নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন জালুতের যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ঘটনা

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১০


আইন জালুতের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১২৬০ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর । সেই যুদ্ধ দক্ষিণপূর্ব গ্যালিলিতে জাজরিল উপত্যকার আইন জালুতে মামলুক এবং মঙ্গোলদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে মঙ্গোলদের সাম্রাজ্য বিস্তার থেমে গিয়েছিল।

মিশরের মামলুকরা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মামলুক শাসন কায়েম করে। কিপচাক এবং অন্যান্য অনেক তুর্কীয় জনগোষ্ঠী থেকে সংগৃহীত দাস সৈনিকদের মধ্য থেকে এই শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।সেই দাসরা ছিল সিরকাসিয়ান ও জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত। তবে বুরজি মামলুক সালতানাতে বলকান,আলবেনিয়ান, গ্রীক ,দক্ষিণ স্লাভিক বংশোদ্ভূত অনেক মামলুক ছিল।সময়ের সাথে সাথে মামলুকরা বিভিন্ন মুসলিম সমাজে শক্তিশালী হয়ে উঠে। মিশর ছাড়াও লেভান্ট, মেসোপটেমিয়া এবং ভারতে মামলুকরা রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি অর্জন করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে সুলতানের পদ লাভ করে। অন্যান্য ক্ষেত্রে স্থানীয় আমির বা বে হিসেবে তারা দায়িত্ব পায়। মিশর এবং সিরিয়ায় মামলুকরা সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিল যা মামলুক সালতানাত বলে পরিচিত। আইন জালুতের যুদ্ধে মামলুক সালতানাত ইলখানাতের সেনাদের পরাজিত করে। ক্রুসেডারদের সাথে লড়াইয়ের মাধ্যমে ১২৯১ সালের মামলুকরা তাদেরকে সিরিয়া থেকে বিতাড়িত করে এবং ১৩০২ সালের মধ্যে ক্রুসেডের যুগ শেষ হয়।ক্রয় করার পর মামলুকদের অবস্থান অন্যান্য দাসদের চেয়ে উপরে থাকত। অন্যান্য দাসদেরকে অস্ত্র বহন এবং নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার অনুমতি ছিল না। আইয়ুবীয় রাজবংশের সময় থেকে মুহাম্মদ আলি পাশার সময় পর্যন্ত মিশরে মামলুকদেরকে প্রকৃত শাসক হিসেবে বিবেচিত হত। স্বাধীন মুসলিমদের চেয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা উপরে ছিল।

প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন ।তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য। তিনি মঙ্গোলিয়ার বোরজিগিন বংশে জন্ম নিয়েছিলেন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন।যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম এবং রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত তথাপি মঙ্গোলিয়ায় তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত এবং সকলের ভালোবাসার পাত্র। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিজ পূর্ব ও কেন্দ্রীয় এশিয়ার অনেকগুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। আর সেই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।১২৫১ সালে মংকে খান খাগান হন। তিনি তার দাদা চেঙ্গিস খানের বিশ্বব্যপী সাম্রাজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি তার ভাই হালাকু খানকে পশ্চিমের জাতিসমূহকে অধিকার করার দায়িত্ব দেন।

হালাকু খান পশ্চিম এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল জয় করেছিলেন। তিনি তোলুইয়ের ছেলে এবং চেঙ্গিস খানের নাতি। আরিক বোকে, মংকে খান এবং কুবলাই খান তার ভাই।তার বাহিনী মঙ্গোল সাম্রাজ্যের দক্ষিণপশ্চিম অংশ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। তারা পারস্যের ইলখানাত স্থাপন করে। তার নেতৃত্বে মঙ্গোলরা মুসলিম ক্ষমতার কেন্দ্র বাগদাদ ধ্বংস করে। বাগদাদের ধ্বংসের ফলে মামলুক শাসিত কায়রো মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র হয়ে উঠে।পাঁচ বছর যাবত সেনাদল গঠনের পর ১২৫৬ সালে হালাকু খান অভিযান শুরু করেন। তিনি দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন। আত্মসমর্পণ না করলে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মংকে খানের নির্দেশ ছিল। হালাকু খান অভিযানকালে অনেক রাজ্য জয় করেন। তাদের অনেকে তার দলে সৈনিক সরবরাহ করেছে। বাগদাদ অভিযানের সময় সিলিসিয়ান আর্মেনীয়রা তার সাথে ছিল। পাশাপাশি এন্টিওকের ফ্রাঙ্ক সেনারাও তার সাথে যোগ দেয়। অভিযানের সময় হাসাসিনরা তার কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাগদাদ ধ্বংসের ফলে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন আব্বাসীয় খিলাফত ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর দামেস্কের আইয়ুবীয়দের পতন হয়। হালাকু খান দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে মামলুক সালতানাত জয় করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এসময় মামলুকরা প্রধান মুসলিম শক্তি ছিল।
১২৬০ সালে হালাকু খান কায়রোতে সুলতান কুতুজের কাছে দূত পাঠিয়ে আত্মসমর্পণ দাবি করেনঃ

