নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবাজী ভোঁসলের ইতিহাস

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭


শিবাজী ভোঁসলে বা ছত্রপতি শিবাজী রাজে ভোঁসলে ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। শিবাজী বিজাপুরের আদিলশাহি সালতানাতের সাথে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং হেরেও যান। তিনি একটি স্বাধীন মারাঠা সাম্রাজ্যের পত্তন করেন যার রাজধানী ছিল রায়গড়ে। তিনি ১৬৭৪ সালে মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজা হিসেবে মুকুট ধারণ করেন।শিবাজী হিন্দাভী স্বরাজ্যের মতবাদকে সমর্থন দান করেন। তিনি মারাঠা শাসন পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তিনি তার সুশৃঙ্খল সামরিক বাহিনী এবং সুগঠিত শাসন কাঠামোর মাধ্যমে একটি দক্ষ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি একজন কুশলী সামরিক কৌশলবিদ ছিলেন এবং গেরিলা যুদ্ধের ধারণার সূচনা করেন।শিবাজী ১৬২৭ সালের ৬ই এপ্রিল বা ১৬৩০ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে জেলার জুন্নার শহরের নিকটে শিবনেরি পার্বত্য দুর্গে জন্মগ্রহণ করেন। কিংবদন্তি অনুসারে, শিবাজীর মা শিবাই দেবীর নামানুসারে তার নামকরণ করেছিলেন কারণ তিনি শিবাই দেবীর নিকট একটি স্বাস্থ্যবান সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।শিবাজীকে এই স্থানীয় দেবতার নামে নামকরণ করা হয়েছিল।শিবাজীর পিতা শাহজী ভোঁসলে দাক্ষিণাত্যের সালতানাতগুলোর অধীনে কর্মরত একজন মারাঠা সেনাপতি ছিলেন। তার মা জিজাবাই সিন্দখেদের লখুজীরাও যাদবের কন্যা ছিলেন। শিবাজীর জন্মের সময় দাক্ষিণাত্যের শাসনক্ষমতা তিনটি ইসলামি সালতানাতের অধীন ছিল, বিজাপুর ও আহমদনগর এবং গোলকুন্ডা। শাহজী প্রায়ই আহমদনগরের নিজামশাহী বংশ বিজাপুরের আদিলশাহী বংশ এবং মুঘলদের মধ্যে দল পরিবর্তন করতেন কিন্তু তিনি সবসময় পুনেতে তার জায়গির এবং একটি ছোট্ট সেনাবাহিনী নিজের সঙ্গে রাখতেন।

বাল্যকালেই মহারাষ্ট্র দেশ সম্পর্কে এবং স্থানীয় পার্বত্য মাওয়ালি জনগোষ্ঠীরর সাথে শিবাজীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। এই মাওয়ালিদের নিয়েই তিনি সর্বপ্রথম বিশ্বস্ত এক সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৬৪৭ সালে কোণ্ডদেবের মৃত্যুর পর শিবাজী রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। রোলিনসন মনে করেন যে বিদেশী শাসন থেকে স্বদেশকে মুক্ত করাই শিবাজীর রাজ্যজয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সম্পদের লোভে লুঠতরাজ করা তার অভিপ্রেত ছিল না। সরদেশাই বলেন সারা ভারতে হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করাই শিবাজীর লক্ষ্য ছিল।রতাপগড়ের যুদ্ধ ১৬৫৯ সালের ১০ই নভেম্বর বর্তমান ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরের নিকটে প্রতাপগড়ের দুর্গে মারাঠা রাজা শিবাজীর সৈন্যবাহিনী এবং বিজাপুরের সেনাপতি আফজাল খানের সৈন্যবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়। মারাঠারা সংখ্যাস্বল্পতা সত্ত্বেও বিজাপুরি বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এটি ছিল কোনো প্রধান আঞ্চলিক শক্তির বিরুদ্ধে মারাঠাদের প্রথম বিজয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

প্রভুরূপী মানুষ বলেছেন: ভূয়া ইতিহাস। সঠিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন।।।

