নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নমরুদ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিল

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬


বুক অব জেনেসিসের বর্ণনা অনুযায়ী নমরুদ ছিল সিনারের রাজা। বুক অব কর্নিকেলস অনুযায়ী নূহ নবীর প্রপৌত্র কুশের পুত্র। পবিত্র বাইবেল অনুসারে নমরুদ ছিল এক মহাশক্তিধর ব্যাক্তি যে ঈশ্বরকে শিকার করতে চেয়েছিল। টাওয়ার অব বাবেলের বর্ণনা অনুসারে নমরুদ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিল।নমরুদ শব্দের অর্থ খোদদ্রোহী। এর আর একটি অর্থ হলো বাঘিনী। আরব কিংবদন্তী অনুযায়ী নমরুদকে ছোটবেলায় এক বাঘিনী স্তন্য পান করিয়েছিল। ইডিপাসের মতো নমরুদ তার পিতাকে হত্যা করে নিজ মাতাকে বিয়ে করে। একটি মশা তার মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে তার মৃত্যু হয়। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর জীবনীতে নমরুদ বাদশাহর উল্লেখ পাওয়া যায়। নমরুদ ষরযন্ত্র করে নবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুনে নিক্ষেপ করেছিল। পবিত্র কোরানে নমরুদের নাম উল্লেখ নেই। তবে সুরা বাকারার ২৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে “তুমি কি সেই ব্যাক্তির কথা ভেবে দেখোনি যে ইব্রাহীমের সঙ্গে তর্ক করেছিল, যেহেতু আল্লাহ তাকে রাজ্য দিয়েছিলেন ? ‘তখন সে বলল, আমার প্রতিপালক তিনি যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান’, সে বলল, ‘আমিও তো জীবন দান করি এবং ও মৃত্যু ঘটাই।’
পবিত্র বাইবেলে আব্রাহাম নবী ইব্রাহীম এবং নমরুদের সাথে সাক্ষাতের ঘটনার বর্ণনা নেই। যদিও কিছু ইহুদী এবং মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে তাদের মধ্যে বিরোধ সংগঠিত হয়েছিল বলে বলা হয়েছে। কিছু গল্পে দুইজন চড়ম সংঘাতে রত হয়েছিল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেসকল কাহিনিতে হযরত ইব্রাহীম একাত্মবাদের মহিমা বর্ননাকারী এবং নমরুদ তার বিরোধীতাকারী এবং নিজেকে স্বয়ং ঈশ্বর বলে বর্ণনাকারী।একই রকম বর্ণনা মধ্যযুগের ইহুদী ধর্মগুরুদের লেখা কাহিনিতেও পাওয়া যায়।

খোদাদ্রোহী, অত্যাচারী নমরুদ খোদাদ্রোহিতার কাহিনীগুলোর মধ্যে হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর সাথে নমরুদের নকল খোদা সাজার কথা খুবই প্রচলিত। হযরত ইবরাহিম (আঃ) কে অগ্নিকুপে নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আল্লাহ অগ্নিকুকে শান্তির বাগানে পরিণত করেন। নমরুদ ছিল সে যুগে মহাপ্রতাপশালী জালেম অত্যাচারী বাদশাহ। তার মিথ্যা খোদায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আসল খোদার সাথে আকাশে ওঠার চেষ্টা করে পাগলামি উন্মাদনার এক অভিনব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। ইবলিশ শয়তানের প্ররোচনা এবং কুমন্ত্রণায় নমরুদ আকাশকে রণক্ষেত্র করার আহাম্মকী করেছিল এবং তাবুত নামক যে আকাশযান শয়তানের পরামর্শে তৈরি করেছিল তা অবশ্যই এক অভিনব শয়তানি উদ্যোগ ছিল। বলা যেতে পারে নমরুদের সেই তাবুত আধুনিক যুগের রকেট ছিল। নমরুদ কৃত্রিম নকল খোদা হতে চেয়েছিল। তার তথাকথিত শক্তিমত্তার অহংকার ঔদ্ধত্য একটি অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ল্যাংড়া মশা ভেঙে চূরমার করে দিয়েছিল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সংক্ষিপ্ত পড়তে ভালো লাগল।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগাই আমার অনুপেরনা ভাই।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তাবুত নামক যে আকাশযান শয়তানের পরামর্শে তৈরি করেছিল তা অবশ্যই এক অভিনব শয়তানি উদ্যোগ ছিল। বলা যেতে পারে নমরুদের সেই তাবুত আধুনিক যুগের রকেট ছিল। "

-"তাবুত" আধুনিক যুগের রকেট? মুসা (স: )'এর সময় ফারাওনদের যা যা ছিল, উহা পিরামিডে আছে; তার থেকে ২৮০ বছর পুর্বে রকেট থাকার কোন সম্ভাবনা ছলো না। আর যদি রকেট জাতীয় কিছু থাকতো উহা শয়তানের কাজ হতো না, হতো বিরাট টেকনোলোজী।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বিরাট টেকনোলোজীই হতো বতে ভাই ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

নতুন বলেছেন: তার তথাকথিত শক্তিমত্তার অহংকার ঔদ্ধত্য একটি অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ল্যাংড়া মশা ভেঙে চূরমার করে দিয়েছিল।

মসা কি মস্তিস্কে ঢুকে মস্তিস্ক খেয়ে ফেলেছিলো?

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগে না আর কত দিন হলো আমি কোন পুষ্ট দিতে পারি না । :((

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কেন দিতে পারেন না ভাই ?

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জানা হলো অনেক কিছু আপনার লেখা থেকে ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা। আরো ভাল লিখুন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: নমরুদের ব্যাপারে বাইবেল ও তৌরাতের অতিরন্জিত গল্পগুলিকে অনেকে কোরআনের গল্প বলে চালিয়ে দেন। আমরা এ ব্যাপারে কোরআনে যা আছে তার বাইরে অন্য কোন কিছু বিশ্বাস করি না। কোরআনে তো নমরুদের নামও উল্লেখ করা হয়নি ঘটনার কিছু বর্ননা ছাড়া। সুতরং আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে অতিরিক্ত বর্ননা থেকে।

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ইমরান ভাই।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সেই আমলে পৃথিবী ছিল অনুন্নত। বিজ্ঞান ছিল না বললেই চলে। সেই আমলে কত কি যে ঘটেছে।

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হোসেন ভাই ময়মুরুব্বী গণ সব সময় বলে আসছে সেটা নাকি সত্যের যুগ ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.