পূর্ব ও পশ্চিমের শাহেনশাহ মহান খানের পক্ষ থেকে এটি প্রেরিত হচ্ছে মামলুক কুতুজের উদ্দেশ্যে যিনি আমাদের তলোয়ার থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। অন্যান্য রাজ্যসমূহের কী পরিণতি হয়েছে তা চিন্তা করে আপনার উচিত আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা। আপনি শুনেছেন কিভাবে আমরা একটি বিশাল সাম্রাজ্য জয় করেছি এবং পৃথিবীকে দূষিতকারী বিশৃঙ্খলা থেকে একে বিশুদ্ধ করেছি। আমরা বিশাল অঞ্চল জয় করেছি, সব মানুষকে হত্যা করেছি। আপনি আমাদের সেনাবাহিনীর ত্রাস থেকে বাঁচতে পারবেন না। আপনি কোথায় পালাবেন? আমাদের কাছ থেকে পালানোর জন্য আপনি কোন পথ ধরবেন? আমাদের ঘোড়াগুলি দ্রুতগামী, আমাদের তীর ধারালো, আমাদের তলোয়ার বজ্রের মত, আমাদের হৃদয় পর্বতের মত কঠিন, আমাদের সেনারা বালুর মত অগণিত। দুর্গ আমাদের আটকাতে পারবে না, কোনো সেনাবাহিনী আমাদের থামাতে পারবে না। আল্লাহর কাছে আপনার দোয়া আমাদের বিরুদ্ধে কাজে আসবে না। অশ্রু আমাদের চালিত করে না এবং মাতম আমাদের স্পর্শ করে না। শুধুমাত্র যারা আমাদের সুরক্ষা চাইবে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠার আগে দ্রুত আপনার জবাব দিন। প্রতিরোধ করলে আপনি সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখোমুখি হবেন। আমরা আপনাদের মসজিদগুলি চুরমার করে দেব এবং আপনাদের আল্লাহর দুর্বলতা দেখতে পাবেন এবং এরপর আপনাদের সন্তান ও বৃদ্ধদেরকে হত্যা করা হবে। এই মুহূর্তে আপনি একমাত্র শত্রু যার বিরুদ্ধে আমরা অগ্রসর হয়েছি।কুতুজ দূতদেরকে হত্যা করে এর জবাব দেন। দূতদের কাটা মাথা কায়রোর বাব জুলাইলা ফটকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

সেসময় মংকে খানের মৃত্যুর ফলে হালাকু খানসহ অন্যান্য নেতৃস্থানীয় মঙ্গোলরা নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য মঙ্গোলিয়া ফিরে আসেন। হালাকু তার বাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে তার সাথে নিয়ে যান। তার রেখে যাওয়া বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন কিতবুকা।মঙ্গোলদের প্রতিহত করার জন্য সুলতান কুতুজ দ্রুত একটি বাহিনী গঠন করে ফিলিস্তিনের দিকে অগ্রসর হন।অভিযানকালে বাইবার্স‌ তার সাথে যোগ দেন।আগস্টের শেষদিকে মঙ্গোলরা তাদের বালবিকের শিবির থেকে দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন। তারা সেসময় আক্কাকেন্দ্রীক ক্রুসেডার জেরুজালেম রাজ্যের সাথে মিলে ফ্রাঙ্ক মঙ্গোল মৈত্রী গঠনের চেষ্টা চালান। কিন্তু পোপ চতুর্থ আলেক্সান্ডার তাতে সায় দেননি। তাছাড়া সাইদার শাসক জুলিয়ানের কারনে কিতবুকার নাতি মৃত্যুর ফলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। কিতবুকা রাগান্বিত হয়ে সাইদা আক্রমণ করেন। অন্যদিকে মামলুকরাও মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে সহায়তার জন্য ক্রুসেডারদের প্রতি বার্তা পাঠান।মামলুকরা ফ্রাঙ্কদের দীর্ঘদিনের শত্রু হলেও আক্কার ব্যারন মঙ্গোলদেরকে বেশি ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করেন। এসময় ক্রুসেডাররা দুই পক্ষের মধ্যে কারো সাথে সরাসরি যোগ না দিয়ে ক্ষতি না করার শর্তে মামলুকদেরকে ক্রুসেডার এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার সুযোগ দেন। মঙ্গোলদের জর্ডান নদী অতিক্রম করার খবর পাওয়ার পর সুলতান কুতুজ দক্ষিণ পশ্চিমে জাজরিল উপত্যকার আইন জালুতের দিকে অগ্রসর হন।

