নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা পৃথিবীর ইতিহাস

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১১


এটা হল বিভিন্ন অধিযুগের আনুপাতিক প্রদর্শনের মাধ্যমে উপস্থাপিত পৃথিবীর ইতিহাসের চক্রাকার রেখাচিত্র ।
পৃথিবীর ইতিহাস বলতে পৃথিবী গ্রহটির উৎপত্তি থেকে আরম্ভ করে বর্তমান পর্যন্ত সমগ্র সময়কালকে বোঝানো হয়েছে। পৃথিবীর অতীতের মূল ঘটনাগুলোর সম্পর্কে বুঝতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সমস্ত শাখাই মানুষকে অনেক গুন সাহায্য করেছে। পৃথিবীর বয়স হল মহাবিশ্বের বয়সের কমবেশি এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সময়ের মধ্যে অজস্র ভূতত্ত্বীয় পরিবর্তন ঘটে গেছে জীবনের উদ্ভব হয়েছে এবং সেই জীবনে এসেছে অনেক বিবর্তন।

পৃথিবী সৃষ্টির শুরু
পৃথিবী ঠিক কখন তৈরি হয়েছে ? একেবারে শুরুর কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। এখন থেকে প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায় পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।

থিয়া আর পৃথিবীর সংঘর্ষের ফল হল চাঁদ
থিয়া নামের গ্রহটি মোটামুটি মঙ্গলের আকৃতি হবে । আর সেই থিয়া গ্রহাণুটির সাথে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর। তাতে পৃথিবী মোটামুটি আস্তই থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডল উবে যায় আর ধ্বংস হয়ে যায় থিয়া গ্রহাণুটি। আর তারই ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় চাঁদ।

পাথর সৃষ্টি এবং পানি জমা
থিয়া গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পৃথিবী। গলিত লাভা টগবগ করতে থাকে সমুদ্রের চারিদিকে। শুক্র গ্রহের অবস্থা এখন যেমন ঠিক পৃথিবীর অবস্থাও ছিলো তখন তেমন। আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হয় পৃথিবী আর লাভা জমাট বেঁধে তৈরি করে পাথর আর পানি জমতে শুরু করে পৃথিবীর প্রথম সাগরে। সে সময়ে তৈরি হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খনিজ, জিরকন। তাদের বয়স মোটামুটি ৪.৪ বিলিয়ন বছর।

প্রথম মহাদেশ সৃষ্টি
এখন পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ বসে আছে অতিকায় সব টেকটোনিক প্লেটের ওপরে। আদিম টেক্টোনিক প্লেট কিন্তু ছিলো অনেক ছোট। তদের মাঝে অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ, রৌপ্যের মতো দামি ধাতু পাওয়া যায়। এখন থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়েছিলো প্রথম সেসব মহাদেশ।

প্রাণের প্রথম নিঃশ্বাস
মোটামুটি ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে সালোকসংশ্লেষণ থেকে আসে প্রথম অক্সিজেন। পাথরের ওপরে জন্মানো সায়ানোব্যাকটেরিয়া বা নীলচে সবুজ শ্যাওলা থেকে প্রথম অক্সিজেন আসে। তবে সেটা আসলে ভালো কিছু করেনি। সেই অক্সিজেনের উপস্থিতির কারনে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া মরে যায় যারা অক্সিজেন এর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। আর এভাবে ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন অনেক বেশি বেড়ে যায় যাকে বলে হয়ে থাকে Great Oxygenation Crisis।

নিরুপদ্রব এক বিলিয়ন বছর
প্রথম মহাদেশ তৈরি হবার পর এক বিলিয়ন বছর তেমন কিছুই হয়নি পৃথিবীতে। একেবারে একঘেয়ে একটা সময় গেছে। মহাদেশগুলো আটকে ছিলো একটা ট্রাফিক জ্যামে অর্থাৎ তেমন একটা নড়াচড়া করেনি। প্রাণের তেমন কোন উন্নতিও ঘটেনি সেসময়ে।