শিবাজী একজন লুটেরা, ডাকাত, খুনি এবং পাষন্ড এক জালিম লোক ছিলো। অনেকেই হয়ত ঘাবড়ে যাবেন যে, এতবড় নেতাকে কেন B.M.S তারা ডাকাত,লুটেরা বলছে। হ্যাঁ বলার কারণ রয়েছে এবং যথেষ্ঠ যুক্তিযুক্ত প্রমানও আমাদের কাছে রয়েছে। চলুন এবার সেই সম্পর্কে জানা যাক -
“ শায়েস্তা খাঁ ছিলেন তৎকালীন বাংলায় নিয়োজিত সুবাদার। তিনি ছিলেন পুণ্যবান বাদশাহ আলমগীরের সুযোগ্য গভর্নর বা সুবাদার। মুঘল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মারাঠা, মগ, পর্তুগীজ দস্যুদের তিনি বিতাড়ন করেছিলেন। এসব সন্ত্রাসীদের শক্ত হস্তে দমন করতে পেরেছিলেন বলেই তার শাসনামলে বাংলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিতে ছিল। যালিম, লুটেরা দস্যু কাফিরদের দমন করার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকা- নির্ঝঞ্ঝাট হওয়ায় বাংলায় তার শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়ার কিংবদন্তী রচিত হয়েছে। মুঘল গভর্নর হিসেবে শায়েস্তা খাঁ এর বিদায়পর্ব ছিল গৌরবব্যঞ্জক। বাংলার বিপুল জনতা মিছিলের মাধ্যমে তাকে বিদায় জানিয়েছিল। তাকে জীবনে এজন্য ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে প্রচুর। দস্যু হিন্দু মারাঠারা ছিল অত্যাচারী, কিন্তু কাপুরুষ। মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে একরাতে শায়েস্তা খাঁ তার শয়নকক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিশ্রামরত নিরস্ত্র শায়েস্তা খাঁ কে কাপুরুষের মতো অতর্কিতে আক্রমণ করল মারাঠা দস্যুসর্দার শিবাজী। শায়েস্তা খাঁ জানালা ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। কিন্তু তার অল্পবয়স্ক পুত্র দুর্ঘটনাবশত ঘরেই থেকে যায়। তার নিষ্পাপ পুত্রকে শিবাজী একা পেয়ে খন্ড- খন্ড- করে কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করল। এই ঘটনাটি ঘটে ১৬৬৩ ঈসায়ী সনের এপ্রিল মাসে। (সূত্র: চেপে রাখা ইতিহাস, ১৭৯ পৃষ্ঠা)
এছাড়া ইতিহাসের বই খুললে শিবাজীকে পাবেন মারাঠা দস্যুদের নেতা হিসেবে। যাদের কাজই ছিলো সাধারণ মানুষের ঘড়বাড়ি লুণ্ঠন, লূটতরাজ, অগ্নিসংযোগ আর মানুষ হত্যা করা। এদের নিষ্ঠুর অত্যাচারে মানুষ এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত ছিলো যে, কচি কচি বাচ্চাদের কান্না থামাবার জন্য মারাঠা বর্গীদের’ অত্যাচারের কথা নিয়ে মা কবিতা শুনাতো-
“ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কিসে”

যাই হোক, এই লুটেরা দস্যু যখন হিন্দুদের নেতা, তখন আমার কিছু বলার নাই। আমার বক্তব্য ছিলো তারা কি চিটার/ধোকাবাজ কি না ? শিবাজী যখন তার লুটপাট ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলো তখন মুঘল মহান সম্রাট আওরঙ্গজেব ১০ হাজার সেনা নিযে সেনাপতি আফজল খাঁ কে পাঠিয়েছিলেন মারাঠা দস্যুদের দমনের জন্য। খবর পেয়ে শিবাজী ভাবলো, এত সেনার সাথে তো পারা সম্ভব নয়। তাই সে ভিন্ন মতলব আটলো। সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে শিবাজী গেলো আফজল
খাঁর সাথে দেখা করতে। যুদ্ধক্ষেত্রে একটি নিয়ম হচ্ছে, সন্ধি করতে আসলে তাকে সম্মান করতে হবে, তার কোন অনিষ্ট করা যাবে না। সেনাপতি আফজল খাঁ শিবাজীকে সাদর সম্ভাষন জানালো। এ সময় দু’জনে সৌজন্য মোলাকাতও করলো। কিন্তু মারাঠা দস্যু নেতা শিবাজী ছিলো ধোঁকাবাজ। সে
আগেই তার পোষাকের নিচে ‘বাঘনখ’ নামক একটি ধারালো অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলো, মোলাকাতের সময় সে হঠাৎ সেনাপতি আফজল খানের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে বসলো।
(তথ্যসূত্র: বই-ইতিহাসের ইতিহাস, গোলাম আহমদ মোর্তজা, পৃষ্ঠা-১২৩-১২৪)

ভারতের ইতিহাস ১৮, ডঃ কার্তিক বোস স্ট্রীট, কলকাতা- ৭০০০০৯
Shivaji the Great। পৃ: ১৯৩

শিবাজী’’ ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুন্ঠক ও হন্তারক দস্যু। আর তিনি যাদের সংগঠিত করেছিলেন সেই মারাঠা জাতি ছিল এমন অপরাধপ্রবণ যে, মুহূর্তের মধ্যে তারা তাঁদের লাঙ্গলের ফলাকে তরবারিতে রুপান্তরিত করে এবং ঘোড়া ধার অথবা চুরি করে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তো,আর এ ব্যাপারে তাঁরা হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতো না। মারাঠাগণ হিন্দু হলেও অবৈধ পন্থায় ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য তারা অবাধে মন্দির ধ্বংস করেছে, গো হত্যা করেছে এবং হিন্দু-ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতকে হত্যা করেছে। যেখানেই তারা গিয়েছে সেখানেই কেবল ধ্বংস ও মৃত্যু রেখে এসেছে(দি প্রিনসেস অব ইনডিয়া, স্যার এডওয়ার্ড সুলিভ্যান, এডওয়ার্ড স্ট্যানফোর্ড, লন্ডন,১৮৭৫)।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আসল ইতিহাস জানানোর জন্য।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

ইমতিয়াজ মুহাম্মদ বলেছেন: হে হে Jokes!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার হাসির স্টাইল ভালো লাগল। B-))

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: যাই হউক ইতিহাস জানা হল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.