নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারকা-হালাকু যুদ্ধ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯


এই বারকা-হালাকু যুদ্ধটা মঙ্গোল নেতা গোল্ডেন হোর্ডে‌র বারকা খান এবং ইলখানাতের হালাকু খানের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। এটা ১২৫৮ সালে বাগদাদের পতনের পর ১২৬০ দশকে সেই লড়াইটি সংঘটিত হয়েছে। মূলত কসেসাস পর্বতমালা অঞ্চলে সেই লড়াই হয়েছিল। সমসাময়িক কালে কুবলাই খান এবং আরিক বোকের মধ্যে মঙ্গোল গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। গৃহযুদ্ধে কুবলাই খান হালাকু খানের সমর্থন পেয়েছিলেন। অন্যদিকে আরিক বোকেকে বারকা খান সমর্থন দেন। মংকে খানের মৃত্যুর পর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য হালাকু খান মঙ্গোলিয়া ফিরে যান। এসময় সংঘটিত আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গোলরা মামলুকদের কাছে পরাজিত হয়। আর তার ফলে মঙ্গোলরা মধ্যপ্রাচ্যে বেশি অগ্রসর হতে পারেনি। মামলুকদের বিজয়ের পর বারকা খান ইলখানাতে হামলা করতে উদ্বুদ্ধ হন।

বারকা-হালাকু যুদ্ধ, মঙ্গোল গৃহযুদ্ধ এবং পরবর্তী কাইদু-কুবলাই যুদ্ধ মঙ্গোল সাম্রাজ্যের বিভাজনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। ১২৫২ সালে বারকা ইসলাম গ্রহণ করেন। ১২৫৭ সালে উলাগচাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি গোল্ডেন হোর্ডে‌র নেতা হন। বারকা তার ভাই বাতু খানের মত মংকে খানের অনুগত ছিলেন।পারস্য জয়ের পর হালাকু খান ১২৫৮ সালে বাগদাদ ধ্বংস করে ইরাককে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। আর তারপর তিনি মিশরের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন বা হন। মুসলিম এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর কারণে বারকা খান হালাকু খানের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। হালাকু খানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি নোগাই খানকে ১২৫৯ সালে পোল্যান্ডে সামরিক অভিযানে প্রেরণ করেন। তাছাড়াও বারকা খান মিশরের সুলতান কুতুজ এবং পরবর্তী সুলতান বাইবার্সে‌র সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন।
একই বছর চীনে অভিযানের সময় মংকে খান মারা যান।

তাকে লেখা চিঠিতে বারকা খান উল্লেখ করেছেন,
সে হালাকু, মুসলিমদের সব শহর ধ্বংস করেছে। আল্লাহর সহায়তায় আমি তার কাছ থেকে সকল নির্দোষের রক্তের হিসাব আদায় করব।


ক্ষুব্ধ হলেও বারকা খান মঙ্গোলদের মধ্যকার লড়াইকে পছন্দ করতেন না। তিনি বলেছিলেন, মঙ্গোলরা মঙ্গোলদের তলোয়ারের আঘাতে মারা যাচ্ছে। যদি আমরা একতাবদ্ধ হতাম তবে আমরা পুরো পৃথিবী জয় করতে পারতাম।

হালাকু খান মঙ্গোলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর ১২৬০ সালে সংঘটিত আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গোলরা মামলুকদের কাছে পরাজিত হয়। সেই খবর পাওয়ার পর হালাকু খান পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তৎপর হন। দুই বছর পর তিনি পারস্যে ফিরে আসেন। কিন্তু বারকা খানের কারণে তিনি মামলুকদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হতে পারেননি। বারকা খান পুনরায় নোগাই খানকে ককেসাস অঞ্চলে অভিযানে পাঠান। ফলে হালাকু খান নিজের সিংহভাগ বাহিনী নিয়ে সেদিকে মনোযোগী হন। একই সাথে বারকা খান ইলখানাতের অধীন পূর্ব আফগানিস্তান এবং গজনি পুনরুদ্ধারের জন্য নেগুদারকা প্রেরণ করেন।

হালাকু খান তার ভাই কুবলাই খানের প্রতি অনুগত ছিলেন। ১২৬২ সালে বারকা খানের সাথে হালাকু খানের সংঘর্ষ শুরু হয়। বারকা খান মামলুকদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি কুবলাই খানের প্রতিপক্ষ আরিক বোকেকে সমর্থন দেন। কুবলাই খান গোল্ডেন হোর্ডে‌ হামলার জন্য আবাকা খানের নেতৃত্বে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। অন্যদিকে আরিক বোকে ইলখানাতে হামলার জন্য নোগাই খানকে প্রেরণ করেন। তাদের উভয় পক্ষই ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