মহা-মহাদেশ সৃষ্টি
মহা-মহাদেশের মাঝে একটি হলো প্যানগায়া। এখানে পরবর্তীতে উৎপত্তি ঘটবে ডায়নোসরের। অন্যটি হলো ইউরেশিয়া। এখনো বিভিন্ন পর্বতমালা দেখে গবেষকেরা বের করতে পারেন ঠিক কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা একত্রে যুক্ত থেকে এসব বিশাল মহা-মহাদেশের সৃষ্টি করেছিলো।

ভয়ংকর শীতকাল
৭৫০ মিলিয়ন বছর আগে হঠাৎ করেই একটা বড় মহাদেশ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে বের হয়ে যায়। ঠিক সে সময় পৃথিবী একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে একটা বিশাল বরফের গোলায় রূপান্তরিত হয়। আর সে সময় হিমবাহ দিয়ে ঢাকা ছিলো ভূপৃষ্ঠ। এমনকি বিষুবীয় অঞ্চলেও ছিলো হিমবাহ।

প্রাণের বিস্ফোরণ
৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে বায়ুমণ্ডলে আবারো বাড়তে শুরু করে অক্সিজেন এবং সে সময় বিভিন্ন প্রাণীর উদ্ভব হতে থাকে। এককোষী প্রাণীর পাশাপাশি এসে পড়ে বহুকোষী প্রাণী। আর সেই সময়সীমার মাঝেই শিকার এবং শিকারির উদ্ভব ঘটে।

প্রাণীজগতের বিলুপ্তি
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বড় বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে আজ থেকে ২৫২ মিলিয়ন বছর আগে পারমিয়ান পিরিয়ডে। মাত্র ৬০ হাজার বছরের মাঝে প্রায় ৯০ শতাংশ জীবের বিলুপ্তি ঘটে। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রেটেশাস পিরিয়ডে বিলুপ্তি ঘটে ডায়নোসর সহ ৮৫ শতাংশ জীবের। পারমিয়ান পিরিয়ডে এই বিলুপ্তির কারণ ছিলো সাইবেরিয়ায় এক বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণেও বিলুপ্তি ঘটতে দেখা গেছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছর আগে বড়সড় একটা তুষার যুগের কারণে বিলুপ্তি ঘটে ৭৫ শতাংশ জীবের।

বরফ যুগ
পাঁচটি বড় বরফ যুগ দেখা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে। আপনি কি জানেন, এখনও আমরা একটি বরফ যুগের মাঝে বাস করছি ? আজ থেকে প্রায় ১১,৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো এই বরফ যুগ।
প্লাস্টিক যুগ
বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের এতো বেশি আবর্জনা জমে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানী একে প্লাস্টিক যুগ বা প্লাস্টিসিন পিরিয়ড বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এসব প্লাস্টিকের কিছু আবার নতুন এক ধরনের পাথরেও রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে মিলিয়ন বছর পরেও এসব প্লাস্টিকের চিহ্ন পাওয়া যাবে পৃথিবীর বুকে।

তথ্যসূত্র; ইন্টারনেট ।







মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো, সারমর্মটুকু মনে থাকার মতো সহজ হয়েছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রী চাঁদগাজী ভাই।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তথ্য ও পরিবেশনার জন্য ধণ্যবাদ

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল ভাই ।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট লেখা ভালো লাগলো ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

দূর পাহাড়ে বলেছেন: কল্পনা ছাড়া মানুষের করার কিছুই নেই। "আমি মানুষকে সামান্যতম জ্ঞান দান করেছি।" সেই জ্ঞানের ঠেলায় মানুষ কত কি না করছে। বহু কিছু মানুষের অজানা। "আামি সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্য থেকে, আর এমন কিছু সৃষ্টি করেছি তা মানুষের অজানা" সুরা ইয়াসিন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দূর পাহাড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.