একজন সিরকাসিয়ান প্রধান। ১৪শ শতাব্দীর শেষনাগাদ অধিকাংশ মামলুকরা ছিল জাতিগত সিরকাসিয়ান। স্যার উইলিয়ান অ্যালানের চিত্রকর্ম, ১৮৪৩
মামলুকরা স্থানীয় ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত ছিল। কৌশল হিসেবে কুতুজ তার বাহিনীর একটি অংশকে স্থানীয় পাহাড়ে লুকিয়ে রাখেন এবং বাইবার্স‌কে একটি ক্ষুদ্র সেনাদল দিয়ে পাঠানো হয়।দুইপক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর মঙ্গোলদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্য বাইবার্স‌ হিট এন্ড রান কৌশল কাজে লাগান। আক্রমণ করে মামলুকরা পালিয়ে যাচ্ছে দেখে মঙ্গোলরা তাদের ধাওয়া করেন। মঙ্গোল সেনাপতি কিতবুকা এই ফাঁদ বুঝতে না পেরে অগ্রসর হন ফলে পাহাড়ি এলাকায় পৌছার পর মামলুকরা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে এসে আক্রমণ চালায়। ফলে মঙ্গোলরা চারদিক থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।মঙ্গোলরা বের হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্ট চালায়। কুতুজ কিছু দূরে তার নিজস্ব সেনাদল নিয়ে যুদ্ধের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেসময় মঙ্গোলরা মামলুক বাহিনীর বাম অংশকে প্রায় ভেদ করতে সক্ষম হন। কুতুজ এসময় কুতুজ তার যুদ্ধের হেলমেট খুলে ফেলেন যাতে সৈনিকরা তাকে চিনতে পারে। তারপর তিনি তার সেনাদল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন। মঙ্গোলরা পিছু হটে কিছু দূরে গিয়ে সংগঠিত হয়ে পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসেন। তবে যুদ্ধের গতি মামলুকদের পক্ষে চলে যায়।কিতবুকা যুদ্ধে নিহত হন এবং এই অঞ্চলের মঙ্গোল বাহিনীর প্রায় সম্পূর্ণ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।হাত কামান ব্যবহার হয়েছে এমন যুদ্ধসমূহের মধ্যে আইন জালুতের যুদ্ধ অন্যতম প্রাচীন যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। মঙ্গোল ঘোড়া এবং অশ্বারোহীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মামলুকরা এসমস্ত বিস্ফোরক ব্যবহার করে। পরবর্তীকালে আরব রসায়ন এবং সামরিক নিয়মকানুনে বিস্ফোরক হিসেবে বারুদ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র,Battle of ʿAyn Jālūt Syrian history
History's Hinge: 'Ain Jalut

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

সত্যের ছায়া বলেছেন: ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: সুলতান কুতয ছোট বেলায় দাস হিসাবে মিশরে আসলেও কথিত আছে তিনি আফগান সুলতান আলাউদ্দিন এর পুত্র যাকে সুলতান আলাউদ্দিন মঙ্গোল আক্রমনের ভয়ে গজনী থেকে দূরে পাঠিয়ে দেন

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

নাইম রাজ বলেছেন: সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাইম রাজ।

৪| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

খরতাপ বলেছেন: এ বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রাখি। মামলুকরাই ইতিহাসে প্রথম জাতি, যারা সম্মুখযুদ্ধে মংগলদেরকে পরাজিত করতে পেরেছে, এর আগে কখনোই কোন জাতি মঙ্গলদের আক্রমণের সামনে টিকতে পারেনি। মামলুকরা মঙ্গলদের দিগবিজয়ী অভিযান থামিয়ে দেয় এবং গোল্ডেন হর্ড ও ইলখানাতের অধিপতিদেরকে ইসলাম গ্রহণের পথ সুগম করে দেয়। মামলুক সালতানাত সেদিক থেকে বলা চলে যে এক অসাধ্য সাধন করেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য টি র জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.