১২৬৪ সালে কুবলাই খানের কাছে আরিক বোকে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর গোল্ডেন হোর্ড‌ও চাগাতাই খানাত কুবলাই খানের বিজয় মেনে নেয় এবং কুবলাই সুং রাজবংশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি শুরু করেন।ইলখানাতের মিত্র বাইজেন্টাইনদের হাতে মিশরীয় দূতদল বন্দী হওয়ার পর বারকা খান তার অধীনস্ত বুলগেরিয়ার মাধ্যমে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন যাতে দূতদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। আরিক বোকেকে সমর্থন করার কারণে কুবলাই খান বারকাকে গোল্ডেন হোর্ডে‌র খান হিসেবে লিখতে রাজি ছিলেন না। তবে বারকার বাবা জোচির পরিবারকে স্বীকার করা হয়েছিল।খানাতের পশ্চিমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য হালাকু খানকে কুবলাই খান ৩০,০০০ সেনা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। ১২৬৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হালাকু খান মারা যাওয়ার পর বারকা খান তিফলিসের নিকটে অগ্রসর হন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনিও মারা যান। কয়েক মাস পরে চাগাতাই খানাতের আলগু খানও মারা যান। এসব মৃত্যুর ফলে পশ্চিম খানাতসমূহের উপর কুবলাই খানের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।

ছবি ও তথ্যসূত্র; ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল পোস্ট! :)

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো ইতিহাস জানা হল।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো। মঙ্গোলরা কিভাবে মুসলমান হলো বিস্তারিত লিখলে ভালো হয়। আজকের তুর্কিরা তাদের বংশধর। মোঙ্গলদের ব্যাপারে হাদিসে কোনো ভবিষ্যৎবাণী ছিল কি ?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই টারজান০০০০৭ সময়ের কারনে আপনার উত্তরটি দিতে পারলাম না ।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা সবাই ছিল মগজহীন জল্লাদের দল

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হয়ত আপনিই ভালো বলতে পারবেন ভাই ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

লেখা পাগলা বলেছেন: টারজান০০০০৭ বলেছে ভাল লাগলো। মঙ্গোলরা কিভাবে মুসলমান হলো বিস্তারিত লিখলে ভালো হয়। আজকের তুর্কিরা তাদের বংশধর। মোঙ্গলদের ব্যাপারে হাদিসে কোনো ভবিষ্যৎবাণী ছিল কি ?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই লেখা পাগলা সময়ের কারনে আপনাদের উত্তরটি দিতে পারলাম না । তা আপনার খবর কি ? আপনার লিখা কি এখন
প্রথম পাতায় যায় ?

৬| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

রাখালছেলে বলেছেন: আরও ব্যাপক আকারে জানতে চাই । আগ্রহ বেড়ে গেল। কিন্তু অন্তর্জালে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছে । মাতৃভাষায় জ্ঞান বেশী আরামদায়ক ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সময় পেলে আরো ব্যাপক ভাবে জানানোর প্রচেষ্টা করবো।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: মোঙ্গলরা মূলত মুসলিম হয় পার্শিয়া ও ককেশাস অঞ্চলে এসে, এখানকার যুদ্ধ লব্ধ মুসলিম দাসী ও মুসলিম স্ত্রীদের প্রভাবে। তার পর ইসলাম যখন এশিয়া মাইনরে এক্সপান্ড হয় তখন মঙ্গলদের ইসলাম গ্রহনের প্রবনতা বাড়ে তবে তা বর্তমান মোঙ্গলিয়ার বাইরে অর্থাৎ এশিয়া মাইনরে যেসকল অঞ্চল মোঙ্গল খানরা রুল করেছিলো। জীবনজাপন পদ্ধতি এক হলেও এশিয়া মাইনরের তুর্কমানরা ও মোঙ্গলরা জাতি হিসাবে এক নয়। অটোমানরা মূলত তুর্কমানদের বংশধর। যারা মোঙ্গলদের আগ্রাসন এভোয়েড ও স্থায়ী আবাসনের জন্য মামলুকদের হয়ে ক্রুসেড লড়ার বিনিময়ে আলেপ্পো তে ভূমি বরাদ্ধ পায় সেখান থেকে অটোমান সম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিষয়গুলো জানানোর জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.