাথে বাণিজ্যিক শহর মাসুলিপত্তনমের সংযোগ সাদিত হয়েছে। হায়দ্রাবাদ শহরের পরিকল্পনা করা হয়েছে চারমিনারকেই কেন্দ্র করে। তাই চারমিনারের চারপাশে হায়দ্রাবাদ শহর ছড়িয়ে আছে। চারমিনারের উত্তর দিকে মৌলিক দিক নির্দেশনার জন্য চার কামান তৈরী করা হয়।

চারমিনারের আকারে বর্গাকৃতির। যার প্রত্যেক দিকের দৈর্ঘ্য ২০ মিঃ প্রায় ৬৬ ফুট যার মধ্যে চারটি বড় বড় খিলান যা চারটি বড় রাস্তার নির্দেশক।এর প্রত্যক কোনায় স্তম্ভগুলো সুন্দর কারুকাজ সম্পন্ন দ্বিস্তর বেলকুনি বিশিষ্ট মিনার যা কিনা উচ্চতায় ৫৬ মিঃ প্রায় ১৮৪ ফুট। প্রত্যেকটি মিনারের মাথায় মুকুটের মতন সুন্দর কারুকাজ করে কাটা। এবং প্রত্যেক মিনারের ভিত্তিতে ফুলের পাপড়ির মতন নকশা করা। চারমিনারের চূড়ায় উঠার জন্য ১৪৯ ধাপসম্পন্ন পেচানো সিড়ি রয়েছে। এই স্থাপনাটি গ্রানাইট, চুনাপাথর এবং মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরী।

চারমিনারের আশাপাশ এলাকা একই নামে অর্থাৎ চারমিনার নামেই পরিচিত। এই স্থাপনা হতে আরেকটি ঐতিহ্যবাহী এবং বৃহৎ মসজিদ দেখা যায়, যার নাম মক্কা মসজিদ। কুতুব শাহ বংশের পঞ্চম শাসক মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ মক্কা থেকে ইট আনিয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদ তৈরী করা হয় শহরের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। চারমিনারের চারপাশে একটি বিশাল বাজার আছে, যা লাদ বাজার নামে পরিচিত। এই বাজার অলংকারের জন্য পরিচিত, বিশেষভাবে রেশমী চুড়ি এবং পথের গত্তি মুক্তার জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে চারমিনার বাজারে প্রায় ১৪,০০০ দোকান আছে ।

পাকিস্তানে বসবাসরত হায়দ্রাবাদি মুসলমানরা করাচীর বাহাদূরবাদ রোডের পাশে এ
কটি চামিনারের ক্ষুদে প্রতিরূপ একটি স্থাপনা তৈরী করেন। ২০১০ সালের ২৫ এবং ২৬শে সেপ্টেম্বর ভারতের হায়দ্রাবাদের ওয়েস্টিনে প্রদর্শনের উদ্দেশ্য চকোলেট দিয়ে নির্মিত চারমিনারের একটি শৈল্পিক স্থাপনা তৈরীতে ৫০ কেজি চকোলেট লেগেছিল। যা তৈরী করতে তিনদিন সময় লেগেছিল। যিনি এই চকোলেট তৈরী করেছিলেন তার নাম হল অ্যাডেলবার্ট বাউচার ।

সূত্রঃ Click This Link
https://books.google.ae/books?id=Z7J8ITgtkosC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&hl=ar#v=onepage&q&f=false
http://www.thehindu.com/news/cities/Hyderabad/A-note-on-the-Charminar-photograph/article12515861.ece

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: গেমস এ স্ট্র্যাকচারটা দেখেছি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ দেখার জন্য।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: অসাধারণ স্থাপত্য :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যে জন্য ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুন বলেছেন: সেই ২০১৪ সালে আমিও অপরূপ এই স্থাপনা চারমিনার নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম । সময় করে দেখতে পারেন ঠাঠা মফিজ :)
চারমিনার ইসলামিক শিল্পকলার এক অনন্য নিদর্শন ( ছবি+ভ্রমণ)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দেখেছি আপনার পোস্ট এটার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোগল ও তুর্কিদের আমলে বেশীর ভাগ স্হাপত্য হয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে; এরা বৃস্টির অন্চলে খুব একটা আসতে চাইতো না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সম্ভবত এরা পানিকে খুব বেশি ভয় পেত। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.