নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজাদপুর মখদুমিয়া জামে মসজিদ এবং মাজার এর ইতিহাস

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩


হযরত মখদুম শাহদৌলার মাজার বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটা মূলত সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটা বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
হযরত শামসুদ্দিন তাবরিজির মাজার

শামসুদ্দিন তাবরিজির মাজার
মাজারের পাশেই অবস্থিত আরো দুটি স্থাপনা হচ্ছে শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ এবং শামসুদ্দিন তাবরিজির মাজার ।

শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ

শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ ২০১৪ সাল
বগুড়া নগরবাড়ি পাকা সড়ক থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে হুরাসাগর নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই মসজিদ। শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদটি একটি প্রাচীন এক কক্ষের মসজিদ। মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত। পূর্ব দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশপথ আছে। প্রবেশপ্তহগুলোর মাপ হচ্ছে ২.১ মিটার উঁচু এবং ১.৮ মিটার চওড়া। মসজিদের ভেতরে সুন্দরভাবে স্থাপিত আটটি পাথরের তৈরি স্তম্ভ আছে। মসজিদের ভেতরের অংশে তিনটি আইল (Aisle) ও পাঁচটি বে তে বিভক্ত করে পনেরটি আয়তক্ষেত্রের সৃষ্টি করেছে। এই পনেরটি আয়তক্ষেত্রের উপরে নির্মিত হয়েছে পনেরটি গম্বুজ। গম্বুজগুলো অর্ধবৃত্তাকার এবং মাটি থেকে গম্বুজগুলোর উচ্চতা ৬.১৩ মিটার। শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদটির পাশেই হযরত মখদুম শাহদৌলার মাজার এবং অন্যান্য শহিদের কবর অবস্থিত।মখদুম শাহের সমাধিটি একটি প্রাচীন গোলাকার এক কক্ষের স্থাপত্য।
মাজারের উপরিভাগের কারুকার্য
১১৯২ থেকে ৯৬ সালের মধ্যে ইয়েমেনের শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়ামেনী (রহঃ) ইয়েমেন থেকে ধর্মপ্রচারার্থে যাত্রা শুরু করেন, এবং তখন বোখারা শহরে আগমন করেন। বোখারা শহরে হযরত জালাল উদ্দিন বোখারী (রহঃ) এর দরবার শরীফে কিছু সময় অতিবাহিত করে তিনি বাংলার পথে যাত্রা শুরু করেন এবং বাংলাদেশের শাহজাদপুর অঞ্চলে আসেন। তিনি বাংলায় প্রবেশ করে ইসলাম প্রচার শুরু করলে ততকালীন সুবা বিহারের অমুসলিম অধিপতি রাজা বিক্রম কেশরী হযরত মখদুম শাহদৌলার আগমনে রাগান্বিত হন
এবং রাজা বিক্রম কেশরী তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে। কিন্তু সৈন্যবাহিনী পরাজিত হয়ে ফিরে যায়। রাজা বিক্রম কেশরী বেশ কয়েকবার সৈন্য প্রেরণ করে পরাজিত হয় । ইতিমধ্যে হযরত মখদুম শাহদৌলা শাহজাদপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তার আধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারা সেই অঞ্চলকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করেন। শেষ যুদ্ধে হযরত মখদুম শাহদৌলা এবং তার বহু সঙ্গী এবং অনুসারী যোদ্ধাগণ শহীদ হন। সেই ধর্ম যুদ্ধে তার শহীদ হবার কারণে তিনি হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়ামেনী (রহঃ) নামে পরিচিত লাভ করেন।দরগাহপাড়ার এই স্থানটিতেই মখদুম শাহদ্দৌলা (রহঃ) তার অনুচর এবং ওস্তাদ শামসুদ্দিন তাবরেজীকে নিয়ে পাঞ্জেগানা নামাজ আদায় করতেন। ধীরে ধীরে এখানে গড়ে তোলেন জামে মসজিদ। তখনকার সেই মসজিদটি মখদুমিয়া জামে মসজিদ হিসেবেই পরিচিত লাভ করে। আর এই মসজিদকে ঘিরেই ইসলাম প্রচারণা চালাতে থাকেন তখন এই অঞ্চলের সবটুকুই ছিল সুবা বিহারের রাজা বিক্রম কিশোরীর অধীনে। ইসলাম প্রচারে ঈশান্বিত হয়ে রাজা বিক্রম কিশোরী বাধা প্রদান করতে থাকলে সর্বমোট ৩৩বার মখদুম শাহদ্দৌলা (রহঃ) এর সাথে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রথম দুটি যুদ্ধে বিক্রম কিশোরী পরাজিত হলে প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে উঠে। পরে গুপ্তচর পাঠিয়ে ওই গুপ্তচর মখদুম শাহদ্দেীলা (রহঃ) এর বিশ্বস্ত সহচরে পরিণত হয়ে একদিন একাকী অবস্থায় আসর নামাজ পড়ার সময় ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে গুপ্তচর দেহ থেকে গর্দান মোবারক বিছিন্ন করে শহীদ করেন। পরে তার দ্বিখণ্ডিত মাথা সুবা বিহারের রাজা বিক্রম কিশোরীর নিকট নেয়া হলে সেখানেও জবান থেকে সোবহান আল্লাহ ধ্বনি উচ্চারিত হতে থাকে। এই অলৈাকিক দৃশ্য দেখে সুবা বিহারের রাজাসহ অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। দ্বিখণ্ডিত দেহ মোবারক এই মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্ব কোণে দাফন করা হয়। থেমে থাকেনি ইসলাম প্রচারের কাজ। শাহাদতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) অনুচররা অব্যাহত রাখেন প্রচার প্রসারের কাজ। সুযোগ্য উত্তরসূরী ইউসুফ শাহ (রহঃ),শাহ হাবিবুল্লাহ (রহঃ),শাহ বদর (রহঃ), ওস্তাদ শামসুদ্দিন তাবরেজী (রহঃ) এর প্রচেষ্টায় দিন দিন ইসলাম ব্যাপকভাবে বিস্তার করে। যার ফলে হিন্দুদের সংখ্যা কমে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করা হয়। এজন্য বহু সংখ্যক ঈমানদার মুসলমানকে শহীদ হতে হয়। দরগাহপাড়ার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শহীদের কবর রয়েছে। এমনকি এই মসজিদের দক্ষিণ কোণে শহীদদের গণ কবর বা গঞ্জে শহীদান রয়েছে। পরে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা শহীদী রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করে এ অঞ্চলে শাসন ভার অর্পিত হয় ইউসুফ শাহ (রহঃ) এর উপর। আর তাঁর নামানুসারেই এ অঞ্চলকে ইউসুফ শাহ পরগনার অধীনে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে (১৫০০–১৫৭৬) খৃষ্টাব্দে বাংলার মুসলিম সুলতানি আমলে এই মসজিদের নিদর্শন কাজ শুরু হয়। তৎকালীন মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম কারুকার্য ব্যবহার করা হয় এর নির্মাণে। ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের উত্তর দক্ষিণ দৈর্ঘ্য ১৩.১৯ মিটার পূর্ব পশ্চিম প্রস্থ ১২.৬০ মিটার এবং ছাদের উপরিভাগের গম্বুজের ব্যাস ৩.০৮ মিটার। গম্বুজের প্রতিটি মাথায় পিতলের কারুকার্য মন্ডিত। যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

ছবি ও তথ্য: ইন্টারনেট সূত্র ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চমৎকার! কোন একদিন যেতে হবে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দেখে এসে বিস্তারিত আমাদের জানাবেন ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
শেকড় সত্য ভুলেছি বলেই আজ মোরা অসহায়
না ঘাটে না ঘরে -বেভুল পথে ঘুরে বেড়াই...

+++

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা করেছে ভাই, একবার দেখার ইচ্ছে রইল।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই । সময় পেলে অবশ্যই যাবেন ।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১২

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু মামা ।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: খুবৈ ভাললাগল পোস্টটি পড়ে। বিশেষ করে শাহ মাখদুম সম্পর্কে জানতে পেরে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভাই আনু মোল্লা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.